আমার ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া একটি মজার ঘটনা - কুকুরের কামড়"
শৈশববেলা আসলেই যে কারো কাছে সব চাইতে সেরা সময় । এই জন্যই তো শৈশব বেলাকে বলা হয়ে থাকে মানবজীবনের সব চাইতে সোনালী অধ্যায় । আমার শৈশবের দিনগুলির স্মৃতি আমারও কাছে সব চাইতে দামী, সোনালী সে সব শৈশবের দিনগুলির কথা মনে পড়লে আজও স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়ে আমার মন ।
এখন আমি যেমন শান্ত শিষ্ট , ছোটবেলায় ছিলাম এর ঠিক বিপ্রতীপ । ছোটবেলায় আমি শান্ত শিষ্ট সুবোধ বালক ছিলাম - এতবড় অপবাদ আমার শত্রুরাও দিতে পারবে না । অসম্ভব দুরন্ত ছিলাম আমি । আমার ভাইটা আবার ছিলো আমারো এক কাঠি উপরে । আমার ছেলেটাও হয়েছে একেবারে আমার ছোটবেলার মতো অনুরূপ স্বভাবের । ভীষণ দুরন্ত । রক্তের ধারা অব্যাহত ।
আজকে আমার ছোটবেলার এমনই একটি দুরন্ত মজার ঘটনার কথা শেয়ার করতে চলেছি আপনাদের সাথে । গ্রাম ছেড়ে যখন আজীবনের জন্য শহরে চলে আসি তখন আমার বয়স ৮-৯ বছর । শহরে আসার পরে এক অদৃশ্য কাঁচিতে কাটা পড়ে আমার স্বাধীনতার, আমার দুরন্তপনার পাখা দুটি ।
ছোটবেলায় আমি দুরন্তপনা করতে গিয়ে কিছু ছোট ছোট দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলাম । কুকুরের কামড়, ষাঁড়ের গুঁতো, হাত ভেঙে যাওয়া, নৌকাডুবি, সাপের আক্রমণ, গোসাপের সাথে ফাইট, কোদালে পা কেটে যাওয়া, আছাড় খেয়ে নাক ভেঙে যাওয়া এই রকম অজস্র ছোট বড় রোমাঞ্চকর ঘটনার সাক্ষী আমার ছেলেবেলা । এতদিন পরে লিখতে গিয়ে দেখছি অনেক ঘটনাই মন থেকে চিরতরে মুছে গিয়েছে, কিছু আবছা মনে আছে ।
ইচ্ছে আছে পর্ব আকারে সব ঘটনাগুলিই প্রকাশ করবো । আজকে লিখতে যাচ্ছি ছোটবেলায় আমার হাত ভেঙে যাওয়ার মজার ঘটনাটি । তো চলুন শোনা যাক --
তখন আমার বয়স কত ? খুব সম্ভবত চার । ক্লাস ওয়ানের ছাত্র ছিলাম মনে হচ্ছে । আমাদের বাড়ির পুব দিকের বাড়িটা ছিলো আমার দাদুর এক ভাগ্নের বাড়ি । তো দাদুর সেই ভাগ্নের ছেলে যাকে আমরা মদনদা বলে ডাকি তাঁদের বাড়িতে নতুন একটি ঘর তোলা হচ্ছিলো । গ্রামের দিকে ঘরের পোঁতা মানে বেজ টা বেশ উঁচু করে গাঁথা হয়ে থাকে । মাটির পোঁতা, মাটির দাওয়া । মনে আছে সিঁড়ির কাজ তখনো সম্পূর্ণ হয়নি । বেশ উঁচু পোঁতা, এক মানুষ সমান উঁচু ।
এই অসম্পূর্ন মাটির পোঁতা ছিলো আমাদের মতো ছোটদের ভারী মজার একটি খেলার জায়গা । সকালে ঘুম থেকে উঠে আর বিকেলে স্কুল থেকে ফিরেই এর উপরে উঠে যেতাম সিঁড়ির জন্য কাটা খাঁজে খাঁজে পা রেখে । বিশাল বাড়ি তোলা হচ্ছিলো । তাই উপরে অনেকটা খোলা জায়গা ছিলো । ছোটাছুটি, লুটোপুটি আর বার বার সিঁড়ির জন্য করা খাঁজ বেয়ে নামা আর ওঠা । ভারী মজার খেলা ছিল ।
কিন্তু, দুই তিনদিন যেতে যেতেই আমার কাছে ভীষণ এক ঘেঁয়ে উঠলো খেলাটি । বলা বাহুল্য আমি ছিলাম দলনেতা । তাই আমার দায়িত্ব ছিল নিত্য নতুন খেলা বের করা । আর আমার উর্বর মস্তিষ্কের উপরে আমার বন্ধুদের বেশ ভরসা ছিল । চতুর্থ দিনের দিন আমি ঠিকই বের করে ফেললাম ভারী মজার একটি খেলা ।
খেলাটি বিশদে বোঝালাম । দলের মেয়েগুলোর একটাও এই খেলায় যোগ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলো । তাদের যুক্তি - ভীষণই বিপদজনক খেলা এটা । তাই তারা খেলবে না । দলনেতার কথা অমান্য করার জন্য তৎক্ষণাৎ তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করলাম । মেয়েগুলোও তেমনি, এক হাত লম্বা জিভ বের করে দাঁত মুখ খিচিয়ে ভেংচি কেটে হাওয়া হয়ে গেলো ।
