আমার বাংলা ব্লগ। বিয়ের নিমন্ত্রণ খাওয়ার সাথে কিছু অনুভূতি।
বিয়ের নিমন্ত্রণ খাওয়ার সাথে কিছু অনুভূতি।
বিয়ে মানে আনন্দ, বিয়ে মানে উৎসব। আর সেই বিয়ের দাওয়াত করেছে প্রায় ১৫ দিন আগে, হাতে পেয়ে গেছিলাম বিয়ের কার্ড। সেই লোকটি আমার বাংলা ব্লগে অনেকেই চেনেন, জানেন, আমার দের সহকর্মী সুদিরের ছোট ভাই অধীরের বিয়ের নিমন্ত্রণ। নিমন্ত্রণ নিয়ে হইচই চলছেই দিনের পর দিন। তবে বন্ধু সুধীরের মনের জল্পনা কল্পনা চলছে আমি যেতে পারব কিনা। যদিও আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা অনেক গভীর, কর্মক্ষেত্রে ভালো একটা সময় কাটছে দুজনের। যদিও সে হিন্দু আমি মুসলমান কিন্তু দুজনের মিল অনেক অনেক বেশি। যা আমার অন্যান্য বন্ধুদের তুলনায় অনেক বেশি।
দুইদিন দুই রাত কোন ঘুম নেই, টানা ডিউটি চলছে। ১৬ই ডিসেম্বরের দিন শুক্রবার দুপুরবেলায় বৌভাত ছিল। নাইট ডিউটি করে আবার ম্যান্টেনিসের কাজ সেরে অবসর হয়েছিলাম বেলা একটা। ভাবিনি বিয়েতে যাব, তবুও ফোনের যন্ত্রণায় আর থাকতে পারলাম না। বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছে বৌভাত খাওয়ার জন্য। তবে এখানে খাওয়াটা বড় কথা নয়, বন্ধুর ছোট ভাইয়ের বিয়েতে যাওয়াটাই হচ্ছে বড় কথা। সেখানে আরো সহকর্মী সহপাঠী ছিল। অবশেষে সবকিছু সব ক্লান্তি একপাশে রেখে চলে গেলাম সেই বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে। আর বিয়ের বৌভাতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ক্লাবে। আর ক্লাবের সম্পর্কে আমার বন্ধুগণ সকলেই জানেন। ক্লাবের সিস্টেম অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া এরেজমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ওরাই করে। মেহমান তো মেহমান, আসবে যাবে আনন্দ ফুর্তি করবে খাবে চলে আসবে।
তবে হ্যাঁ একটা কথা চির সত্য, আমরা যা কিছু করি না কেন নিজের আশেপাশের মানুষ আত্মীয় এবং কি বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত চলতে হয়। আর তাদের মন রক্ষার্থে শত ব্যস্ততা হাজার ব্যস্ততার পরেও তাদের ডাকে সাড়া দিতে হয়। কিন্তু কেউ বুঝতে চাইবে না যে আপনার সমস্যাটা কি ছিল। কিন্তু যখন আপনি কোথাও না যাবেন তখন সেখানে দেখা দিবে ভিন্ন ধরনের কথা উক্তি আরো কত কি। তবুও এভাবে চলার নামই যদি জীবন হয়। তাহলে এটাই ছিল আমার জীবনের সুন্দর একটা অংশ।
![]() |
---|
![]() |
---|
এটা হচ্ছে আমার বন্ধু সুধীর, তার ছোট ভাই অধীরের বিয়ের অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রিত মেহমানদের দেখভাল করছেন। আমরা প্রবেশ করতেই তার সাথে দেখা আলাপচারিতারই মাঝে আমি একটা সেলফি নিয়ে নিলাম। এত ব্যস্ততার মাঝে পার্সোনালি সময় দেওয়ার মতো তার কাছে সময় নেই। আমরাও আনন্দগুলো নিজের মতো করে উপভোগ করলাম।
![]() |
---|
খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তগুলো শেষ হওয়ার পর আমি পেয়ে গেলাম একঝাক পাখি। এই পাখিগুলো হচ্ছে আমার সহকারীদের ছেলে মেয়ে। তাদেরকে নিয়ে আমি অনেক মজা করেছিলাম। আর এই মুহূর্তগুলো কখনো ভুলার মত নয়।
![]() |
---|
ছবি তুলতে গিয়ে ফটোগ্রাফারকে দিকনির্দেশনা দিতে গিয়ে আমার চিত্রভঙ্গি টাই পরিবর্তন হয়ে গেল। তাই চিন্তা করলাম সৌন্দর্যের মাঝে যদি অসুন্দর্য কিছু থাকে তাহলে তা নিয়ে অনেকের অনেক রকম মন্তব্য করতে পারে। আর এই পাখিদের মাঝে এই অঙ্গভঙ্গির ফটোগ্রাফিটা কার কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন।
![]() |
---|
