কেনাকাটার দিন : পুজোর শপিং
আমাদের পুজোর শপিং শুরু হয়েছে গতমাসের শেষের দিক থেকেই । প্রত্যেক সপ্তাহেই টুকিটাকি কেনাকেটা চলছেই । যেহেতু এবারের পুজোটা বাংলাদেশে কাটাতে চেয়েছি তাই কেনাকাটা একটু বেশি করেই চলছে । কোনোদিন শুধু শাড়ী, কোনোদিন শার্ট প্যান্ট, কোনোদিন জুতো, কোনোদিন বাচ্চাদের জামা কাপড় কেনা চলছেই ।
আজকে আমাদের কেনাকাটার বিশাল একটা লিস্ট করা হয়েছিল । চার পাঁচটা শপিং মল ঘুরে কেনাকাটির কথা ছিল । কিন্তু, মাঝপথেই সব ভন্ডুল হয়ে গেলো । কী ভাবে ? সেই কথাই বলার জন্যই তো এই লেখা ।
বিকেল ছ'টার দিকে আমরা রওনা দিলাম । প্রথমে গেলাম একটা শাড়ীর শপিং মলে । সেখানে ছ'খানা শাড়ী কিনলো তনুজা । আত্মীয় স্বজনদের গিফট দেওয়ার জন্য । দ্রুত বিল দিয়ে আমরা বের হয়ে গেলাম সেখান থেকে । আমাদের পরবর্তী টার্গেট টাটার একটা শপিং মল "WestSide" । বিশাল এই শপিং মলে শুধুই জামা কাপড় ।
সেখানে, আমরা টিনটিন বাবু ও তাঁর মাম্মার জন্য বেশ কিছু পোশাক কিনলুম । এর পরেই শুরু হলো সেই নাটক । এখানে শপিং করার পরে আমরা আরো তিনটি বৃহৎ শপিং মলে কেনাকাটার জন্য শিডিউল করে রেখেছিলাম । কিন্তু, এখানেই আটকে গেলাম ।
তার কারণ আর কিছুই নয় - কারণ হলো আমাদের টিনটিনবাবু । তিনি হঠাৎই জিদ ধরে বসলেন রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার । কারণ এই শপিং মল "WestSide" এর ঠিক উপরে তিন তলায় রয়েছে সুবিশাল বারবিকিউ ব্যুফে রেস্তোরাঁ "বারবিকিউ নেশনস" । আর, বাড়ির খুব কাছে হওয়ার জন্য এখানে অসংখ্যবার খাওয়া হয়েছে । সেই সুবাদে ভীষণই পরিচিত প্লেস এটি আমাদের টিনটিনবাবুর কাছে ।
তার বিশাল চিৎকার চেঁচামেচির কারণে আমাদের সকল প্রকার প্ল্যান প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে, শপিং মুলতুবি রেখে "বারবিকিউ নেশনস" এ টেবল বুক করলাম মোবাইল এপ্প দিয়ে । তারপর ? আর কি, ভরপুর খাওয়া আর খাওয়া ।
শপিং মলে আমি
তারিখ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
সময় : রাত ৭ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
প্রতিদিন ৩০০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৬ষ্ঠ দিন (300 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 06)
সময়সীমা : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত
তারিখ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
টাস্ক ৬২ : ৩০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৩০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : b7df4ba677178609b0042e67b9f513eb682e4609096a7f78f4cd8042e939a23b
টাস্ক ৬২ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
গত ঈদের কেনাকাটার সময় আমারও একই অবস্থা হয়েছিল ভাই । অবশেষে কেনাকাটা বাদ দিয়ে সবাই মিলে খেতে গিয়েছিলাম। তবে যাই বলুন ভাই আপনি যে এখনও জিন্স প্যান্ট পড়েন তা দেখে বেশ ভালই অবাক হয়েছি । একসময় আমিও বেশ ভালই জিন্স প্যান্ট পড়তাম তবে সময় গুলো কোথায় যেন ফুরুত হয়ে গিয়েছে ।
যাইহোক আপনাকে দেখে বেশ ভাল লাগল ।
শুভ ভাই, গত ঈদের কেনাকাটায় আপনার অবস্থা দেখে সত্যিই দারুন লেগেছে আমার কাছে ☺️ বাচ্চাদের এভাবে কাঁধে নিলে ভীষণ আনন্দ পায় ওরা 🤗
দাদা আপনাকে তো হেব্বি লাগছে, একদম সিনেমার হিরো। ঈদ, পূজোর মজাই হচ্ছে কেনাকাটার জন্য এই দোকান থেকে অন্য দোকানে দৌড়াদৌড়ি করা। হাহা, খুব ভালো সময়ই কাটছে আপনার। আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো অবিরাম।
