শিয়ালের তাড়া খাওয়ার গল্প
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ঘটনা শেয়ার করবো। গতকালকের ব্লগে তোমাদের জানিয়েছিলাম যে আমি বাংলাদেশের একটি গ্রামে ঘুরতে এসেছি। আসলে গ্রামে অনেক নির্জন জায়গা হয় রাত হলে গ্রামের দৃশ্যই বদলে যায়।দিনে একরকম গ্রাম দেখা যায় আর রাতে হয়ে যায় অন্যরকম। সাধারণত গ্রামে শিয়ালের ভয় এখন বেশ দেখা যায়। শেয়ালের উৎপাত অনেক বেড়েছে আগের তুলনায় এখানে এসে যতটা আমি জানতে পেরেছি। আমি বাংলাদেশের যে গ্রামে ঘুরতে এসেছি সেখানে বেশ বড় করে অনুষ্ঠান হচ্ছে। এই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে করতে অনেকটাই রাত হয়ে যায়। তাছাড়া গ্রামে সন্ধ্যা ছয়টার পরেই অন্ধকার নেমে আসে। তারপর গভীর রাতের যত অনুভব হয় যেমনটা শহরের ক্ষেত্রে দেখা যায় না।
যাইহোক, যেহেতু আমি শহরের মানুষ তাই গ্রামের এই অভ্যস্ততা নেই। আজ যখন অনেক রাত করে অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলাম হঠাৎ করে সামনে দেখি চারটি শেয়াল। আমি বাড়িতে ফেরার সময় একাই ছিলাম আসলে অনুষ্ঠান ভালো হচ্ছিলো দেখে আমি অনুষ্ঠান এনজয় করতে অনেকটা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। অন্যদিকে আমি যাদের বাড়িতে এসেছিলাম আর যারা আমার সাথে গেছিলো তারা বাড়ি ফিরে গেছিলো। আর যেহেতু আমি একা ফিরছিলাম তাই হঠাৎ শিয়াল সামনে পড়লে আমি বেশ ভয় পেয়ে যাই। তারা অনেকটা তাড়া শুরু করে আমায়।
আমাকে অনেকটা দৌড়ে সেফ জায়গায় যেতে হয়। এই ঘটনায় অনেকটা আমি ভয়ও পেয়েছিলাম কিন্তু কোন সমস্যা হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরে আজকের পোস্ট লিখতে বসলাম গত বছর যখন গ্রামে ঘুরতে গেছিলাম শেয়াল দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তবে শিয়ালের তাড়া খাওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল না। এবার সেটা হয়ে গেল যেহেতু কোন প্রবলেম হয়নি, তাই এটা কোন বড় বিষয় না। এমনটা গ্রামের সচরাচর হয়েই থাকে। যেমনটা আমি আগেও জেনেছিলাম। যাইহোক, নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো একটু ভয় পেলেও খুব বেশি ভয় পাইনি। রাতের বেলা আসলে গ্রামে শিয়াল গুলা বের হয় তারা হাঁস মুরগি চুরি করার জন্য আসলে রাতের বেলা বের হয় গ্রামের বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে।
◾▪️◾পোস্ট বিবরণ◾▪️◾
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
লোকেশন | নড়াইল, বাংলাদেশ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্রামের দিকে এরকম শিয়াল প্রচুর বেরয়। আমাদের বাড়িতেও আগে ছিল। বাড়িতে ঠিক না বাড়ির পেছনে জঙ্গলে আসতে। এখনো আসে তবে সংখ্যাটা কমে গেছে।
শেয়ালের তারা কম বেশি অনেকেই খেয়েছে তবে আমি কখনো খাইনি।খাবোই বা কি করে আমি তো রাতে বেরুই না।গ্রামে সত্যি শেয়ালের অনেক উপদ্রব বেড়ে গেছে। শীতকালে বেশি শেয়ালের ডাক শোনা যায়।অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে আসার পথে শেয়ারের মুখোমুখি কি ভয়ংকর ব্যাপার ভয় লাগছে আমারই।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ভাই। তবে শিয়াল যেহেতু চারটি ছিলো,সেহেতু বেশ ভালোই ভয় পেয়েছিলেন মনে হচ্ছে। তবে আমি কখনো সামনা-সামনি শিয়াল দেখিনি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।