এবার শুরু হলো আমাদের খেলা । আমার নির্দেশে সবাই আট দশটা মাটির ঢিল কুড়িয়ে নিয়ে উঠে গেলাম পোঁতার উপরে । এর পরে শুরু হলো অ্যাকশন । কী ? ঢিল ছোঁড়া । কাকে ? না, কোনো মানুষকে নয়, কোনো বাড়িঘর লক্ষ্য করেও নয় । তবে ? হুঁ, কুকুর লক্ষ্য করে মারো ঢিল । আমাদের বাড়ির আশে পাশে প্রায় প্রতিবাড়িতেই কুকুর ছিলো, আমাদের বাড়িতেও ছিলো । কুকুরগুলো আমাদের ঢিলের রেঞ্জের মধ্যে আসলেই শুরু হতো অ্যাকশন । কেঁউ মেউ করে অধিকাংশ কুকুর সরে পড়তো লেজ তুলে । কিন্তু, কয়েকটি বদমেজাজি কুকুর ধেয়ে আসতো আমাদের লক্ষ্য করে । কিন্তু এক মানুষ উঁচু পোঁতার উপরে ওঠার সাধ্য ছিলো না তাদের কারো । লাফ দিয়ে শুধু দাঁত কিড়মিড় করতে করতে নেমে যাওয়া । আর ঘেউ ঘেউ করে সে কি আস্ফালন, সেই সাথে আমাদের খিল খিল করে হাসি । অদ্ভুত শব্দকুহেলীর সৃষ্টি হতো । বড়রা কেউ দেখে ফেললে বকতো, আর সঙ্গে সঙ্গে সেদিনের মতো খেলা সমাপ্তির ঘোষণা দিতাম ।
দুই দিন এমনি খেলার পরে এক দিন । ভীষণ জমে উঠেছে খেলা । আমাদের বাড়ির কুকুরকে ঢিল মারা নিষেধ ছিল, সেদিন সেও এসেছিলো । তবে অন্য কুকুরদের সাথে ঝগড়া করতে । ৪-৫ টা কুকুর ঢিল খেয়ে ভীষণভাবে ক্ষেপে গিয়েছে । আর আমরাও বেদম মজা পাচ্ছি । এমন সময় আমাদের গোলাগুলি শেষ । ঢিল শেষ হয়ে যাওয়াতে নিচে নেমে নতুন করে ঢিল কুড়িয়ে আনা ছাড়া গতি নেই । কিন্তু, সেই মুহূর্তে নিচে নামতে কেউ রাজি নয় ।
অগত্যা উত্তপ্ত পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হতেই আমরা নেমে পড়লাম । ঢিল কুড়িয়ে নেয়া শেষ । হাফ প্যান্টের পকেট উঁচু উঁচু করে ঢিলে ভর্তি করে আমি কেবল হাঁটা দিয়েছি পোঁতা লক্ষ্য করে এমন সময় । কী ? আর কি, সেই গুণ্ডাটা । একটা ভীষণই বদমেজাজি গুন্ডা কুকুর পুষেছিল আমার এক মামা - তপনমামা । গতকাল বিকেলে আচ্ছা করে ঢিল মেরেছি ওটাকে । হঠাৎ দেখি, গুণ্ডাটা ছুটে আসছে আমাদেরকে লক্ষ্য করে । "য পলায়তি স জীবতি" - সংস্কৃত ভাষার এই প্রবাদবাক্যকে ধ্রুব সত্য বিবেচনা করে আমরা সবাই দিলাম চোঁচা দৌড় । আমাদের লক্ষ্য পোঁতা । কিন্তু হায়, সবাই ঠিকই উঠে গেলো আর আমি কর্মদোষে হাফ উঠতে উঠতেই হঠাৎ করে পিছনে একটি গর গর শব্দ পেলাম এবং পরক্ষনেই একটি কঠিন চোয়ালের ফাঁকে আটকা পড়লো আমার বাঁ পা ।
গুন্ডা আমার পা কামড়ে ধরে ঝুলে পড়েছে । বন্ধুরা সবাই মিলে এমন ভয়ানক ভাবে চেঁচিয়ে উঠলো যে সবাই ছুটে এলো । বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে কুকুরটাকে কামড়-ছাড়া করলো । বেশ অনেকখানি রক্ত বেরিয়েছিল মনে আছে । তবে আমার চোখে সেদিন জল আসেনি মোটেও । ব্যাথা পেয়েছিলাম অনেক, তবে ভয় পাইনি মোটেও ।ভয় পেয়েছিলাম পরে । ক্ষতস্থান ভালো করে ধুইয়ে চুন মাখিয়ে দেওয়া হলো । রাত্রে এলো জ্বর ।
পরেরদিন বাবা খবর পেয়েই শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে এলো আর ভ্যাকসিন দিতে আমায় নিয়ে গেলো পরিচিত এক ডাক্তারের বাড়িতে । তখনকার দিনে Rabies vaccine নিতে হতো মোট ১৪ টা, নাভির চারিপাশে । ইনজেকশন এর কথা শুনেই তো ভয়ে আমার প্রাণ উড়ে গেলো । তবে মনে আছে আমার বুকের উপরে খরগোশ রেখে তারপরে সেই ডাক্তার আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আমার অন্যমনস্কতার সুযোগে ইনজেকশন দিতো । নকল খরগোশ নয়, আসল খরগোশ ।
