ওয়েব ১.০, ওয়েব ২.০ এবং ওয়েব ৩.০ কী?
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ২০ ই অক্টোবর ২০২৪ ইং
ওয়েব ১.০ কী?
ওয়েব ১.০ হলো প্রথম পর্যায়ের ইন্টারনেট, যার মাধ্যমে পৃথিবীতে ইন্টারনেটের সূচনা হয়। যখন পৃথিবীর মধ্যে সর্বপ্রথম ইন্টারনেট চালু করা হয়, তখন ওয়েব ১.০ কে কেন্দ্র ইন্টারনেট চালু করা হয়েছিল।আর এই ওয়েব ১.০ বেশ কিছু কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।তার মধ্যে অন্যতম হলো ওয়েব ১.০ এর সময় মানুষ চাইলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন ধরনের কন্টেন্ট শুধু মাত্র পড়তে এবং দেখতে পারতো। এছাড়া তখন মন্তব্য করার তেমন একটা সুযোগ সুবিধা ছিল না। মানুষ চাইলে তখন ভিডিও কিংবা ছবি দেখতে পারতেন না ইন্টারনেটের মাধ্যমে।আর এই সময় টি ছিল নব্বই দশক থেকে দুই হাজারের আশেপাশের সময়। ওয়েব ১.০ এর জগতে মানুষ খুব একটা বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ সুবিধা পেয়েছিলেন না।
ওয়েব ২.০ কী?
ওয়েব ২.০ ওয়েবের সৃজনশীলতা, পারস্পরিক সম্পর্ক , যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান, সংযোগিতা ইত্যাদির সমষ্টিকে বোঝায়। ওয়েব ১.০ এর জগতে যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন ধরনের তথ্য আদান-প্রদান, যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্পর্ক ইত্যাদি আরো অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ওয়েব ২.০ তে আসার পর ইন্টারনেট আরো অনেক বেশি আপগ্রেড করে এবং সকল প্রকার সার্ভিস কে তারা একটু সম্প্রসারিত করে তোলে। ওয়েব ২.০ এর জগতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও, অডিও, ছবি ইত্যাদি সকল ধরনের সার্ভিস চালু করা হয়।আর এর মাধ্যমেই ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।ওয়েব ২.০ এর যুগে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও, অডিও, ছবি এবং আরো বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস গ্ৰহণ করতে পারবে।
ওয়েব ২.০ চলে আসার পর ফেসবুক, ইউটিউব এবং আরো বিভিন্ন ধরনের সোসাল মিডিয়ার মধ্যে ভিডিও, অডিও এবং যোগাযোগ করার জন্য এক বিশাল ব্যবস্থা চালু করা হয়।আর আপনি চাইলে যে সোসিয়াল মিডিয়া কিংবা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার মনের মতো মন্তব্য করতে পারবেন। তবে, ওয়েব ২.০ এ আপনার সকল ধরনের নিরাপত্তা তেমন একটা নিশ্চিত করা যায়নি। ওয়েব ২.০ এর জগতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যে কোন সময় হারিয়ে যেতে পারে। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি রয়েছে, আর আপনার এই ফেসবুক আইডির পুরোপুরি ভাবে ফেসবুক টিম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।তাই যে কোন সময় তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিতে পারে।
ওয়েব ৩.০ কী?
ওয়েব ৩.০ বলতে decentralised (বিকেন্দ্রীকরণ) বিষয় কে বোঝায় । যা আপনার সকল ধরনের তথ্য কে সুরক্ষিত রাখে। ওয়েব ৩.০ এর সূচনা হয় ক্রিপ্ট কারেন্সির জনপ্রিয় বিট কয়েনের মাধ্যমে।আর সে হিসেবে সূচনা হয় ২০০৯ সালে। যেহেতু বিটকয়েন ২০০৯ সালে চালু করা হয়।আর দিন দিন ওয়েব ৩.০ এর অধীনে এখন পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে কয়েন যুক্ত হয়েছে।ওয়েব ৩.০ আমাদের লেনদেন কে অনেক টা সহজ করে দিয়েছে । আমরা যখন কোন সাধারণ ব্যাংকের মধ্যে লেনদেন করি, তখন আমাদের কে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু অপরদিকে ওয়েব ৩.০ এর যে কোন কয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করা অনেক টা সহজ।আর ওয়েব ৩.০ এর মাধ্যমে লেনদেন করতে থার্ড পার্টি কোন কোম্পানি কিংবা অফিসের প্রয়োজন হয় না। আমরা চাইলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওয়েব ৩.০ এর মাধ্যমে লেনদেন করতে পারি।
আর এই লেনদেনের তথ্য ব্লকচেইনের মধ্যে ওপেন সোর্স হিসেবে থাকে।আর আপনার বাস্তব আইডেনটিটি সম্পুর্ন ভাবে গোপন রাখে তারা। কোন থার্ড পার্টি চাইলে আপনার বাস্তব আইডেনটিটি দেখতে পারবে না।ইতোমধ্যে বিশ্বে ওয়েব ৩.০ ইন্টারনেট ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে পৃথিবীর সব কিছু ওয়েব ৩.০ এর অধীনে চলে আসবে।এর ফলে কোন প্রতিষ্ঠানের থাকবে না কোন প্রধান। আমরা ফেসবুক কিংবা টুইটারের মধ্যে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই। যখন এই প্রতিষ্ঠান গুলো ওয়েব ৩.০ এর অধীনে চলে যাবে তখন সকল ধরনের সিকিউরিটি আরো শক্তিশালী হবে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়েবের তিনটি ভাগ বেশ স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন। প্রত্যেকটি বিভাগ যে কিভাবে এক একটি সার্ভিসকে নিয়ন্ত্রণ করে তা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল। সমস্ত প্রচলিত টপিকের বাইরে গিয়ে ভিন্নধর্মী পোস্ট আপনি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।
জী ভাইয়া আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি সুন্দর করে সাজিয়ে লেখার।
ওয়েব ৩.০ নিঃসন্দেহে দিনদিন বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে। কারণ সকল ধরনের তথ্যকে সুরক্ষিত রাখতে ওয়েব ৩.০ এর জুড়ি মেলা ভার। আপনি চমৎকার ভাবে ওয়েব ১.০, ওয়েব ২.০ এবং ওয়েব ৩.০ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।