লাইফস্টাইল: দীর্ঘ দিন পর বন্ধুবান্ধবদের সাথে একটি আনন্দময় দিন উপভোগ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ০২ ই অক্টোবর ২০২৪ ইং
রাতের শহরে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে।আর রাতের বেলা শহরের সৌন্দর্য অনেক টা বৃদ্ধি পায়। আপনারা যারা রাতের বেলা শহরের মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছেন তারা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর রাতের বেলা ঘোরাঘুরি ঘোরাঘুরি করা মোটেও কোন ভালো অভ্যাস নয়। তবে, আমরা যদি কখনো রাতের বেলা ঘুরতে বের হই তাহলে সব সময় মন্দ জিনিস থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবো। প্রতিটি ভালোর পাশাপাশি খারাপ ও যুক্ত থাকে। ঠিক অনুরুপ ভাবে রাতের শহরের সৌন্দর্য অনেক বেশি সুন্দর হলেও এর মধ্যে কিছু সংখ্যক খারাপ জিনিস রয়েছে। খারাপ জিনিস গুলো হয়তো ইতোমধ্যে বুঝতে পেরেছেন।আর এই সব কিছু আমাদের কে সব সময় এড়িয়ে চলতে হবে। ভালো মন্দ মিলিয়ে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী। আমরা সব সময় এই পৃথিবীর সৌন্দর্য কে উপভোগ করার চেষ্টা করবো।
আমরা সেদিন দীর্ঘ দিন পর গ্ৰাম থেকে শহরের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে আমরা হঠাৎ করেই চলে গিয়েছিলাম শহরের মধ্যে। আগে থেকেই কোন ধরনের প্লান পরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎ করে আমার এক বন্ধু তার বাইক নিয়ে আমাদের গ্ৰামের মধ্যে ঘুরতে চলে আসে, আসলে সেখান থেকেই কোন এক কথার মাঝে রাতের বেলা রংপুর শহরে যাওয়ার কথা চলে আসে। এরপর আমরা সেই কথা অনুযায়ী রাতের বেলা রংপুর যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেই। দীর্ঘ দিন ধরে রংপুর শহরের মধ্যে যাওয়া হয়নি বলেই সেদিন আমরা হঠাৎ করেই এই পরিকল্পনা করেছিলাম।আর বন্ধু বান্ধব একত্রিত হলে বিভিন্ন ধরনের কথা মাথায় চলে আসে।তো আমরা মাগরিবের মধ্যে রংপুর যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম।
যেহেতু আমাদের আরো বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধব রংপুর শহরের মধ্যে মেসে থাকেন।তাই আমরা যাওয়ার সময় তাদের কে বলি। তারা আমাদের জন্য রাতের বেলার খাবারের এক বিশাল আয়োজন করে।আর অনেক দিন পর আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধব একত্রিত হবো। এটা ভেবে আমার মনের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিল।তো আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে গাড়ি নিয়ে রংপুর শহরের দিকে রওনা দিলাম। আমাদের গ্ৰাম থেকে রংপুর শহরের দুরুত্ব প্রায় পনের কিলোমিটার হবে। আমরা প্রায় ত্রিশ মিনিটের মধ্যে আমাদের বন্ধুদের মেসের মধ্যে পৌঁছে যাই। আসার সময় রাস্তার মধ্যে তেমন একটা জ্যাম ছিল না বলেই একটু দ্রুত আসার সুযোগ হয়েছে। রাস্তার মধ্যে জ্যাম থাকলে হয়তো আরো অনেক বেশি সময় লেগে যেত।
বন্ধুর মেসের সামনে গিয়ে তাদের সবাইকে কল করে মেসের সামনে বের হতে বললাম।তারা একে একে সকলেই বের হয়ে আসলো।আর অনেক দিন পর তাদের সাথে দেখা হয়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। আসলে বন্ধুদের সাথে দীর্ঘদিন পর দেখা হলে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে।তো আমরা সকলেই মিলে বন্ধুদের মেসের মধ্যে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় রেস্ট নিলাম।রেস্ট নেয়ার পর আমরা সকলে মিলে রাতের রংপুর শহর ঘোরাঘুরি করার পরিকল্পনা করলাম। এরপর আমরা সকলেই মিলে মেস থেকে বের হয়ে রংপুর শহরের প্রবেশ পথ দর্শনায় চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমরা দুটি রিকশা ঠিক করে নিলাম পুরো শহর ঘোরাঘুরি করার জন্য। আসলে আমরা নির্দিষ্ট কোন জায়গার মধ্যে ঘোরাঘুরি করার জন্য বের হয়নি। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে রাতের শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বের হয়েছিলাম।
প্রথমে আমরা রংপুর শহরের লালবাগ দিয়ে প্রেসক্লাবের দিকে যেতে শুরু করলাম। যাওয়ার পথে আমরা শহরের সৌন্দর্য খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করছিলাম।আর রাতের বেলার সৌন্দর্য আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। আসলে, ইতোমধ্যে এরকম ভাবে কোন দিন রাতের শহরে ঘোরাঘুরি করা হয়নি। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘোরাঘুরি করার পর আবার চলে আসলাম লালবাগ। লালবাগ আসার পর আমরা রিকশা থেকে নেমে পড়লাম সকলেই। আমাদের এক বন্ধু কিছু খাওয়া দাওয়া করার জন্য একটি দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমরা সবজি পরোটা এবং বেশ কয়েক ধরণের কেক খেয়েছিলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা আমাদের বন্ধুর মেসের দিকে রওনা দিলাম।সব মিলিয়ে আমরা সকল বন্ধুরা সহ রাতের বেলা খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছিলাম।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
বেশ চমৎকার আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আপনার এই পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম অনেকটা ভালো লাগার মুহূর্ত ছিল এবং সেই ভালোলাগার সাথে খাওয়া-দাওয়া ব্যবস্থা। যাই হোক মাঝে মধ্যে এমন আনন্দ ফিরে আসলে মনের প্রশান্ত শান্তি পাওয়া যায়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.