মেয়ের জন্মদিনে কেক কেনার মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আজকের ব্লগটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
গতকালের দিনটা অনেকটা ব্যস্ততম একটা দিন গেছে। যদিও তেমন কোন আয়োজন নেই তারপরও দিনটা অনেকটা ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে। সারাটা দিন চেষ্টা করেছি মেয়েটাকে আনন্দ দেওয়ার ভালো রাখার ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত তাকে নানাভাবে আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করেছি। মা হিসেবে মেয়েকে এতোটুকু আনন্দ দেয়া আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বলে মনে করি। এবার বলি আসল কথা গতকাল ছিল আমার মেয়ের জন্মদিন। এবার ওর ছয় বছর পূর্ণ হল। ছোটবেলায় তেমন কোন কিছু করা হতো না বা ও তেমন বুঝতেও না। কেক কিনে দিলেও খুশি তবে এবার তার অনেক রকম আবদার ছিল। বাবার কাছে মায়ের কাছে। আমি চেষ্টা করেছি ওর সব রকম আবদার পূরণ করতে ওর জন্মদিন নিয়ে কয়েকটি ব্লগ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। তবে আজ এখন শেয়ার করছি ওকে নিয়ে কেক ডেলিভারি নেওয়ার মুহূর্ত টা।
গোবিন্দগঞ্জে যখন প্রথম আসি তখন এখানে তেমন কোন ভালো কেক পেতাম না।ওই বাজারে গিয়ে দোকানের যেগুলো নরমাল কেক সেগুলোই পেতাম। তবে এখন একটা কেকের দোকান থেকে খুব ভালো কেক পাওয়া যায়। কেকের দোকানটা নতুন দিয়েছে তবে ওরা আগে বাড়ি থেকে কেক ডেলিভারি করতো যেটা আমার খুবই ভালো লাগতো ওদের অনলাইনে অর্ডার করলে বাসায় কেক পেয়ে যেতাম। বেশ ভালো ছিল সার্ভিসটা। এখন দোকানে গিয়ে অর্ডার করতে হয়। ওর জন্মদিন যেহেতু ২৮ শে অক্টোবর এ জন্য আমি ২৭ তারিখে গিয়ে কেকটা অর্ডার করে এসেছিলাম এবং আমি ও আমার মেয়ের পছন্দের কেকটা অর্ডার করেছি। এর আগেও আমাদের বাসায় ঐ কেক আনিয়েছিলাম। এক কথায় যে খেয়েছে সে এই কেকের ফিদা হয়েছে। এজন্য পছন্দের কেক টাই অর্ডার করেছিলাম। আর আমার মেয়ের জন্মদিনের ড্রেসের কালার এর সাথে ম্যাচিং করে কেকের কালার টাও দিতে বলেছিলাম অত্যন্ত ভালো ছিল কেকটা।
কেক নেওয়ার জন্য মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমার মেয়ে কেকের দোকানটা দেখতে যাচ্ছিল। খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা আর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল শপের যে ওনার তারার ব্যবহার। এত সুন্দর ব্যবহার সত্যিই প্রশংসা না করে পারলাম না। কেকের দোকানে যে ওনার উনি আমার মেয়েকে তার চেয়ারে বসে ছবি তুলেছে আমার মেয়ে তো খুব মজা পেয়েছে।
আমি তো চিন্তা করেছি এখন যেকোনো ধরনের কেক কিনতে হলে উনাদের দোকান থেকে কিনব। দোকানে গিয়ে দেখতে পেলাম উনাদের দোকানে খুব সুন্দর বেকারি কেক পাওয়া যায়। কোন ধরনের পার্টির জন্য সব এক্সেসরিজ গুলো এখানে এভেলেবেল আছে। পার্টি স্প্রে বেলুন মোমবাতি বিভিন্ন ধরনের ক্যাপ টুপি সমস্ত কিছুই একটা দোকানে আছে এটা খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। একটা দোকানে এসে সমস্ত কিছু হাতের কাছে পেয়ে যাব। আসার সময় ভাইয়া বলে দিয়েছিলেন কেকটা কেমন লাগে জানাতে সত্যি কেকটা অনেক বেশি ভালো ছিল এবং আমি উনাকে সাথে সাথে জানিয়ে দিয়েছি যে কেকটা খেতে খুবই মজা ছিল।
জন্মদিনের আরও কিছু মূহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার মেয়ের জন্মদিন জেনে ভালো লাগলো। বাবুর জন্মদিনের জন্য কেক চেনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। গোবিন্দগঞ্জে ভালো কেক পাওয়া যেত না। তবে যাই হোক এখন যে নতুন দোকানে পাওয়া যায়। আর আরেকটা বিষয় অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টা কিন্তু অনেক সুবিধা হয়ে গেছে।
