রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনকার মতো আজও আমি নতুন একটি রেসিপি নিয়ে যুক্ত হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট রেসিপি।
মুগ ডাল দিয়ে যে কোন মাছের মুড়িঘণ্ট আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট খেতে আরও বেশি ভালো লাগে। আমার পরিবারের সবাই এই রেসিপি টি খেতে খুব পছন্দ করে। আমি কিছু দিন আগে রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘণ্ট রান্না করেছিলাম। সেই রেসিপি টি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম | |
---|---|---|
১ | মুগ ডাল | |
২ | রুই মাছের মাথা | |
৩ | পেঁয়াজ কুচি | |
৪ | মরিচ কুচি | |
৫ | মরিচের গুড়া | |
৬ | তেজপাতা | |
৭ | দারচিনি | |
৮ | লবণ | |
৯ | হলুদ | |
১০ | জিরা বাটা | |
১১ | রসুন বাটা | |
১২ | আদা বাটা |
ধাপ-১
- প্রথমে একটি কাড়াই চুলায় বসিয়ে দিয়ে গরম করে নিতে হবে। এরপর কাড়াইয়ে মুগডাল দিয়ে হালকা আঁচে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-২
- ভাজা হয়ে এলে ডালগুলো একটা বাটিতে তুলে নিয়ে পানি দিয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখেছি।
ধাপ-৩
- এরপর কাড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ, মরিচ কুচি দিয়ে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৪
- পেঁয়াজ ভাজা হয়ে এলে তাতে সব মশলাগুলো দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
- মশলা কষানো হয়ে এলে তাতে মাছের মাথা দিয়েছি।এরপর ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে দিয়েছি।
ধাপ-৬
- মাছগুলো কষানো হয়ে এলে তাতে ডালগুলো দিয়েছি।এরপর নাড়াচাড়া করে সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঢেকে দিয়েছি।সবকিছু ভালোভাবে সিদ্ধ হলে বাটিতে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
- এবার ফোড়ন দেওয়ার জন্য কাড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে দারচিনি ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি।
ধাপ-৯
- পেঁয়াজ হালকা ভাজা হলে তাতে ডালও মাছ গুলো দিয়ে নাড়াচাড়া কিছুক্ষন পর নামিয়ে নিয়েছি।
আমি কখনো মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট করি নাই আপু।আমার বাংলা ব্লগের এত সুন্দর সুন্দর করে মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট রেসিপি শেয়ার করেন দেখে লোভ সামলাতে পারি না।দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে আপু।একদিন এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখব।
খেয়ে দেখবেন আপনার কাছে ও অনেক ভালো লাগবে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মুগ ডাল দিয়ে যেকোনো কিছুর মাথা রান্না করলেই আমার কাছে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। মুগ ডাল দিয়ে যেমন খাসির মাথা খেতেও দারুন লাগে ।তেমনি মাছের মাথা রান্না করলেও খুবই চমৎকার হয়। আজ আপনি রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্টা করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে ।প্রতিটি ধাপ খুব চমৎকারভাবে দেখিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
জ্বি আপু ঠিক বলেছেন মুগ ডাল দিয়ে খাসির মাথা খেতে ও মজা।আমার রেসিপি দেখে আপনার খেতে ইচ্ছা করছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
উপকরণের বক্সটি সুন্দর করে সাজিয়েছেন। তবে শেষের লেখাটি এলোমেলো লাগছে। একটু ঠিক করে নিলে পোষ্টের মান আরো ভালো হবে আপু। যাইহোক আপু মাছের মাথা দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। মাছের মাথা দিয়ে এভাবে রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে। দেখে খেতে মন চাইছে আপু। লোভনীয় এই রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
ভুল টি ধরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মুগ ডাল দিয়ে যেকোন মাছের মাথা রান্না করলে অনেক মজা লাগে। আর আপনি তো রুই মাছ দিয়ে রান্না ডাল করেছেন।দেখে অনেক লোভলেগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট রেসিপি আমার কাছে খুবই সুন্দর লাগে আমি গত পরশুদিনও এই খাবারটা খেয়েছি। আপনার মুড়িঘন্ট রাখার বাটিটা আমার খুব চেনা চেনা লাগছে কারণ এইরকম একটা বাটি আমারও আছে। সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
জেনে ভালো লাগলো যে আপনার সাথে আমার বাটির মিল আছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকেও আপু
মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল রান্না করে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। মুগ ডাল সাথে যে কোন মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে অনেক মজা লাগে খেতে। আপনার রুই মাছের মাথার রেসিপিটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমার তো মন চাইতেছে গরম রুটি দিয়ে আপনার রেসিপিটি খেতে। অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রেসিপি আপনার খেতে ইচ্ছা করছে জেনে খুশি হলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপু রুই মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট রান্না করলে অনেক বেশি মজা হয়। আপনি উপকরনগুলো এক এক করে তুলে ধরেছেন, একটা একটু সরে গেছে। যাই হোক আপনি ধাপে ধাপে রান্না শেষ করে দেখালেন, অনেক বেশি মজার ছিল দেখে বোঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ, মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি ধাপে ধাপে দেখানোর চেষ্টা করেছি আপু।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।