বি: দ্রঃ একটু উঁচু ক্লাসে ওঠার পর থেকে আমি সত্যিকারের একজন পশুপ্রেমী হয়ে উঠি । জীবনেও কোনোদিন আর অবলা জীবেরদের উপরে কোনোরকমের নির্যাতন করিনি বরং কাউকে করতে দেখলেএমন শিক্ষা দিতাম যে জীবনেও আর অমন কিছু করার সাহস পেতো না । আর পোষা প্রাণীদের মধ্যে সবচাইতে আমায় লাইক করি কিন্তু সেই কুকুরকেই ।
দাদা প্রথমে একটু হেসে নেই, হাহাহাহা।সত্যি বলতে অনেক বার কুকুরের দৌড়ানি খেয়ে ছিলাম, কিন্তু কখন কুকুর আমাকে ধরতে পারিনি। অনেকটাই চঞ্চল ছিলাম অনেকটা আপনার মতই। হয়ে যাই হোক আজকের এই গল্পটা শুনে অনেক মজা পেলাম এবং অনেক ভালো লাগলো। আমারও এরকম দুই একটা গল্প আছে ভবিষ্যতে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
nice
হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা। দুরন্ত শৈশবের মজার ঘটনা। সব গ্রামের ছেলেরাই শৈশবে অনেক দুরন্ত কিন্তু আপনারটা একটু বেশি দুরন্তপনা। নিজের ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। সেই গ্রাম আর সেইসব দুরন্তপনা। মজার ছিল। আরো এমন কিছু দুরন্তপনার স্মৃতিকথা আসছে। অপেক্ষায় রইলাম
How to contact you?Hope to cooperate with you。My telegram: https://t.me/ptg789789
my whatsapp: +85259301120
@tipu curate 10
Upvoted 👌 (Mana: 0/10) Get profit votes with @tipU :)
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
দাদা তুমি তো ছোটোবেলায় ভালোই দস্যি ছিলে! পোঁতার উপর চেপে কুকুরদের ঢিল মারা। যদিও ব্যাপারটা খুবই নিষ্ঠুর তবে দারুন বজ্জাতি বুদ্ধি। নিজেদের সেফটি বজায় রেখে দুষ্কর্ম করা! হাঃ হাঃ! আসলে বাচ্চা বয়সে মানুষ কি না কি করে তার ইয়ত্তা নেই। বড়ো হয়ে যে পরিবর্তনটা এলো সেটাই আসলে দরকার।
কুকুরের কামড় আমিও খেয়েছি তবে সেটা কুকুরকে আদর করতে গিয়ে 😁। ৬ টা ইনজেকশন
দাদা আপনার আজকের ছোট বেলার গল্প শুনে আমি হাসতে হাসতে আধমরা। কি যে দুষ্ট ছিলেন আপনি হাহাহাহা ,, কুকুর কে ঢিল মারা নাকি কোনো খেলা হতে পারে , আর কুকুরটা ও কি সুযোগ পেতেই কামড়ে ধরলো। হাহাহা ,অসাধারণ লিখেছেন এমন গল্প আরো শুনতে চায়। ধন্যবাদ দাদা।
ছোটবেলায় আমিও খুব দুরন্ত ছিলাম। কিন্তু আপনার দুরন্তপনার গল্প শুনে এখন নিজেকে নিতান্তই সুবোধ বালক মনে হচ্ছে। আপনার মত কুকুরের কামড় না খেলেও একবার কুকুরের তাড়া খেয়েছিলাম। সেদিনই প্রথম আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছিলাম যে আমি অত্যন্ত দ্রুত দৌড়াতে পারি। সে দিনের কথা আজও ভুলতে পারিনি।
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
দাদা ছোটবেলায় আপনি তো দেখি শুধু বিচ্ছু না বিচ্চু বাহিনির লিডার ছিলেন। কুকুরের কামড় খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার কখনো হয়নি তবে বেশ ভালই অনুভব করতে পারি এর জ্বালা কেমন হতে পারে। আসলে প্রত্যেকের জীবনেই একটি টার্নিং পয়েন্ট থাকে। আমার মনে হয় ওই ঘটনায় ছিল আপনার টার্নিং পয়েন্ট। যার মাধ্যমে আপনি একজন পশুপ্রেমী হয়ে উঠলেন। সেইসঙ্গে আপনার বোধোদয় হলো। ধর্মে আছে জীবে দয়া করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। জগতের সকল প্রাণী শান্তিতে থাকুক এই প্রার্থনা রইলো।
