Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৮
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৮
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৭
হ্যালো বন্ধুরা,
সুপ্রভাত । আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন ।
অবশেষে শীত বিদায় নিলো । প্রকৃতি এখন সেজে উঠছে নব নব সাজে । আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে । দখিনা হাওয়ার পরশ মেখে গায়ে উদ্বেলিত হৃদয় । অশোক, শিমুলের রক্তিম বর্ণচ্ছটা হৃদয়কে করে আনন্দের রক্তিম রাগে রঞ্জিত । অনেকগুলি কারণে মন আমার বিক্ষিপ্ত খুবই । ভীষণ মন খারাপ । এরই মাঝে কাজ করে যাচ্ছি । ফাঁকি দিচ্ছি না মোটেও ।
"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনীর " পর্বের আজকে ষষ্ঠ পর্ব । এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :
১. ব্রোঞ্জ নির্মিত প্রাচীন ভারতীয় যোদ্ধা মূর্তি
২. প্রাচীন যুগের ভারতীয় ফ্লাওয়ার ভাস, মাটির তৈরী
৩. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী দুটি পিলার
৪. লৌহ ও ব্রোঞ্জ নির্মিত যুদ্ধের শীল্ড
৫. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী ফুলের সাজি
৬.কাঠের উপরে খোদাই করে নির্মিত মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার মূর্তি
৭. পোড়া মাটির তৈরী প্রাচীন ভারতীয় ভাস
তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।
ব্রোঞ্জ নির্মিত এটি একটি প্রাচীন ভারতীয় মূর্তি । মূর্তিটি একজন প্রাচীন ভারতীয় যোদ্ধার । পিঠে তূণ ভর্তি তীর । এক হাতে তীরের ফলা । আরেক হাতে বিশেষ এক ধরণের পাথর, যা দিয়ে তীরের ফলার ধার তুলে তীক্ষ্ণ করতে ব্যবহৃত হতো । বা কাঁধে গদা । সারা গায়ে যুদ্ধের অলংকার ও সাজ । পায়ের যুদ্ধের উপযুক্ত জুতো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি প্রাচীন যুগের ভারতীয় ফ্লাওয়ার ভাস । এটি পোড়া মাটির তৈরী । গায়ে নীল রঙ করা, আর তার উপর অসাধারণ সব কারুকাজ করা । ফুল ও লতাপাতার ডিজাইন করা । অনেক প্রাচীন হওয়াতে স্থানে স্থানে রং চটে গিয়েছে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী এ দুটি হলো পিলার । দুটি পিলারের মাথার একদিকে একটি করে চৌকোনা খোপ কাটা আছে । এর মধ্যে দিয়ে দন্ড প্রবেশ করিয়ে তোরণ তৈরী করা হতো । পিলার দুটির গায়ে অসাধারণ সব সূক্ষ কারুকাজ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি লৌহ ও ব্রোঞ্জ নির্মিত যুদ্ধের শীল্ড বা ঢাল । খুবই প্রাচীন শীল্ড এটি । ফোটোটা জুম করলেই বুঝতে পারবেন ঢালটির গায়ে অনেক কারুকাজ করা আছে । আমি মোটামুটি যা বুঝেছি তা হলো শিল্ডটির গায়ে খোঁদাই করা আছে বেশ কয়েকটি যুদ্ধের খন্ডচিত্র । ঢালটির বাইরের প্রান্তে রয়েছে অনেকগুলো বীর সেনানীর খোদাই করা মূর্তি । আর ঢালটির কেন্দ্রের দিকে রয়েছে দুটি যুদ্ধের চিত্র আর একটি মৃগয়ার চিত্র ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী ফুলের সাজি । ওল্টানো অবস্থায় রাখা আছে । ফুলের সাজিটির গায়ে অসংখ্য সব সুক্ষ ফুল ও লতাপাতার কারুকাজ করা । এগুলোও হাতির দাঁত কুঁদে কুঁদে নির্মাণ করা হয়েছে । অসাধারণ দেখতে এটি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
কাঠের উপরে খোদাই করে নির্মিত মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার মূর্তি । ত্রিশূল , যেটি দিয়ে মহিষাসুরের বক্ষ বিদীর্ন করা হয়, সেটি হারিয়ে গিয়েছে । খুব সম্ভবত অনেক প্রাচীন হওয়াতে কোনো কারণে খসে পড়ে গিয়েছে মূর্তির গা থেকে । প্রাচীন শিল্প গুণের অসাধারণ পরিচয় পাওয়া যায় এই মূর্তি দেখে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
পোড়া মাটির তৈরী এটি একটি প্রাচীন ভারতীয় ভাস । গায়ে রং বেরঙের নানা রকমের ফ্লোরাল ডিজাইন । দেখতে দারুন ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
বসন্তের শুরুতেই আপনার মন খারাপ শুনে খারাপ লাগছে দাদা। ব্যস্ততার মাঝেও আপনি কাজকে ফাঁকি না দিয়ে করে যাচ্ছেন পুরোদমে। সত্যি বলতে ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের কিছু নিদর্শন দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী দুটি হলো পিলার এটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। হাতির দাতঁ দিয়ে কি সুন্দর করে পিলার তৈরি করে ফেলেছে তার মাঝে আবার কারুকাজ শোভা পাচ্ছে । ফুলের সাজিটাও অনেক সুন্দর হয়ছে দাদা। আপনাকে ধন্যবাদ আবারো। ভালো থাকেন সবসময় এটাই কাম্য।
