আমার বাংলা ব্লগ। আবোল তাবোল জীবনের গল্প। ভালোবাসার অনুভূতি - ১।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা এই কঠিন পরিস্থিতিতে আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। তবে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মানুষেরা অনেক বিপদ গ্রস্থ এবং অনেক বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে আছে। উপরওয়ালার কাছে একটাই প্রার্থনা করি আল্লাহ্ তাদেরকে সুস্থ জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুন। সেই সাথে সারাদেশের মানুষের জন্য আল্লাহতালার কাছে দোয়া করি সবাই যেন আমার মত সুস্থ সবল এবং সাধারণ জীবন যাপন করতে পারে।

চলুন যাওয়া যাক গল্পের মূল বিষয়ে।

জীবনের আবোল তাবোল গল্প। ভালোবাসার অনুভূতি।

20220619_174615.jpg
আনুমানিক আমার বয়স যখন ১৮ কি ১৯ এর মাঝামাঝি। তখন আমি এই চট্টগ্রামে কেডিএস গ্রুপ এ চাকরী রত অবস্থায় ছিলাম। ২০০০ সাল থেকে আমার ছোটবোন কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। আপু যখন বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল এবং অপারেশন না করলে আপুকে বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে পড়বে ঠিক ওই সময়টা আপুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিটাগং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আর মূলত চিটাগং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কারণ হচ্ছে মেজো ভাইয়া চিটাগং মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধানের ড্রাইভিং করত। সেই সুবাদে চিটাগং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো। আপুকে যখন মেডিকেলে ভর্তি করায় তখন আনুমানিক সালটা ছিলো ২০০৬।

FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


আপুকে মেডিকেলে ভর্তি করানোর পর প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন কেটে গেল। ডাক্তাররা আসছে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দিচ্ছে। এবং সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গুলোতে একটা রোগী অপারেশনের সিরিয়াল আসছে দীর্ঘদিন সময় লেগে যায়। অনেকের আছে ছয় মাস সাত মাস পর সিরিয়াল পড়ে। যদিও সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে সিট ভাড়া লাগে না এবং কি ডাক্তারের ফি লাগে না। তাছাড়া যাবতীয় সকল খরচ পেশেন্টের পরিবারকে বহন করতে হয়। পানি থেকে শুরু করে ওষুধ পাতি থেকে শুরু করে সবকিছু বাইরে থেকেই কিনতে হয়। তবুও যেন মানুষের কষ্টের সীমা থাকে। আর প্রতিদিন সকাল বেলায় রাত-বিরাতে শুনতে হয় মৃত্যুর মিছিলে শব্দ।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


চলে যাচ্ছি মূল গল্পে।

আপুকে মেডিকেলে ভর্তি করানোর পর দশ পনেরো দিন পর আপুর পাশের বেডে একটা রোগী আসলো হাত পা ভাঙ্গা। মোটামুটি মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা ছেলে, আর সেই ছেলেটা মূলত বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। আর আমি চাকরিরত অবস্থায় আপুকে দুপুরে একবার গিয়ে দেখে আসতাম এবং বিকেল বেলা অফিস ছুটির পরে দীর্ঘ সময় থাকতাম অথবা রাত কেটে যেত মেডিকেলের বারান্দায়। সেই সাথে আপুর পাশের বেডে যে রোগীটার ছিল তার ভাই তার মা তার বোন বারান্দায় বসে। তাদের সাথে গল্প করতে করতে কেটে যেত রাত। কখন রাত পোহাতে নিজেই টের পেতাম না, আবার ছুটে যেতাম অফিসে।

আপুর পাশের বেডে যে পেশেন্ট এসেছিল তার ভাইয়ের নাম ছিল শুক্কুর, আর বোনের নাম ছিল রিতা, কথা বলতে বলতে দুজন হয়ে যায় আমার খুব ঘনিষ্ঠ মিতা,হাহাহা। এভাবেই কেটে যেতে থাকলো দিনের-পর-দিন। আস্তে আস্তে আমি ওদের সাথে ভালোভাবে পরিচিত হলাম। ওরা ও আমার সাথে ভালোভাবে পরিচিত হলো। আর ওদের মেইন বাড়ি ছিল বাঁশখালী, আর আমার বাড়ি হচ্ছে কুমিল্লা। তবে যতই দিন যাচ্ছে বিষয়টা কেমন জানি গভীর দিকে চলে যাচ্ছে। আমি তখন কিছুই বুঝতে পারিনি আগাগোড়া।

