Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৪
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৪
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৩
হ্যালো বন্ধুরা,
শুভ দুপুর বন্ধুরা,
কেমন কাটছে আপনাদের দিনগুলি ? একঘেয়ে নাকি বিন্দাস ? আমার তো ভীষণই একঘেয়ে দিন কাটছে । ঘরবন্দী । মাঝে মাঝে মনে হয় সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে ছুটে চলে যাই তেপান্তরের মাঠে, নদীর পাড়ে, অরণ্যের মাঝে । মুক্ত আকাশটাকে দু'চোখ ভরে দেখি একটু, দখিনা হাওয়া গায়ে মাখিয়ে নিয়ে ছুটে বেড়াই এখানে সেখানে ।
অনেকদিন পরে আবারো মিউজিয়াম এর একটি একঘেয়ে পর্ব নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের কাছে ।
"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে দ্বাদশতম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট এগারোটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।
আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :
১. প্রাচীন চীনামাটির তৈরী বাসন, অপরূপ কারুকার্যময়
২. একটি প্রাচীন চীনামাটির বাসন, কালো রং এর উপরে সোনালী কারুকাজ
৩. প্রাচীন ভারতীয় একটি কারুকার্য করা মাটির হাঁড়ি
৪. দুটি প্রকান্ড গজদন্ত আস্ত খোদাই করে দু'জন আফ্রিকান নারীমূর্তির ভাস্কর্য তৈরি
৫. একটি খুবই প্রাচীন মুঘল আমলের ভারতীয় পিচার বা কলসি, মাটির তৈরী
৬. অপরূপ কারুকার্যময় সুপ্রাচীন লক্ষীর ঘট
৭. এটি একটি প্রকান্ড তাম্র নির্মিত থালা
তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।
প্রাচীন চীনামাটির তৈরী বাসন । অপরূপ কারুকার্য । অসংখ্য সুক্ষ সব ফুল, লতা-পাতার ডিজাইন । নান্দনিক এই সব প্রাচীন চীনা বাসন এখন এক কথায় অমূল্য ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি আর একটি প্রাচীন চীনামাটির তৈরী বাসন । এটির রং কালোর উপরে সোনালী কারুকাজ । অসংখ্য সুক্ষ সব লতা-পাতার ডিজাইন । অমূল্য বস্তু ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
প্রাচীন ভারতীয় একটি মাটির হাঁড়ি । লালচে রঙের উপরে সোনালী লতা-পাতা, ফুলের ডিজাইন । অপরূপ সৌন্দর্য ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
দুটি প্রকান্ড গজদন্ত আস্ত খোদাই করে দু'জন আফ্রিকান নারীমূর্তির ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে । এই অপরূপ ভাস্কর্যদ্বয় সেই সুদূর আফ্রিকা থেকে প্রাপ্ত । মূর্তি দুটি দেখে আমার মাসাই রমনীদের কথা মনে হয়েছে । একমাত্র আফ্রিকায় মাসাই মেয়েরাই পুরুষদের মতো অস্ত্র চালনায় সমান দক্ষ । এক নারীমূর্তির হাতে বর্শা দেখেই আমার এমনটি মনে হলো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি খুবই প্রাচীন মুঘল আমলের ভারতীয় পিচার বা কলসি । মাটির তৈরী । গায়ে রয়েছে কালোর উপরে নীল-সবুজ মেশানো রঙের ফুল লতা পাতার ডিজাইন । নান্দনিক ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
অপরূপ কারুকার্যময় সুপ্রাচীন লক্ষীর ঘট । প্রাচীন কালে মানুষ এই ধরণের প্রকান্ড লক্ষীর ঘটে কিছু শস্য, বিনিময়যোগ্য কঁড়ি আর ধাতব মুদ্রা - যেমন তাম্র, রৌপ্য এবং স্বর্ণ মুদ্রা রাখতো । লক্ষীর ঘটে এ সব রাখলে গৃহে কোনোদিন অর্থাভাব হবে না, এটাই ছিল তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি একটি প্রকান্ড তাম্র নির্মিত থালা । প্রাচীনকালে অভিজাত শ্রেণীর লোকেদের বাড়িতে এমন ধরণের থালা রাখার রেওয়াজ ছিল । ফটোটা একটু জুম করলেই বুঝতে পারবেন মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো সব সুক্ষ কারুকাজ রয়েছে থালাটির গায়ে । অজস্র । তখনকার প্রযুক্তিতে এই ধরণের সুক্ষ ডিজাইন করা মোটেও সহজ ছিল না । এখনকার মতো কোনো মেশিন ছিলো না, যা কিছু সব হাতেই তৈরী করা হতো । কতটা প্রতিভা, শ্রম আর অধ্যবসায় থাকলে এমন সব মাস্টারপিস তৈরী করা যায় ভাবতেই জাস্ট অবাক লাগে আমার ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দেখতে দেখতে ৪৪ নাম্বার পর্ব! আজকের পর্বে যে বিষয়গুলো নিয়ে ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা করা হয়েছে আমার অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে তাম্র নির্মিত থালা দেখে বেশি ভালো লাগলো। এই সব প্লেটে ভাত খেতে পারলে অনেল ভালো লাগতো। এছাড়াও প্রাচীন ভারতীয় মাটির হাড়িটি আমার অনেক ভালো লেগেছে।
