আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ১৭ সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দির ভ্রমণ "benificiary 10% @shy-fox "
আসসালামুয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি ভালো আছি।
সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় খুবই উঁচু প্রায় ৫০০-৬০০ সিড়ি পার করে মন্দিরে যেতে হয়। আমার যাওয়া সম্ভব হয়নি দূর থেকে লাল মন্দিরটি দেখা যাচ্ছে শিব মন্দির।এবার শিব পূজার সময় বিশ হাজার মানুষ এসেছে দেশ বিদেশ থেকে পুজো করেতে।
সীতাকুন্ড কলেজ রোডের একটু ভিতরে গেলেই খুবই সুন্দর সুন্দর কারুকাজ করা মন্দির গুলো দেখে যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে। প্রতিটা মন্দিরে কীর্তন হচ্ছে আমার খুবই ভালো লেগেছে।আমার থেকে আমার উসমান বাবুর বেশি ভালো লেগেছে ঢোলের আওয়াজে গাড়িতে বসে নাচানাচি শুরু করে দিয়েছে😊সবুজে ঘেরা মন্দিরে চারিদিকে খুবই সুন্দর একটা পরিবেশ।
মন্দিরের চারিপাশ কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করে চলে গেলাম ব্যাসকুন্ডে পবিত্র স্নানের জায়গাটিতে শিব পূজার সময় সচরাচর ছবি তোলা নিষেধ থাকে।কারণ এখানে পবিত্র গোসল করার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আসে তাই ফটোগ্রাফি তোলা নিষেধ।এখন পুজো নেই তাই কোন নিষেধ ছিল না।তাই ফোটোগ্রাফি তুলছিলাম পুকুরের পানি গুলো দেখে মন জুরিয়ে গেছে।এতটা পরিষ্কার এবং পুকুরটা এতটা সুন্দর কি বলবো। পুকুরের একপাশে অনেক বড় চিতা রয়েছে এখানে যারা পৃথিবী থেকে বিদায় হয়ে গেছে তাদের সমাধি তৈরি করে রেখেছে। ব্যাসকুন্ডে বেশ কিছুক্ষণ বসে প্রাকৃতিক পরিবেশে টা উপভোগ করলাম। কিন্তু বেশি ক্ষণ উপভোগ করতে পারি নি উসমান শুধু পানিতে নেমে যাচ্ছিল😔 যারা সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘুরতে আসবেন তারা কিন্তু আমার মত ছোট বাচ্চা একদমই আনবেন না কারণ তারা খুবই বিরক্ত করে😭
ব্যাসকুন্ডে থেকে একটু হেঁটে সামনে গিয়ে দেখি স্বামী বিবেকানন্দের ভাস্কর্য। দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি অনেকের থেকে শুনেছি এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেছে বেশ কিছুদিন হচ্ছে। এখনো পুরোপুরি ভাবে তৈরি করা হয়নি।পরিবেশটা সবুজে ঘেরা আর এটাতো পাহাড়ি এলাকা চারদিকে সবুজ আর সবুজ চারিদিকে অনাবিল শান্তির বাতাস বইছে এই যে কি শান্তি বলে বোঝাতে পারবো না। আমার খুবই ভালো লেগেছে স্বামী বিবেকানন্দ স্মৃতি পঞ্চ বাটি ভাস্কর্যটি দেখে উনার অনেক সুন্দর সুন্দর উক্তি আমি পড়েছি।
তারপরে চলে গেলাম শঙ্কর মঠের সামনে এখানে এসে ভিতরের দৃশ্য দেখে মন ভরে গেলো।পাহাড়ের ভিতর এত সুন্দর ভাবে মন্দির গুলো তৈরি করে রেখেছে যা বলার বাইরে আর মন্দির গুলো এতটাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কি বলবো আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি।শঙ্কর মঠে ভিতরে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারমিশন দিবে কি দিবে না সেই ভয়ে আর যাইনি। কারণ আমি প্রথমবার এসেছি সেখানকার আমি ভালো করে কিছু জানি না। তারপরও ছোট একটি ভিডিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
ভিডিও লিং:
সীতাকুন্ড সীতাপাহাড় মন্দিরে ঘুরে বেশ আনন্দ করেছি যদিও আমি হাঁটতে পারিনা তারপরও অল্প হেঁটে গাড়িতে বসে প্রকৃতি দৃশ্য উপভোগ করেছি। সীতাকুণ্ড সীতাপাহাড় এত সুন্দর বলে বুঝাতে পারব না।যারা সীতাকুণ্ড আসবেন অবশ্যই আসার সময় সীতাকুন্ড বাজার থেকে খাবার নিয়ে আসবেন। কারণ এখানে তেমন একটা ভালো খাবার পাওয়া যায় না। এছাড়াও সীতাকুণ্ড সীতাপাহাড়ে উঠতে হলে লাঠি ধরে উঠতে হয় কারণ ৫০০-৬০০ সিঁড়ি বেয়ে ওঠা খুবই কঠিন।লাঠি গুলো এখানকার স্থানীয় দোকানদাররা বিক্রি করে। ঈদে আমার যতটা না আনন্দ কেটেছে তা থেকে বেশি আজকের দিনটি আনন্দ লেগেছে। সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়ে গিয়ে আমার এই অনুভূতিটা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না।
