Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৮
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৮
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৭
হ্যালো বন্ধুরা,
শুভ দুপুর বন্ধুরা, কেমন আছেন সব ?
আশা করি সবাই ভালোই আছেন । গতকাল আমি সন্ধ্যার দিকে একটু বিজি ছিলাম তাই হ্যাংআউট-এ জয়েন করলেও ঠিকমতো উপভোগ করতে পারিনি । যেহেতু বাড়ির বাইরে যখন ছিলাম তখন হ্যাংআউট শুরু হয়েছিল তাই মিস করেছি অনেক কিছুই । তবে শেষের দিকে মোটামুটি সব কিছু উপভোগ করতে পেরেছি । ভালোই লেগেছিলো আমার গতকালের আয়োজন ।
যাই হোক চলুন আজকের মিউজিয়াম পর্ব শুরু করা যাক ।
"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে ষোড়শতম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট পনেরটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :
১. লৌহ, ব্রোঞ্জ এবং তামার তৈরী প্রাচীনকালের দুটি মুষল বা গদা
২. সম্পূর্ণ রুপোর তৈরী অসাধারণ কারুকার্যমন্ডিত একটি বাতিদান
৩. একটি প্রাচীন আমলের ফলের রেকাবি, তামা ও স্বর্ণ নির্মিত
৪. রাজস্থান থেকে প্রাপ্ত অসাধারণ নক্সাকাটা খুবই দামি একটি হুঁকার নিচের অংশ
৫. রাজস্থানী বাহারি নক্সাকাটা একটি ভাস
৬. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য তাজ মহলের একটি মিনিয়েচার মডেল
৭. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অসাধারণ কারুকার্যময় একটি মানুষের হাতের প্রতিকৃতি
তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।
লৌহ, ব্রোঞ্জ এবং তামার তৈরী প্রাচীনকালের দুটি মুষল বা গদা । এগুলো যুদ্ধাস্ত্র । হাতাহাতির যুদ্ধে গদা একটি খুবই কার্যকরী অস্ত্র ছিল । শত্রুর হাতে তলোয়ার থাকা সত্ত্বেও গদার আঘাত ঠেকানোর কোনো কার্যকরী উপায় ছিলো না । এ জন্য গদা যুদ্ধে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি বাতিদান । সম্পূর্ণ রুপোর তৈরী অসাধারণ কারুকার্যমন্ডিত এই বাতিদানটি । বাতিদানটির উপরের দিকে ঝর্ণার মতো আর গোড়ার দিকে সিংহের আকৃতির মতো । বাতিদানটির মাথায় গোলাকৃতি অংশে রাখা হতো মোমবাতি । মোম গলে গলে নিচের বাটির মতো অংশে জমা হতো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একটি প্রাচীন আমলের ফলের রেকাবি । তামা নির্মিত এই রেকাবিটির গায়ের ফুল-লতা-পাতার যে ডিজাইন গুলি রয়েছে এগুলো আসল সোনার মিনে করা নকশা । প্রকান্ড এই থালাটিতে কম করে হলেও ৫০০ গ্রাম খাঁটি সোনা ব্যবহৃত হয়েছে ফুল লতা-পাতার নকশা তৈরী করতে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অসাধারণ নক্সাকাটা এই জিনিসটা কি বলতে পারবেন ? ফ্লাওয়ার ভ্যাস ? ভুল । এটি একটি প্রাচীন হুঁকার নিচের অংশ যেখানে হুঁকার জল রাখা হতো । হুঁকা কি করে কাজ করে জানেন তো ? হুঁকার মাথার উপরে থাকে তামাক ও আগুন । আগুনে তামাক পুড়ে যে ধোঁয়া তৈরী হয় সেটি সরু নলাকৃতি অংশ দিয়ে নিচের গোলাকৃতি অংশের জলে এসে মেশে । জলের ঠিক উপরে থাকে একটি নল বা পাইপ । এই পাইপ দিয়ে ধোঁয়া উদগীরণ হয় । আগুনের ধোঁয়া, তামাক পোড়া ধোঁয়া আর জলের বাষ্প মিলে একটি নেশাতুর ধোঁয়া তৈরী করে । সেটিকেই হুঁকাসেবনকারী মুখ দিয়ে গ্রহণ করে নাক দিয়ে বেরিয়ে দেয় । এই হুঁকার নিচের অংশটি স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা সহ বেশ কিছু দামী রত্ন দিয়ে ডিজাইন করা । এই বস্তুটি রাজস্থানের এক মহারাজার ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা থেকে প্রাপ্ত ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
