আমার বাংলা ব্লগ। রেনডম ফটোগ্রাফি, গ্রাম ঘুরে দেখা। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।
রেনডম ফটোগ্রাফি, গ্রাম ঘুরে দেখা।
গ্রামের বুক চিরে বেরিয়ে যাওয়া রাস্তাটা আজ আর মেঠো পথ নেই, হয়ে গেছে ফিজ ডালা রাস্তা।
এর আগেও অনেকগুলো রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। সবগুলোই ছিল গ্রাম ঘুরে দেখার, জানিনা কার কাছে কেমন লেগেছে। আজও কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। তবে যে যাই বলুক না কেন নিজের গ্রাম পাড়া সৌন্দর্য সব থেকে বেশি হয়। এবং কি এই প্রশংসা করতে সবাই একটু বেশি করে, আমিও তার ব্যতিক্রম নয়। শহর থেকে অনেক দিন পর বাড়িতে ছুটে গেলে তখন নিজ গ্রামে সৌন্দর্যে আত্মহারা হয়ে যাই।
তাই আজ আবারও আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম নিজ গ্রামে ঘুরে দেখার কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি। আর এই ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে জড়িয়ে আছে হাজারো স্মৃতি। তা হয়তো কিছু আপনাদের সাথে প্রকাশ করার চেষ্টা করব। যদিও মানুষ সম্পূর্ণরূপে সবকিছু প্রকাশ করে বুঝাতে পারেনা নিজের মনের আকুতি। ছোট ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম গ্রামগুরে দেখার উদ্দেশ্যে, তার ফাঁকে ফাঁকে কিছু স্মৃতি বিজড়িত ফটোগ্রাফি।
একসময় এই মেঠো পথগুলো ছিল দুরন্তপনায়, সারাদিন ঘুরঘুর করে হেঁটে বেড়ানো এবং কি কখনো কখনো গরুর ঘাস কাটতে যাওয়া হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই পিচ ডালা রাস্তাগুলোর মাঝে। আগের যেমন সৌন্দর্যের ভান্ডার ছিল, তেমনি যুগ পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তন হয়েছে গ্রামের সৌন্দর্য। তাই এখনকার সৌন্দর্যটা ও ভিন্ন। গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ তৈরি হয়ে গেছে ফিজ ডালা রাস্তা। চলুন এক পলক দেখে আসি স্মৃতি বিজড়িত ফটোগ্রাফি গুলো।
রাস্তার ধারে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়লো বেলজিয়ামের অসাধারণ ফুল। যদিও ফুল গাছে সুন্দর্য বৃদ্ধি করে, তবুও ফুল ছিঁড়তে কার না ভালো লাগে। তাই ফুলের সৌন্দর্যটা উপভোগ করার জন্য ছিড়ে নিলাম।
আমড়ার নাম শুনলেই কার না জিভে জল আসে। ইচ্ছে করে আমড়া ধরেই কামড়ানোর জন্য। রাস্তার উপরে আমড়া গাছের চিত্রটা দেখেই ফটোগ্রাফিটা না নিয়ে আর পারলাম না। এই গাছটিতে প্রচুর পরিমাণে আমড়া ধরে আছে। তবে এখনো খাওয়ার উপযুক্ত হয়নি আরো কিছুদিন সময় লাগবে।
কিছুক্ষণ পর ভাতিজাকে গাছের ছায়ায় দাঁড় করিয়ে একটা ফটোগ্রাফি নিলাম। মনে হচ্ছে নিজের সেই স্মৃতিটুকু ভেসে উঠেছে মনে। কতদিন কেটে গেল এভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। তবে সেই সময়টা ছিল অনেক বন্ধু-বান্ধব দুষ্টামির ছলে কখন কেটে যেত দিন টের পেতাম না।
জানিনা আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা এই গাছটিকে চিনতে পারেন কিনা। আশা করি সকলেই ছিনেন। এই খেজুর গাছের কাটার হাজারো আঘাত গায়ে লেগে আছে। খেজুরের রস খাওয়া শীতের মাঝে সে কি আনন্দ বলে বোঝানো সম্ভব না। আর কাটার আঘাত খেয়েছি খেজুর পাড়তে গিয়ে। খেজুরের ছড়া কাটা খুব কষ্টকর একটা ব্যাপার দেখে ফটোগ্রাফিটা না নিয়ে পারলাম না।
খেজুর গাছের চিরল চিরল পাতার মাঝে জড়িয়ে আছে হাজার স্মৃতি। এই খেজুর গাছের পাতা দিয়ে তৈরি করতাম হাতের আংটি হাতের ঘড়ি। সোনালী সেই শৈশবের দিনগুলো এখনো মনে পড়লে মনে হয় যেন কত মধুর একটা সময় হারিয়ে গেছে।
