গ্রামে থাকতে খেজুরের রস চুরি
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। |
---|
গতকাল আমি আমার বাংলাদেশ ভ্রমণ কমপ্লিট করে আমার প্রিয় বারাসাতে পৌঁছে গেছি। অনেক ব্যস্ত ভাবে গেছে এই সময় গুলো। যাই হোক, আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে আমি শীতকালে গ্রামে থাকতে কি করে খেজুরের রস চুরি করে খেতাম তাই বলবো। ছোটবেলায় অনেক বছর আমি গ্রামে কাটিয়েছি,সেই জন্য গ্রামের সবকিছু খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের গ্রামের বাড়িতে নিজেদের অনেকগুলো খেজুরের গাছ ছিল। প্রতি বছর খেজুরের গাছগুলো কাটা হলে প্রচুর পরিমাণে খেজুরের রস পাওয়া যেত। তবে নিজেদের গাছে খেজুরের রস থাকলেও আমরা বন্ধুরা অন্যদের খেজুর গাছের রস চুরি করে খেতাম। মূলত এটি করতে অনেক মজা লাগতো সেই জন্যই করতাম। শীতকালে পাট কাঠিতে কাপড় বেঁধে সকাল সকাল বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম খেজুর গাছে উঠে রস খাওয়ার জন্য।
খুব সকালে উঠতে অনেক বেশি কষ্ট হতো, তা সত্ত্বেও বন্ধুদের নিয়ে চলে যেতাম এই কাজ করার জন্য। খেজুর গাছে আস্তে আস্তে করে আমরা উঠে পড়তাম। কারণ সকাল বেলা খেজুর গাছ হালকা ভেজা থাকত। যাইহোক, খুব বেশি বড় খেজুর গাছ হলে আমরা সেই গাছগুলোতে উঠতাম না। আর ছোট ছোট খেজুর গাছগুলোতে উঠে কিছু পরিমাণ রস খেয়ে নিতাম, পুরোপুরি কখনোই খেতাম না। যার ফলে কেউ বুঝতে পারতো না এই গাছ গুলো থেকে খেজুরের রস খাওয়া হয়েছে। এভাবে কয়েকটি গাছে উঠে খেজুরের রস খেলেই আমাদের পেট ভরে যেত। এভাবে সকালে উঠে মাঝে মাঝে আমরা খেজুরের রস চুরি বের হতাম বন্ধুদের সাথে নিয়ে। অনেক মজা হতো এই কাজগুলো করে। এই বার বাংলাদেশ ভ্রমনে গিয়েও খেজুরের রস খাওয়ার সুযোগ হয়েছে।
তবে কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার সুযোগ হয়নি, জ্বালানো রস খেয়েছিলাম। কারণ নিপা ভাইরাস নিয়ে অনেক সমস্যা চলছে তাই কাঁচা রস খাওয়ার সাহস পাই নি। যা নিয়ে তোমাদের সাথে অন্য একটি ব্লগে শেয়ারও করেছিলাম। যাইহোক, শৈশবে এমন করে রস চুরি করে খাওয়ার ঘটনাটি আজ ভাবছিলাম একা একা বসে। সেই ভাবনাগুলোই তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম এই ব্লগে।
আপনারা অনেক বেশি চালাক, ছোট খেজুর গাছ গুলোকেই টার্গেট করতেন হা হা হা। আসলে বন্ধুরা থাকলে তাদের সাথে সব কাজ করতে গেলেই অনেক আনন্দ হয় যাইহোক নিপা ভাইরাসের কারণে কাচা রস খাওয়া হয়নি তবে রস ফুটিয়ে খাওয়াই উত্তম কারণ কোন রিস্ক থাকে না।
হ্যাঁ ভাই, ছোট খেজুর গাছ গুলোকেই টার্গেট করতাম আমরা চালাকি করে।
শৈশবে আমরা সবাই অনেক বেশি দুষ্টুমি করতাম। আমরাও ছোটবেলায় এমন খেজুরের রস চুরি করে খেয়েছি। খাওয়াটা বড় বিষয় না কিন্তু চুরি করাটাই সব থেকে বেশি মজা। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আমাদের মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শৈশব মানেই দুষ্টুমি দিয়ে ভরা ভাই!🤭 সেই সময় চুরি করে রস খেয়ে অনেক মজা করতাম আমরা।
একা একা বসে শৈশবে খেজুরের রস চুরি করে খেয়েছিলেন সেটা ভাবছিলেন আর সেই ভাবনা থেকেই আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন জেনে ভালো লাগলো। শৈশবে খেজুরের রস চুরি করে খাইনি এরকম মানুষ খুব কমই আছে আপনারা তো দেখছি সকালবেলা খেজুরের রস চুরি করে খেয়েছেন আর আমরা রাতের বেলা হাহাহা। যদিও তখন ছোট ছিলাম যার কারণে বুঝতে পারিনি কিন্তু এখন বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে সেটা কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে, ইচ্ছা থাকলেও মন আর সাড়া দেয় না। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গ্রামের সব ছেলেরাই শৈশবে এমন খেজুরের রস চুরি করে খেয়েছে, এটা ঠিক কথা ভাই। তবে বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাপার গুলো অনেকটা কমে যায় ।
