গল্পঃ "মা" (শেষ পর্ব)
নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । আমিও ঠিক আছি। আজ তোমাদের সাথে পূর্বের শেয়ার করা একটি গল্পের অষ্টম পর্ব অর্থাৎ শেষ পর্ব শেয়ার করব । গল্পটির নাম হল "মা"। |
---|
তপুর বাবা অসাড় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। সে কিছু একটা বলতে চাইছিল কিন্তু বলতে পারল না। যেন স্বপ্নের মতো একটা প্রেতমূর্তি এসেই কি যেন বলে চলে গেল। ভাবনার গভীরে সে যেন কেমন হারিয়ে গেল। তাহলে তার ধারণা কি ভুল। ঝির ঝির করে বাতাস বইতে লাগল। এভাবে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল তা বলা কঠিন। অনেক রাতে নিজের মধ্যে কিছু একটা বলতে বলতে এসে শুয়ে পড়ল। সারারাত সে আবোল তাবোল বকেছে শুয়ে শুয়ে। মনে মনে সে অনেক কিছু ভেবেছে ছেলেকে কি করে খুঁজে পাবে তাই নিয়ে। ঠিকঠাক ঘুম হয়নি রাতে। ছেলেকে নিয়ে টেনশন করতে করতে তার রাত সকাল হয়ে গেছে।
আজ তপুর মা কিছুটা ভাল। কথা বলছে। গত রাতের ব্যাপার সে কিছুই জানে না। দীপঙ্কর তাকে বলেনি। তপুর বাবা রুটি বানাচ্ছে। সে খুব একটা ভালো পারে না তারপরও তার স্ত্রী অসুস্থ সেজন্য সে এই কাজ করছে। তপুর মায়ের প্রতি তার যে বেশ দরদ আছে তা বোঝা যায় তাকে দেখলে। সে আজ রিক্সা চালাতে যায়নি। দুপুরের পরে যাবে। তারা কোনো রকম করে সবেমাত্র খাওয়া-দাওয়া শেষ করেছে এমন সময় তপুর ক্লাসমেট রামুর এসে বলল তপু এসেছে কাকা? সে বৃত্তি পেয়েছে। তপু কি জানে? তপুর মা তাকে কাছে বসাল, বাবা, আমার স্বপ্ন আজ সার্থক। আমার তপু বৃত্তি পেয়েছে। আমি তাকে কত বকেছি লেখাপড়া নিয়ে। সে হয়তো আমার পরে অভিমান করে চলে গেছে। অতি আনন্দের সাগরে অবগাহন করতে করতে তপুর মা হঠাৎ অসাড় হয়ে বিছানায় পড়ে গেল। তপুর বাবা বিছানার পাশে বসল। বলল-বাবা আমার চোখে আর জল নেই। আমার তপুর সাথে যদি কোনদিন দেখা হয় তাকে বলো তার মা তাকে খুঁজছে--
ভাই আপনার লেখা , মা গল্পটির আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি। তবে এই পর্বটি পড়ে যেটুকু বুঝতে পারলাম, তপু নামের একটি ছেলে হয়তো পড়াশোনা করতে চাইতো না ,আর এই নিয়ে হয়তো তার মা তাকে অনেক বকাবকি করত । কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে মায়ের বকাবকি শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ।আর তখনই সে যে বৃত্তি পরীক্ষা দিয়েছিল, সেই বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছিল ।আর সে পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ করেছিল। খুবই দুঃখের সাথে গল্পটি শেষ পর্ব শেষ হলো।
গল্পের আগের পর্বগুলোর না পড়েও আপনি এতটা ধারণা করতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো দিদি।
এই গল্পের কয়েকটি পর্ব পড়েছিলাম। তপু বৃত্তি পেয়েছে এটা শুনে তপুর বাবা মা খুব খুশি হয়েছে। আর এটা তো অবশ্যই খুব খুশি হওয়ার কথাই। আমি ভেবেছিলাম তপু ফিরে আসবে। তবে তপু ফিরে আসার আগেই গল্পটি শেষ করে দিলেন ভাই। যাইহোক পরবর্তীতে হয়তো অন্য কোনো গল্প শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। সেই অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তপু আর ফিরবে না ভাই 🥲। এটিই এই গল্পের শেষ। এটি একটি ছোট গল্প হওয়ার কারণে এর শেষটা এমন ভাবে করেছি যেন একটা অসমাপ্ততা ব্যাপার থেকেই যায়।