ভ্রমণ পোস্ট: শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন ট্রেন ভ্রমণ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ০৩ ই অক্টোবর ২০২৪ ইং
বরাবরের মতো ট্রেন ভ্রমণ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।আর ট্রেন ভ্রমণ করলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারা যায়।আর এই অভিজ্ঞতা গুলো বাস্তব জীবনে অনেক বেশি কাজে লাগে।আর ট্রেন ভ্রমণের মজা একটু অন্যরকম আনন্দের। আর আমার ট্রেন ভ্রমণ অনেক টা নিরাপদ ভ্রমণ মনে হয়। কেননা ট্রেন ভ্রমণের মধ্যে তেমন কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা খুবই কম থাকে।আর ট্রেন ভ্রমণের মাধ্যমে একটু বেশি সময় লাগলেও নিরাপদ ভাবে ভ্রমণ করতে পারি, এটাই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বর্তমান সময়ে খোলা রাস্তার মধ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক টা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই অনুপাতে হিসাব করলে দেখা যাবে ট্রেন ভ্রমণ একটি নিরাপদ ভ্রমণ।তবে, ট্রেন ভ্রমণে কিছু কিছু সময় বিভিন্ন ধরনের চক্রের দেখা পাওয়া যায়। আমাদের উচিত সেসব চক্র থেকে পুরোপুরি বিরত থাকা।
বেশ কিছুদিন ধরে দিনাজপুর যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছিলাম, কিন্তু যাওয়ার সময় সুযোগ হচ্ছিল না।আর একা একা আমার কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। সাথে কোন বন্ধু কিংবা ভাই থাকলে যে কোন জায়গার মধ্যে ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে এবং সময় ও বেশ ভালো কাটে।তো আমি দিনাজপুর যাওয়ার জন্য আমার এক বন্ধু কে যাওয়ার আগের দিন বলছিলাম।সে ও যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়। আর আমরা দিনাজপুর ট্রেনের মধ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। এরপর আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখলাম ট্রেনের সময়সূচি। আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম ট্রেন সকাল আট টা পনের মিনিটে রয়েছে।
তো আমাদের কে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে।আর আমাদের বাসা থেকে শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশন একটু খানি দুরে। প্রায় সাত থেকে আট কিলোমিটার দূর হবে।তো আমরা পরদিন সকাল সাতটার মধ্যে রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম। আমরা সকাল আটটার মধ্যে শ্যামপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে উপস্থিত হয়ে যাই। আমরা স্টেশনের মধ্যে যাওয়ার কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমাদের ট্রেন চলে আসে এবং ট্রেনের একদম সামনের দিকের একটি বগির মধ্যে উঠে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই ট্রেন টি ছেড়ে দেয়। আসলে, আমরা যে ট্রেনের মধ্যে যাচ্ছিলাম সে ট্রেন টি ছিল, বুড়িমারী - বিরল কমিউটার ট্রেন।তাই এই ট্রেনের গতি ছিল খুব ধীর গতি।আর এই কমিউটার ট্রেন গুলো খুবই পুরনো।
এই ট্রেন গুলোর ধীর গতি হলেও ভ্রমণ করে অনেক মজা পাওয়া যায়।তবে, এই সব ট্রেনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চক্র বের হয়। আমাদের কে এই সব চক্র থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে ট্রেন ভ্রমণ করতে হবে। অসাবধানতার কারণে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে আমাদের কে খেয়াল রাখতে হবে। বেশ কিছু সময়ের মধ্যে আমরা পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে এসে পৌঁছায়।আর এই পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে দীর্ঘ সময়ের জন্য ট্রেন টি দাঁড়িয়ে থাকে।আর ট্রেন যে কোন জায়গার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকলে আমার কাছে বিরক্তিকর বোধ হয়।আর পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন যেহেতু বাংলাদেশের মধ্যে একটি বড় রেলওয়ে স্টেশন, তাই স্টেশনের মধ্যে এসে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে এবং ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করে।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পর ট্রেন টি দিনাজপুরের দিকে ছেড়ে দেয়। আসলে, যে কোন ধরনের গাড়ি ভ্রমণ করার সময় দীর্ঘ সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলে আমার কাছে অনেক বেশি বিরক্তিকর বোধ হয়। বিশেষ করে ট্রেন ভ্রমণ করার সময় এই ধরনের বিরক্তিকর বোধ প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে। যাইহোক, ট্রান তার গতিতে এগিয়ে চলতে থাকে।আমি জানালার পাশে বসে চারদিকের সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছিলাম।আর চারদিকের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে বেশ ভালো লাগছিলো আমার কাছে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ট্রেন টি দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে যায়। আমরা দুজন দিনাজপুরের মধ্যে নেমে পড়ি। দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন টি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে আমার কাছে।সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর একটি ভ্রমণ করতে পেরেছি ট্রেনের মাধ্যমে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 12+12 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই কমিউটার ট্রেন হোক বা যেকোনো ধরনের ট্রেনই হোক না কেন ট্রেনে চড়তে আমার তো ভীষণ ভালো লাগে। তুমি ট্রেনে দাঁড়িয়ে জার্নি করাটা অনেক কষ্টকর। আর যদি ট্রেনে যাত্রার পথে কেউ আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে তবে দেখতেও কেমন যেন একটা লাগে। যাইহোক আপনার ভ্রমণ পোস্ট পড়ে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
টেন জার্নি আমি খুব পছন্দ করি। তবে অতিরিক্ত আওয়াজটা আমার কাছে বিরক্তকর মনে হয়। আর দাঁড়িয়ে তো কখনোই জার্নি করা যায় না। দীর্ঘ পথ হলে দাঁড়িয়ে জার্নি করাটা বেশ কঠিন। যাইহোক আপনি আজকে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে দীর্ঘ পথের ট্রেন জার্নি। খুব ভালো লাগলো পোস্টটা দেখে।