ইউনিয়ন ভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে ইউনিয়ন ভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ করার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আমি আমার জীবনে অনেক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং বেশ কিছু প্রতিযোগিতার মধ্যে অংশগ্রহণ করে পুরুস্কার জিতে নিতে পারছিলাম। আসলে প্রতিযোগিতার মধ্যে অংশগ্রহণ করে পুরুস্কার জিতে নেয়া আসল কথা নয়, আসল কথা হলো প্রতিযোগিতার মধ্যে অংশগ্রহণ করা।আর যে কোন ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্যে অংশগ্রহণ করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে অনেক সাঁতার প্রতিযোগিতা দেখতে পারছেন।তবে, আজকের সাঁতার প্রতিযোগিতা টি একটু ভিন্ন ধরনের। আপনারা আমার পুরো ব্লগ টি মনযোগ সহকারে দেখুন তাহলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় সাঁতার প্রতিযোগিতা চলছে, আপনারা হয়তো সে সব জায়গার সাঁতার প্রতিযোগিতা বিভিন্ন ধরনের সোসাল মিডিয়ার মধ্যে দেখেছেন।আমি আজকে সুন্দর করে আমাদের সাঁতার প্রতিযোগিতার সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আমি সাঁতার কাটতে তেমন একটা পারদর্শী না। তবে, ছোট বেলায় আমাদের এলাকার একটি ছোট নালার মধ্যে সাঁতার শিখে রাখছিলাম, যেন বর্ষার কালে কোন ধরনের খাল বিলের মধ্যে পড়ে গেলে সাঁতার কেটে উঠতে পারি।আর যারা সাঁতার জানে না, তাদের জন্য বর্ষা মৌসুম একটি কঠিন সময়। কেননা, বর্ষা মৌসুমে গ্ৰাম এলাকার প্রতিটি খাল বিল একদম ভরাট থাকে।আর এই সব খাল বিল ভরাট থাকার কারণে সাঁতার না জানা মানুষদের কে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হয়।আর মনে হয়, আমরা যারা গ্ৰাম এলাকার মধ্যে বসবাস করে থাকি, তাদের প্রত্যেকের উচিত সাঁতার শেখা। কেননা, গ্ৰামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খাল বিল।আর এই সব খাল বিলের মধ্যে সাঁতার না জানা একজন মানুষ পড়ে গেলে তার জীবন একদম শেষ হয়ে যাবে।

বেশ কিছুদিন ধরে শুনছিলাম আমাদের এলাকার মধ্যে একটি সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।আমি এটা শুনে অনেক বেশি খুশি হয়ে যাই। আসলে আমি সাঁতার‌ তেমন একটা না জানলে ও আমি সাঁতার কাটতে অনেক পছন্দ করি।আর সাঁতার কাটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত সাঁতার কাটার ফলে শরীরের মধ্যে লেগে থাকা কিছু ছোট ছোট রোগ প্রতিরোধ করা যায়।আর সাঁতার কাটার জন্য আমাদের এলাকার একটি বিশাল বড় পুকুর নির্বাচন করা হয়।আর এই সাঁতার প্রতিযোগিতা টি আমাদের এলাকার বেশ কয়েকজন বড় ভাই মিলে আয়োজন করেছিল। সাঁতার প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করবে তাদের প্রত্যেকের জন্য ছিল এক বেলা বিরিয়ানি খাওয়া।

সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমরা আমাদের গ্ৰাম থেকে প্রায় ছয় থেকে সাত জন ছেলে বেরিয়ে পড়ি এবং সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য নির্ধারিত পুকুরের উদোশ্যে হাঁটতে শুরু করলাম।আর এই প্রতিযোগিতার মধ্যে প্রায় দশ থেকে বারো গ্ৰামের মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারবেন।তো আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে গিয়ে পুকুরের মধ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হই। পুকুরের মধ্যে গিয়ে দেখলাম, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্ৰামের লোক উপস্থিত হয়ে গিয়েছে সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। যারা এই প্রতিযোগিতার মধ্যে অংশগ্রহণ করতে এসেছিল তাদের প্রত্যেকেই চিনি। তাদের সাথে আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে গল্প করছিলাম।আর আমরা সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজন কারীদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।

বেশ কিছু সময়ের মধ্যে সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজন কারী আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে যায়।আর সাঁতার প্রতিযোগিতায় যারা অংশগ্রহণ করবে, তারা সকলেই উপস্থিত হয়ে যায়। এরপর আমরা পুকুরের এক পাশে সিরিয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যাই। আমরা মোট একশত বিশ জন ছেলে এই প্রতিযোগিতার মধ্যে অংশগ্রহণ করেছিলাম।তো আমরা এখন সকলেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সাঁতার কাটতেছিলাম।আমি পুকুরের মাঝখানে গিয়ে একটু হাঁফিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে দম নিয়ে নেই। এরপর আবার আমি সাঁতার কাটি। বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে পুকুরের মাথায় গিয়ে দেখতে পারি আমার আগে প্রায় পঞ্চাশ জন ছেলে পুকুরের মাথায় যেতে সক্ষম হয়েছে।আর অল্প কিছু ছেলে এখন ও সাঁতার কেটে আসছে।

যেহেতু সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা প্রতিটি প্রার্থীর জন্য বিরিয়ানি খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য পুকুর থেকে উঠে একটি আম বাগানের মধ্যে লাইন হয়ে বসে পড়ি। এরপর আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসায় চলে আসি।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।