আপু যদিও অনেক অসুস্থ ছিল, আর আমরা ছোট আপু বলি ঠিকই, কিন্তু আমাদের দুই ভাইয়ের বড় ছিল আপু। আমার সাথে বেশ মজা করতো কিরে মেয়ের সাথে কি কথা হলো। মেয়ে তো শুধু সারাদিন তোর নামের উপরেই জপে। তুই কি করস কোথায় থাকোস পড়াশোনা কতটুকু এগুলো নিয়ে সারাদিন আমাকে প্রশ্ন করতে থাকে ঘটনা কি। আপু আমার সাথে মজা করতে এগুলো নিয়ে। কিন্তু আমি তখনো উপলব্ধি করতে পারিনি যে আসলে মেয়েটা কেমন বা কি চায়।

কিছুদিন পর লক্ষ করলাম রিতা নিজের বাই অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে পড়ে আছে মা যদি কোন কিছু করতে বলে তাও করছে না। কিন্তু আমার আপুর বেঁডে এসে শুয়ে থাকে। আপুর সেবাযত্নে এবং আপুর খাতিরে যত্নের কমতি নেই। তখন আমার আম্মু বিষয়টা কিছুটা টের পেয়েছে। কিন্তু আম্মু বিষয়টা ভালোভাবে নিচ্ছে না। কিন্তু আপু বেজায় খুশি, কারণ আপুর মেয়েটাকে অনেক পছন্দ হয়েছে। আর মেয়েটাও ছিল সেই খুবই স্মার্ট এবং দেখার মত। রিতা হাসলে মনে হয় যেন তার হাসিতে মুক্ত ঝরে। মায়াবী চেহারা দেখলে বারবার তাকাতে ইচ্ছে করে।

বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর মনে হয় জেনো তার প্রতি আমি অনেকটা আকৃষ্ট হয়ে পড়েছি। কিন্তু আমি কোন কিছু বলতে রাজি নয়। কারণ আমি প্রতিদিনই আপুর থেকে কিছু না কিছু খোঁজ খবর পাচ্ছি। আপু মেয়েটাকে মাঝের মধ্যে খোঁচা মেরে বলে আমার ভাই তো তোমাকে পছন্দ করে না। তুমি আমার এত খাতির যত্ন করতে হবে না। তোমার ভাইয়ের সেবা যত্ন করো কিন্তু কে শোনে কার কথা। আপুর পায়ের নিচে শুয়ে থাকে মেয়েটা, বিষয়টা কে কিভাবে নিবেন সেটা আমি জানি না তবে একেবারে বাস্তব।

এভাবে কেটে গেল প্রায় দেড় মাসের মতো। এই দেড়মাসে অনেক খুনসুটি অনেক কিছুই হল। তখন আমার খরচটা একটু বেশি বেড়ে গেল। কারণ আপুর জন্য কিছু নিয়ে এলে ওই মেয়েটার জন্য নিয়ে আসতে হতো। তখন একজন আরেকজনের প্রতি গভীরতা বেড়ে গিয়েছে। আর আমি মেয়ের ভাইয়ের পাশে গিয়ে বসতাম মেয়েটা মেয়ের ভাই কে সরিয়ে দিয়ে আমার পাশে এসে বসে। বিষয়টা মেয়ের রিতার ভাইয়ের যতটা খারাপ লাগুক কিন্তু মেয়ের ভাই ও বুঝতে পেরেছে যে মেয়েটা আমাকে ভীষণ পছন্দ করে। তবে মেয়ের ভাই আমার চেয়ে বয়সে কিছুটা বড় ছিল। কিন্তু একেবারে গরিষ্ঠ বন্ধুসুলভ আচরণ করতো। আর রিতার আচোরন নিয়ে কখনো আপত্তি করেননি বোনের সাথে।

কারণ এই কয়দিনেই শুকুর ভাইয়া আমাকে বুঝিয়েছে অনেক এবং আমাদের গনিষ্ঠতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। শুকুর ভাই পড়াশোনা করে আর রিতাও পড়াশোনা করে ইন্টারমিডিয়েটে। তবুও মনে হয় যেন নিজের মনের অজান্তেই জেগে উঠা ভালোবাসার কথা বলতে পারেনি রিতাকে। কিন্তু কিছুদিন পরেই ঘুরতে শুরু করলো বিপরীতে। শুরু হয়ে গেল সবার মাঝে অনেকটা অস্বস্তি। ডক্টর বলে গেছে তাদেরকে রিলিজ করে দিবে। রিতার মন ভীষণ খারাপ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত একদিন বিকেলে খপ করে আমার হাত ধরে নিয়ে গেল ক্যান্টিন। তখন তার ভাই পাশে ছিল সে শুধু তাকিয়ে ছিল বাকরুদ্ধ একজন মানুষ হিসেবে কিছু বলতে পারলো না।

