মন কিছুটা শান্ত এখন, দুঃশ্চিন্তা তবু যায় না
Copyright Free Image Source : Pixabay
গতকাল যখন লেখাটি পাবলিশ করেছিলাম তখন মন আমার খুবই বিক্ষিপ্ত এবং ভারাক্রান্ত ছিল । চারটি ক্রিটিক্যাল প্রব্লেমের মধ্যে মাত্র দুটি প্রব্লেমের উন্নতি হয়েছিল । লেখাটি পাবলিশ হওয়ার ঠিক দু'ঘন্টা পরে একটি স্বস্তিদায়ক নিউজ পেলাম । ফলে টেনশন বেশ কিছুটা রিলিফ করেছে । তবে মন এখনো অশান্ত, উদ্বেগ কিছুতেই কমছে না ।
গতকাল দুপুরের পরে লাস্ট টেস্টের রিপোর্টে বাকি দুটি ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যে একটিতে উন্নতি হওয়ার সংবাদ পাই মুঠোফোন মারফত । বাড়িতে মা বাবার কাছে আমি অলটাইম রয়েছি । সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জানিয়ে দেই । কিছুটা স্বস্তিদায়ক নিউজ ছিল এটা । অনেক্ষন কথা বলি হসপিটালে অপেক্ষারত আত্মীয়-স্বজনদের সাথে । তাঁরা জানালো সার্বিক অবস্থা এখন ডেভেলপ করছে, তবে কিছুটা ধীরে ধীরে ।
এরপরে, অনেক্ষন আর কোনো নিউজ পাইনি । আবার টেনশনে পড়ে যাই । কাজে চেষ্টা করেও মন বসাতে পারছিলাম না । কারণ লাস্ট ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন যেটা ছিলো সেটা হলো "সেন্সলেস" হয়ে থাকা, ২৪ ঘন্টারও অধিক সময় ধরে । এই বিষয়ে কোনো আপডেট ডাক্তাররা তখনো দেয়নি ।
ফলে, মানসিক উৎকণ্ঠা চরম লেভেলে পৌঁছায় বিকেলের দিকে । শত চেষ্টা করেও নিজের কোনো কাজে মন বসাতে ব্যর্থ হলাম । হাতে ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট ছিল, যেগুলো মে মাসের আগেই ডেলিভারি দেওয়ার কথা । কিন্তু, এখন ব্রেইনের কাজ করা কার্যত অসম্ভব আমার পক্ষে । স্টিমিটে কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার ট্রাই করলাম । কিন্তু, দশ মিনিট চেষ্টা করেও এক লাইনও লিখতে পারলাম না ।
এরপর ভাবলাম ডিসকোর্ডে একটু চ্যাট করি, যদি কিছুটা টেনশন মুক্ত হওয়া যায় । কিন্তু, শুধু বার বার ঢুকলাম আর বেরোলাম । কিছুতেই মন বসাতে পারলাম না চ্যাট করতে । এরপর বিকালের একটু পরে হঠাৎ ফোন পেলাম যে হসপিটালে ডাক্তাররা বোর্ড মিটিং বসিয়েছে । এবং সার্বিক রিপোর্ট চেক করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে - "এই মুহূর্তে রোগী আউট অফ ডেঞ্জার । লাইফ রিস্ক অনেক কম এখন । তবে, ইনফেকশন এর সন্দেহে তাঁরা আরো কিছু টেস্ট করবেন ।" এই নিউজ পাওয়াতে বিশাল একটা স্বস্তি পেলাম মনে ।
ডিসকোর্ডে ঢুকে কয়েকজনের ডিএম-এর রিপ্লাই দিলাম । সব গুলি'ই ছিল "অসুস্থতা সম্পর্কিত" এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে । এর বাইরে, অন্য কোনো বিষয়ে কিছু বলার মতো মানসিক স্থৈর্য ছিলো না আমার তখন । এরপরে, সন্ধ্যা নাগাদ আবার একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ নিউজ পেলাম । যার জন্য আমার উৎকণ্ঠা ছিল সর্বাধিক ।
সন্ধ্যায় মেইন ডাক্তার জানালো , রোগীর সেন্স আছে পুরোমাত্রায় । সিটি স্ক্যান রিপোর্টে কোনো গোলমাল ধরা পড়েনি । সকল গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পুরোমাত্রায় সচল - ব্রেইন, lungs, কিডনি, হার্ট । আর রোগী প্রথম দিন সেন্সলেস হয়ে পড়ার পর থেকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে । কিন্তু, আজ সন্ধ্যার পর থেকে নাম ধরে ডাকলেই সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিচ্ছে । এর অর্থ একজন সুস্থ মানুষের সচেতনতা পুরোমাত্রায় ফিরে এসেছে । মানে জ্ঞান ফিরেছে ।
এটাই ছিল লাস্ট ক্রিটিক্যাল অবস্থার সর্বশেষ অবস্থা । যেটার উন্নতি হলো শেষমেশ । আপনাদের সবার প্রার্থনা সফলতা পেয়েছে । সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই । এখন, ইনফেকশন রিপোর্টটা নরম্যাল এলেই অনেক টেনশন মুক্ত হই । সবাই সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই প্রার্থনাটুকু করবেন ।
দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে জানতাম পারলাম আপনার প্রিয় মানুষটি সুস্থ আছে।এটা দেখে আমি অনেক খুশি হলাম।আর ঈশ্বর কাছে প্রার্থনা করি,তিনি যেন আরো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।আমি আরো বুঝলাম আপনি অনেক টেনশন আছেন, তবুও আপনি ডিএম করার মেসেজর উওর দিয়েছেন।আসলে দাদা আপনি একজন অনেক বড় উদার মনুভবতার মানুষ।আমি শেষে আরো করজোড়ে ঈশ্বর কাছে প্রার্থনা করি।আপনার প্রিয় মানুষটিকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়।🙏🙏🙏🙏
ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলে তিনি কাউকে ফিরিয়ে দেন না। প্রিয় মানুষ টি সুস্থ হয়ে উঠুক সেই কামনাই করছি। আশাকরছি ইশ্বর মুখ তুলে তাকিয়েছেন। মন বাতাসের মতই চঞ্চল বিধায় চিন্তা টা ঘুড়ে ফিরে চলে আসে। তাই বলবো দাদা নিজের মনোবল ধরে রাখবেন। ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি প্রিয় মানুষ টি খুব তারাতারি যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। ভাল থাকবেন দাদা। শুভেচ্ছা রইল।
সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এই স্বস্তিদায়ক সংবাদটি শুনতে পারলাম। সত্যি ভালো লাগলো শুনে। সৃষ্টিকর্তার কাছে আরো প্রার্থনা করি তিনি যেন খুব তাড়াতাড়ি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। দোয়া রইল আপনার পরিবারের সকলের প্রতি।
প্রথমেই সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার প্রিয়জনের সুস্থতা দান করার খবর জেনে। আমার বিশ্বাস তার কাছে ঠিকমত চাইতে পারলে তিনি কাউকেই ফিরিয়ে দেন না। আর আমার বাংলা ব্লগের এতজন মানুষের ভালোবাসা তো বৃথা যেতে পারে না। আপনার মন খারাপ মানেই আমার বাংলা ব্লগের সবার মন খারাপ। কারণ ভার্চুয়ালি হলেও আমরা একটা পরিবার। আশা করি খুব দ্রুতই আপনার প্রিয়জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। আর সত্যি বলতে কি আপনজন অসুস্থ হলে কোনো কাজেই মন বসানো যায় না, এটাই স্বাভাবিক। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলের সুস্থতা দান করেন এই কামনা রইল। শুভকামনা আপনাদের জন্য, প্রিয় দাদা।
কালকে আপনার কথা গুলো শুনার পারে অনেক খারাপ লেগেছিলো। আসলে নিজের আপনজন বিপদে থাকলে কতটা খারাপ লাগে আমি জানি। তবে আজকের খবরটা শুনে ভালো লাগলো দাদা। আশা করছি আরো দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। এই কামনা করি 🙏।
আপনি খুব খারাপ একটা সময় পার করেছেন দাদা। তবে শেষ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তা যে এই বিপদ থেকে আপনাদের উদ্ধার করেছে। এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আসলে আমাদের জীবনে কখন কি ঘটে যায় এটা আমরা কেউই জানিনা। এই জন্য আমাদের সবসময় এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। যদিও জানি এটা বলা যতটা সহজ করা ঠিক ততটাই কঠিন। আপনার পরিবারের সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি দাদা।
অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। সৃষ্টিকর্তা অবশেষে ভালো করছেন। আপনারা যেন সকলে ভালো থাকেন এই কামনাই করি।আসলে আমার বাংলা ব্লগের প্রতিটা ইউজার দোয়া প্রার্থনা করেছে। আপনি আমাদের মাথার ওপর ছায়া। আপনার যদি মন খারাপ থাকে তাহলে আমরা একদম শেষ হয়ে যায়। আশা করি আবার সবকিছু ভালোভাবে ফিরে আসবে এই কামনাই করি।
দাদা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য সব সময় দোয়া করি। এই নিউজগুলো শুনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার মত আমরাও কিছুটা টেনশনে ছিলাম বিষয়টি নিয়ে। যাক অবশেষে কিছুটা স্বস্তির খবর পেয়ে টেনশন মুক্ত হওয়া গেল। দোয়া করি বাকি রিপোর্টগুলো সব যেন নরমাল আসে।
দাদা আশীর্বাদ করি আস্তে আস্তে আপনার দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাক। বাবা মার পাশে থেকে আপনি যে সাপোর্ট দিতেছেন এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। এছাড়া সন্ধ্যায় ডাক্তার ভালো সাংবাদ দিয়েছে আপনাকে আশা করি খুব শীঘ্রই অবস্থার উন্নতি হবে।
হ্যাঁ ,দাদা এটা একদম ঠিক যখন এরকম মুহূর্ত আসে মন সবসময় এর জন্য অস্থির হয়ে যায় । কোন কিছুই মন দিয়ে করা আর সম্ভব হয়না এই পরিস্থিতিতে । যাইহোক ভগবানের আশীর্বাদে সবকিছু মোটামুটি ভাবে নরমাল হওয়ার পথে । আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যেই সবকিছু আগের মতোই নরমাল হয়ে যাবে । সব বিপদ আপদ সম্পূর্ণভাবে কাটিয়ে উঠতে পারবে ।আর চিন্তা করো না দাদা ,আমরা সবাই প্রার্থনা করছি যেন তোমরা এই বিপদ তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে পারো ।
আর ইনফেকশনের রিপোর্ট নরমালই আসবে দাদা চিন্তা করো না। শুধু সময়ের অপেক্ষা একটু ধৈর্য ধরতে হবে আমাদের । তোমরা সবাই নিজেদের খেয়াল রাখো সৃষ্টিকর্তা সব সময় তোমাদের পাশে আছে ।