সবজি বাজারে আগুন!
নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি। আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। |
---|
বাংলাদেশে ভ্রমনে এসে খুলনা শহরে অনেকদিন ধরে ঘোরাঘুরি করছি। এইখানে এসে অনেক জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার। এমনকি আমি যাদের বাড়িতে এসেছি, তাদের বাড়ির একজনের সাথে এখনকার ফেমাস চিত্রালী বাজারে যাওয়ারও সুযোগ হয়েছে কয়েকদিন আগে। মূলত কাঁচা সবজির বাজারে গেছিলাম চিত্রালীতে । তবে সেখানে গিয়ে সব কিছুর দাম দেখে আমার মাথায় হাত পড়েছিল। শাকসবজির দাম এত বেশি ছিল যা দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম ।
সবকিছু এত বেশি দাম শুনে মনে হচ্ছিল সবজি বাজারে আগুন লেগেছে! কেজি প্রতি আলু ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৬০ টাকা, শিম ৭০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, মুলো ৬০ টাকা, কাঁচা লঙ্কা ১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছিল। এছাড়াও ফুলকপি ৫০ টাকা ১ টি, লাউ ৬০ টাকা একটি এমন দাম ছিল। সবজি বাজার ঘুরে যা বুজলাম সবকিছুর দাম কেজি প্রতি মোটামুটি ৪০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ছিল আর শুধু পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার উপরে ছিল। এখনে সব কিছুর দাম আমার কাছে বেশি মনে হচ্ছিল। আমি আমাদের কলকাতাতে অনেকবার বাজার করতে গেছি কিন্তু এত বেশি দাম দেখি নি।
বাজারে গিয়ে সবকিছুর এত বেশি দাম দেখে কোন কিছু কেনার খুঁজে পাচ্ছিলাম না আমরা। তারপরও কিছু কিছু শাকসবজি কিনেছিলাম তাদের বাড়িতে খাওয়ার জন্য। তার মধ্যে পেঁয়াজের কালি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, আলু ইত্যাদি ছিল। তাছাড়াও এই বাজারে গিয়ে চুই ঝালও দেখেছিলাম। সেখান থেকে চুইঝাল কিনেছিলাম আমরা। কারণ চুইঝাল দিয়ে তরকারি রান্না করলে বেশ ভালো লাগে। এই চুইঝালেরও বেশ দাম ছিল এইখানে। মোটামুটি ৬০০ টাকা করে কেজি। আমরা ১০০ গ্রামের মতো কিনেছিলাম ৬০ টাকায়।
এইরকম দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হলে সাধারন মানুষ কি করে সব কিছু কিনে খাবে সেটাও অনেক বড় ভাবার বিষয়। এত বেশি দাম কখনোই গ্রহণযোগ্য না। আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ, সেই জন্যেই দামের ব্যাপারটা নিয়ে আমরা সবসময় ভাবি। এত বেশি দাম আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের জন্য বেশ সমস্যার সৃষ্টি করে। এই বাজারে গিয়ে সবজির বাজারদর সম্পর্কে অনেক ধারণা লাভ করেছিলাম। তবে বাজারে সবকিছুর দাম এমন থাকলে সবার জন্য তা হুমকি স্বরূপ। তাই এর অবসান ঘটানো উচিত এবং দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা উচিত।
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
---|---|
ফটোগ্রাফি | @ronggin |
লোকেশন | চিত্রালী বাজার, খুলনা, বাংলাদেশ। |
বাজার করার কথা শুনে একটু চমকে গেলাম ভাই। দুইদিন আগে বাজার করতে গিয়ে একটা ব্যাগ ভর্তি করতে গিয়ে ১০০০ টাকা নেই। প্রতিটা পণ্যের দাম এতটাই বেশি যে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত মানুষগুলো বাজারে শুধু ঘুরে বেড়াচ্ছে পণ্য কেনার মত সাহস পাচ্ছে না। প্রতিটা সবজি এভারেজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। অন্যের এত বেশি দাম হলে মানুষের জীবনযাত্রা প্রচুর পরিমাণে সমস্যা সৃষ্টি হবে। তবে উচিত এই দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা।
ঠিক কথা বলেছেন ভাই, সব কিছুর এত বেশি দাম কোন কিছু কিনে খাওয়ার মত অবস্থা নেই। এরকম ভাবে চলতে থাকলে আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক প্রভাব পড়বে। দ্রব্যমূল্যের দামের উপর অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ আনা উচিত। তবে এক্ষেত্রে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে দেশের সরকারকে।
ভাই বাংলাদেশে এসেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। তো খুলনা শহরে এতদিন কি করছেন, চলে আসুন আমাদের এখানে উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম জেলায়। আমাদের এদিকে আসলে বেশ ভালই লাগবে আপনার। দাওয়াত রইলো আসার জন্য। যাইহোক ভাই, সবজি বাজারে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্ব গতি দেখে সত্যিই মনে হয় বাজারে আগুন লেগে গেছে। আর এই ব্যাপারটি শুধুমাত্র মধ্যবিত্তরাই উপলব্ধি করতে পারছে। কেননা এই মধ্যবিত্তরা না পারে মানুষের কাছে হাত পেতে চাইতে, আবার না পারে না খেয়ে থাকতে। তাই মরণটা যেন মধ্যবিত্তদেরই হচ্ছে। আর এমন অবস্থার অবসান ঘটুক তা আমরা সকলেই চাই। তবে জানিনা আদৌ কখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কিনা। যাইহোক ভাই, সবজি বাজারে আগুন নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুলনা শহরে আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে ছিলাম ভাই এত দিন। যাইহোক এটা আমাদের মানতেই হবে ভাই, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্তরাই সব থেকে বেশি সাফার করে।