গ্রামের যদিও পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু সৌন্দর্যের কোন পরিবর্তন নেই। সুন্দর্য দিন দিন কমছে না যেন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভাতিজাকে নিয়ে অবশেষে একটা সেলফি নিলাম। এই সেলফিটা হয়তো সারা জীবন থেকে যাবে আমার বাংলা ব্লগের মাঝে স্মৃতি হয়ে। হয়তো কোনদিন বুড়ো হলেও দেখাতে পারব। ভাতিজার সেই স্মৃতিটুকু আর সবচেয়ে বড় অবদান রাখবে আমার বাংলা ব্লগ।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি ঠিক বলেছেন ভাই ফুল সবার কাছে অনেক ভালো লাগে। ভাই আপনি মনে হয় ফটোগ্রাফি পোষ্টের লোকেশন দিতে ভুলে গিয়েছেন।এডিটের মাধ্যমে পরবর্তীতে ঠিক করে দিন।
না ভাই ভুলি নাই,এর আগে গ্রাম ঘুরে দেখার অনেকগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম তো তাই দেই নাই। সুন্দর মন্তব্য করায় শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাই আপনার ভাতিজাকে নিয়ে অনেক সুন্দর ঘুরাঘুরি করছেন তার পাশাপাশি অনেক সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি করছেন দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে ভাই। আর শীতের সকালে খেজুরের রস খাওয়া সময় তো চলেই এলো শীতের সকালে খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা ভাই। আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাই ,শীতের সময় খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের মেঠোপথ গুলো এখন পিচঢালা পাকা রাস্তা হয়ে গেছে। ছোটবেলায় গ্রাম আমার কাছে খুবই ভালো লাগতো কিন্তু এখন আর গ্রাম আমাকে আকর্ষন করেনা। কেননা গ্রাম এখন না শহর না গ্রাম। আমার কাছে মনে হয় গ্রাম আর আগের মত সুন্দর নেই। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির জন্য।
নাড়ির টানে ছুটে যেতে হয় নিজের জন্মভূমিতে। চাইলে কি আর ভোলা যায় ছেড়ে আসতে ইচ্ছে করে না। তবে আপনার কাছে কেন গ্রাম ভালো লাগে না তা তো বলতে পারব না। তবে হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে গ্রামগুলো। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার এই কথাগুলা পড়ে মনে মনে ফিরে গেলাম আমার সেই সোনালী অতীতে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা ছায়া ঘেরা পাখি রাখা আমার সেই সোনালী গ্রামে।।
সত্যি সোনালী পরিবেশে বসবাস করার মজা অন্যরকম পরিবেশটা স্নিগ্ধ অক্সিজেনটা বিশুদ্ধ নেই যানজটের ঝামেলা নেই গাড়ির হর্ন আর কার্বন ডাই অক্সাইডের বিষাক্ত দোয়া।।
যেদিকেই তাকাই না কেন শুধু সবুজার সবুজ দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ আর গ্রামের মেঠো পথ।।
গ্রাম ঘুরে খুবই সুন্দর আলোকচিত্র সেইসাথে সুন্দর অনুভূতি তুলে ধরেছেন আমার কাছে খুবই খুবই ভালো লেগেছে আমার ইচ্ছে করতেছে আমি এখনই ছুটে চলে যাই আমার শৈশবে কাটানো সেই গ্রামটাতে।।।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে এবং কি আপনার শৈশবের কথা মনে করে দিতে পেরেছি এটাই আমার সার্থকতা। আপনি এত সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন হৃদয় শিতল হয়ে গেছে। আপনি ঠিকই বলেছেন অক্সিজেনের ভান্ডার বললেও ভুল হবে না। গ্রামে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ খুবই কম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তবে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বেলজিয়াম গাছের ফুলের ফটোগ্রাফি। আমড়া গাছের আমড়া গুলো এখনো খুবই ছোট। ফটোগ্রাফি পাশাপাশি খুব সুন্দর ভাবে বিস্তারিত লিখেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন আপনার ভাতিজাকে নিয়ে আপনার এই ছবিটা সারা জীবন থেকে যাবে আমার বাংলা ব্লগে। এত সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা
আপনাদের ভালোবাসা আমাকে অনুপ্রাণিত করে নতুন কিছু করার জন্য। এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
আপনার ফটোগ্রাফি এবং গ্রাম ঘোরার মুহূর্ত দেখে এবং পড়ে আমার পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমাদের গ্রামগুলোতে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেওয়া বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘোরাফেরা করা আরো অনেক কিছু। সেই দিনগুলো মনে পরলে কারো হাসি আসে আবার কারো কান্না আসে সত্যিই স্মৃতিময় দিন ছিল সেগুলো। আপনার পোস্ট খুবই ভালো ছিল।
আমার এই পোস্ট আপনাকে আপনার ছোটবেলার স্মৃতি মনে করে দিয়েছে এটা আমার অনেক বড় একটি পাওয়া। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ছোটবেলার স্মৃতি জড়িয়ে আছে হাজারো গল্প। যদিও হঠাৎ করে মনে হয় অল্প অল্প। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
গ্রাম্য পরিবেশে বেড়ে উঠলে জীবনের সাথে অনেক স্মৃতি বিজড়িত বিষয় জড়িয়ে থাকে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই সকল অতীত বিলুপ্তির পথে চলে গেলেও সেগুলো স্মৃতি হিসেবে রয়ে যায়। মাঝে মাঝে স্মরণ হয় আপনার অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে।
ঠিকই বলেছেন সময়ের বিবর্তনে আমরা অনেক কিছুই ভুলে যাই। কিন্তু সেই সময় আবার আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় আমাদের সেই অতীত। অসাধারণ মন্তব্য করেছেন, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আসলেই ভাই সেইদিন গুলা আর নেই।সবকিছু যেনো আভিজাত্যের আবেশে ক্রমশ হারিয়ে যেতে শুরু করেছে।তবে এই দিনগুলা কখনো ভোলার নয়।আর আগে কত যে আমড়া চুরি করে খেয়েছি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।আর আজকের ফটোগ্রাফি গুলা সেরা ছিল।
ছোটবেলায় কিছু চুরি করে খাওয়া সেটা আমাদের কাছে ছিল একটা মিশনের মত। এ মিশন গুলোর সাথে জড়িয়ে আছে অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে হাজার স্মৃতি। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ছোট ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে গ্রাম ঘুরে দেখার মুহূর্তে অনেক সুন্দর খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর এই ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে বোঝা যায় আসলে গ্রাম কতটা সুন্দর। সত্যি বলতে গ্রামীণ প্রকৃতিক পরিবেশের মাঝে সময় কাটাতে সকলেরই অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে গ্রাম আমার কাছে এতটাই ভালো লাগে গ্রামে গেলে আমার আর আসতে ইচ্ছে করেনা। তবুও পেটের দাগিতে ফিরে আসতে হয় ইট বালুর শহরে। অসাধারণ মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলে ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এখন আর গ্রামে কোনরকম মেঠো পথ নেই। সব রাস্তাগুলো ঢালাই করা। গ্রামগুলো এখন শহরের মতো পরিণত হচ্ছে আস্তে আস্তে। ছোট ভাইয়ের ছেলেকে নিয়ে গ্রাম ঘুরতে বেরিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশ্বাস করে আপনার ভাইয়ের ছেলের যে ফটোগ্রাফিটা করেছেন ওইটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার নিজেরও তো ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
ছোট ভাইয়ের ছেলের ফটোগ্রাফি টা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগছে। কারণ ওই ছবিটা আমার কাছে সেরা ছিল। এই ছবিটাই স্মৃতি হিসেবে রয়ে যাবে আমার বাংলা লাগে আজীবন। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।