এখানে চারটা পাখির মধ্যে দুটো কলিগের ছেলে-মেয়ে। একজনের দুই মেয়ে একজনের এক মেয়ে এক ছেলে।
![]() |
---|
ও হচ্ছে আমার সহকার ও প্রিয় বন্ধু মাহবুব। আর যে দুজনের কে জড়িয়ে রেখেছে একটা ছেলে একটা মেয়ে তার। সে অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। তার সাথে কেটে গেছে জীবনের অনেকগুলো বছর।
![]() |
---|
কর্নার একজন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছে, উনি হচ্ছেন এলাকার বড় ভাই। তবে ওনার বিশেষত্ব একটা গুণ আছে সে কারণে ফটোগ্রাফিটা এখানে তুলে এনেছি। উনি একজন পলিটিক্যাল লিডার এবং কি অর্থ বিত্তবান একজন মানুষ। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় একটা গুণ হচ্ছে পরদেশী গরিব-দুঃখী মানুষের কাছের বন্ধু। বাহিরের অঞ্চলগুলো থেকে যে মানুষগুলো এসে কাজকর্ম করে তাদেরকে সে নিজের কাছের মানুষের মতো আগলে রাখে আসলে এমন মানুষ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
![]() |
---|
উনি আমার অফিসের আরেকজন কলিগ, সে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে খুবই ব্যস্ত, খাওয়ার সময় কোন কম্প্রোমাইজ নেই, আগে খাওয়া তারপর কথা।
![]() |
---|
নিমন্ত্রণ খেতে এসে বউয়ের সাথে ছবি নেব না এটা কি হয়, নিয়ে নিলাম একটা সেলফি।
![]() |
---|
নববধূর সাথে বন্ধু মাহবুবের মেয়ে এবং বন্ধু সুধীরের মেয়ে। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম, আর অনুভূতিগুলোর সাথে কিছু ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমরা সবাই বিয়ে বাড়িতে গেলে বিয়ের খাবার দাবার নিয়ে ফটোগ্রাফি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার কাছে কেন জানি মনে হলো বিয়ের খাবার দাবারের ফটোগ্রাফি না করে ঘুরে বেড়ানো সময়গুলোর ফটোগ্রাফি করি। নিজের অনুভূতির সাথে সেই ছবিগুলো ভিন্নতা নিয়ে আসবে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। ভালো মন্দ জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে সাথে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
Hi, @robiull,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @gorllara.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
বিয়ের দাওয়াত খাওয়া এবং অনুভূতি মজাই আলাদা। আর আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি বিয়েতে অনেক মজা করেছেন। ১৫ দিন আগে দাওয়াত পেলেন এবং হাতে কাঠ ও পেলেন। ব্যস্ততার মাঝেও বন্ধু ছোট ভাইয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণে গেলেন। তবে আপনি কনে অন্যান্য ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। সুন্দরভাবে অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আসলে অনেক ব্যস্ততা এবং কি একঘেয়েমি জীবন থেকে কিছু সময়ের জন্য আনন্দ করেছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকায় শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
দাওয়াত খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। কালকেও আমার একটি দাওয়াত আছে আপনার পোস্টটি পড়ে মনে পড়ে গেল। আপনি দাওয়াতে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। 15 দিন আগে দাওয়াত পেয়েছেন। সবার আগে মনে হয় আপনাকে দাওয়াত করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সবার আগে কার্ড দিয়েছি কিনা তা জানি না। তবে বিয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই জানতাম। কাঙ্খিত মন্তব্য দিয়ে সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।