ক্যান্টিনে যাওয়ার পর চা খেলাম, চা খাওয়ার পর সে তার মনের কথা বললো। শুধু আমাকে একটা কথাই বলছে যে আপনি আপনার বোন থেকে সবকিছু জেনেছেন‌। তবুও এ পর্যন্ত একটা কথা বললেন না এর কারণটা বুঝলাম না। তখন আমি শুধু একটা কথাই বললাম যে দেখুন আপনি ভালোবেসেছেন ভালো লেগেছে এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। তবে আপনি কি জানেন আমাদের ফ্যামিলির সদস্য কতজন এবং আমি সবার ছোট। আমার বড় চারজন অবিবাহিত ছিল। তখন মেয়েটা আমাকে শুধু একটাই কথা বলল তাতে কি হয়েছে আমি তো আর বলছিনা যে এখনই বিয়ে করতে হবে। কিছুক্ষণ পর মেয়েটার ভাই খুঁজতে এসেছিল। ওকেও চা দেওয়ার জন্য বললাম চা খেলাম এরপর কথাবার্তা বলতে বলতে আবার বিল মিটিয়ে দিয়ে বের হয়ে গেলাম ক্যান্টিন থেকে।

যেদিন রিতার পরিবার পরিজন সবাই এসে তার ভাইকে নিয়ে যাচ্ছে, সেদিন শুধু অবাক দৃষ্টিতে অপলক চোখে তাকিয়ে রইলাম। আর দেখে মনে হয় যেন আমার কলিজাটা ছিড়ে যাচ্ছে। এতটাই ভালোবাসা জেগে ছিল। তার পরও কিন্তু আমি নিরুপায় কিছু বলার কিংবা ধরে রাখার মতো সিচুয়েশন ছিলো না। রিতার পরিবার যখন সবাই লিফটে উঠে গেছে জিনিসপত্র গুছিয়ে চলে যাচ্ছে তখন হুট করেই রিতা লাফ দিয়ে লিপ্ট থেকে বেরিয়ে পড়ুলো। আর এসে আমার বুকের সাথে পিঠ ঘেষে দাড়িয়ে বলছে আপনি আমার কয়েকটা ছবি তোলেন। এবং কি তার ভাইকে বলছে তোমার নাম্বারটা দাও। আমি শুধু তার কথাগুলো শুনছি এবং তার পরিবারের সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে তার কান্ড কারখানা দেখে। আমার হাত কাঁপছে নাম্বার ওঠাতে পারছি না তার ভাইয়ের নাম্বারটা আমার মোবাইলটা নিয়ে তার বাই উঠিয়ে দিয়েছিল।

অবশেষে আমিও আমার বোনকে নিয়ে মেডিকেল থেকে বাড়ি চলে আসলাম। এর ভিতরেও ওর ভাইয়ের সাথে ওর ফ্যামিলির সাথে অনেকবারই কথা হয়েছিল। তার সাথে কথা হয়েছিল একবার। তবে সে খুব আবেগপ্রবণ হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। আমার সাথে যোগাযোগ করার মতো কোনো মাধ্যম ছিল না। আর বাড়িতে যাওয়ার পর তার ফ্যামিলির সবাই হয়তো তার সাথে একটু বাজে বিএফ করেছে তার আচরণ দেখে। আর আমাদের দুজনের মধ্যে সবচেয়ে বড় কাটা হয়েছিল দূরত্বটা। এবং কি তার হাতে কোন মোবাইল ছিল না। শেষ পর্যন্ত আমি অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য কিন্তু পারেনি। ওখানেই শেষ হয়ে গেল আমাদের জেগে উঠা ভালোবাসা। তবে এখনো কথার ছলে মনে পড়ে সেই রিতার কথা। আজও মনের অজান্তে তার প্রতি ভালোবাসা জেগে উঠে। আর সেই দিনের অনুভূতিগুলোর কথা মনে হলে মনে হয় যেন এই এক জীবনের অন্যরকম অনুভূতি ছিল অসমাপ্ত ভালোবাসা।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার ভালোবাসার অনুভূতি গল্পটি। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে। ভাল মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
 2 years ago 

