আমার বাংলা ব্লগ। ছোটবেলার মাছ ধরার কিছু স্মৃতি আজও মনে পড়ে।।
ছোটবেলায় মাছ ধরার কিছু স্মৃতি আজও মনে পড়ে।
বাড়িতে গিয়েছিলাম চিরসবুজের মাঝে দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে। হাঁটতে হাঁটতে পাড়ার ভেতর দিয়ে মনের আনন্দে কত কল্পনা জল্পনা চিন্তা ভাবনা নিয়ে পথ চলা। নতুন চিত্র ভেসে উঠছে মনে। হঠাৎ দেখলাম কেউ একজন মাছ ধরছে। তখন আস্তে আস্তে সামনে গিয়ে দেখি ছোট্টবেলার সেই বন্ধু আলমগীর। তার বাড়ির পাশে দিয়ে ছোট মাছ ধরার ব্যবস্থা করেছে। তবে ক্যামেরা কতটুকু ফুটে উঠেছে সেটা জানিনা। এভাবে মাছ ধরার হাজারো স্মৃতি রয়েছে। তাই চিন্তা করলাম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি।
পানি যতই কমছে ততই মাছের আনাগোনা উঁকি ঝুঁকি লাফালাফি দেখা যাচ্ছে। দৃশ্যটা দেখতে কতটা আনন্দের সেটা যারা মৎস্য প্রেমিক তারা হয়তো বুঝতে পারবেন। আর মাছ ধরার মাঝে কত যে আনন্দ একমাত্র যারা মৎস্য স্বীকার করে তারাই উপলব্ধি করতে পারবে। এভাবে কেটে গেল শৈশব কৈশোরের সোনালী দিনগুলো। এখনো কাউকে মাছ ধরতে দেখলে ইচ্ছে করে ছুটে যাই, নেমে পড়ে মাছ ধরার জন্য। মাছ ধরা আমার শখের মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি শখ। আর এই বিলে মাছ ধরার গল্প অনেক। আসলে আমরা কালের পরিবর্তনে সবকিছুই ভুলে যাই। কিন্তু আবার কারো মাধ্যমে যদি সেই স্মৃতিগুলো দেখি মনে পড়ে যায় সেই চিরচেনা অতিতে।
আস্তে আস্তে কাছে গেলাম, কাছে গিয়ে পাশে বসলাম আর তার মজার ছলে মাছ ধরা উপভোগ করলাম। এতটাই ভালো লেগেছে ইচ্ছে করছিল নেমে পড়ি। তবে বাড়িতে আরো ওদের নতুন অতিথি ছিল বিধায় আমার নামা হয়নি। আলমগীর ওর ভাগ্নেকে নিয়ে মাছ ধরার কলা কৌশলটা গ্রাম অঞ্চলের অনেক পুরনো। আর ছোট মাছ খাওয়ার মজা আজীবন থেকেই যাবে। আর বিলের মাছের মজাটাই হচ্ছে অন্যরকম। চলুন দেখে আসি ছোটবেলার মাছ ধরার কিছু স্মৃতি আজও মনে পড়ে। আশা করি আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের কাছে ভালো লাগবে।
হাস্যোজ্জ্বল মৎস্য শিকারীদের সোনালী হাসি দেখে সেলফিতে ক্যামেরা বন্দি করতে দেরি করলাম না কার কাছে কেমন লাগছে সেটা জানিনা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। যদিও আমার এই ছোটবেলার বন্ধুর সাথে এখন তেমন একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং নেই, একটা কমে গেছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি আমরা পাড়ার ছেলেরা একসাথে।
ও এখন কথা বলার চেয়ে কাজের প্রতি মনোযোগ বেশি। তাই আমিও বেশি একটা বিরক্ত না করে উপভোগ করছি ওর পানি শেষ দেওয়া। তবে মাঝে মাঝেই ডিল ছুঁড়ে খোঁচাও মারছি, বন্ধু বলে কথা।
আমি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে সেলফি নিচ্ছি আর অপেক্ষা করছি কখন শেচ দেওয়া শেষ হবে এবং এখানে কি কি মাছ আছে এবং কি পরিমান মাছ আছে দেখার অপেক্ষায়। অপেক্ষার যন্ত্রণাটা অনেকটা বেশি এটা আমরা সবাই জানি। আর সেই যন্ত্রণাটা আমি বসে বসে উপভোগ করছি।
ও কথার ছলে কাজ করেই যাচ্ছে। আমার যে আর সহ্য হচ্ছে না। ইচ্ছে করছে ওকে সরিয়ে দিয়ে আমি পানি সেচ দেওয়া শুরু করি। তবে এই গ্রামে পানির শেষ দিয়ে মাছ ধরার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। কেউ সেলু মেশিনে পানি সেচ দেয়, কেউ হাতে বল, কিংবা বাটি দিয়ে, আবার কেউ গামলা দিয়ে, যার কাছে যেটা জোগাড় হয় সেটা দিয়ে ফানি শেচ দেওয়ার কাজ চালিয়ে দেয়।
