Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৭
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৭
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৬
হ্যালো বন্ধুরা,
শুভ দুপুর বন্ধুরা, কেমন আছেন সব ?
আজকে ঘুম থেকে একটু দ্রুতই উঠলুম । দু'টোর দিকে বই মেলায় যাওয়ার কথা আছে আজকে । কলকাতার এই বইমেলা কিন্তু এশিয়ার বৃহত্তম বইমেলা, সেই ১৯৭৬ সাল থেকে যখন ফার্স্ট কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় । বিভিন্ন দেশের হরেক রকমের ষ্টল থাকে মেলায় । বাংলাদেশ, চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ইতালি, ইউনাইটেড কিংডম, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু, ভিয়েতনাম, পেরু, সাউথ আফ্রিকা, ভেনিজুয়েলা প্রভৃতি দেশ থেকে আগত অনেকগুলি বইয়ের স্টল থাকে র থাকে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে হরেক ভাষার বইয়ের ষ্টল । আমি অত কিছু বুঝি না, বাংলা বই আর গুটি কয় ইংলিশ বুক ছাড়া আর কিছুই ছুঁয়ে দেখি না ।
এবারো আমার টার্গেট কয়েকটি বিশেষ বইয়ের স্টল - দেব সাহিত্য পরিষদ, লালমাটি, উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির, আনন্দ পাবলিশার্স, সন্দেশ, পত্র ভারতী এবং পেঙ্গুইন পাবলিশার্স । তবে এবার ভাবছি বাংলা কল্পবিজ্ঞান ও কমিকসের কয়েকটি বিশেষ স্টলেও হানা দেব ।
যাই হোক চলুন আজকের মিউজিয়াম পর্ব শুরু করা যাক ।
"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে পঞ্চদশতম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট চোদ্দটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :
১. একটি তাম্র নির্মিত নক্সাকাটা গম্বুজ আকৃতির মুঘল আমলের ঢাকনা আঁটা পাত্র
২. স্বর্ণ নির্মিত প্রাচীন রাজস্থানের একটি যুদ্ধের ঢাল
৩. স্বর্ণ নির্মিত একটি ফুলের ডালি, ফুল, পাতা, ফুলের কুঁড়ি আর প্রজাপতি
৪. রাজস্থান থেকে প্রাপ্ত একটি সুরাদান, জয়পুরের লাল পাথর দিয়ে নির্মিত, রং-বেরঙের ফুলের নকশা কাটা
৫. একটি বহু প্রাচীন ভারতের রাজপুতদের দ্বারা যুদ্ধে ব্যবহৃত শিরস্ত্রাণ
৬. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী এক জোড়া যুদ্ধরত হস্তীর মূর্তি
৭. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অসাধারণ কারুকার্যময় একটি খঞ্জর
তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।
এটি একটি তাম্র নির্মিত নক্সাকাটা গম্বুজ আকৃতির মুঘল আমলের ঢাকনা আঁটা পাত্র ।পাত্রের মাথায় ঢাকনা আঁটা থাকলে এটিকে দেখতে হুবহু একটি মুসলিম আর্কিটেকচার মিনারের মতোই দেখতে লাগে । পাত্রটিতে গায়ের অসাধারণ কারুকার্য সেই সময়কার ভারতে মুঘলদের রুচির পরিচয়ই বহন করছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এই যুদ্ধের শিল্ডটা দেখে আমি পুরো হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম । জয়পুর, রাজস্থান এর প্রাচীন এক রাজবংশ থেকে প্রাপ্ত এই যুদ্ধ শিল্ডের বহির্ভাগ পুরোটাই স্বর্ণ নির্মিত । অসাধারণ ফুল লতা পাতার ডিজাইন করা শিল্ডটির গায়ে । পুরোটাই স্বর্ণের । শুধু শিল্ডটির অভ্যন্তরে রয়েছে ব্রোঞ্জের অনেকগুলি পুরু পাত যা শিল্ডটিকে অভেদ্য করে তুলেছে । তারপরেও সোনার অংশ নেহাত কম নেই ঢালটিতে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অসাধারণ এই বস্তুটি হলো স্বর্ণ নির্মিত একটি ফুলের ডালি, ফুল, পাতা, ফুলের কুঁড়ি আর প্রজাপতি । সব কিছুই অসাধারণ সুন্দর এবং নিখুঁত তৈরী করা হয়েছে । আর গোটাটাই তৈরী করা হয়েছে সোনা দিয়ে । অসাধারণ শিল্পকর্ম ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
