লাইফস্টাইল || দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি (পর্ব -১০)
বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। যদিও আমি একটু অসুস্থ । বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষ করে কলকাতাতে এসে আমার একটু ঠান্ডা লেগে গেছে হঠাৎ করেই। |
---|
যাইহোক, ২০২৩ এর দুর্গাপুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে আজকের দশম পর্বে সবাইকে স্বাগতম।
নবমীর দিন সন্ধ্যার সময় মধ্যমগ্রামের পুজো প্যান্ডেল গুলো দেখা শেষ করে, নিউ ব্যারাকপুরের পুজো প্যান্ডেল গুলো এক এক করে দেখা শুরু করি। নিউ ব্যারাকপুরে বেশ ভালই পুজো প্যান্ডেল করা হয়। তবে বারাসাত এবং অন্যান্য জায়গায় দেখতে গিয়ে প্রত্যেক বছর নিউ ব্যারাকপুর এর পুজো প্যান্ডেল গুলো দেখা হয় না। তবে এইবার মোটামুটি যতগুলো পারি নিউ ব্যারাকপুরের পুজো প্যান্ডেল গুলো দেখেছিলাম।
এইখানের পুজো প্যান্ডেল গুলো অনেক নামকরা না হলেও বেশ সুন্দর পুজো প্যান্ডেল করা হয়। নিউ ব্যারাকপুর স্টেশনে নেমে হাঁটতে হাঁটতে আমি এবং আমার বান্ধবী সামনের দিকে যেতে থাকি, সামনে যে পুজো প্যান্ডেল গুলো পড়বে সেগুলো দেখার জন্য। প্রথমে কয়েকটি দেখা শেষ হয় যা অলরেডি শেয়ার করেছি, তারপর আমরা অনেকটা দূরে গিয়ে একটি পুজো প্যান্ডেল দেখা পাই। সেখানে বেশ সুন্দর করে পুজো প্যান্ডেল করেছিল এবং পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশের পূর্বে গঙ্গা আরতি হচ্ছে এরকম একটা দৃশ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখানে লোকের ভিড় জমে গেছিল গঙ্গা আরতি দেখার জন্য।
আমি এবং আমার বান্ধবী এখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে এই আরতি অনুষ্ঠান দেখছিলাম। ২০২৩ সালের দুর্গাপুজোতে বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলের সামনে এমন আরতি অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, আমি সব কিছু ঘুরে যা বুঝেছিলাম। এগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে। আরতি অনুষ্ঠান দেখা শেষ করে পুজো প্যান্ডেলের ভিতরে আমি প্রবেশ করি। সেখানে গিয়েও দেখি ঠাকুর মশাই মা দুর্গার সামনে আরতি করছে। এখানে যে ঠাকুর মশাই ছিলেন তিনি খুব ভালই ছিলেন। আমি ফটোগ্রাফি করছি দেখে তিনি কিছু সময়ের জন্য সরে যান মা দুর্গার প্রতিমার সামনে থেকে। তারপর সেখান থেকেও আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নি। এখানকার পুজো প্যান্ডেলটি বেশ ভালই করেছিল। একটা অন্যরকম লুক দিয়েছিল দুর্গা প্রতিমার।
এই প্যান্ডেলটি দেখে যতটুক বোঝা যাচ্ছিল কোন একটি মন্দিরের মতো করে করা হয়েছিল। এই প্যান্ডেলটির বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় করে শিবলিঙ্গ করা ছিল। তাছাড়া ভগবান শিবের মূর্তিও করা ছিল প্যান্ডেলটির কয়েকটি জায়গায়। এই প্যান্ডেলটির বাইরে থেকে ভিতরের দিকে যাওয়ার পথে অনেক সুন্দর করে সব কিছু সাজানো ছিল। আমার কাছে এই পুজো প্যান্ডেলটি ঘুরে বেশ ভালই লেগেছিল।
এখানের পুজো প্যান্ডেল দেখা শেষ করে আমরা নিউ ব্যারাকপুরে দিকে অন্য রাস্তা ধরে চলা করি। পূর্বে আমরা যে রাস্তা দিয়ে এদিকে এসেছিলাম সেই রাস্তা দিয়ে না গিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে যাই। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথেও আমরা একটি পুজো প্যান্ডেল দেখতে পাই। তবে এই পুজো প্যান্ডেলটি খুব একটা বড় করে করা ছিল না, মোটামুটিভাবে করা ছিল। এই পুজো প্যান্ডেলটি শিবাজী সংঘ নামে পরিচিত ছিল এবং এখানে ৬৯ তম দুর্গাপুজো হচ্ছিল । সেখানে গিয়েই আমি এই লেখাগুলো দেখেছিলাম। যাইহোক, এই পুজো প্যান্ডেলটির ভিতরে গিয়েও আমি কিছু ফটোগ্রাফি করি এবং কিছু সময় এখানে কাটিয়ে অন্য দিকে রওনা করি।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: নিউ ব্যারাকপুর , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।