সত্যি দাদা অবশেষে বিদায় নিল বসন্তের আগমনে। বসন্তের আগমন যেন আমাদের সবাইকে নতুন রূপে সাজার তাগিদ দিচ্ছে। আপনার প্রাচীন নিদর্শন এর ষষ্ঠ পর্বে আজ যে ভাস্কর্যগুলো আপনি ফটোগ্রাফি আকারে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন অসাধারণ। কোনো ফটোগ্রাফি নিয়ে আসলে নির্দিষ্ট করে বলার কিছু নেই কারণ প্রতিটি ফটোগ্রাফি এর কারুকার্য বর্ণনা করার মত যোগ্য আমি না। তবুও যদি বলতে হয় দেবী দুর্গার ভাস্কর্যটি ছিল অসাধারণ। সুন্দরভাবে কারুকার্য করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে এত সুন্দর জ্ঞানগর্ভ ফটোগ্রাফি তুলে ধরার জন্য আপনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা থাকবে দাদা।
কি সুন্দর শব্দের তালমেলে শুরু মনটা ভালো হয়ে গেলো।কিন্তু আপনার মন খারাপ জেনে একটু ব্যাথিত হলাম।যাইহোক দারুন কিছু কারুকাজ দেখলাম বিশেষ করে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার মূর্তি অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।
দাদা,আপনার এই ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।কত সুন্দর করে আপনি এই ছবিগুলো তুলে ধরেছেন।সবগুলো ছবি দেখে এততাই ভালো লাগতেছে যে এগুলোর দিকে তাকিয়েই আছি।দেখতে দেখতে কতগুলো পর্ব দেখে নিলাম।সত্যিই দাদা ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বসন্তে প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। প্রকৃতির নতুন সাজ আমাদের মনে ভালোলাগা সৃষ্টি করছে। আর এই বসন্তের আগমনে মন খারাপ করে থাকতে নেই দাদা। জীবনের সব কষ্ট গুলো বুকে চাপা দিয়ে রেখে ভালো থাকার নামই হচ্ছে জীবন। হয়তো জীবনের অনুভূতি গুলো সঠিকভাবে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা অনুভূতিগুলো বুকে চাপা দিয়ে বেঁচে থাকি। অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে এবং এই মূল্যবান জিনিস গুলো আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনার কাছে আমরা সবাই কৃতজ্ঞ।
দাদা আপনার মন খারাপ জেনে ভীষণ খারাপ লাগছে। আসলে আপনার মন খারাপ তো পুরো পরিবার অন্ধকার। আসলে দাদা জীবনটাই এমন এই ভালো আর এই কালো। তারপরও চালিয়ে নিতে হয় আর মানিয়েও নিতে হয়। দাদা দোয়া সবসময়ই রয়েছে 🥀
আজকের ছবিগুলো সুন্দর ছিল। বিশেষ করে হাতির দাঁতের তৈরি জিনিসটা সত্যিই অসাধারণ সুন্দর 💚 ভালো থাকবেন দাদা 🙏
দাদা আপনার মন খারাপ এই কথাটি জেনে খুবই খারাপ লাগছে। আপনার মন খারাপ থাকলে আমরাও ভালো থাকি না। কারণ আপনি হচ্ছেন আমাদের সকলের ভালো থাকার অনুপ্রেরণা। আপনি আপনার এই মন খারাপের মাঝেও অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। হাতির দাঁত দিয়ে তৈরী পিলার দুটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অসাধারণ সব ভাস্কর্য ও কারুকার্যে ভরা জিনিসপত্রগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হাতির দাঁতের তৈরি পিলার আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। একদম নিঁখুত কারুকাজ। দেখতে দেখতে আজকে ৩৮ নাম্বার এপিসোড। আমি পুরোই অবাক, এই ৩৮ টি এপিসোডে কত কিছু দেখলাম, ভাবতেই ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদ, আমাদের এতো সুন্দর সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
আসলে মন খারাপ কারণে-অকারণে হয়ে থাকি। কোন কারণ পাওয়া যায় না। আর আসলে আপনি কখনোই ফাঁকি দেন না। সবসময় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যান।সব দেখার সৌভাগ্য হল আপনার মাধ্যমে। মাটি তৈরি ভারতীয় ভাস।
মাঝে মধ্যে এরকম মন হুটহাট করে খারাপ হয়ে যায়। আবার হঠাৎ করেই ভালো হয়ে যায়। আর আপনি যে কাজে ফাঁকি দেন না তা আপনার করোনার মধ্যেই বুঝতে পেরেছি। এত অসুস্থতার মাঝেও আপনি কাজ করে গিয়েছেন।
আজকের এপিসোডটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ফ্লাওয়ার ভাস এবং হাতির দাঁতের তৈরি পিলার এবং ফুলের সাজি। আমার মনে হয় না যে আপনার এই পর্ব গুলো দেখার পরে আর মিউজিয়ামের যাওয়ার কোন দরকার আছে। আপনি এতো সুন্দর করে ছবি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।