গোয়েন্দা রহস্য গল্প : "অর্কিড যখন মৃত্যুর হাতছানি দেয়" - অন্তিম পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)


copyright free image source pixabay

একাদশ পর্বের পর


দ্বাদশ


একটানা কিছুক্ষন বলে একটু থামলেন ইন্সপেকটর, জল খেয়ে গলাটা একটু ভিজিয়ে নিয়ে আবার শুরু করলেন তাঁর ডিডাকশন পর্ব ।

-"খুনীর অনুসন্ধান পর্বে প্রথম সূত্র পাই প্রোফেসর সেনের ফ্ল্যাটের মেইন দরজার বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে । যখন আমি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাই যে ক্যাটালগ ডেলিভারি ম্যানই হলো হয় হত্যাকারী অথবা হত্যাকারীর সহকারী । ক্যাটালগের ফরেনসিক রিপোর্ট আর ডেডবডির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পরে এ ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ হই । তবে, আমার বরাবরই বিশ্বাস ছিল হত্যাকারী একা, তার কোনো সহযোগী নেই । সেই বিশ্বাসটা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হলো যখন আমরা ওই অর্কিড হাউজে তদন্ত করতে যাই । "

-"সত্যি বলতে কি ওই অর্কিড হাউজের সেদিনের তদন্তের পর থেকেই আমি আততায়ীকে চিনে ফেলি ।বড়বাবু, একটু চিন্তা করে দেখুন, মি: সেন একটা অর্কিড অর্ডার করেছিলেন যেটা তখনও ডেলিভারি দেয়া হয়নি । এমনকি ম্যানেজার জানেও না মি: সেন খুন হয়েছেন । তার মানে গত সপ্তাহে মি: সেনের সাথে অর্কিড হাউজের কারো কোনো কন্টাক্ট হয়নি । তাই সেদিন যিনি প্রোফেসর সেনকে ফোনে অর্কিডের নতুন এ+ ক্যাটালগটার কথা বলেছিলেন তিনিই আততায়ী । আর তিনিই প্রোফেসরকে ক্যাটালগে বিষ মাখিয়ে ডেলিভারি দিয়েছিলেন । এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় ।"

-"কিন্তু সেখানেও একটা খটকা থেকেই যায় । মি: সেন মাত্র ৬ মাস হলো ইন্ডিয়ায় ফিরেছেন । কারো সাথে মিশতেন না । তাহলে কার পক্ষে সম্বব তার পার্সোনাল মোবাইল নাম্বার জানা, এড্রেস জানা আর ক্যাটালগ ডেলিভারি দেয়া । ইনফ্যাক্ট, বাইরের অপরিচিত করোর পক্ষে সম্ভবপর নয় তার অর্কিডের উপরে টানের কথা জ্ঞাত হওয়া । ক্যাটালগের কথা জানা । রেয়ার অর্কিড কেনার কথা জানতে পাওয়া, ইত্যাদি। অথচ বিষ এসেছে সুদূর ব্রাজিল থেকে ।"

-"অফিসে ফিরে যখন আমি ক্যাটলগটা দেখছিলাম তখন দেখি ক্যাটালগটি একেবারে নিউ এডিশন । মাত্র দিন দশেক আগের প্রিন্টেড । এই নিউ ক্যাটালগটাই পাওয়ার কথা ছিল মি: সেনের । তার মানে খুনি আগে থেকেই জানতো এই ক্যাটালগের কথা । এর থেকে আমরা দৃঢ় ধারণা হয় খুনি এই কার্লা পোর্তো'র ভিতরের কেউ । কিন্তু সেখানেও মস্ত বাধা । কার্লা পোর্তো'য় যারা কর্মচারী তারা কিভাবে পাবে এই অজ্ঞাত সুদূর ব্রাজিলের বিষ । আর যাই হোক পার্সেল করে বিষ আনা অসম্বব ব্যাপার । তাহলে বাকি থাকলো কে ?"

-"কে স্যার ?", বিস্মিত গলায় এতক্ষন পরে কথা ফুটলো বড়বাবুর গলায় ।

-"আপনি ভুলে গেছেন বড়বাবু । এই অর্কিড হাউজের কিন্তু দু'জন এজেন্ট ছিলো ব্রাজিলের সাও পাওলোতে । আমি ম্যানেজারকে বলেছিলাম তাঁদের এজেন্ট দু'জনের ছবি সহ পূর্ণ বায়ো-ডাটা পাঠাতে । সেটা এনালাইসিস করেই আমি সম্ভাব্য খুনির সন্ধান পেয়ে গেলাম । আপনার মনে আছে কি বড়বাবু ম্যানেজার আমাদের বলেছিলেন যে খুন হওয়ার এক দিন আগে এক জন অচেনা লোক এসেছিলেন একটা এ+ ক্যাটেগরির ক্যাটালগ নিতে ? তাঁর রহস্যময় আচরণ, indentity লুকানোর চেষ্টা আমার মনে সন্দেহের উদ্রেক করে । সর্বোপরি খুনের মাত্র ১ দিন আগে এ+ ক্যাটালগটি মিথ্যে কথা বলে নেওয়া । উনি কার্লা পোর্তো'র সাথে টাই আপে বিজনেস রান করতে চান ব্রাজিলে । অথচ এসেছেন মামুলি ট্যাক্সি করে । এতে দুটো জিনিস বোঝা যায় । হয় ওঁনার আর্থিক অবস্থা ভাল না অথবা, উনি কলকাতার বাইরের কোনো লোক । "

-"শেষের টাই ঠিক । উনি কোলকাতার বাইরের লোক । এবং মিথ্যে কথা বলে খুনের ঠিক আগের দিন ক্যাটালগ নিতে আসা লোক । আইডেন্টিটি লুকোনোর চেষ্টা করা । এ গুলোই অত্যন্ত সন্দেহজনক ।"

-"এর পরে আমি অফিসে ফিরে ম্যানেজারের পাঠানো হোয়াটস্যাপ মেসেজ থেকে এক জন এজেন্টের চেহারার সাথে ম্যানেজারের বর্ণনার সেদিনকার ছেলেটার চেহারার আশ্চর্যজনক মিল খুঁজে পাই । দ্রুত আমি ফটোগ্রাফি আমাদের সাইবার সেলে পাঠিয়ে চোখে সানগ্লাস, মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ি আর মাথায় পনিটেল সহ জিপসি স্টাইলের ঝাঁকড়া চুল বানিয়ে দিতে বলি । কিছুক্ষন পরে সাইবার সেল থেকে পাঠানো এডিটেড ফোটোগ্রাফটি আমি আবার ম্যানেজারকে হোয়াটস্যাপ করে জানতে চাই যে এই লোক-ই কি সেদিন তাঁর অর্কিড হাউজে এসেছিলো ক্যাটালগ নিতে ? ম্যানেজার নির্দ্বিধায় কন্ফার্ম করেন, ইনিই তিনি ।"

-"আমিও বুঝতে পেরে যাই কার্লা পোর্তো'র ব্রাজিলিয়ান এজেন্টই আমাদের কাঙ্খিত খুনি । মাথায় জিপসি পরচুলা, চোখে সানগ্লাস আর মুখের ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ির জন্য আমাদের ম্যানেজার বাবু তাঁদের এই এজেন্টটিকে চিনতে পারেননি সেদিন । আসলে ম্যানেজার বাবুকেও দোষ দেওয়া যায় না । একে তো বেচারি মাত্র ক'দিন হলো নতুন জয়েন করেছে, তার উপর এজেন্টের সাথে তো কখনোই চাক্ষুস আলাপ আলোচনা হয় না । যা হয় হোয়াটস্যাপ মারফত ।"

-"খুনির তো নাম, ধাম, ছবি সবই পেয়ে গেলাম । তবুও এখনো অনেকটাই বাকি আছে ।সেই যে খুন করেছে তার প্রমান কি ?"