সত্যি দাদা আপনার এই পোস্ট টি পড়ে আমার ছোট বেলার সেই কাহিনি গুলো মনে হচ্ছে। আমিও ঠিক আপনার মতোই দুষ্টু ছেলে ছিলাম। কুকুরের অনেক তাড়া খেয়েছি, মুখ থুবড়ে পড়ে কপাল ফাটা থেকে শুরু করে আমারো অনেক ঘটনা আছে।সত্যি বলতে আপনার পোস্ট পড়ে আমার সেই সকল দিন গুলোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।
চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ দাদা। আরো কাহিনি শুনতে চাই। অপেক্ষায় রইলাম দাদা।💞💞
বাহ দাদা আপনার গল্পটা শুনে বেশ মজাই লাগলো আবার ভয়ে গা শিউরে উঠলো । কুকুর কামড়ে ধরে আছে কি ভয়ানক দৃশ্য ?ভাবতেই গা কাঁটা দিয়ে উঠছে। আপনি সত্যিই বেশি দুষ্টু ছিলেন। তা না হলে ও ধরনের কাজ কেউ করে ?কুকুরটা বড্ড জেদি প্রতিশোধ নিতে ছুটে এসেছে ।বেশ ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে।আরো গল্প শুনতে চাই।
দাদা ছোটবেলায় আপনার দুরন্তপনা অনেক জেনেছি শুনেছি কিন্তু আজকের গল্প পড়ে প্রথমে দিকে ভালো লাগছিল তার পরে যখন মেয়েদের খেলা থেকে বাদ দিলেন তখন একটু খারাপ লাগছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে যখন আপনার পায়ে গুন্ডা কামড় দিলো তখন সত্যিই ভীষণ খারাপ লেগেছিল। আমরা জানতাম কুকুর কামড় দিলে 14 টা ইনজেকশন দেওয়া যাবে সত্যি কষ্টকর ছিল। তবে পরবর্তীতে আপনি পরিশ্রমই মানুষ হয়ে উঠেছেন শেষে একজন ভালো মনের। যার কারণে আজ বর্তমান মানুষটি আপনি এই জায়গায় এসেছেন। আপনার পরবর্তী জীবনের গল্প শোনার জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
You have said it, childhood is the best stage of a human being, where he is free to think without worries imposed by society.
দাদা এটা পড়ে বেশ মজাই পেলাম ।শুধুমাত্র এটা না পুরো গল্পটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার শৈশব সময় যে এমন কেটেছে তা ভেবে, চিন্তা করতেছি কি ছিল দাদার হয়ে গেল কেমন। সে গুন্ডা কুকুর আপনাকে ছাড়লোনা প্রতিশোধ নিয়ে নিলো, হাহাহা। আর অবশ্যই চাই আপনি পর্ব আকারে হোক যেভাবেই হোক আমাদের মাঝে শৈশবের বিশেষ মুহূর্তগুলো শেয়ার করুন।
আপনার পোস্ট পড়ে বুজাই যাচ্ছে আপনি শৈশবে অনেক দুরন্ত ছিলেন। ঠিক এই ধরনের ঘটনাই একবার আমার সাথে ঘটেছিল ছোটবেলায়। গুন্ডা কুকুর নামটা বেশ মজার। আপনার দুরন্তপনার অন্যান্য গল্প গুলো শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদা আপনার শৈশবের সোনালী দিনের গল্প শুনে এতটাই আনন্দ পাচ্ছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। সত্যি দাদা শৈশবের দিনগুলো কে সোনালী দিন বলছে গুণীজনরা। তবে আসলে সোনালী দিন অতীতের সেই চিরচেনা স্মৃতি গুলো বুকের মাঝে ক্ষণে ক্ষণে বেজে ওঠে। তবে দাদা আপনার আনন্দ উৎপন্ন এবং কি দুরন্ত শৈশব সত্যিই অনেক মধুর ছিল। তবে আমিও কোন অংশে কম ছিলাম না। আপনার শৈশবের গল্প পড়তে পড়তে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেছে। একটু জিরিয়ে আবার পড়া শুরু করি, একটু জিরিয়ে আবার পড়া শুরু করি, এভাবেই শেষ করলাম আপনার শৈশবের স্মৃতি ছোটগল্প খানি। তেমন আনন্দঘন ছিল, তেমনি ছিল ভয়ঙ্কর ও বটে। আমার বাবা একজন ডাক্তার ছিল বিধায় জানতাম যে কুকুর কামড় দিলে ১৪ টা ইনজেকশন নিতে হতো এবং যদি না নেয় তাহলে জলাতঙ্ক রোগ হয়। যাইহোক আপনার বাবার শহর থেকে আসা এবং উপরওয়ালার কৃপায় আপনাকে উপরওয়ালা আমাদের জন্য সুস্থ রেখেছে এটাই বা কম কিসে। আর আপনার শৈশবের বাকি গল্প গুলো পড়ার এবং কি জানার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। আমাদের সাথে এত সুন্দর করে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