ভিন্ন অ্যাঙ্গেল সেলফি গুলো হাসিমাখা মৎস্য শিক্ষাদীদের। আমার বাংলা ব্লগের মাঝে স্মৃতি হিসেবে রাখার জন্য। আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করলাম। হয়তো অনেকেরই এই স্মৃতিগুলো মনে পড়বে এই পোষ্টের মাধ্যমে। আর সেই মনে করিয়ে দিতে পারাটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া হবে, এবং সার্থক হবে আমার ছোটবেলার স্মৃতিচারণ।
বন্ধুরা কেমন লেগেছে ছোটবেলার মাছ ধরার কিছু স্মৃতি আজও মনে পড়ে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। ভালো-মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে সাথে থাকবেন। আবারো দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
বর্ষার শেষে শীতের শুরুতে যখন পানি নেমে যায় তখন এইরকম পানি সেচে মাছ ধরা হয়। ছোটবেলা আমি নিজেও মাছ ধরেছি এইরকম। সাধারণত এখানে ছোট মাছ পাওয়া যেত এবং সেগুলো বেশ সুস্বাদু হতো। আপনার বন্ধু আলমগীর এখন এইরকমভাবে পানি সেচে মাছ ধরছে দেখে ভালো লাগল।
এই অনুভূতিগুলো অন্যরকম, আর এই মাছ ধরার ব্যাপারটা এখন একেবারেই বিরল। অনেকটা হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এভাবে মাছ ধরার অনুভূতি শুধুমাত্র যারা মাছ ধরে এবং যারা ছেলেবেলায় এমন সুন্দর সময় গুলো কাটিয়েছে তারাই বুঝতে পারবে। তারা মাছ ধরছে আর আপনি সেলফি নিচ্ছেন। আসলেই পানি সেচ দেওয়ার বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে কেউ গামলা দিয়ে কেউ গালতে দিও তো পানির সাথে মেশিন দিয়েও সেচ দেওয়া হয়। আপনি একজন প্রকৃত মৎস্য শিকারি তাই এমন মুহূর্ত খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন আর আমাদের সাথেও শেয়ার করে নিয়েছেন।
একদম ঠিক বলেছ আপনার তো অনেক ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
সবুজে ঘেরা গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হাঁটতে আমার অনেক ভালো লাগে।
আর মাছ ধরার কথা কি বলব ছোটবেলায় অনেকবার এরকমভাবে নদীতে মাছ ধরেছি অনেক অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে।
আপনি মাছধরা দেখে সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আপনার ছোটবেলার কথা বলা মনে হয়েছে আসলে আপনার ফটোগ্রাফি এবং লেখাগুলো পড়ে আমারও মনে হচ্ছে আমার ফেলে আসা সেই শৈশবের স্মৃতিগুলো।।
শৈশবের সোনালী অতীতগুলো মনে পড়েছে আপনার জেনে খুবই ভালো লাগছে। কারণ এটাই আমার সফলতা, এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ছোটবেলার যেকোনো স্মৃতি অনেক মধুর হয়। হঠাৎ করেই আপনার বন্ধু আলমগীরের মাছ ধরা দেখতে পেয়ে ভালোই হলো আপনার ওনাকে দেখে পুরোনো দিনের কথাগুলো মনে পড়ে গেলো। ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন যে বিলের ছোটমাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আমাদের বাড়ির পাশে অনেক বড় বিল আছে সেখানে সবসময়ই ছোট মাছ পাওয়া যায়। প্রকৃতির মাঝে বেশ ভালোই কিছু সময় কাটিয়েছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো।আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে দারুণ একটা সময় ছিল। আর গ্রাম বলতেই প্রকৃতির ভান্ডার। শুভকামনা রইল, সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার ছোটবেলার মাছ শিকারের স্মৃতি নিয়ে যে পোস্টটি করেছেন পড়ে তো আমারও অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আসলে আমারও এরকম অনেক স্মৃতি রয়েছে ছোটবেলায় এভাবে মাছ ধরার। আপনি ঠিকই বলেছেন যাদের মাছ ধরার শখ তারাই বুঝতে পারে মাছ ধরার মধ্যে কতটা আনন্দ রয়েছে। আমিও এখনো গ্রামে গেলে সুযোগ পেলেই মাছ ধরার জন্য নেমে পড়ি। আসলে এটা এক অন্যরকম মজা যা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। ভালো লাগলো ছোটবেলার আপনার মাছ ধরার অনুভূতিগুলো পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি এত সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করেছেন। আর আপনার শৈশব মনে পড়েছে, এত সুন্দর উৎসাহ দিয়ে মনের ভাবগুলো প্রকাশ করার জন্য, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আসলেও একজনের কাজ থেকে নিজের হাজার কাজের কথা মনে পড়ে যায়। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
আমারও মাছ ধরা দেখতে ভালো লাগে।আমি গ্রামে গেলে বড়শি দিয়ে মাঝে মাঝে মাছ ধরি।আসলেই বিলের মাছ খেতে অন্যরকম মজা।ছবি দেখেই মনে হচ্ছে বন্ধুর সাথে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে ঢিল ছুড়ছেন যে উল্টো যদি আপনাকে কাঁদা ছুড়তো😉😉।ভাইয়া কি কি মাছ ধরলো একটা ছবি তুলতেন তাহলে ভালো হতো।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
আসলে ও একটা কথা না বললেই নয়। আমি ঢিল ছুটছি বন্ধুর সাথে মজা করছি। তবে বন্ধুদের মাঝেও সম্মান পাওয়ার এবিলিটি প্রত্যেকটা মানুষেরই থাকে। আর আমি এটা জানি আমি হাজার দুষ্টামি করল সেই কাদা ছোড়বে না। গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ছোটবেলায় মা-বাবার অবাধ্য হওয়াটাই ছিল আমাদের মূল কাজ। দুষ্টামি না করলেই পেটের ভাত হজম হতো না। আপনি ঠিকই বলেছেন নিষেধ করলেও নেমে পড়তাম মাছ ধরার জন্য। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভাই আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার ছোটবেলার মাছ ধরার অভিজ্ঞতা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ঠিক বলেছেন ভাই ছোটবেলার স্মৃতি আমারও আপনি আবারো মনে করিয়ে দিলেন। আমরাও ছোটবেলায় কয়েকজন বন্ধু মিলে বিলে চলে যেতাম মাছ ধরার জন্য। সেখানে ছাকনা দিয়ে ছাকার পরে মাছ ধরে বাড়ি ফিরে আসতাম অনেক মজা হত।
আমি যে আপনার সোনালী অতীত মনে করিয়ে দিতে পেরেছি এটাই বা কম কিসের। আপনি ঠিকই বলেছেন বন্ধুদের নিয়ে দল বেঁধে মাছ ধরতে যাওয়ার অনুভূতিগুলো ছিল অন্যরকম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে শৈশবের দিনগুলো খুবই সুন্দর ছিল। বিশেষ করে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো খুবই অসাধারণ ছিলো। পুকুরে বা, জমিতে মাছ ধরার জন্য মায়ের সাথে হাজারো রকমের বায়না করতাম। আসলে আপনার অনুভূতিগুলো সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে যায়। এত চমৎকার শৈশবে মাছ ধরার অনুভূতি আমাদের শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, মাছ ধরার জন্য কতইনা ভাইনা খুজতাম। স্কুল কামাই করে মাছ ধরার মজাটাই ছিল বেশি আনন্দের। আপনার জন্য রইল আন্তরিক অভিনন্দন।