আমার বাংলা ব্লগ। অভাগিনী মা। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
কভার ফটোগ্রাফি।
![]() |
---|
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ হীন ভালোবাসা কেউ যদি থাকে তবে একটি নাম আসবে সেই নাম হচ্ছে মা। মায়ের এক ফোটা দুধের দাম গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানালেও শোধ হবে না। তাহলে এই পৃথিবীর বুকে মায়ের মত সেরা আর কেউ থাকতেই পারে না। আমাদের সবার উচিত প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি ক্ষণ মায়ের কাছে ছায়ার মতো পড়ে থাকা। কিন্তু আদৌ কি আমরা পারছি মাকে সেই যত্নে রাখতে। শুধু এটুকুই বলি আমাদের প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। এবং মাকে মায়ের মর্যাদা দিতে হবে। আর কিছু না বলে চলুন উপভোগ করেনি আজকের কবিতাটি "অভাগিনী মা"।
স্বরচিত কবিতা।
অভাগিনী মা।
দশ মাস দশ দিন গর্ভে করেছে ধারণ
দশ মাস দশ দিন করেছে লালন পালন
কি যাতনা বিষে, বুঝিবে কি কিছু কি সে
যন্ত্রণায় কাতর, অশ্রুসিক্ত নয়ন, সে তো একজন মা।
মায়ের স্বপ্ন আসবে তাহার কোলজুড়ে রাজরানী
হাজার ব্যাথা বেদনা ভয় নিয়ে তবুও তার মুখে মিষ্টি হাসি
ভূমিষ্ঠ কালে যন্ত্রণায় গড়াচ্ছে তার দেহ
বাঁচবে কি মরিবে বোঝার মত পাশে নাই তো কেহ।
ভূমিষ্ঠ হলো সন্তান তাহার পৃথিবীর আলো দেখে
পৃথিবীর আলো সহ্য করতে না পেরে কেঁদে উঠল নিমিষে
ব্যথা বেদনা ভুলে গিয়ে নিমিষেই খুঁজেছে রত্ন তাহার
বুকে নিয়ে কপালে চুমু খেয়ে জোড়ালো যখন বুকে
চুপসে গেল কান্না তাহার পান করেছে মায়ের দুগ্ধ
নিমিষেই
নিদ্রায় মায়ের বুকের রত্ন তাহার একটুখানি স্থির পায়।
মাঘের শীতে কাঁপন ধরে বনের হিংস্র বাঘ
সন্তানের প্রসবে ঘুমিয়ে মা বুকের উপরে রেখে সন্তানকে পাড়ায় ঘুম
বুকের মাঝে ঘুমিয়ে মানিক ভাঙ্গিয়ে নাহি যেন ঘুম।
এমনি করে যত্নে করেছে লালন পালন।
শিশুকাল গেল হেলেদুলে, কৈশোরে নানান বায়না ধরে।
না খেয়ে খাওয়ায় সোনা মানিক বলে
যৌবনে এসে ফুটিলো চক্ষু মানিক সে তো এখন নয়
মায়ের কাছে সন্তান কি বড় হয়, লোকে বলে বাবু নয়তো বড়বাবু হয়।
দিন যায় মাস যায়, যায় বছরের পর বছর
সন্তানের কাছে মায়ের অনাদর সেকি বুকে সয়
সন্তান তাহার নেয় না খবর আছে কতটা সুখে
জনম দুঃখী মা যেন সন্তানকে দেখে মিষ্টি করে হাসে।
অবুঝ মায়ের নেইকো চাহিদা নেই অভিমান
সন্তানের হাতে সামান্য কিছু মায়ের অমূল্য রতন
সন্তান তাহার থাকুক সুখে এই কামনাই করে
সন্তানের অবহেলা অনাদরে পড়ে থাকে ছোট্ট কুটির ঘরে।
অশুখের সাথে পাঞ্জা লড়ে দিনের পরে দিন
তবুও যেন মায়ের মুখের মিষ্টি হাসি হয় নাকো মলিন
সন্তানকে বলে আছি আমি বেশ তুমি থাকো সুখে
এমনি করে প্রতিটি মা মরছে ধুকে ধুকে।
বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিটি মায়ের সন্তান সারি সারি
মায়ের দুঃখে হয় না দুঃখী পৃথিবীর জালেম সন্তান
পৃথিবীর বুকে মরছে দুকে দুকে অভাগিনী মা।
এতো ভালোবাসা পেয়েও কেন চিনলি না প্রিয় মা।
জন্মনি দেখেছিস আলু শিখেছিস মায়ের বুলি
ইচ্ছে করে জালেম সন্তানদের গুলি করে উড়িয়ে দেই মাথার খুলি
পাবি না আর পৃথিবীর বুকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কেউ
সেই একজনই ছিল জনম দুখি, অভাগিনী মা।
প্রিয় বন্ধুরা কেমন লেগেছে নারী দিবসের আমার এই কবিতা। আপনাদের উৎসাহ এবং সহযোগিতা পেলে প্রতিনিয়ত লিখার চেষ্টা করব। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। ভালো-মন্দ কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আপনার কবিতাটি পড়ে খুব মুগ্ধ হলাম আপনি মাকে নিয়ে খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আসলে আমি কবিতা পড়ে আবেগ ধরে রাখতে পারতেছি না। শুধু এক কথায় বলতে চাই খুবই অসাধারণ হয়েছে। এই গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