রাজস্থান থেকে প্রাপ্ত এই সুরাদান টি জয়পুরের লাল পাথর দিয়ে নির্মিত । এর গায়ের রং বেরঙের ডিজাইন করা রয়েছে - লালের উপরে নীল, সবুজ, হলুদ, সাদা এবং কালো রঙের ফুলের নকশা কাটা রয়েছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি বহু প্রাচীন ভারতের রাজপুতদের দ্বারা যুদ্ধে ব্যবহৃত শিরস্ত্রাণ । আগেকার দিনে যুদ্ধ হতো ঢাল, তলোয়ার , বল্লম আর তীর ধনুক নিয়ে । তখন মাথায় শিরস্ত্রাণ পরা হতো তলোয়ার, বল্লম এবং তীরের প্রাণঘাতী আক্রমন থেকে মাথা সুরক্ষিত রাখতে । শিরস্ত্রানটির গায়ের নকশা দেখে সহজেই অনুমেয় যে এটি কোনো সেনাপতি বা সেনা-অধিনায়কের শিরস্ত্রাণ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী এক জোড়া যুদ্ধরত হস্তীর মূর্তি । হস্তীদ্বয়ের গায়ে অসংখ্য সুক্ষ সব কারুকাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । দারুন দেখতে সত্যি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী একটি খঞ্জর । যদিও এটি যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ অনুপুযুক্ত । কারণ এটি একটি শো পিস্ । খঞ্জরটির হাতলটি দেখার মতো । অসাধারণ কারু কাজ করা হাতলের শেষ মাথায় রয়েছে একটি নক্সাকাটা গোটা হাতির মূর্তি । চোখ জুড়িয়ে যায় শো পিসটি দেখলে । অসাধারণ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
47 তম এপিসোড।শুরু হলো প্রাণের বইমেলা দিয়ে।আমাদের এখানেও চলছে একুশে বইমেলা।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এবারের বইমেলায় আমার কোন বই আসে নাই এবং আমার নিজেরও বইমেলা যাওয়া হয়নি।প্রতি বছর মেলায় যাই।বই মেলা হচ্ছে লেখকদের একটি মিলনমেলা।মেলায় গেলে ছোট-বড় সব ধরনের কবি সাহিত্যিক সবার সাথে দেখা হয় মনটা ভরে যায়। দাদা এই এপিসোডে সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী এক জোড়া যুদ্ধরত হস্তীর মূর্তি । হস্তীদ্বয়ের গায়ে অসংখ্য সুক্ষ যে সব কারুকাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সত্যিই বেশ লাগছে দেখতে ।
♥♥
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
আমি তো আমাদের দেশে বই মেলায় গেলে, একটু আকটু উপন্যাস কিংবা গল্পের বই দেখি।তবে বই মেলায় যেতে ভালো লাগে।যাই হোক আজকের ফুলের ডালিটা দেখতে আমার কাছে অন্যরকম লাগছে।এত এত স্বর্ণ দিয়ে এত এত জিনিস বানানো।সুরাদান টাও বেশ সুন্দর। সব গুলোই ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
এপিসোড ১ থেকে দেখতেছি সেই ধারাবাহিকতায় আজ ৪৭ তম এপিসোড। প্রতিটি এপিসোড দেখি আর মুগ্ধ হই। আজকের ফটোগ্রাফির মধ্যে প্রাচীন ভারতীয় রাজপুত্র দের শিরস্ত্রান আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যুদ্ধের মুভিতে এইগুলো দেখা যায়।
হানা দিবেন কি দাদা, পুরো স্টলের ভিতরে যা আছে সব সাবার করে দিবেন, হা হা হা। তারপর আমাদের সাথে কমিকসগুলো শেয়ার করবেন।
সত্যি দাদা পুরো কর্মটি বেশ দক্ষতা এবং অসাধারণভাবে সম্পন্ন করেছে। বেশ দারুণ লাগছে এটা দেখতে।