দাদা আপনার ছোটবেলার গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি ছোটবেলায় অনেক দুরন্ত ছিলেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। আসলে আমাদের ছোটবেলা গুলো অনেকটা একই রকম ছিল। ছোটবেলায় আমরা সবাই দুষ্ট প্রকৃতির ছিলাম। যে কাজগুলো করলে আমাদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেই কাজ গুলোই বারবার করতাম। বিশেষ করে কোন কাজ করতে যদি কেউ নিষেধ করত সেই কাজটি বারবার করতাম। আসলে আপনার লেখাগুলো পড়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেই খেলার সাথী গুলোকে মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেই দুষ্টুমিগুলো বারবার মনে পড়ছিল। ধন্যবাদ দাদা আপনার ছোটবেলার কিছু স্মৃতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
দাদা আপনি অনেক ছোটে বেলায় দুষ্ট ছিলেন।কারন আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম।আসলে আমিও গ্রামের ছেলে ,গ্রামের মধ্যে অনেক কুকুর রয়েছে অত্যন্ত রাতের বেলায় যদি কখনো আমি বাজার থেখে বাড়ীতে আসি ,তখন আমাদের পাড়ার কুকুর গুলো চিৎকার আমার দিকে লাফিয়ে আসে।তখণ আমিও আপনার মতো দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছি।আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক মজা লাগলে.দাদা।মনে কিছু নেবেন আবার ।এতে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
nice
nice
কুকুর ভালোবাসি তবে কুকুরের কামুরের কথা শুনলেই অনেক ভয় লাগে। আপনার গল্প পড়ে বেশ মজা পেয়েছি। ছোট থাকতে আপনি বেশ সাহসী+ দুষ্টু ছিলেন। আসলে মানুষের ছোট বেলার সময়গুলোতে অনেক দুষ্টুমি করে। আমিও কুকুরর ফাঁদে পরছিলাম তবে কামুর খেতে হয় নাই। 😬
দাদা আপনার পুরো গল্পটি পরে আমার অনেক হাসি পেল। তবে আপনি যদি হাফ উঠতে উঠতেই হঠাৎ করে পিছনে না পরতে তাহলে আজ আমরা আপনার ছোট বেলার মজার গল্পটি পড়ার সুযোগ পেতাম না। আপনি অনেক দুষ্টু ছিলেন তা আপনার গল্প পরে বুঝলাম । তবে টিনটিন বাবুর ছবিতে সে অনেক লাজুক দেখায় দাদা। শৈশববেলার সময়টা সবচেয়ে সেরা সময় এবং দিনগুলির স্মৃতি ছিলো সোনালী ।শৈশববেলা আবার ফিরে পেতে চায় প্রতিটি হৃদয়। শুভকামনা রইল দাদা
এটি ভীষণ মজার ছিল দাদা।আমি যতদূর শুনেছি যারা ছোটবেলায় দুরন্ত থাকে তারা বড়ো হলে অনেক শান্ত স্বভাবের হয়।আবার শান্ত থাকলে বড়ো বেলায় দুরন্ত হয় ঠিক উল্টো।তবে যারা ছোটবেলায় দুরন্ত হয় তাদের মস্তিষ্ক অনেক সূক্ষ্ণ ও ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি থাকে ,এককথায় ব্রেইন অনেক ভালো হয়।যেমনটি আপনাদের😊.মদনদাকে,খুব সম্ভবত বইমেলার একটি পর্বে দেখেছিলাম আপনাদের সঙ্গে।ইশ কুকুরকে ঢিল ছোড়ার খেলাটি সত্যিই বিপদজনক ছিল।মেয়েগুলো বেশ চালাক ছিল বোঝা যাচ্ছে।বেশ মজার ছিল গল্পটি,তবে ভয়ানক ও বটে দাদা।
দাদা আমি জাস্ট ভাবছি কি কি করেননি তা লিখলে হয়তো লিস্টটা অনেকটাই ছোট হতো।এক দুটো বাদে সব ই করে ফেলেছেন আপনি।
তবে ছোট বেলার গল্প শুনে যতটা মজা পেয়েছি। তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি ভালোলাগা কাজ করেছে শেষ লাইনগুলো পড়ে।