বন্ধুরা,আমার ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে? আর সীতাকুন্ড যদি কখনো কেউ আসেন তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
ছবির | বিবরণ |
---|---|
বিভাগ | প্রযোগিতা-১৭ |
ডিভাইস | স্যামসাং A10s |
জায়গা | সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়। |
location | সোর্স(https://w3w.co/sample.perplexed.dampen ) |
ফোটোগ্রাফার | @rita135 |
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
সীতাকুণ্ড পাহাড় টি সত্যি খুব সুন্দর। কখনো সরাসরি দেখা হয়নি তবে আপনার ছবি এবং ভিডিও মাধ্যমে দেখেছে। আপনি খুব আনন্দের সময় পার করেছেন। এবং আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ আপা আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
তাহলে এই বোনের বাসাই চলে আসেন
আপু,আপনার মন্তব্যটি পড়ে সত্যিই খুব খুশি হয়েছি।আপনার মন্তব্যগুলো পড়লে সত্যিই ভালো কাজ করার উৎসাহ পায়। ধন্যবাদ আপুএত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকবেন আশা করি🥰
তার মানে বুঝা যাচ্ছে আপনি অনেক কষ্ট করে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করছেন। সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়ে কখনো যাওয়া হয় নায়, আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন এবং তার বর্ননা দিছেন।কখনো গেলে আমার কাছে সহজ হবে।তবে আজকে প্রতিভা দেখে সত্যিই অবাগ হলাম, আপনি পায়ের ব্যাথা নিয়ে গেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য
ভাইয়া,কষ্টনা নতুন জায়গা দেখার আলাদা একটা আনন্দ কাজ করে।যদি কখনো সময় পান তাহলে চট্টগ্রাম এসে সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ঘুরে যাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া
সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দির আমি অনেকবার গিয়েছি যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি বিশেষ করে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে চারিদিক অপরূপ সৌন্দর্য অবলোপন করা যায়। খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । সত্যি দেখে খুব ভালো লাগলো আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
ভাইয়া, এই পাহাড়ে গিয়েছেন আপনার দেশের বাড়ি কোথায় সেটা আমি জানি না।তবে আমি চন্দ্রনাথ পাহাড়ের থেকে বেশি দূরে নয় তারপরও যেতে পারেনি।এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এখানে আসা সম্ভব হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
আপু ঐদিন শুনেছিলাম আপনার মুখে লোকেশন এর ব্যাপারে।আসলেই দূর্ঘটনা কখন কেমনে যে আসে বলা যায় না। যাই হোক লোকেশনটা আসলেই অনেক সুন্দর। ছবিগুলো বেশ সুন্দর তোলেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু,সীতাকুণ্ড পাহাড়ে যদি আসেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন কতটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।ধন্যবাদ আপু, এত সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।।
দীর্ঘদিন বাসায় শুয়ে বসে থাকতে খুবই বোরিং লাগে। একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসা গেলে মরে কিভাবে ফুরফুরে হয়ে যায়। আপনি খুব দ্রুত একেবারে সুস্থ হয়ে যান এই কামনাই করি।
সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং মন্দির এর অপরূপ দৃশ্য গুলো দেখে মন জুড়িয়ে গেল। এ স্থানে আমি আগে কখনো যাইনি। ছবিগুলো দেখে যা বুঝলাম যদি এ স্থানে ঘুরতে না গেলে একটা আফসোস থেকে যাবে।
আপনি আপনার ঘোরাঘুরি বর্ণনা দারুন ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু, ঠিক বলেছেন দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকাটা এতটা বিরক্তকর যা বলে বোঝানো যাবে না।এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঘর থেকে বের হয়ে খুব আনন্দ উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ আপু🥰