দেখতে দেখতে মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফির ৪৭ তম পর্ব পেরিয়ে গেল। প্রত্যেকটি পর্ব অনেক সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো ছিল।
আপনি এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন যে দেখে আমাদের অনেক ভালো লেগেছে। তেমনি আজকের পর্বে আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো অনেক সুন্দর। যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি দাদা। দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেইসাথে বই মেলায় অনেক সুন্দর সময় কাটান এই কামনাই করছি দাদা।
দাদা এ পর্যন্ত অনেক কিছুই দেখেছি তবে এই পর্বে এসে সোনা ডালি দেখে খুবই অবাক হয়ে গেলাম এবং কি জুম না করলে বুঝতে পারতাম না যে আসলে এতে কি আছে। এত সুন্দর কারু কাজ যা সত্যি অকল্পনীয় ছিল। বরাবরের মতো হাতির দাঁতের খন্জর এবং কি হাতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে গেছে। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
দেখতে দেখতে ভারতীয় মিউজিয়ামের ৪৭ পর্বের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এই ফটোগ্রাফির গুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে যুদ্ধের শিল্ডটি দেখে আমি অবাক। এই শিল্ড পুরোটা স্বর্ণ দিয়ে তৈরি। এটা শুনে সত্যি আমি হতবাক হয়ে গেছি। আসলে এত সুন্দর ভাবে তারা তৈরি করেছিল স্বর্ণ দিয়ে। এটি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
বেশ চমৎকার একটি দেখার মতো জিনিস হলো সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী খঞ্জরটি। দারুন জিনিসটা বারবার তাকিয়ে দেখছিলাম। 😍
কি নিপুণ কারুকাজ । মাঝে মাঝেই মনে হচ্ছিল দু একটা এনে আমার বাসায় সাজিয়ে রাখি ☺️
আমাদের এখানে যখন বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় তখন আমি প্রতিবারই যাওয়ার চেষ্টা করি। বই মেলায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ধরনের বই সম্পর্কে জানতে আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বিভিন্ন উপন্যাস এবং গল্পের বই গুলোর দিকে আমি সবসময় বেশি আগ্রহী থাকি।
দাদা আজকের পর্বের প্রাচীন অ্যান্টিক দ্রব্যসামগ্রী গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। প্রাচীনকালের সব এত সুন্দর নিখুঁত কারুকার্য এবং শিল্পকর্ম দেখে আমি মুগ্ধ। বিশেষ করে স্বর্ণনির্মিত এই ফুলের ডালি থেকে চোখ ফেরাতে পারছিনা। জুম করে ফটোটি বেশ অনেকবার দেখলাম। অসাধারণ সব শিল্পকর্ম। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা পর্ব আকারে আমাদের মাঝে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর এত সুন্দর সুন্দর নিদর্শন উপহার দেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বইমেলায় গেলে খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন সব বইগুলো পাওয়া যায় এখানে। তবে যাই হোক দাদা আজকে আপনি ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ভেতরের যে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। হাতির দাঁতের তৈরী খঞ্জর দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি দাদা। খুবই নিখুঁত কারুকার্য করা। এছাড়াও অন্যান্য যে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলোও অনেক সুন্দর দেখতে। দাদা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। সেই সাথে শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সব গুলোই সুন্দর লেগেছে । তবে এইটা বেশি আকর্ষণীয় । আমারো ভাই বইমেলায় যাওয়ার ইচ্ছে করছে ভাই । নতুন বইয়ের পৃষ্ঠার গন্ধের আলাদা একটা উম্মাদনা থাকে । একমাত্র যারা বই পড়ে তারা এটা ভালোভাবে বুঝতে পারে । শুভেচ্ছা রইল ভাই ।
@tipu curate 9
Upvoted 👌 (Mana: 0/9) Get profit votes with @tipU :)
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
প্রতিদিনের মত আজকেও আপনার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে কিছু অজানা জিনিস সম্পর্কে জানতে পারলাম। দেখতে পারলাম আমাদের অজানা কিছু ঐতিহ্যবাহী জিনিস।
এছাড়াও আগের যুগের রাজাদের বল্লম এবং তীর ধনুক।
আপনার এই পোস্ট গুলোর মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকদিন ভারতীয় ঐতিহ্যের কিছু সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখতে পাই। যা হয়তো বা কোনদিন আমাদের দেখার সৌভাগ্য হত না আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সেই সৌভাগ্য অর্জন করি দাদা। আমাদের এমন সুন্দর একটি সৌভাগ্য করে দেবার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
আমাদের এখানেও বই বেলা চলছে।তবে কেনো জানিনা একেবারেই ফ্রি টাইম বের করতেই পারছিনা।আসলে সত্যি বলতে সম্পূর্ণটাই অলসতা।
হাতির দাঁতের উপর কারুকাজ গুলো সবসময় আমি মুগ্ধ হয়েই দেখি।
বছরের কোন সময়টাতে চলে বইমেলা?
আমাদের এখানে বাংলা একাডেমি বইমেলা চলে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে। এখানে অনেক যাওয়া হয়। ইচ্ছা আছে কলকাতায় একবার গেলে বইমেলা প্ল্যান করে যাব।
স্বর্ন নির্মিত ফুলের ডালি, ফুল, পাতা, ফুলের কুঁড়ি আর প্রজাপতি আমাকে খুব অবাক করেছে।
কলকাতার বইমেলা এশিয়ার বৃহত্তম বইমেলা এটি আমিও শুনেছি, কিন্তু যাওয়া হয় নি কখনো।একবার অবশ্যই যাবো কোনো গল্পের বই সংগ্ৰহ করতে বইমেলায়।কারণ গল্পের বই পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে।যাইহোক আজকের ফটোগ্রাফিও খুব সুন্দর দাদা।কোনটি সোনা ও কোনটি তামা বা লোহার ঠিক বুঝে ওঠা মুশকিল।সবই একই লাগে আমার কাছে।ভালো লাগলো ফুলের ডালাটি।ধন্যবাদ দাদা।
প্রথমে দাদার সুস্থোতা কামনা করি । আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সব গুলোই অমায়িক ছিল ।
আমার কাছে অসাধারন লেগেছে প্রতিটি ফটো গ্রাফি দাদা ।বিশেষ করে রাজস্থান থেকে প্রাপ্ত একটি সুরাদান, জয়পুরের লাল পাথর দিয়ে নির্মিত, রং-বেরঙের ফুলের নকশা কাটা
এবং বহু প্রাচীন ভারতের রাজপুতদের দ্বারা যুদ্ধে ব্যবহৃত শিরস্ত্রাণ টি চমৎকার লেগেছে ।ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ।
কলকাতায় এত বড় বইমেলা হয় আগে জানা ছিল না । বিশ্বের নামিদামি সব বইয়ের স্টল সেখানে দেখা যায় আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম । তবে আজকের পর্বটি আমার কাছে আরো বেশি ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে কারণ আজকের স্বর্ণের অনেক কারুকার্যখচিত জিনিস পত্র দেখতে পেতাম অনেক দামী দামী বেশ কিছু জিনিসপত্র দেখতে পেলাম
