কবিতা "শ্রাবণ দিনের সন্ধ্যায়"
Copyright-free Image source : Pixabay
কবিতা "শ্রাবণ দিনের সন্ধ্যায়"
💘
♡ ♥💕❤
বাইরে আঁধার ঘনিয়ে আসে একটু একটু করে,
সূর্যটা কখন সেই হারিয়ে গেছে আজ শ্রাবণ মেঘের ভীড়ে ।
হাওয়া উঠেছে, ভীষণ বৈরী বাউল সে হাওয়ায়
স্মৃতির কপাটগুলো মেলে খুঁজে চলেছি শুধু তোমায় ।
ধীর পায়ে ঘর ছেড়ে এসে দাঁড়িয়েছি কদম গাছটির তলায়,
জলভরা মেঘের চাদরে ঢেকে আছে চরাচর ।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে দ্রুত দিগন্তরেখায়,
একটু একটু করে আঁধার গ্রাস করে আলোকে ।
মাথার ওপরে কুলায় ফেরা পাখিদের ডানা ঝাপটানোর শব্দ,
নৈঃশব্দ্যের সমুদ্রে এ যেন জীবনেরই তরঙ্গ ।
শ্রাবণ দিনের এ সন্ধ্যায় এখুনি নামবে বৃষ্টি,
ধুয়ে দেবে চরাচর, মুছে দেবে যত ধূলি ধূসরিত পথ প্রান্তর ।
এমন দিনে তোমায় আজ বড্ড মনে পড়ে,
কতদিন একসাথে বরষার নবধারায় হয়না ভেজা ।
কতদিন তোমার চুলে বৃষ্টির জল মেখে হয় না বিলি কাটা ।
কতদিন ভিজিনা প্রিয়া তোমার সাথে,
হাতে হাত রেখে নয়নে নয়ন হয় না রাখা ।
কত শ্রাবণ এলো আর গেলো।
তবু, হাতে হাত রেখে ভেজা আর হলো না ।
সহসা আকাশ ফুঁড়ে নেমে এলো শ্রাবণধারা,
অবিরত বারিবর্ষণ, মেঘেদের অশ্রু ধরায় নেমে এলো হঠাৎ।
বৃষ্টি নামছে কদম গাছের শাখা-প্রশাখা বেয়ে,
টুপ্ টুপ্ করে ঝরেই চলেছে কদম রেণু বরষার জল মেখে ।
আমি আর পারছি না, বিশ্বাস করো, সইতে এ বিরহ,
তাই আমি কাঁদছি, এ শ্রাবণ সন্ধ্যায় তাই আমি কাঁদতে বসেছি ।
কান্নার জল বৃষ্টির জলে মিশছে তাই অবিরত,
শুষ্ক মরুভূমি হৃদয় এখন আমার ।
ভেজাতে চাইছি তাকে বারংবার,
কিন্তু, কই ? সর্ব অঙ্গ ভিজলো তাও হৃদয় তো ভিজলো না ।
আমি জানি ভিজবে না, তুমি বিনা এ হৃদয় ভিজবে না ।
তাই এসো আবার ভিজি এই শ্রাবণ সন্ধ্যায় ।
ঝুম বৃষ্টির অঝোর ধারা মাখি আমাদের দু'জনের নয়ন-পাতাতে ।
কপোলের উষ্ণতা বিলীন হোক, আর্দ্র হয়ে উঠুক চিবুক,
অধরোষ্ঠ হোক ভেজা, চূর্ন ভেজা কুন্তলে বিস্রস্ত হোক খোঁপা ।
হাতে রেখো তোমার ওই নরম ভেজা হাত,
অধরে রাখো তোমার ওই নরম ভেজা ওষ্ঠ ।
চুম্বনে করি পান বৃষ্টির জলের সাথে তোমার হৃদয়ের আর্দ্রতা ।
সিক্ত করি নিজ হৃদয়ের শুষ্ক মরুকে,
সৃজন করি মরুদ্যান হৃদয়ের ঊষর মরুতে ।
♡ ♥💕❤
Thank You for sharing Your insights...
