লাউ দিয়ে কালবাউশ মাছের ঝোল রেসিপি
❤️হ্যালো ভোজনরসিক বন্ধুরা❤️
কেমন আছেন সবাই?নিশ্চয়ই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনকার মতো আজ নতুন একটি রেসিপি নিয়ে যুক্ত হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে লাউ দিয়ে কালবাউশ মাছের ঝোল রেসিপি শেয়ার করব।
লাউ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস ও পটাশিয়াম থাকে।আমি লাউ খেতে পছন্দ করি। আজ আমি লাউ দিয়ে কালবাউশ মাছের ঝোল রেসিপি টি শেয়ার করব।আমি কিভাবে রেসিপি টি তৈরি করেছি সেটা সম্পূর্ণ শেয়ার করব।
উপকরণ সমূহ
- কালবাউশ মাছ
- লাউ
- আলু
- পেঁয়াজ কুচি
- মরিচবাটা
- জিরা বাটা
- পাঁচফোড়ন
- লবণ
- হলুদ
ধাপ-১
- প্রথমে কয়েকটি আলু কেটে সিদ্ধ করে নিয়েছি।এরপর আলু গুলো হাত দিয়ে ভেঙে নিয়েছি।
ধাপ-২
- এরপর মাছগুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তাতে পরিমাণমত লবণ,হলুদ মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
- এবার কাড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে মাছ গুলো দিয়েছি।
ধাপ-৪
- এরপর মাছগুলো ভাজা হয়ে এলে বাটিতে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৫
- এবার কাড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোরন দিয়েছি।এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি।
ধাপ-৬
- এরপর পেয়াজ ভাজা হয়ে এলে তাতে সব মশলাগুলো দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
- এবার এতে কেটে রাখা লাউ দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
- এরপর এতে আলু গুলো দিয়ে নাড়াচাড়া করে দিয়েছি।
ধাপ-৯
- সবশেষে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষন পর নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
- সবশেষে একটি বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করেছি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আপনাদের কাছে কেমন লাগলো মন্তব্য করে জানাবেন অবশ্যই।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে। 🌺🌺
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু । লাউ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। লাউ আমার খুব পছন্দের আপু। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা আপু। আপনার রেসিপিটি দেখে বলতেই হবে যে এটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে । আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমার রেসিপি দেখে আপনার খেতে ইচ্ছা করছে জেনে ভালো লাগলো আপু। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
সত্যি আপু লাউ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। লাউ দিয়ে যেকোন মাছ রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। লাউ দিয়ে কালবাউশ মাছের রেসিপি কিন্তু দারুণ হয়েছে আপু। তবে এই মাছটি খুব একটা খাওয়া হয় না। অনেকদিন পর এই মাছ দেখলাম আপু। মন চাচ্ছে একটুখানি খেতে। যাই হোক মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। শীতের দিনে লাউ দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে বেশি ভালো লাগে।
আমার রেসিপি আপনার খেতে ইচ্ছা করতে ইচ্ছা করছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু,লাউয়ে রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক পুষ্টি গুন যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।আমিও লাউ খেতে খুবই পছন্দ করি,লাউ চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে খুব খেতে ভালো লাগে। আমি সচরাচর লাউ অন্য মাছ দিয়ে তেমন একটা রান্না করে খাইনি তবে আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে হয়েছে সুস্বাদু হয়েছে। আপু, কালবাউশ খুবই সুস্বাদু একটি মাছ। আপু ধন্যবাদ💐💐
জ্বি এবারের মৌসুমে প্রথম লাউ খেতে খুব ভালো হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন লাউ এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। এবং এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। আমার তো লাউ খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে কালিবাউশ মাছ দিয়ে লাউয়ের রেসিপি করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে আপুর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এতো সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
লাউ আমার খুব পছন্দের একটি সবজি। এটি আসলেই আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। তবে আমার কাছে লাউ চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখেও খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে আমি লাউ রান্না করার সময় কখনো পাঁচফোড়ন ব্যবহার করিনি। পাঁচফোড়ন ব্যবহার করলে স্বাদ টা মনে হয় খুব ভালো হয়। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
লাউচিংড়ি খেতে যেমন মজা তেমনি মাছ দিয়ে খেতে ভালো লাগে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন লাউ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই লাউ দিয়ে যেকোনো ধরনের তরকারি রান্না করলে সেটি আমার কাছে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে ।কালবাউশ মাছটিকে আমি চিনতে পারলাম না ।এটি কখনো খাওয়া হয়নি ।তবে আপনার রেসিপিটি যে খুবই সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।আপনি প্রথমে আলু সিদ্ধ করে আলুগুলোকে হাত দিয়ে ভেঙে নিয়েছেন ব্যাপারটি আমার কাছে বেশ অন্যরকম লেগেছে। এভাবে দিলে মনে হয় খেতে বেশ সুস্বাদু লাগবে ।এছাড়াও আপনি পাঁচফোড়ন ব্যবহার করেছেন হয়তো তরকারির সুগন্ধ বৃদ্ধির জন্য ।ভালো লাগলো রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু দিয়ে রান্না করলে ঝোল টাও ভারী হয় খেতেও দারুণ লাগে।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।লাউ এই শীতের মধ্যে খেতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে।আর লাউ দিয়ে যে কোন রেসিপি রান্না করলে বেশ সুন্দর হয়। কালবাউস মাছ অনেক দিন হলো খাওয়া হয়না। বাড়িতে থাকলে মাঝে মধ্যে খাওয়া হয়।লাউ দিয়ে মাছ রান্না ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
আপনি অনেক সুন্দর করে লাউ দিয়ে কালবাউশ মাছের রেসিপি করেছেন। এখন বাজারে নতুন লাউ পাওয়া যায়। তা দিয়ে কালবাউশ মাছ ঝোল করে রান্না করেছেন। রেসিপির কালার দেখে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হবে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জ্বি আপু নতুন লাউ দিয়ে মাছের ঝোল খেতে দারুন লাগে। আপনার গোছানো সুন্দর মন্তব্যটি আমাকে উৎসাহ দেবে। ধন্যবাদ আপু।
লাউ এর সাথে মাছ ভাবতেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে।আর কালবাওশ হলে তো কথাই নাই।এই মাছ আমার ভীষণ পছন্দের,খেতেও দারুন স্বাদ।যাইহোক রেসিপিটি তৈরীর পদ্ধতি টি বেশ ভালো লেগেছে আমার।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও এই মাছ খেতে পছন্দ করেন শুনে ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।