শীতকালে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হল খেজুরের রস। অনেক বছর আগের কথা যখন আমরা মাধ্যমিক গণ্ডিতে ছিলাম। সেই সময় কত যে খেজুরের রস চুরি করে খেয়েছি তার বলার শেষ নেই। আসলে ওই সময় এভাবে খাওয়ার মধ্যে একটা মজা ছিল। আর খেজুরের রস আমরা সব সময় রাত্রে বেশি খেতাম। ভাই কাঁচা রস খাওয়ার সুযোগ হয়নি আপনার এটা জেনে বেশ খারাপ লাগলো আমার কাছে। রস আমরা সব রকম ভাবেই খেয়েছি। তবে কাঁচা রস খাওয়ার সুযোগটা আপনারা যেন হয় সেই কামনা করি।
আপনি খেজুরের রস রাত্রে চুরি করে বেশি খেতেন আর আমরা এই রস চুরি করে খেতাম ভোরের দিকে ভাই।
এমন মহৎ কাজটা অনেকেই করে থাকে ভাই। আর সেই মহৎ কাজ স্মৃতির পাতায় থেকে যায়। যাইহোক গ্রামে বসবাস করি আমাদের অনেকগুলো গাছ থাকায় এমন মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেনি তাই আফসোস। তবে অবশ্যই বলা যেতে পারে এগুলো কিন্তু জীবনের মধুর স্মৃতি।
রস চুরির এই কাজকে আপনি মহৎ কাজ বলেছেন সেটা পড়ে বেশ হাসি পেলো ভাই🤭🤭🤣। তবে ছোটবেলায় এই কাজটাকে সত্যি সত্যি মহৎ ভাবতাম এটা ঠিক কথা। যদিও এখন ভাবনাটা অনেকটা বদলে গেছে।
আসলে ভাই শীতের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। তবে আপনারা চুরি করে খেয়েছেন এবং অনেক টেকনিক নিয়ে চুরি করেছেন। ছোট ছোট খেজুর গাছে উঠেছেন এবং সবগুলো রস একবারে না খেয়ে অল্প অল্প করে অনেকগুলো গাছ থেকে খেজুর রস খেয়ে পেট ভরিয়েছেন। এটা অনেক বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। যার কারণে অন্যরা বুঝতে পারেনি।
চুরি করতে মাঝে মাঝে এমন অনেক টেকনিক প্রয়োগ করতে হয় ভাই🤭!
এই ট্রিকস টা আমরাও কাজে লাগাতাম। ছোট গাছ থেকেই রস চুরি করে খেতাম কিন্তু সবটা না। কিছুটা রেখে দিতাম যেন কেউ সন্দেহ না করে হা হা। ছোটবেলা আমিও নিজেও বেশ কয়েকবার রস চুরি করেছি। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ কোথায়। আমাদের এলাকায় এখন আর কেউ খেজুরের গাছ কেটে রস সংগ্রহ করে না। আপনার পোস্ট টা পড়ে ঐসময়ের স্মৃতিটা মনে পড়ে গেল।
আমারা সবাই দেখছি রস চোর ভাই! হিহিহি🤣🤣 আমরা কম বেশি সবাই এমন রস চুরির ঘটনায় জড়িত যা দেখছি।
নিজের গাছের রসে স্বাদ নেই এমন একটা ব্যাপার মনে হতো নিশ্চয়ই। আসলে বন্ধুদের সাথে এমন ছোট খাট দুষ্টমী করতে খুব ভালো লাগে।খেজুর রস চুরি করে খাওয়ার গল্প টি বেশ দারুন লাগলো।বাংলাদেশ এসে নিপা ভাইরাসের ভয়ে খেতে পারেননি টাটকা রস এটা আসলেই দুঃখজনক। ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি ও ছোটবেলায় সৃতিচারণ করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শুধু বাংলাদেশ না দিদি, কোথাও গিয়ে খেজুরের কাঁচা রস আর পুনরায় খাওয়ার সাহস পাবো না এই নিপা ভাইরাসের ভয়ে।😓
খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। আর চুরি করে খেজুরের রস খেতে তো আরও বেশি লাগার কথা। তবে আমার এই ধরনের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। যাইহোক ছোট ছোট খেজুর গাছগুলো টার্গেট করে, আপনারা তাহলে খেজুরের রস খেতেন গাছে উঠে। বুদ্ধিটা কিন্তু বেশ ভালো, কারণ বড় গাছে উঠতে গেলে রিস্ক থাকে। রস চুরি করে খেতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে হাত পা ভাঙ্গলে তো বিপদ। যাইহোক দারুণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই খেজুর গাছ থেকে আপনার রস চুরি করার অভিজ্ঞতা নেই জেনে আফসোস লাগলো!😶 এই ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা খুবই মজার হয়। এটা ঠিক কথা, খেজুর গাছ থেকে পড়ে গিয়ে যেন পা না ভেঙে যায় সেই জন্যই ছোট ছোট গাছগুলোকে টার্গেট করে রস চুরি করতাম ভাই ।