ভাই আপনার অসমাপ্ত ভালোবাসার কাহিনী শুনে খুবই খারাপ লাগলো। মনের ভেতরে লুকায়িত ভালোবাসা আজও তুষের আগুনের মত জ্বলন্ত রয়ে গেছে। মনের অজান্তেই তার প্রতি ভালোবাসা জেগে ওঠে। আপনি এখনো রিতাকে ভুলতে পারেননি। আমার মনে হচ্ছে আপনার দিক থেকে আরো একটু আগ্রহ দেখিয়ে তার বাড়ির ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার নেয়া উচিত ছিল। তাহলে হয়তো আজ আমাদের এই অসমাপ্ত প্রেমের কাহিনীটি পড়তে হতো না। যাইহোক ভাইয়া সময় ও পরিস্থিতি মানুষকে অনেক কিছুই করতে দেয় না। রিতাকে মনে রেখেছেন ঠিক আছে কিন্তু বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আপনার সামনে এগিয়ে চলার পথটি যেন সুখকর হয় এই প্রত্যাশা করছি।

 2 years ago 

ভাইয়া অনেক চেষ্টা করেছিলাম আর আমার পরিস্থিতি টা খুবই খারাপ ছিলো। অবশেষে শুনতে পেলাম তার নাকি বিয়ে হয়ে গেছে।

 2 years ago 

আহা!! ভাই ফিনিশিং এ কষ্ট পেলাম 🥺। জেগে উঠা ভালোবাসাটা কেমন করে যেন শেষ হয়ে গেল। রিতা আপনাকে অনেক ভালোবাসতো কথা শুনেই বুঝা যাচ্ছিল। তবে রিতার পরিবার হয়তো চায়নি যে আপনার সাথে ভালোবাসাটা হোক। কিছু ভালোবাসা যেন এভাবেই শেষ হয়ে যায়। 🥺

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া সত্যি কথাই বলেছেন ও ভালোবাসায় কোন খুঁত ছিল না। কথায় আছে নিয়তির লিখন যায় না খন্ডান,মেনে নিতেই হবে।

 2 years ago 

ভাই আপনার লেখার প্রতিটি লাইন পড়েছি। কি বলব ভাষা খুজে পাচ্ছি না। তবে বলব এটি ছিল আপনার জীবনে একটি অসমাপ্ত ভালোবাসা ,যা কাছে পেয়ে হারিয়েছেন। তবে আপনার লেখের উপর ভিত্তি করে বলতে হচ্ছে মেয়েটি আপনাকে সত্যি ভালোবেসেছিল।কারন এজন মানুষ সত্যিকারে কাউকে মন না দিলে তার চোখে জল আসে না। আপনার ঘটে যাওয়া ঘটনাটি যতটা কষ্টে , ঠিক ততটুকু আনন্দের ছিল। আমি যখন পরছিলাম তখন আরো বেশি পড়ার আগ্রহ বারছিল । শুধু আমি একাই পড়িনি আমার সাথে আমার মিসেসও পড়েছে আপনার লেখা।সে আমায় বলেছে বেশ দারুন ছিল ঘটনাটি । হারিয়ে যাওয়া ভালো লাগার মানুষটিকে খুজতে মন চায় তাই না। যদি দেখা হত তাহলে কি করতেন? , আপনার কাছে প্রশ্ন রয়ে গেল!শুভকামনা আর এই রকম ঘটনা থাকলে আবারও কোন এক ব্লগে শেয়ার করবেন।

 2 years ago 

ভাইয়া অনেক চেষ্টা করেছিলাম যোগাযোগ করার জন্য। যোগাযোগ করেছিলাম কিন্তু ওর হাতে মোবাইল না থাকায় ওর ভাইয়া দিতে চাইত না। এবং বাইরে বাইরে থাকত। অবশেষে শুনতে পেলাম বিয়ে হয়ে গেছে এরপর থেকে আর যাওয়ার আগ্রহ জাগে নি।

 2 years ago 

বড্ড বেদনা দায়ক কথা শুনালেন ভাই। ভালো থাকবেন

বাস্তব জীবনের কাহিনী গুলো শুনতে কেমন যেন এক অনুভূতির যোগান দেয়। কাহিনী গুলো পড়ার মাঝে এক তৃপ্তি,অতৃপ্তি, পাওয়া না পাওয়ার বিষয় গুলো নিজের জীবন দিলে উপলব্ধি করার মতন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জীবনকাহিনীর ক্ষুদ্র একটি অংশ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে মানুষের জীবনে কিছু কিছু আঘাত যা কাউকে বলা যায়না দেখানো ও যায় না। এমনটাই ছিল আমার এই জেগে ওঠা ভালোবাসা।