প্ল্যানিং করে শপিংয়ে গেলে কোন কিছুই ঠিক হয়না। বিশেষ করে টিনটিন বাবু জেদ করার কারণে আপনাদের প্ল্যানিং টা একটু চেঞ্জ করতে হয়েছে তবে গত ঈদে আমাদের সাথে এরকম হয়েছিল।। আমার ছোট ভাইটাও এরকম করে মাঝে মাঝে। তখন প্ল্যানিং বাদ দিয়ে আমাদের খাওয়া-দাওয়া করতে হয়। যাই হোক দাদা, টি-শার্ট এবং সাদা সানগ্লাসে সত্যিই অনেক সুন্দর লাগছিল আপনাকে।।
শপিং করা যে কি মজা এটা মেয়েরাই বেশি উপলব্ধি করতে পারে। বৌদি নিশ্চয়ই অনেক খুশি এরকম শপিং করতে পেরে।
তবে এই আইডিয়াটা কিন্তু ভালো। একবারে সব শপিং না করে কিছু কিছু করলে আনন্দটা জিয়িয়ে থাকে।
আমার মনে হয় বৌদি শপিংয়ে ব্যস্ত ছিল আর আপনি ফটোশুটে 😆😆😅
পূজার আগে পরিবারের সবাই মিলে হরেক রকমের কেনাকাটা করার একটা আলাদা মজা আছে। তবে টিনটিন বাবুর বায়না ধরাটা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে কারন সবার আগে পেট ঠান্ডা করাটা জরুরী। আপনাদের সবাইকে এবারের দুর্গা পুজোর অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল দাদা।
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
বাচ্চারা বাইরে গেলেই কেন যেন খাবার বায়না ধরে। আমার বড় ছেলের একই অবস্থা। শপিং করতে গেলেই তার প্রচন্ড রকম ক্ষুধা পায়। শপিংমলে ঢোকার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় খাবার বায়না। তাও তো ভালো যে টিনটিন বাবু বেশ কিছু শপিং করার পর খাওয়ার বায়না করেছে। তা না হলে শুরুতে করলে তো কেনাকাটা সম্পূর্ণই ভন্ডুল হয়ে যেত।
গোলাপি সানগ্লাসে কিন্তু বেশ মানিয়েছে দাদা আপনাকে।
তনুজা দিদি এবং টিনটিন এর জন্য পুজোর শপিং খুব ভাল করেছেন যদিও আজ আপনার শপিং হয়নি। পরের শপিংমল গুলো যেতে পারলে হয়ত আপনারও শপিং হয়ে যেত। যাই হোক টিনটিন খুব ভাল কাজ করেছে, এত বড় বাফেট রেস্তোরাঁ মাথার উপরে থাকলে কি আর মন মানে? টিনটিন যে মনে রেখেছে যে এখানে একটি বাফেট রেস্তোরাঁ আছে এটা বিশাল বেপার। আশা করি বাফেটে কাটানোর মুহুর্ত এবং ছবি আমরা দেখতে পারব পরবর্তী কোন পোস্টে। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা ওখানকার বারবিকিউর খাবার কেমন? ডায়মন্ড প্লাজার টা ভালো লাগে নি আমার আগস্টেই গেছিলাম। আর টিনটিন বাবুর কি দোষ? ও তো শিশু। কতটুকুই বা আর খায়, তাও ওই হুজুক আর কি! আর পুজোর কেনআ কাটার আনন্দ আলাদা।তবে আমি তো অনলাইনে সারি। ভিড় অ্যাভয়েড করা যায়। তবে পরিবারের সবার জন্য কেনা কাটা করাটা অনলাইনে সম্ভব না।
নমস্কার দাদা। আপনাদের কেনাকাটা দেখে এখনি পুজো পুজো মনে হচ্ছে। এবার পুজো বাংলাদেশে কাটানোর জন্য একটু বেশি কেনাকাটা করছেন দাদা আর একেক দিন একেক রকমের জিনিস কিনছেন এটা খুবই ভালো কারন একদিনে বেশি রকমের জিনিস কিনলে খুবই ঝামেলা হয়ে যায়। বৌদি ছখানা শাড়ি কিনেছেন উপহার দেওয়ার জন্য আর টিনটিন সোনার জন্য বেশকিছু পোশাক কেনা হয়েছে। লাস্ট মুহূর্তে এসে টিনটিন সোনার চিৎকার চেঁচামেচিতে আর কেনাকাটা করা হলো না কিন্তু খাওয়া টা মনে হয় খুব ভালো ভাবেই হয়েছিল সেটা বেশ বুঝতে পারছি।টিনটিন সোনার পরিচিত বারবিকিউ নেশনস ওখানকার খাবার মনে হয় টিনটিন সোনার খুব পছন্দের তাই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেছিল খাওয়ার জন্য। কেনাকাটা শেষ না হোক কিন্তু খাওয়া টা নিশ্চয়ই খুব জম্পেশ হয়েছিল দাদা। সবসময় সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা করি ঈশ্বরের কাছে দাদা।