-"প্রমাণ বের করতে আমাকে তেমন কোনো কষ্টই করতে হলো না । খুনি ক্যাটালগটি নিয়ে এসে তারপরের দিন তার হোটেল রুমে বসে বিষ মাখিয়ে দেয় অর্কিডের ছবিটিতে । তারপরে ফোন করে প্রোফেসরকে । বলে নিউ এ+ ক্যাটাগরি ডেলিভারি দেবে একটু পরে । ঠিক দশটায় সে মারাত্মক ক্যাটালগটি ডেলিভারি দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল থেকে সিম কার্ডটি বের করে ডেস্ট্রয় করে ফেলে । এই সিম কার্ডটি সে এক মোবাইল রিচার্জের দোকান থেকে বেনামে নিয়েছিল । এই ধরণের বেনামি সিমকার্ড হামেশাই বিক্রি হচ্ছে কলকাতা শহরে । খুনি ভেবেছিলো মোবাইল কল এর সূত্র ধরে তাকে কোনোমতেই পুলিশ ধরতে পারবে না । সাবধানী খুনি সন্ধ্যের মধ্যেই হোটেল বদল করে ফেললো । "

-"আপনার পাঠানো কল রেকর্ডসের তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা জানতে পারলাম খুনি প্রথমে কোন হোটেলে উঠেছিল । সেই হোটেলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বিকাশবাবু ঘটনার দিন সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ ওই হোটেল থেকে চেক আউট করেন । সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটা থানায় জরুরি তলব করা হয় বিকাশ সাঁতরা নামের ব্রাজিল পাসপোর্টধারী কোন হোটেলে চেক ইন করেছেন ? ঘন্টা ছয়েক এর মধ্যে আমরা হোটেলটি ট্র্যাক করতে সমর্থ হই ।"

-"এর পরে আমি কন্টাক্ট করি এয়ারপোর্ট পুলিশের সাথে । দ্রুত বিকাশবাবুর সম্পর্কে সব ডিটেলস দিয়ে ব্রাজিলের সবগুলি ফ্লাইট বুকিং গুলোর উপরে নজরদারি রাখতে বলি । ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয় পরের দিন রাত ১১ টা ৪৫ এ ব্রাজিলের ফ্লাইট বুক করেছেন বিকাশবাবু । আর কি, আমরা ডিপার্চার গেটে ফাঁদ পাতি । তারপর তো আপনি জানেনই ।"

-"আসলে, সব কিছু ভালোভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে বিকাশবাবু যেহেতু ব্রাজিলের নাগরিক এবং সাও পাওলোতেই থাকেন তাই ব্রাজিলে থাকা কালীন প্রোফেসর সেনের সাথে তার আলাপ হওয়া আশ্চর্যের কিছু নয় । আমার ধারণা শুধুমাত্র আলাপ নয় । সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠই ছিল । প্রোফেসর চলে আসার পরে খুব সম্ভবত: বিকাশবাবুর সাথে তাঁর আর কোনো রকমের সম্পর্ক ছিল না । যা ছিল তা শুধুই শত্রুতার সম্পর্ক । আসলে বিকাশের হাত থেকে বাঁচতেই প্রফেসরের হঠাৎ ইন্ডিয়াতে চলে আসা । বিকাশ কার্যতঃ মি: সেনকে হারিয়ে ফেলে । কোনো খোঁজ পায় না । হঠাৎ মি: সেনের একটা অর্কিডের অর্ডার সে পায় সাও পাওলোতে কার্লা পোর্তোর মাধ্যমে । দ্রুত সে কার্লা পোর্তোর পাঠানো অর্কিডের অর্ডার ডিটেলস থেকে তার পরম শত্রু প্রফেসর সেনের ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার বের করে । দ্রুত প্ল্যান করে ফেলে শত্রুকে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার । ভিসা করে ইন্ডিয়ায় চলে আসে আর তারপরে সব প্ল্যান মাফিক করে ফেলে । "