রাজস্থানী বাহারি নক্সাকাটা একটি ভাস ।এটি রাজস্থানি এক ধরণের বেলে পাথর দিয়ে নির্মিত । রংবেরঙের নানা ধরণের ফুল, লতা-পাতার ডিজাইন করা ভ্যাসটির গায়ে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য তাজ মহলের একটি মিনিয়েচার মডেল । মডেলটি একেবারে হুবহু হয়েছে । অসাধারণ দেখতে, এত নিখুঁত তাজমহলের মডেল আমি এর আগে কোনোদিন দেখিনি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অসাধারণ কারুকার্যময় একটি মানুষের হাতের প্রতিকৃতি । এই মডেলটি দেখে আমার একটি কথাই মনে হয়েছে যে এটি খুব সম্ভবত ধনী ব্যক্তিদের স্নানের সময় গাত্র-মার্জনা করার কাজে ব্যবহৃত কোনো একটি বস্তুই হয়ে থাকবে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
শ্রদ্ধেয় দাদা♥
প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে ষোড়শতম পর্ব দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অসাধারণ কারুকার্যময় একটি মানুষের হাতের প্রতিকৃতি । দেখে বিস্মিত হয়ে গেলাম আমি।
এ পর্যন্ত আপনার মোট পনেরটি পর্বে দেখেছি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছেন। যা দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছি। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা দাদা♥♥
ভাস টি দেখে সত্যিই অনেক মুগ্ধ হয়ে গেলাম।কি সুন্দর নকশা কিভাবে জে এগুলা সম্ভব আমার মাথায় ঢুকে না।
আসলেই সৌন্দর্য যেন চোখের পলক ফেলতে দেয় না।
একদমই অসাধারণ এটি ❣️
নিখুঁত কারুকাজ যাকে বলে 👌
হাতির দাঁতের তৈরি ভাবা যায় 😲
প্রতিবারের মতো অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম ♥️
শুভ কামনা রইল দাদা 💚
ভালো থাকুন ✨
সত্যিই অসাধারণ কারুকার্য ভাই । যে দেখবে সেই অবাক হবে । বাকি ছবি গুলোও সুন্দর ছিল । বিশেষ করে গদার ব্যাপারটি প্রথম জানলাম। গতকাল প্রথম দিকে আমরাও আপনাকে হাংআউটে ভীষণ মিস করেছি । শুভেচ্ছা রইল ভাই ।
রুপোর তৈরি এই বাতিদানটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর কারুকার্য করা। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে দাদা। এছাড়াও বাকি যে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। মিউজিয়ামের ভেতরের সব ফটোগ্রাফিগুলো যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি দাদা। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। দারুন সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
দাদা প্রতিদিনকার মত আজকের পর্বেও নতুন অনেক কিছু দেখতে পেলাম। যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে গদা কিভাবে ব্যবহার হতো এটা ভাবতেই অবাক লাগে। এত ভারি একটি জিনিস চালাতে চালাতেই শত্রুপক্ষ আঘাত করে দেয়ার কথা। এছাড়া তাজমহলের মিনিয়েচার টি এক কথায় অসাধারণ। এত সুন্দর একটি স্থাপত্য তাও আবার হাতির দাঁতের তৈরি না জানি কিরকম দাম। সম্ভবত এই ছবিটি আগেও একবার শেয়ার করেছিলেন। আর গাত্র মার্জনের জন্য ব্যবহৃত হাত দেখে অবাক হলাম। ভেবেছিলাম এটা বোধহয় আধুনিক যুগের সৃষ্টি।
হ্যা দাদা।হ্যাংগ আউটে আসলেই মজা হয়েছে কারণ ভিন্নতা ছিলো অনেক।
লাস্ট ছবিটি দেখে থমকে গেলাম!হাত ও বানিয়ে ফেলে কি করে!বাপরে বাপ।
দাদা আজকের পর্বের অ্যান্টিক সব দ্রব্য সামগ্রী দেখে আমি মুগ্ধ। বিশেষ করে হাতির দাঁতের তৈরি তাজমহলের মিনিয়েচার টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আমাদের মাঝে আন্টিক সব দ্রব্যসামগ্রী গুলো পর্ব আকারে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বাহ অসাধারণ একটি এপিসোড দাদা। আপনার এই ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ভ্রমণটা আমরাও বেশ উপভোগ করলেন। আজকের লোহা ব্রঞ্জ এর সামগ্রী গুলো দারুণ ছিল। তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে হাতির দাতের তৈরি তাজমহল। বেশ সুন্দর নিখুত ছিল কারুকাজ টা।