দেখলেন তো,মেয়েরাই আসল বুদ্ধিমতি।🤪🤪
আসলেই দাদা এ কথাটি আমিও বিশ্বাস করি যে যারা ছোটবেলায় অনেক দুষ্টু থাকে তারা বড় হলে খুব শান্তশিষ্ট হয়ে যায়। আপনার ছোটবেলার কাহিনী গুলো পড়ে খুব হাসি পেয়েছে অনেক মজার মজার কাহিনী গুলো তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে বলতে গেলে মজার হাসির গল্প পড়তে গেলে এরকম অনুভূতি কাজ করে।
বোঝাই যাচ্ছে আপনি কতটা দুষ্টু ছিলেন ছোটবেলায়।
দাদা আপনার ছোট বেলায় গল্প পরে আমার খালাতো ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেলো। আমরা দুজনে খেলছিলা হঠাৎ একটা পাগলা কুকুর এসে আমার খালাতো ভাইকে কামর মারে। দেখে আমি অবাক হয়ে ছিলাম। আজকে আবার ও মনে পরলো। তবে আমার একটা প্রিয় পোশা কুকুর ছিলো। আপনার ছোট বেলায় গল্প পরে ভালো লাগলো। আর অনেক সুন্দর কথা বলেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আহ্,,, ছোটবেলার সেই সোনালী দিনগুলো কতইনা সুন্দর ছিল। তবে কুকুরের কামড় খাওয়ার বিষয়টি বেদনাদায়ক।
আমিও একদিন কুকুরের তাড়া খেয়ে এমন দৌড় দিছিলাম,,,,, ছোট্ট একটা ব্যাড়া লাফিয়ে ওইপাশে যেতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে দাঁত দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল। পাশে দুইটা মেয়ে ছিল,,, কি লজ্জা টাইনা পেয়েছিলাম। হাহাহা।।।।
আর পশুদের প্রতি দাদা আমার প্রচুর মায়া কাজ করে। যখন একটা বিড়াল কাছে এসে মেও মেও করে তখন হাতে কিছু থাকলে না দিয়ে একা খেতে পারিনা।
গল্পটি খুব মজার আবার দুংখেরও বটে। প্রথমে কুকুরের সাথে বন্ধুদের নিয়ে মজা আর তারপর আপনি নিজেই কুকুরের শিকারের খপ্পরে পড়ে গেলেন! শুনে খারাপ লাগলো আপনাকে কামড় দিয়েছিল। ১৪টা ইনজেকশন ও দেয়া হয়েছে!! তবে আপনার ছেলেবেলার গল্পটি পড়ে ভালোই লাগলো।
লোকশ্রুতি আছে, ছোটবেলার দুরন্ত গুলো বড় হলে শান্তশিষ্ট ও মেধাবী হয়। আর শান্তশিষ্ট গুলো বড় হলে অস্বাভাবিক দুরন্ত হয়ে উঠে।তবে অংকটার ব্যাতিক্রমও দেখা যায়। জীবনের বাস্তব চ্যালেঞ্জ তুলে আনার প্রয়াস অনেক ভাল ও শিক্ষনীয় হতে পারে। প্রবন্ধ উপাস্থাপন শৈলী'র ধারাবাহিকতা ঠিক আছে।বাস্তবতা নিয়ে উপদেশ মুলক লেখায় বিনোদনের ছাপ যথেষ্ট । আশির্বাদ কামনায়।
পৃথিবীতে যদি আমি কোন প্রাণীকে সবচেয়ে বেশি ভয় পাই সেটা হল কুকুর। আমার মনকে কোনভাবেই বিশ্বাস করাতে পারি না যে এখন কুকুর কামড়ালে কোন কিছুই হয় না। তবুও চোখের সামনে থেকে দেখলে বুকের ভেতরে যেন দুর দুর করে। এই বুঝি আমাকে কামড় দিবে। পোস্টটি পড়ে অনেক মজা পেয়েছি দাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ ছোট বেলার এই অনুভূতিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ওরে বাপরে বাপ, কুকুরের কামড় এতো ভয়ানক ব্যাপার! কুকুর দেখলে এখনো আমার অনেক ভয় লাগে। আপনি তো দেখছি অনেক সাহসী।
আসলেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়লে মনে হয় ফিরে চলে যায় সেই দিনগুলোতে। আপনার এই গল্পটি পড়ে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। একবার আমাকে একটি কুকুর কামড় দিতে এসেছিল তখন এমন জোরে চিৎকার দিয়েছিলাম তা দেখে কুকুর নিজেই আমাকে দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে গেল। অপেক্ষায় রইলাম বাকি পর্বগুলোর জন্য।