 2 years ago 

অসমাপ্ত প্রেমের গল্পগুলো পড়লে বুকের ভিতর কেমন জানি করে। রিতা আপু হয়তো আপনাকে ভালবাসতো ভাই। তার পরিবারের কারনে আপনাদের ভালবাসাটা পূর্ণতা পায়নি । আমার যতদূর ধারনা। গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাইয়া অনেক ভালোবাসতো, সবচেয়ে বড় কাটা ছিল দূরত্বটা। আর আমারও তখন সিচুয়েশন খারাপ চিলো। চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সম্ভব হয়নি।

 2 years ago 

গভীর থেকে গভীরতম ছিল মেয়েটির প্রেম। সারা জীবনের জন্য আপনাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল তার অন্তরে। যাক কি আর করা দুজনেই পরিস্থিতির শিকার। আপনাদের দুজনের জন্যই শুভকামনা রইল। সত্যি কারের ভালোবাসা অভিনয় ত্যাগে। আপনার এই ভালোবাশায় হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

আমি কল্পনাও করিনি জেগে উঠা ভালোবাসা এভাবে শেষ হয়ে যাবে। তবে অনেক চেষ্টা করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত ওর বিয়ের খবরটা শুনে ব্যর্থ হলাম।

 2 years ago 

সময়টা আরো কিছুদিন পরে হলে হয়তো আপনাদের ভালবাসা পুর্ণতা পেত । তবে আমার মনে হচ্ছে আপনি নিজেও হয়তো এতটা আপনার প্রতি দুর্বলতাটা সেই বয়েসে ভাল ভাবে গ্রহণ করতে পারেন নি কেমন একটা কনফিউশনে ভুগেছেন । পড়তে ভালই লাগলো আপনার ঘটনা সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন ।

 2 years ago 

কাঙ্খিত মন্তব্য করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।

 2 years ago 

হয়তো অনেকের প্রেমকাহিনী ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, তার মধ্য থেকে আপনার এই কাহিনীটা অনেকের থেকে আলাদা এবং এর মধ্যে রয়েছে কিছু ভাললাগা আবার ট্রাজেডি। সবমিলিয়ে দারুন লিখেছেন।

 2 years ago 

আপনার এই ভালোলাগা টা আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। আসলে সত্যিকারে ভালোবাসা গুলো এমনই হয়।

 2 years ago 

আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে মর্মাহত হলাম। আপনার বাস্তব জীবন অভিজ্ঞতা অনুভূতি আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন। আসলে ভাই বাস্তবতার কাছে অনেক কিছুই হারিয়ে যায়। পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, বাস্তবতার কাছে মানুষের আবেগ ভালোবাসা অনুভূতি কিছুই না নিমিষেই হারিয়ে যায়। তবে আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম, বাট কাছে যেতে পারেনি।

 2 years ago 

আহা! কি অসাধারণ অসমাপ্ত প্রেমের কাহিনী পড়তে পড়তে কখন যে শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। আমি শুধু ভাবছি সামনের দিনগুলোতে যদি কখনো আপনার সঙ্গে দেখা হয় তাহলে অনুভূতি গুলো কি রকম হতে পারে। হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার পর এত বছরে কোনদিন কি দেখা হয়নি?
আপনার গল্পের শেষে এসে খুব খারাপ লাগলো সত্যি রিতা আপনাকে অনেক ভালবেসেছিল। আমার মনে হয় আপনিও খুব ভালবেসে ছিলেন রিতাকে তারপরও কেন এই পরিণতি। আমার মনে হচ্ছে আপনি অল্প সময়ে যে ভালোবাসার বীজ বপন করেছিলেন তা আজ অনেক বড় হয়েছে। আপনি কখনো সেটা ভুলতে পারেননি আপনার জীবনে চলার পথে আরও অনেকবার সেই কাহিনী গুলো মনে পড়বে। যাইহোক স্মৃতি গুলোকে বুকের এক পাশে রেখে আপনার এগিয়ে চলার পথ গুলো অনেক সুন্দর হোক এই কামনা করি। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

ভাইয়া একটা কথা আছে, নিয়তির লিখন যায় না খন্ডানো যা হওয়ার নয় হাজার চেষ্টা করলেও হবে না। তবে চেষ্টা ত্রুটি ছিল না।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60462.58
ETH 2636.31
USDT 1.00
SBD 2.58