দাদা, আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
দাদা কি বলবো চিনা ভাষণের কারুকাজ গুলো দেখে সত্যিই খুবই আশ্চর্য লাগে। কতটা সুদক্ষ তার সাথে তারা কাজগুলো করতো নিখুঁতভাবে। আপনি ঠিকই বলেছেন তখনকার যুগে তেমন কোনো জিনিসপত্রই ছিল না মেশিনারি জিনিস ছিল না যে ওরা আধুনিকতার ছোঁয়ায় কাজগুলো করে। কত সুন্দর নিখুঁত লতা পাতার চিত্র অংকন করেছে দেখতে সত্যি অসাধারণ। আপনার আজকের এপিসোড চীনা বাসনের কারুকাজ গুলো দেখে আমি এতটাই মুগ্ধ হয়ে গেছি তা বলে বোঝানো কষ্টকর । আমাদের সাথে চীনা বাসনের সুন্দর সুন্দর ডিজাইন গুলো উপস্থাপন করেছেন এবং ভারতীয় মাটির হাড়ি সত্যিই অবাক করার মতো হয়েছিল। আর আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
দাদা আমার দিনগুলো একদম ভালো কাটছে না আজ সারা সকাল শুধু শুয়েছিলাম কিছু করতে ইচ্ছা করতেছিল না। যাইহোক আপনারা আজকের অ্যান্টিক পর্ব গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। বিশেষ করে হাতির দাঁতের খোদাই করা কারুকার্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন থালা গুলো সুন্দর বিশেষ করে তাম্র থালাতে আরো বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। আপনি প্রতিদিন আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর প্রশ্নগুলো করে যাচ্ছেন যার জন্য আমরা সবাই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
এ যেন এক সৌন্দর্যের সাংস্কৃতিক মিলন মেলা। কোনটা থেকে কোনটা পছন্দ করবো সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। হাতের কাজ এতটা নিখুঁত হতে পারে সেটা আজকের এই পোষ্ট না দেখলে বুঝতেই পারতাম না। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা।
দাদা গজদন্ত দুটো দেখে আশ্চর্য হলাম। দাঁতের মধ্যে কি সুন্দর নারী মূর্তির ভাস্কর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কত নিখুঁত কারুকার্য আর চিনামাটির বাসনগুলো তো অতুলনীয়।যত যাই বলেন মিউজিয়ামের পর্বগুলো আমার কাছে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
দাদা আপনার করা ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আমরা সবসময়ই মুগ্ধ হই। আপনার এই ফটোগ্রাফিগুলো দেখে ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছি। এছাড়া অনেক পুরনো ভাস্কর্য ও জিনিসপত্র দেখে সবসময়ই মুগ্ধ হয়েছি। বরাবরের মতো আজও আপনি দারুন সব ভাস্কর্যের ও জিনিসপত্রের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। এর মাঝে প্রাচীন ভারতীয় মাটির হাঁড়ি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। লালচে রঙের মাটির হাঁড়ির উপর সুন্দর করে সোনালী লতাপাতার ডিজাইনের মাঝে অপূর্ব সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
একদমই না দাদা, বরং চমৎকার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে যেমন অভিভুত হয়েছি ঠিক তেমনি গুনি শিল্পীদের নিখূঁত কিছু শিল্পকর্ম দেখার সুযোগ পেয়েছি। ধন্যবাদ
জাস্ট অসাধারণ ভাই । বাকি গুলোও অনেক সুন্দর ছিল ।
দাদা আমি প্রথমে একটি কথাই বলতে চাই আপনি আজকে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো প্রত্যেকটি অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। বিভিন্ন রকমের বাসন, লক্ষীর ঘট, মাটির হাঁড়ি সবকিছুই অসাধারণ লেগেছে। ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ভিতরের সেই মূল্যবান জিনিস গুলো আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।