ঘাটশিলা ভ্রমণ : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি "গৌরী কুঞ্জ"( শেষ পর্ব)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম ।আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ভ্রমণ মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করব। ঘাটশিলায় অবস্থিত বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি "গৌরী কুঞ্জে" যাওয়া নিয়ে অলরেডি দুটি ব্লগ শেয়ার করেছি তোমাদের সাথে। আজ তৃতীয় অর্থাৎ শেষ পর্বে আরও কিছু কথা শেয়ার করব এই "গৌরী কুঞ্জে" যাওয়া নিয়ে।
এখানে ঢোকার জন্য কোন টিকিটের প্রয়োজন ছিল না। তবে কেউ যদি কিছু ডোনেশন করতে চাই তারা সেটা করতে পারে। আমরা কিছু টাকা ডোনেশন দিয়ে বন্ধুরা মিলে এই বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করি। এই বাড়ির মধ্যে ছিল একটা সংগ্রহশালা। লেখকের জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই বাড়ির মধ্যে। তার সুন্দর সৃষ্টির অনেক কিছুই তিনি এই বাড়ির মধ্যে বসে করেছেন। বাড়ির মধ্যে ঢুকে যখন এইসব ভাবছিলাম তখন আলাদাই ভালো লাগা কাজ করছিল। লেখকের ব্যবহার করা বিভিন্ন পোশাক থেকে শুরু করে লেখার টেবিল, ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্র, লেখা বই, বিভিন্ন ধরনের ম্যাগাজিন সুন্দর করে সাজানো ছিল।
ম্যাগাজিনের বিভিন্ন লেখা আমার তো সেখানে দাঁড়িয়ে পড়তে ইচ্ছা করছিল কিন্তু আমাদের হাতে সময় ছিল নির্দিষ্ট করা তাই আর ভালো করে পড়ার সুযোগ পাইনি । আমাদের সেই দিন অনেকগুলো জায়গা ঘুরে দেখার কথা ছিল তাই যতদূর পারি অল্প সময়ের মধ্যে বাড়ির মধ্যের সব কিছু দেখেছিলাম। এখানে আরেকটা সমস্যা ছিল তা হলো আমাদের ভিডিও করার অনুমতি ছিল না এখানে। সেই জন্য আমরা শুধু ফটোগ্রাফি করেছিলাম এর মধ্যের। ভিডিওগ্রাফি না করতে পারার দুঃখ আমাদের সবারই ছিল। এখানে লেখকের লেখা বিভিন্ন বই ছিল কিন্তু সেগুলো কেনার কোন ব্যবস্থা ছিল কিনা তা আর জিজ্ঞেস করা হয়নি। প্রিয় লেখক এর বাড়ির মধ্যে ঘুরে আলাদা একটা আনন্দ লাগছিলো। নিজেদেরকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল এরকম একটা জায়গা ঘুরতে গিয়ে।
যাইহোক আমরা সেখানে কুড়ি মিনিটের মত ছিলাম। তার মধ্যেই আমাদের অটো চালক আমাদের ফোন করে এবং আমাদের অটোর কাছে যাওয়ার জন্য বলে। আমাদের এই দিন অনেকগুলো দূরের জায়গা ঘুরে কমপ্লিট করার কথা ছিল সেই জন্যই অটো চালক বেশি ব্যস্ততা দেখায়। তারপর বাড়ির মধ্যের সবকিছু যতদূর সম্ভব দেখে আমরা অটোতে করে বেরিয়ে পড়ি অন্য একটি জায়গার উদ্দেশ্যে। অটো চলা শুরু হয়ে গেলে অটোওয়ালা আমাদের জানায় লেখক যে ফেমাস পাহাড়ে বসে বিখ্যাত লেখা গুলো লিখেছিলেন সেখানে নিয়ে যাবে। এই কথা শুনে আমরা অনেক বেশি উৎসাহিত হয়ে পড়ি এবং কয়েক সেকেন্ডের জন্য সবাই চিৎকার করে উঠি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | গৌরীকুঞ্জ, ঘাটশিলা ,ঝাড়খণ্ড। |
ওখানে লেখক এর যে বইগুলো ছিল ওগুলো কেনার ব্যবস্থা ছিল না, আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম পরে। যাইহোক আমিও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি নিয়ে দুটো পর্ব তৈরি করেছিলাম অনেকটা একই রকম লাগছে আমার পর্বের সাথে।
এটা যদিও আমার জানা ছিলো না। ধন্যবাদ বিষয়টি আমাকে জানানোর জন্য।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ভ্রমণ করতে গিয়ে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। পূর্বে আমি লক্ষ্য করেছি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফির সাথে আপনি উপস্থাপন করেছিলেন একটি পোস্ট। আজকেও আপনার এই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ফটোগ্রাফি এবং অনেক সুন্দর উপস্থাপনার করেছেন। বিস্তারিত পড়ে অনেক কিছু ধারণা অর্জন করতে পারলাম
শেয়ার করা ফটোগ্রাফি , সেই সাথে ব্লগের লেখার প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আগের পর্ব দুটো পড়ে সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল। কারণ অনেক অজানা কিছু জানতে পেরেছিলাম। লেখকের ব্যবহার করা বিভিন্ন কিছু দেখে সত্যিই ভালো লাগলো ভাই। ম্যাগাজিন গুলো দেখে তো আমারও পড়তে ইচ্ছে করছে ভাই। ভিডিও করার অনুমতি থাকলে, আমরা হয়তো আরো বেশি উপভোগ করতে পারতাম। সবমিলিয়ে আপনারা দারুণ সময় কাটিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই ভিডিও করার অনুমতি থাকলে ভিডিও করে নিয়ে এসে আপনাদের সাথে শেয়ার করতাম।