সত্যি দারুন লিখেছেন।
এমন দিনে তোমায় আজ বড্ড মনে পড়ে,
কতদিন একসাথে বরষার নবধারায় হয়না ভেজা ।
কতদিন তোমার চুলে বৃষ্টির জল মেখে হয় না বিলি কাটা ।
এই লাইন কয়টি চমৎকার।বৃষ্টিতে ভেজা,কদম ফুল সব কিছুই ভীষণ ভালো লাগে।এখন কার সময়ের জন্য একদম পারফেক্ট কবিতা।শুধু যাকে মিস করেছেন সে থাকলে বড্ড ভালো হতো।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank You for sharing Your insights...
আমি আজ রিক্ত হাতে ক্লান্ত পায়ে হেঁটে এসেছি বৃষ্টিতে ভিজে,যদি তুমি বৃষ্টির ফোটা হয়ে ধরা দাও আমার মাঝে।শ্রাবণ তো তব শুরু,শেষ অবধি ভিজবো না হয় তোমারই জন্য।
অনেক সুন্দর হয়েছে কবিতাটি দাদা।অনেক,,,,
বেশ আবেগপ্রবণ ব্যাপার ,
হয়তো এমন সময় আসবে কখনো,
কবি চোখ মেলে দেখবে শ্রাবণ ধারা
ভিজবে জীবন সতেজ হওয়ার জন্য
বলবে এমন বর্ষা মাঝে মাঝে আসলে মন্দ হয় না ।
কবির মনবাসনা পূর্ণ হোক এই কামনাই করি ।
শ্রাবণের ধারা নিজের কষ্ট গুলোকে বিলিয়ে দেয়। কিন্তু শ্রাবণের ধারায় সবকিছু ভিজে গেলেও শূন্য হৃদয় মরুভূমি হয়ে রয়। হয়তো হৃদয়ের শূন্যতা তার উষ্ণ ছোঁয়া পেতে চায়। হয়তো তার উষ্ণ ছোঁয়া এই হৃদয়ের মরুভূমিতে বৃষ্টির সঞ্চার করবে। দাদা আপনি সবসময় দারুন দারুন কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আপনার কবিতাগুলো পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে। হৃদয়ের গভীরতা থেকে প্রকাশিত কথাগুলো কবিতার ভাষায় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
💗💗
দাদা অসাধারণ হয়েছে আপনার আজকের শ্রাবণ দিনের সন্ধ্যায় কবিতাটি। এই লাইনগুলোর মধ্যে শ্রাবণ দিনে সন্ধ্যার পুরো প্রেক্ষাপট আমি খুঁজে পেয়েছি। একদিকে যেমন শ্রাবণের সন্ধ্যায় প্রকৃতির যে পরিবর্তনগুলো ফুটে উঠেছে। অপরদিকে বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় প্রেমিক হৃদয়ে মনের মানুষকে কাছে পাওয়ার আকুল আবেদনের কথা স্পষ্ট হয়েছে। দাদা আমি কবিতা এত ভালো বুঝিনা লিখতেও পারি না। তবে পড়তে পড়তে যে ভালোলাগা গুলো তৈরি হয় সেটাই বলার চেষ্টা করি। আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে এই লাইন গুলোর মধ্যে নামকরণের সার্থকতা পেয়েছি। এত সুন্দর একটি কবিতা পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank You for sharing...
বৌদি যে কবে আবার অনুমতি দেবে বৃষ্টিতে ভেজার সেই অপেক্ষায় থাকেন।
অনেকদিন পরে দাদা আপনার কবিতা দেখলাম। খুব ভালো লাগলো আজকের কবিতাটি পড়ে।
কবিতাগুলো পড়লে মন চায় যে আমি কবিতা লেখার চেষ্টা করি। কিন্তু যা আমার দ্বারা কোনদিনই সম্ভব না। বৃথা চেষ্টা করে কি লাভ।
অসাধারণ।ধন্যবাদ
দাদা আজকের এই মেঘলা দিকে, হৃদয়ের অনুভূতিগুলোকে দিনেল জাগ্রত করে। বৃষ্টিতে প্রিয়ার সাথে ভিজে অন্য স্নিগ্ধতায় মন চাইছে শুধু হারাতে। সত্যি আপনার কবিতা মানেই অনুভূতিগুলোকে জাগ্রত রাখার সুযোগ পাওয়া।