আপনি এক মাস ধরে অসুস্থ আছেন জেনে খুবই খারাপ লাগলো। এতদিন ধরে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও ঈদের আনন্দটা নিজের মতো করে উপভোগ করার চেষ্টা করলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া কোন পুরুষ না থাকা সত্ত্বেও নিজের সাহস করে পরিচিত সিএনজি রিজার্ভ করে ঘুরতে গিয়েছেন বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো। এত কষ্ট করে নিজের মতো করে ঘুরে আনন্দ উপভোগ করলেন। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত নিজের মতো করে উপভোগ করার চেষ্টা করলেন দেখে ভালো লাগলো। এত কষ্ট করে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখেও বিষয়টা অনেক ভালো লাগলো।
আপু,পুরুষ মানুষ না থাকলেও যে এনজি দিয়ে এগিয়েছিলাম সেটি আমাদের পরিচিত কোন ভয় ছিলনা। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।🥰
চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় ভ্রমণের অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে পাহাড় ভ্রমণ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমরাও কিছুদিন আগে বান্দরবান ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে পাহাড় দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া,আপনার মন্তব্যটি পড়ে সত্যিই খুব খুশি হয়েছি।আপনার মন্তব্যগুলো পড়লে সত্যিই ভালো কাজ করার উৎসাহ পায়। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকবেন আশা করি🥰
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এই কনটেস্ট অংশগ্রহণ করার জন্য। আমার অনেক দিনের শখ এখানে যাব কিন্তু আজ পর্যন্ত যাওয়া হয় নি। ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখেছি সীতাকুণ্ডের এসব পাহাড় আরো সুন্দর সুন্দর স্থান গুলো। খুবই ভাল লেগেছে আপনার এই পোস্ট দেখে।
ভাইয়া,আপনার মন্তব্যটি পড়ে সত্যিই খুব খুশি হয়েছি।আপনার মন্তব্যগুলো পড়লে সত্যিই ভালো কাজ করার উৎসাহ পায়। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকবেন আশা করি🥰
আপু আপনি প্রায় এক মাস থেকে পায়ের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে আছেন এই ব্যাপারটি আমি জানি। আর তাই হয়তো আপনার ঈদ আনন্দ টা মনের মতো হয়নি। তবে আপু আপনার কথাটাই ঠিক এটাই বাস্তব। আর বাস্তবতাকে সামনে রেখেই আমাদের এগিয়ে চলতে হয়। আপনি উৎসবের ভ্রমণকাহিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য পায়ের সমস্যা নিয়েও সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির ঘুরে এসেছেন।
যেহেতু আপনার সাথে পুরুষ মানুষ নেই তার ওপরে ছোট বাবুটাকে নিয়ে গেছেন তা দেখে বেশ বুঝতে পারছি আপনার অনেকটাই কষ্ট হয়েছে। তবুও আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ থেকে থেমে থাকেননি। আপনার মনের জোর দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর প্রতিটা মানুষেরই আপনার মত মনের জোর থাকা উচিত বলে আমি মনে করছি। আপু আপনি সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির এ অনেকটা সময় কাটিয়েছেন এবং সেইসাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ও একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত কষ্ট করে পায়ের সমস্যা নিয়েও আপনি যেহেতু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন, সেহেতু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ আপনার সফল হোক এই কামনা করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভাইয়া, চেষ্টা করেছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আর এত বছর আছি এই জায়গায় কখনও যায় নি। নতুন জায়গাটা দেখান ভাগ্য হলো এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন সেটা এই জায়গার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার এই আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আর আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ভাইয়া,আপনার মন্তব্যটি পড়ে সত্যিই খুব খুশি হয়েছি।আপনার মন্তব্যগুলো পড়লে সত্যিই ভালো কাজ করার উৎসাহ পায়। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকবেন আশা করি🥰