আসলে কি বলবেন ভাই বাজারের উর্ধগতি তো সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে। আর কিছু উপর মহলের অসাধু লোকজনের কারণে। বর্তমানে বাজার করতে গেলে কোনটা কিনব সেটাই দিশেহারা হয়ে যাই। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম এত বাড়তি দিশেহারা তো হবেই। আপনি বলেছেন কলকাতায় বাজার কমে করেছেন, আমাদের এদিকে নিজেদের বাজার ছেড়ে অন্য একটি বাজারে গেলে অন্তত কেজি প্রতি 5 থেকে ১০ টাকা কম পাওয়া যায়। আর আমাদের বাজারে সেটা চওড়া দামেই বিক্রি করে। তাহলে বুঝেন প্রত্যেকটা জায়গায় এরকম সিন্ডিকেটরা রয়েছে। যার কারণে আমাদের বর্তমানে টিকে থাকাটা কষ্ট কর আর ভবিষ্যতের জন্য হুমকি স্বরুপ হয়ে পড়েছে।
আমিও আপনার এই কথার সাথে একমত ভাই। যত নষ্টের গোড়া এই সিন্ডিকেটরাই। সব কিছুর দাম বাড়ানো অথবা কমানো এখন এদের কাছেই থাকে ।
জি ভাই ঠিকই বলেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই বাংলাদেশের প্রতিটা সবজির দাম অনেক বেশি। আপনি তো দেখেছেনই ৫০ টাকার নিচে কোন সবজির দাম নেই। তাহলে একবার চিন্তা করুন বাংলাদেশের মানুষ কতটা কঠিন ভাবে জীবন যাপন করছে।
হ্যাঁ ভাই, এই ব্যাপারটা এইবার বাংলাদেশ ভ্রমনে গিয়ে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। বাংলাদেশে জীবন যাপন অনেকটা কঠিন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য।
আর বলিয়েন না ভাই বর্তমান সময়ের দ্রব্যমূলক দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে কোন কিছু কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। দ্রব্যমূল্য দামে বৃদ্ধির সাথে সাথে সবজির দাম যেন আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। ১০০০ টাকার নোট নিয়ে বাজারে গেলে আপনি ব্যাগ ভর্তি করতে পারবেন না।
সবজির দামই অনেক বেশি বেড়ে গেছে যা দেখলাম ভাই এখন।১০০০ টাকা নিয়ে ব্যাগ ভর্তি করার স্বপ্ন আমাদের এখন ভুলে যেতে হবে ভাই যা দিনকাল পড়েছে।
ভাইয়া,এটা তো কিছুই না।আমাদের এখানে তো পেঁয়াজ এর দাম ১৮০টাকা করে, ইতোমধ্যে হয়তো কিছুটা কমেছে। তাছাড়া অন্যান্য সবকিছুরই দামই বেশি।বাংলাদেশেই কিন্তু সবকিছুর দাম অনেক। গতকাল একটা ভিডিওতে দেখলাম জার্মানিতে তেলের দাম আমাদের দেশ থেকে কম।কিন্তু সবদিক মিলিয়ে বাংলাদেশে মধ্যবিত্তদের অবস্থা খারাপ।
বাংলাদেশে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কত চলছে ঠিক জানিনা তবে বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষে দুইদিন আগে কলকাতাতে আসার পর , এখানে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা করে চলছে তাই দেখলাম।
এটি বাংলাদেশ ভাইয়া। এখানে সব কিছুরই দাম বেশি শুধু মানুষের দামই এখানে নেই। তাছাড়া বর্তমান সময়ে জিনিসপত্রের দাম এত বেড়েছে যে সাধারণ মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এই শীতের মৌসুমেও সবজির দাম বিন্দুমাত্র কমেনি বরং বেড়েছে। যাই হোক তারপরে তো কিনে খেতে হয় মানুষকে। ঠিকই বলেছেন চুই ঝাল দিয়ে যে কোন মাংস রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।
খুবই ইমোশনাল একটা কথা বলে ফেললেন আপু। 😓যাই হোক সবজির মৌসুমে সবজির এত বেশি দাম ! এই ব্যাপারটা আমাকে অবাক করেছিল বাংলাদেশের সবজি বাজার ঘুরে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে সব কিছুর দাম বেশি। কিন্তু শীতকালীন সবজির দাম কম ছিল। কিন্তু এই বছরে শীতকালেও প্রতিটা সবজির দাম বেশি। এটা একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত। মুলা যেটা মানুষ খেতে চাই না। সেটা নাকী ৬০ টাকা কেজি। আলুর কথা না হয় বাদই দিলাম। বাংলাদেশের অবস্থা টা তাহলে একবার ভেবে দেখুন ভাই।
তাই তো দেখলাম ভাই, সবজির এত বেশি দাম তাও আবার এই শীতের মৌসুমে! সেটা সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।
ভাইয়া আপনি বাংলাদেশের খুলনা শহরে আছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনি হয়তো এতো দিনে জেনে গেছেন এখানে সবকিছুর মূল্য উর্ধ্বগতি।নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য বেঁচে থাকাটা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।যে সবজি খেয়ে সাধারন মানুষ বেঁচে থাকবে তারা আজ সত্যিই অসহায়।এটা আমিও বলি সবকিছুর মূল্য সকলের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা হোক।
সবজির দাম যদি এত বেশি হয় তাহলে সাধারণ মানুষ খাবে কি করে! এই ব্যাপারটা গভীরভাবে সরকারকে ভাবা উচিত । সবকিছুর দাম না কমালে মানুষের বেঁচে থাকাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে আস্তে আস্তে।