মেলাতে যেয়ে কি করতে তারও একটা পর্ব চাই।
দাদা বিশ্বাস করো, লেখাটা পড়ার সময় এত হেসেছি। এত দুষ্টু তুমি সত্যি ছিলে !!! হিহিহিহি। তবে যাই বলো না কেন, তোমার লেখার হাত এত ভালো এত ভালো 👌👌 প্রতিটা লাইনের বাকে একটা করে মজা লুকিয়ে রেখেছিলে। 😊 অনেক মজা পেয়েছি দাদা। তবে শেষটা পড়ার পর খারাপ লেগেছে সত্যি। ইস অমন ভাবে কামড় দিয়েছিল। আসলে অত কম বয়সে মাথায় কি আর কিছু কাজ করতো! দাদা এমন মজার মজার স্মৃতি আরো শেয়ার করো আমাদের সাথে। খুব ভালো লাগছে ।
ছেলে বেলার গল্প পড়তে ভালই লাগে দাদা। সত্যি বলতে শৈশবের স্মৃতি বিজরিত দিন গুলো চিন্তা করলে হৃদয়ে একটা টান অনুভব হয়। মনে হয় কে জানি মনের ভিতর একটা খোচাঁ দিচ্ছে।
যে পালায় সেই বাঁচে কিন্তু দাদা শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। কামড় বসিয়ে দিল। বাবা একটা গল্প বলে খুব একটা মনে নেই তবে বিষয় টি হচ্ছে এমন যে,
যাই হোক ১৪ টা ইনজেকশন্ বাপর রে বাপ তাও আবার নাভির গোড়ায় । এখন তো ইনজেকশন্ এর পরিমান অনেক কমে গেছে।আমার শৈশবে বহু কাটা চিরা হয়েছে , বেশ কিছু শেলাই ও নিতে হয়েছে ডাক্তারের কাছ থেকে তবে কুকুর এর ধাওয়া খেয়েছি বহু কিন্তু কামড় খাই নি। ইশ্বর রক্ষা করো ।যাইহোক দাদা ভাল থাকবেন আর পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা।
আহা কুকুর কি মজার কামড়টাই না সেদিন দিয়েছিলো দাদাকে হি হি হি। তবে আমি ছোট বেলায় কুকুর অনেক বেশী ভয় পেতাম। কুকুর দেখে প্রয়োজনে অন্য রাস্তা দিয়ে বহু বার গিয়েছি। ১৪টা ইনজেকশনের কথা আমিও শুনেছি তাই কখনো ভয়ে সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা করি নাই। তবে আপনি দলনেতা হিসেবে এটা প্রাপ্য ছিলেন হা হা হা।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আর একটা কথা দাদা এটাও শুনা কথা, যারা ছোট বেলায় বেশী দুষ্ট থাকে তারা নাকি বড় হলে খুব শান্ত হয়ে যায়।
অতীত বড় আবেগপ্রবণ এটা সত্য কথা । কিন্তু কুকুর পায়ে কামড় দিয়েছে এবং অনেকটা পরিমাণ রক্ত বেরিয়েছে, ব্যাপারটা শোনার পরে কষ্ট লেগেছে। এবং তার থেকেও সেই সময় আসলে একদিক থেকে খারাপ লাগছিল এবং মজাও লাগছিল, কারণ বেশির ভাগ সময় ছোট বাচ্চারা এই কাজটা করে থাকে। যাইহোক আপনি হয়তো সেই জায়গা থেকে এ কাজটা করেছিলেন । তবে আপনার বাকি ইতিহাস গুলো কিন্তু আমি জানতে আগ্রহী । বিশেষ করে অন্যান্য ঘটনার কারণ গুলো । কি জন্য ঘটেছিল এই ব্যাপারগুলো । অপেক্ষায় থাকলাম ভাই । শুভেচ্ছা রইল ।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে টিনটিন আপনার প্রতিচ্ছবি। আর আপনার সেই মেয়ে বন্ধুদের মতো আমিও ভেংচিয়ে চলে যেতাম🤪🤪। এতো ভয়ানক খেলা আমার দ্বারা হতোনা। যাইহোক পুরো গল্পটি পড়ে মজা পেলাম। আর বুঝতে পারলাম ছোটবেলায় কুকুরকে ঢিল মারার সেই ব্যক্তি আজ কুকুরকে অনেক লাইক করে।পরের পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম দাদা
প্রতিটা মানুষের শৈশব যেন এক সোনালি অধ্যায়।স্মৃতির প্রতিটি মুহুর্তে জড়িয়ে আছে দুরন্তপনার এক কালোজয়ী ইতিহাস। যা ভোলার মত নয়।তবে গ্রামে কাটানো শৈশব আর শহুরে জীবনে শৈশব ভিন্ন হয়ে থাকে।গ্রামে বাস্তবতার সাথে প্রতিটি ক্ষেত্র এক লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করতে হয়।ছোটবেলায় সাইকেল চালাতে গিয়ে কতবার যে পা কেটেছি তার হিসেব নেই।পুকুরে সাতার কেটে চোখ লাল করা,ডাংগুলি খেলে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া,হাডুডু খেলে ঠোঁট ফাটানো ইত্যাদি। যাইহোক,দাদার এমন শৈশব আমাকেও ছোটকালে ফিরে নিয়ে গেছে।এমন চমৎকার একটা ব্যাপার আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