-"কিন্তু মোটিভ ? মোটিভ কি স্যার ?", বড়বাবুর বিস্ময় ।

-"আপনি মি: সেনের লেখা ডাইরি তিনটি পড়লে জানতে পারবেন এই খুনের পিছনের মোটিভটি । আসলে ব্রাজিলে রিসার্চ করাকালীন প্রোফেসর সেনের সাথে পরিচয় হয় একদল অর্কিড হান্টারদের সাথে । তাদের দলনেতা হলো মার্কোস নামে ব্রেজিলিও আর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হলেন ইনি , মি: বিকাশ সাঁতরা । তাঁদের অর্কিড হান্টিং অভিযানে নিছক এক জন রিসার্চার হিসাবে যোগদান করেন প্রোফেসর সেন । সুদীর্ঘ মারাত্মক বিপদসংকুল সেই অভিযানে আমাজন নদীর একটি অববাহিকায় এক বিশেষ ট্রপিক্যাল মহামারীতে দলের অর্ধেক মারা পড়েন । তবুও সেই অভিযান অব্যাহত থাকে । শেষমেশ তাঁরা যখন তাঁদের সেই কাঙ্খিত বস্তুর খুব নিকটে তখনই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো একদল নরমাংসলোলুপ আদিম জনগোষ্ঠীর সাথে সংঘৰ্ষ হয় তাঁদের । শোচনীয় পরাজয় হয় দলের । বেশিরভাগ লোক মারা পড়ে মানুষখেকোদের বিষাক্ত তীরের আঘাতে । দলপতি মার্কোস মারা পড়ে । প্রাণ হাতে করে কোনোক্রমে গুটিকয় লোক নিয়ে অভিযান সফল করেন বিকাশবাবু । অর্কিড সংগ্রহ করে ফেরার পথে আবার আর এক দল উপজাতির খপ্পরে পড়েন তাঁরা । অবশিষ্ট লোকজন মারা পড়ে । কিন্তু প্রোফেসর সেন লোকালয়ে ঠিকই পৌঁছে যান । ব্যাস এই পর্যন্তই লেখা ডাইরি তিনটির শেষ খন্ডে । "

-"মিথ্যে !!! শেষের কথা গুলো ডাহা মিথ্যে লিখেছে সেন । শয়তান ! ডাইরিতেও মিথ্যে লিখেছে । দুনিয়ায় কেউ অন্তত ডাইরিতে মিথ্যে কথা লেখে না ।", হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠলেন বিকাশ সাঁতরা ।

-"কী মিথ্যে লিখেছেন উনি ? বিকাশবাবু ?", তীব্র কণ্ঠে জানতে চাইলেন ইন্সপেক্টর সেন ।

-"আমরা দুই জন আর সাথে আমার দুই সঙ্গী । এই চার জন সারভাইভ করতে পেরেছিলাম । কিন্তু, আমাদের ধোঁকা দিয়ে অর্কিডগুলো নিয়ে পালিয়ে যায় ওই শয়তান সেন । আমাদের তিনজনকে নিশ্চিত মৃত্যুমুখে ফেলে গিয়ে সভ্য জগতে ফিরে ওই শয়তান গোপনে সেই অর্কিডগুলো বিক্রি করে ৩ মিলিয়ন ডলারে । আমাদের রক্তে যার প্রতিটা পাপড়ি রঞ্জিত । বেঈমান । তাই ওকে আমি উচিত শাস্তি দিয়েছি । মৃত্যুই ছিল তার প্রাপ্য একমাত্র শাস্তি ।"

-"আমরা আপনার সব কথাই শুনবো বিকাশবাবু । আপাতত এখানকার মত বিরতি । বড়বাবু, ওনাকে আপাতত আপনাদের কাস্টডিতে নিন । আমার কেস এখানেই ফিনিশ ।"


[সমাপ্ত ?]

Sort:  

Good!

