লাইফস্টাইল || দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি (পর্ব -০৬)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে আজকের ষষ্ঠ পর্বে সবাইকে স্বাগতম।
গত পর্বে পুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে কিছু বর্ণনা শেয়ার করেছিলাম । আজকের পর্বে আরো কিছু কথা শেয়ার করব।
আজকের পর্বে তোমাদের সাথে বারাসাতে আমার দেখা আরো দুটি পুজো প্যান্ডেল সম্পর্কে বলবো। দুর্গাপুজোর সময় বারাসাতে যে কয়টি পুজো প্যান্ডেল দেখেছিলাম তার মধ্যে এই দুটি পুজো প্যান্ডেলটিই আমি সব শেষে দেখেছিলাম।
বারাসাতে দুর্গাপুজোর সময় শেষের আগে যে পুজো প্যান্ডেলটি দেখেছিলাম সেটির নাম মনে নেই। আমি যে ইঞ্জিন ভ্যান ভাড়া করে গেছিলাম আমাদের সেই ভ্যানওয়ালা আমাদের এই পুজো প্যান্ডেলের সামনে নিয়ে নামিয়ে দিয়েছিল। এই পুজো প্যান্ডেলটিতেই সবথেকে বেশি ভিড় হয়েছিল। এই বছর বারাসাতে চন্দ্রযান থ্রি অভিযান নিয়ে দুটি পুজো প্যান্ডেল আমার সামনে পড়েছিল। আগের একটি ব্লগে অন্য একটি চন্দ্রযান থ্রি সম্পর্কিত পুজো প্যান্ডেল তোমাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আর আজ অন্য একটি প্যান্ডেল নিয়ে শেয়ার করবো। তবে এই পুজো প্যান্ডেলটির নাম কি ছিল আমি তা ভুলে গেছি এখন। তবে থিম দেখেই বোঝা যাচ্ছিল চন্দ্রযান থ্রি নিয়ে কিছু একটা ছিল। এই ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলটি যথেষ্ট বড় ছিল যা বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিল।
এই প্যান্ডেলটিতে যাওয়ার পূর্বে আমি এবং আমার বান্ধবী অনেকটা কনফিউশন হয়েছিলাম কারণ এই পুজো প্যান্ডেলটির সামনে অনেক ভিড় জমে ছিল। আমরা যেহেতু ভ্যান ভাড়া করে গেছিলাম সেজন্য আমরা ভাবছিলাম ভ্যানওয়াল এত সময় আমদের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে কিনা এই চিন্তা করছিলাম। তবে আমাদের ভ্যানওয়াল বেশ ভাল ছিল। সেই লোকই আমাদের এই পুজো প্যান্ডেল টি দেখার জন্য বলেছিল। পুজো প্যান্ডেলটির পুরো থিম বাইরে থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল । তবে ভিতরে কি করেছিল সেটা দেখার ইচ্ছাও আমাদের ছিল। বাইরে থেকে মিউজিক শুনে মনে হচ্ছিল চন্দ্রযান রিলেটেড কোনো কিছু প্রজেক্টরে দেখানো হচ্ছে। এই জন্য আমাদের ইন্টারেস্ট বেশি হয়েছিল।
এই পুজো প্যান্ডেলটির সামনে গিয়ে আমাদের ৪৫ মিনিটের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অবশেষে এই পুজো প্যান্ডেলটির ভিতরে গিয়ে অনেকটা নিরাশ হতে হয় আমাদের কারণ প্রজেক্টরে কোন কিছুই দেখানো হচ্ছিল না, সবকিছুই গুজব ছিল। আমরা এখানের পুজো প্যান্ডেলটি দেখে পুনরায় গেট থেকে বেরিয়ে পড়ি। বাইরে এসে দেখি আমাদের সেই ভ্যানওয়াল আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
এরপর সেই ভ্যানওয়ালা কে নিয়ে আমারা আমাদের দেখা বারাসতের সর্বশেষ পুজো প্যান্ডেলটিতে গেছিলাম । সে প্যান্ডেলটি খুব বেশি বড় ছিল না। সেই জন্য এই প্যান্ডেলটিতে গিয়ে সামান্য কিছু ফটোগ্রাফি করে বেরিয়ে পড়ি। তারপর আমরা আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। সব পুজো প্যান্ডেল ঘুরে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে গেছিলাম আমরা। এভাবেই বারাসাতের দুর্গা পুজো দেখা শেষ হয় আমদের সেইদিন। অষ্টমীর দিন বেরিয়ে যতগুলো পুজো প্যান্ডেল দেখেছিলাম তা তোমাদের এই ৬ টি পর্বের মাধ্যমে শেষ করলাম।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
অনেক ভীর ছিলো তাহলে ৷ ৪৫ মিনিটের ও বেশি সময় অপেক্ষা করেছেন , বোঝাই যাচ্ছে মানুষের কত ভীর ছিলো তাহলে ৷ যাই হোক ভ্যান ওয়ালা মানুষটা আসলে ভীষণ ভালো ছিলো তাহলে ৷ নিজে থেকেই আপনাদের ঠাকুর দেখতে বলছে এবং এতো সময় অপেক্ষা করেছে ৷ আপনাদের ওদিকে পুজো প্যান্ডেল আর পুজোর থিম যাই বলুন না কোনো সব কিছু অনেক সুন্দর এবং জাঁকজমক ভাবে করা হয় ৷ এই পুজো প্যান্ডেল এবং পুজোর থিম দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আপনার অনুভূতিও সুন্দর ছিলো ৷ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷
ভাই দুর্গাপুজোতে তো প্যান্ডেল গুলো ভালো হয়, এছাড়াও কালী পুজোতে অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে করা হয় প্যান্ডেল গুলো । আমার শেয়ার করো পুজো প্যান্ডেল এবং পুজোর থিম আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।