দাদার পোস্টটি পড়ে সেই পুরোনো দিনের কথা গুলো মনে পড়ে গেল। মানুষ যখন ছোট থাকে তখন বড় হতে চায় ।কিন্তু বড় হলে সেই আবার ছোটবেলায় ফিরে যেতে চায়।
দুর্ঘটনার আর কিছুই বাকি রইল না মনে হচ্ছে দাদা। ছোটবেলায় দেখছি সত্যিই আপনি খুব দুষ্টুমি করতেন। আপনার ছোটবেলার মজার গল্পটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। আমি শুনেছি ছোটবেলায় যারা বেশি দুষ্টুমি করত তারা বড় হলে নাকি খুব শান্তশিষ্ট হয়ে যায়। আপনিও ঠিক তেমনি হয়েছেন। আপনার ছোটবেলার গল্পটি সত্যিই খুব মজার ছিল। যে কুকুরের কামড় খেলেন সেই কুকুরকে এখন সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। এত সুন্দর ছোটবেলার মজার গল্প গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
দাদা আমি প্রথমেই বলতে চাই আপনি শৈশবে বেশ দুষ্ট ছিলেন। আসলে শৈশবের চাঞ্চল্যতা বয়সের সাথে সাথে হারিয়ে যায়। বয়স যখন বেড়ে যায় ধীরে ধীরে সেই শৈশবের দুষ্টুমিগুলো হারিয়ে যায়। শৈশবের স্মৃতিগুলো সারা জীবন মনে থাকে। আপনি ছোটবেলায় আপনার খেলার সাথীদের সাথে অনেক আনন্দ করেছেন এবং অনেক দুষ্টামি করেছেন দাদা। আপনার লেখা শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করছি আপনি আরো মধুর সব স্মৃতিগুলো আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা। ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশা করছি দাদা।
দাদা আপনার ছোট বেলায় ঘটে যাওয়া কুকুরের কামড় দেওয়ার ঘটনাটি পড়ে আমার নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমি ছোটবেলায় কখনো কুকুরের কামড় খাইনি তবে কুকুরের তাড়া খেয়েছি প্রচুর।
দাদা এই লাইনটি বেশ মজার ছিল। আপনার ছোটবেলার এমন আরো অনেক গল্প শুনতে চাই, আপনার ছোটবেলার গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম দাদা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি যে ছোটবেলায় অনেক দুরন্তপনা ছিলেন তা আপনার ওপর এই কথাগুলো দ্বারাই বোঝা যাচ্ছে দাদা। আপনি ঠিক কথাই বলেছেন মানুষজনের সবথেকে সোনালী মধ্যে হচ্ছে শৈশবকাল। শৈশবকালে না থাকে কোন বেদনা না তাকে যন্ত্রণা থাকবে না বড় হওয়ার চিন্তা। শৈশবকাল সবার জীবনে মধুর একটি সময়। ভালোবাসা অবিরাম দাদা অনেক অনেক ভালোবাসা নেবেন।
ছোটবেলায় মানুষ কত বিচিত্র কিছুতে আনন্দ পায়, আপনার গল্পে মনে হলো হারানো শৈশবে ফিরে গেছি।এত মজা করে গল্প বলেছেন মুগ্ধ হয়ে গেলাম।মাটির ডিল ছোড়ার মজা উপভোগ করলাম একেবারেই ছোটবেলার মত করে।
দাদা আপনি ইঞ্জেকশন ভয় পান???🤭
শৈশবকাল আসলে মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। আপনার পোস্ট টি পড়েই বোঝা যাচ্ছে আপনি কতটা দুরন্ত ছিলেন দাদা। আপনার পোস্ট এর প্রত্যেকটি লাইন পড়ে যেন নিজের শৈশবে ফিরে যাচ্ছিলাম।
তবে কুকুর ভিষন ভাবে ভয় পাই আমি, কুকুর কে ঢিল মারার সাহস আমার হয় নি কখনো।
আর আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে প্রমান হলো মেয়েরা বুদ্ধুমতি 😛