 3 years ago 

অসম্ভব একটা আকর্ষণ ছিলো এই রসহ্যময় গল্পটিতে দাদা, শেষের পর্বটি সব কিছু একদম পরিস্কার করে দিয়েছে। বেশ কিছু জানতে পারলাম পুলিশের ধারাবাহিক কেস স্টাডি এবং খুনি ধরার কৌশল সম্পর্কে। খুব সুন্দর উপস্থাপন ছিলো প্রতিটি পর্ব। এই রকম আলো গল্প প্রত্যাশা করছি দাদা।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

 3 years ago 

মুলত তিনটি কারনে খুনিকে সনাক্ত করতে পারেন পুলিশ প্রশাসন-

এক||খুনীর অনুসন্ধান পর্বে প্রথম সূত্র পাই প্রোফেসর সেনের ফ্ল্যাটের মেইন দরজার বাইরের সিসিটিভি ফুটেজে।

দুই||দু'জন এজেন্ট ছিলো ব্রাজিলের সাও পাওলোতে । আমি ম্যানেজারকে বলেছিলাম তাঁদের এজেন্ট দু'জনের ছবি সহ পূর্ণ বায়ো-ডাটা পাঠাতে । সেটা এনালাইসিস করেই আমি সম্ভাব্য খুনির সন্ধান পেয়ে গেলাম ।

এবং

তিন||মি: সেনের লেখা ডাইরি তিনটি পড়লে জানতে পারবেন এই খুনের পিছনের মোটিভটি । আসলে ব্রাজিলে রিসার্চ করাকালীন প্রোফেসর সেনের সাথে পরিচয় হয় একদল অর্কিড হান্টারদের সাথে । তাদের দলনেতা হলো মার্কোস নামে ব্রেজিলিও আর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হলেন ইনি , মি: বিকাশ সাঁতরা ।তাছাড়া প্রোফেসর সেন সবাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে নিজের জীবন নিয়ে পালিয়ে আসে ভারতে।এখান থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়।

যাইহোক অনেক সুন্দর একটি গল্প লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

যাক শেষ পর্যন্ত খুনের মোটিভ জানতে পারলাম। চমৎকার লিখেছেন দাদা। শেষ মুহূর্তের আগ পর্যন্ত কেউ খুনের মোটিভ সম্বন্ধে তেমন কোন ধারণা করতে পারেনি।

 3 years ago 

জাস্ট অসম্ভব সুন্দর হয়েছে গল্পটি।
আমি অনেক অন্দাজ করতে চেয়েছিলাম তবে কিভাবে যে বের করবো তাই বুঝতে পারছিলাম না দাদা।
অনেক ভালো হয়েছে পোস্টটি।
আপনার লিখা যত পড়ছি তত বেশিই ভক্ত হয়ে যাচ্ছি দাদা।
এর পরে তো দাদা হাসির গল্প।তাইনা?

 3 years ago 

প্রফেসর সেনের মৃত্যুর জন্য সে নিজেই দায়ী। প্রফেসর সেন যেমন তার লোভ সংযত করতে পারেনি তামনি তার লোভ তার মৃত্যুর কারণ হলো। আমাদের সবসময় লোভ সংযত করে সততার সাথে বেঁচে থাকা উচিত। অর্থ ও টাকাপয়সা কখনোই জীবনকে সুখ দিতে পারেনা। নিজের সততার মাঝে বেঁচে থাকার মধ্যে রয়েছে অনেক বেশি আনন্দ। পুরো গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।

这篇文章太好了,我必须给你赞! This article is great. I must praise you . witnesses vote for daily upvote. Thank you for your support

 3 years ago 

আমার সৌভাগ্য ছিল পুরো ১২ টা এপিসোড পরতে পরেছি। আশাকরি যে প্রশ্ন দেওয়া ছিল হ্যাঙ্গআউটে, আমাদের ইউজাররা চেষ্টা করবে পুরো সিরিজটা পরে সেটা উওর বের করার জন্য । আমরা অপেক্ষায় থাকলাম সঠিক প্রশ্নের উত্তরের জন্য। যাইহোক ভাই আমরা কিন্তু পরবর্তী সময়েও আপনার এই রকম গল্প আবারো চাই। শুভেচ্ছা রইলো।

Thank You for sharing Your insights... AND photo.

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.033
BTC 64258.81
ETH 2772.25
USDT 1.00
SBD 2.65