এত সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া আপনার বিশ্বাস হবে কি না জানিনা আমি এতটা মুগ্ধ হয়েছি যা বলে বোঝাতে পারব না। এত সুন্দর মন্তব্য করে এবং আপনার ভাললাগা আমাকে নতুন কিছু করতে অনুপ্রাণিত করেছে। আপনার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।
আপনি খুব চমৎকার একটি কবিতায় লিখেছেন এবং আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার কবিতা লাইনগুলো পড়ে সত্যিই আপনার কল্পনার অনুভূতিগুলো লিখে তুলতে পেরেছেন আমাদের সামনে জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া প্রশংসা পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। এর আগে আমি কখনও কবিতা লিখিনি, অভ্যস্ত ছিলাম না, আমার বাংলা ব্লগে এসে চেষ্টা করছি কিভাবে কবিতা লিখে। আপনার মন্তব্যটি আমাকে এত বেশি আনন্দিত করেছে যা বলে বোঝাতে পারবোনা। আপনার জন্য রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
অসাধারণ ছিলো ভাই আপনার কবিতাটি।প্রতিটি লাইন যেমন সুন্দর ছিলো ঠিক ততটাই অর্থবহ সেইসাথে প্রতিবাদের মিসাইল।
আর এই সব দৃশ্যপট দেখলে আমারও মাঝে মাঝে এরকম ইচ্ছে হয়।
ভাইয়া অসাধারন ছিল আপনার মন্তব্য, আর উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ভাইয়া আপনার লেখা কবিতা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর করে এই কবিতা লিখেছেন। আপনার লেখা কবিতার মাঝে মায়ের প্রতি যে ভালোবাসা ফুটে উঠেছে তা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে মা আমাদের এই পৃথিবীর আলো দেখান। ভালো থাকুক সব মা। পৃথিবীর প্রত্যেকটি মা অনেক ভালো থাকুক এই কামনাই করছি।
আপু আপনাদের ভালো লাগাটাই আমার নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনি অসাধারণ মন্তব্য করেছেন, আমিও আপনাদের মাঝে আমার মনের ভাব শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি এত অসাধারণ কবিতা লিখতে পারেন জানতাম না। কবিতার প্রত্যেকটা লাইন পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
বিশেষ করে কবিতাটির এই লাইনগুলো অনেক ভেতর থেকে লিখেছেন। সত্যিই আপনার এরকম আবেগের কবিতা পড়ে আমি তো একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত অসাধারণ কবিতা শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাদের মাঝে মনের ভাব প্রকাশ করার চেষ্টা করলাম। আপনাদের প্রশংসা পেয়ে সত্যিই আমি ধন্যবাদ, এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
আপনার উপরের লাইন গুলো আসলে সত্যিই, মা এমন ই হয়, মায়ের কোন চাহিদা থাকে না, কোন অভিমানও করে না সে শুধু সন্তানের জন্য এই কামনাই করে সন্তান থাকুক সুখে। কবিতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। সত্যিই অসাধারণ একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনার মন্তব্য আমাকে এত বেশি অনুপ্রাণিত করেছে যা আমাকে নতুন করে কিছু লেখার আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে। এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
কবিতাটি পড়ে এতটা ভাল লেগেছে যে বলে বোঝাতে পারবো না। মায়ের প্রতি এতটা ভালোবাসা না থাকলে কখনোই এত সুন্দর ভাবে মায়ের জন্য কবিতা লেখা সম্ভব নয়। আপনার কবিতার প্রতিটি লাইনে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। এরকম সুন্দর সুন্দর কবিতার অপেক্ষায় রইলাম।
ভাই আপনার মন্তব্যটি পেয়ে সত্যিই আমি খুবই সন্তুষ্ট বোধ করছি এবং কবিতাটি লেখা আত্ম তৃপ্তি পেয়েছি। আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
আপনার জন্য রইল আন্তরিক অভিনন্দন।