ভ্রমন: মৌসুনি আইল্যান্ড (পর্ব- ১০)

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো।

মানুষ অসুস্থ হলেই সুস্থতার গুরুত্ব বুঝতে পারে। আমি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ। শারীরিকভাবে এই অসুস্থতার কারণে কোন কিছু ঠিকঠাকভাবে করতে পারছি না আম। সুস্থ হতে পারছি না দেখে মনটাও ভালো নেই আমার।

যাই হোক, আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে মৌসুনি আইল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে দশম তম পর্বটি শেয়ার করব। এর আগেও বেশ কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে এই জায়গার বর্ণনা তোমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি।

নবম পর্বের লিংক

20230731_175934.jpg

20230731_181224.jpg

মিনি সুন্দরবনের সৌন্দর্য আমাদের সবাইকেই মুগ্ধ করে। আমরা শেষ যে অংশটিতে ছিলাম মিনি সুন্দরবনের, সেই অংশে যে মরা গাছগুলো ছিল সেই গাছগুলো কিন্তু অনেক মজবুত ছিল । এসব গাছের উপর উঠে আমরা সবাই একপ্রকার নাচানাচি করি গান চালিয়ে দিয়ে। আমরা যেন তখন অন্য এক জগতে ছিলাম সেই সময়। আমাদের অনেক বেশি মজা হচ্ছিল তখন। আমরা সবাই সত্যিই অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম এরকম একটা জায়গায় যেতে পেরে। আস্তে আস্তে সময় বাড়তে থাকে, সূর্য ডুবে যাওয়ার সময় হয় এবং জোয়ারের সময় শুরু হয়। আমরা যে জায়গাটিতে ছিলাম সেই জায়গাটিতে আস্তে আস্তে জল আসতে থাকে আর আমরা এমন একটা পজিশনে ছিলাম আমরা যদি সময় মত সেইখান থেকে না বের হতাম তাহলে আমাদের জলে ডুবে যেতে হবে এরকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হত। সেই জন্য আমরা তাড়াতাড়ি করে কাদামাটির মধ্যে দিয়ে সমুদ্রের পাড়ে যাওয়ার চেষ্টা করি ।

20230731_181226.jpg

20230731_181228.jpg

এই সময় বেশি ব্যস্ততার কারণে আমাদের পায়ের জুতো অনেকটা কাঁদার তলে চলে যায় । সেই জন্য আমরা জুতোগুলো হাতে নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে পৌঁছায়। আমরা সমুদ্রের পাড়ে পৌঁছানোর পরেই দেখি আমরা যে জায়গাটিতে ছিলাম ৫ মিনিটের মধ্যেই সেই জায়গাটি জলে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমরা সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে তখন এই বিষয়গুলো দেখছিলাম। সমুদ্রের এই জোয়ার ভাটার খেলা বেশ ইন্টারেস্টিং আর এই প্রসেস সব সময় চলতে থাকে যা ভেবে দেখলে একটা বিস্ময়কর ব্যাপারই। । সমুদ্রের যে পাড় ছিল সেই পাড় গুলো বিশেষ এক প্রকার প্লাস্টিকের কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল যেন জোয়ার ভাটার এই প্রসেসে পাড় গুলো ভেঙে না যায়। এর কারণ হলো পাড়ের এক পাশে যেমন সমুদ্র ছিল , অন্য পাশে ছিল গ্রাম।

20230731_181231.jpg

20230731_181324.jpg

আমরা হাঁটতে হাঁটতে যে অংশটাতে গেছিলাম সেই অংশটা থেকে গ্রামের বাড়ি ঘর গুলো দেখা যাচ্ছিল না যদিও । আমরা যখন সেখানে ছিলাম সে অংশে অন্য কাউকে আমরা গিয়ে আর দেখতে পাইনি। সময় যত বেড়ে যাচ্ছিল সমুদ্রের স্রোতের শব্দ আরো জোড়ালো হচ্ছিল ।সমুদ্রের এই শব্দ শুনতে বেশ ভালো লাগছিল তখন। সমুদ্রের পাড়ে উঠে আমরা বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম । আশেপাশের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি নিজেদেরও কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এই জায়গাটিতে আমরা মোটামুটি ভাবে কুড়ি মিনিটের মত সময় কাটিয়েছিলাম । তারপরে যখন অন্ধকার বেড়ে যেতে থাকে আমরা তাড়াতাড়ি করে রওনা করি আমাদের রিসোর্টের দিকে।



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: মৌসুনি আইল্যান্ড, ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা , মৌসুনি আইল্যান্ড ভ্রমন নিয়ে আজকের শেয়ার করা দশম পর্বের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 11 months ago 

শরীর ভালো না থাকলে মনটাও ভালো থাকেনা। আশাকরি দাদা আপনি খুব দ্রুতই সুস্থ‍্য হয়ে যাবেন। মিনি সুন্দরবন দারুন তো ব‍্যাপারটা। অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। কাঁদার মধ্যে জুতা তলিয়ে গিয়েছে ব‍্যাপারটা তো দারুণ। সমুদের শব্দ এই গর্জন টা শুনতে বেশ চমৎকার লাগে। যদিও আমি কখনো শুনি নাই।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

চেষ্টা করছি অনেক দিন ধরে ভাই সুস্থ হওয়ার জন্য তবে এখনো পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হয়ে পারিনি। মাঝে একটু সুস্থ হয়েছিলাম পুনরায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 64050.44
ETH 2502.78
USDT 1.00
SBD 2.65