এই যুদ্ধের শিল্ড তা দেখে আমি অবাক হয়েছি স্বর্ণের মধ্যে কি সুন্দর করে কারুকার্যখচিত করা হয়েছে । আজকের পর্বটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা । ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ।
আজকের পোস্টের সবচেয়ে আর্কষনীয় বিষয় হচ্ছে যুদ্ধের শিরস্ত্রাণ যেটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।তাছাড়া দাঁতের তৈরি মূর্তি গুলো ও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এতো পযন্ত যতগুলো পর্ব এসেছে সেগুলো তে আমরা কিছু কিছু অজানা বিষয় জানতে পেরেছি যা আমাদের অনেক সৌভাগ্যের বিষয়।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা উপকারী পোস্ট গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।
দাদা কলকাতায় যে কত বড় বইমেলা হয় জানা ছিল না। বই কেনার খুব বেশি সামর্থ্য না থাকলেও বই মেলায় ঘুরতে আর বই দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। যাই হোক যুদ্ধের সিল্ড টি দেখে হতবাক। এমন শিল্ড নিয়ে যুদ্ধে গেলে সাধারণ সৈন্যরা সব ঝাপিয়ে পড়বে ওই শিল্ড দখল করার জন্য হাহাহাহা।
আজকে মনে হচ্ছে অনীশ দেব আর অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর বইয়ের পাহাড় বাড়িতে আসতে চলেছে 😆। দাদা বইয়ের সাথে মুরগি রোস্ট মিস করলে হবেনা।
হাতির দাঁতের তৈরী খঞ্জরের কারুকার্য অতীব সুন্দর, খুবই সূক্ষ্ম কাজ। সবচেয়ে নজরকাড়া ব্যাপারটি হলো হাতলটি পুরো হাতির প্রতিকৃতি। এককথায়, অসাধারণ।
আমার কাছে আজকের এই ফটোগ্রাফিতে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে এটি।পুরোটা সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দেখেই তো অবাক হয়ে গেলাম।এত সুন্দর আর নিখুঁতভাবে পুরো কাজটি কিভাবে যে করা হলো।বাকিগুলোও খুব খুব ভালো লেগেছে দাদা।প্রতিনিয়ত নতুন জিনিসগুলোর সাথে পরিচিত হচ্ছি।
জ্বী দাদা কলকাতার বইমেলা সম্পর্কে অনেক শুনেছি। এছাড়াও হুমায়ুন আহমেদ এর বইয়ে কলকাতার বই মেলা সম্পর্কে জেনেছিলাম।
এগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। মুগল আমলের এই জিনিস গুলো বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে দেখিছি । বাংলাদেশের ছাড়াও হাতির দাঁতের বিভিন্ন জিনিস গুলো খুব ভালো লেগেছে। এইভাবে আপনি আমাদের মাঝে কেন মূলক বিভিন্ন জিনিসপত্র ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেছেন যা আমার খুব ভালো লাগে।
অসাধারণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা ভাই। এই ফটোগ্রাফি গুলা যতই দেখি,ততটাই ভালো লাগে। হাতির দাঁতের তৈরি প্রতিটি জিনিস আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। আর এই জিনিসগুলো দেখলে মাথায় খালি একটা ব্যাপার ঘরে যে কি করে হাতের দাগ দিয়ে এত সুন্দর নকশি করা জিনিস গুলো বানানো যায়। সত্যিই মানুষ অনেক সৃজনশীল। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা প্রতিবারের মতো এবারও অনেক জানা-অজানা তথ্য নিয়ে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর ভ্রমণ পর্ব যতই হোক না কেন, প্রতিটি ভ্রমণ পর্ব খুব মুগ্ধকর এবং আকর্ষণীয়। দাদাভাই আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো। পরিবার নিয়ে সবসময় অনেক ভাল থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন এই কামনা করি 💞।