হ্যাঁ আপু অনলাইনে অর্ডার করেও করা যায় এজন্য এই দোকান থেকে কেক অর্ডার করি আমি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
যদিও কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছে তবে আপনার মেয়ের জন্য জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা আপু। আপনারা কেক আনতে গিয়ে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বার্থডে সেলিব্রেট করার জন্য বাকি আরো কিছু জিনিস কিনেছেন আপনারা। জন্মদিনের বাকি ব্লগ গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপু।
খুব তাড়াতাড়ি বাকি ব্লগগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমি বেশিরভাগ সময় দেখেছি কে কে দোকানগুলোতে জন্মদিনে প্রয়োজনীয় সবকিছুই পাওয়া যায়। মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেনার দারুন অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার মেয়ের জন্য জন্মদিন উপলক্ষে অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।
এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
আপনার মেয়ের জন্য আমার তরফ থেকে অনেক অনেক শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। মিষ্টি মামনি অনেক বড় হয়ে উঠুক এবং মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠুক। জন্মদিনের দিন এমন ছোট্ট শিশুরা খুব আনন্দে থাকে। আর তাদের আনন্দটুকুই আমাদের কাছে সম্পদের মত। আপনি এমন সুন্দর কেকের দোকান থেকে কেক অর্ডার করে কিনেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। তার হাসি মুখটুকুই তো সবকিছু।
মেয়ের হাসির জন্য আমি সবকিছুই করতে পারি।। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
যদিও লেইট, তবুও আপনার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ওর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো আমার পক্ষ থেকে। বড় হয়ে যেন ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে আপনাদের গর্বিত করতে পারে, সেই শুভকামনা। আর এই কেক এর ব্রান্ড আমার কাছে এখন খুবই পরিচিত হয়ে গিয়েছে! আপনাদের ( আপনি, অতসী দিদিভাই কিংবা শুভ ভাই এর) যে কোন অনুষ্ঠানে এদের কেকই দেখা যায় সবসময়। তাতেই বোঝা যাচ্ছে এদের কেক ভীষণ ই মজার হয়। মেয়ের জন্মদিনের ড্রেসের সাথে ম্যাচিং ম্যাচিং কেক এর ছবি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
দোয়া করবেন আপু একদিন যাতে মেয়ের গর্বিত মা হিসেবে নিজেকে পরিচিয় দিতে পারি। আর জন্মদিনের কেকের অবশ্যই ছবি দিয়ে দেবো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রথমেই আপনার মেয়েকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু। আসলে বাচ্চারা একটু বড় হওয়ার পর, তারা চায় তাদের জন্মদিনটা একটু সুন্দর ভাবে পালন করা হোক। তাদের এই আবদারটা কিন্তু অযৌক্তিক না। যাইহোক আপনার মেয়ের জন্মদিনের কেক কেনার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু বাচ্চাদের খুশি করার জন্য মায়েরা কত কিছুই না করে। আর জন্মদিনে তাদেরকে খুশি রাখতেও ভালো লাগে। অনেক ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন আপু। এর মাঝেও নিজের মেয়েকে খুশি রেখেছেন এটা জেনে বেশি ভালো লাগলো। আপু আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইলো।