বেঁচে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ!!
হ্যালো বন্ধুরা, বেঁচে আছেন তো সবাই?? কেমন আছেন এর পরিবর্তে বেঁচে আছেন কী সবাই, এটা কেন জিজ্ঞেস করলাম জানেন?? বেঁচেই তো আমরা আছি অনেক যুদ্ধ করে, ভালো থাকার উপায় আছে?? প্রত্যেকটা মানুষেরই কমবেশি অভিযোগ আছে। আমাদের চারিপাশে পরিবেশটা এতই প্রতিকূলে চলে গেছে যে ভালো না থাকাটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমরা প্রতিনিয়তই হাজারো রকমের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। যেগুলো সবই অচেনা।
জীবনযাত্রার ব্যয় প্রচুর বেড়েছে। অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত এক শ্রেণীর মানুষ। পরিবারের চাহিদা মেটাতে অর্থ জোগানে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে দেশের বৃহৎ অংশের মানুষ। জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, বেকারত্ব, দারিদ্রতা জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলছে প্রতিনিয়ত। এরই মাঝে মানুষ মানুষের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটছে ব্যাপক হরে। আমরা একসময় সিনিয়ারদের খুব ভয় পেতাম আর সম্মানও করতাম। এখন সেটার ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।
এরপর আরো রয়েছে স্বাস্থ্যগত সমস্যা। প্রত্যেকটা মানুষই কোনো না কোনোভাবে অসুস্থ। রোগ বালাইয়ে জর্জরিত প্রত্যেকটা মানুষ। এমন একটা পরিবার দেখাতে পারবেন না যেখানে সবাই সুস্থ আছে। ছোট থেকে বড়, কোন না কোন সমস্যা আছেই। এটাও প্রত্যেকটা মানুষের জীবন চলাচলের পথে বিশাল একটা বাধা। শারীরিক মানসিক সুস্থতা ধরে রাখা এখন বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। সাজানো-গোছানো জীবনকে দুর্বিষহ করে ফেলতে পারে শারীরিক অসুস্থতা। উপার্জিত সমস্ত অর্থ পানির মতো ঝরে পড়ে যেতে পারে খুব অল্প সময়েই । দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করার শক্তিও হারিয়ে যায় একসময়। জীবন তখন আরো কঠিন থেকে কঠিন হয়ে যায়।
সব সমস্যা যখন পাশ কাটিয়ে চলার চেষ্টা করবেন, তখন আরো একটি সমস্যা সামনে চলে আসবে। সেটা হচ্ছে সামাজিকভাবে বেঁচে থাকার চ্যালেঞ্জ । আজ একজনের সাথে সম্পর্কের অবনতি তো কালকে আরেকজনের সাথে। আপনার কথা আপনার চলাফেরা হয়তো সবার পছন্দ হবে না। আপনি অনিচ্ছায় হয়তো কারো কষ্ট দিয়ে ফেলবেন, অথবা অন্যের ঝামেলায় আপনি অনিচ্ছায় জড়িয়ে পড়বেন। এভাবে চলতে চলতে আপনি মানসিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়বেন। এই চ্যালেঞ্জগুলোও আমাদের জীবন যাপনে প্রতিনিয়ত ফেস করতে হয়। সমাজ যেমন জীবন ব্যবস্থাকে সহজ করে দেয় তেমনি আবার দুর্বিষহ করে ফেলে। কোথা থেকে কি হবে সেটা বোঝা সত্যি কঠিন।
সব সমস্যা কি আপনি যখন বাঁশ কাটিয়ে চলে যেতে সফল হবেন ঠিক তখনই বিভিন্ন রাজনৈতিক ঝামেলায় আপনি জড়িয়ে পড়বেন। হয়তো আপনি চাবেন না কিন্তু তবুও আপনি বুঝতেই পারবেন না কখন আপনি বিপদে পড়ে গেছেন। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সাধারণ জনগণ ব্যাপকভাবে এফেক্টেড হয়। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো একমাত্রার কঠিন করে তোলে। কিছু ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা, রাজনৈতিক নেতারা সবসময় দুর্বলের উপর আঘাত আনে। এমতাবস্থায়ী সেই দুর্বল লোকটি কোথায় যাবে? দেশের কার কেছে বিচার দেবে?? সব মিলিয়ে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ।
যদিও এই চ্যালেঞ্জগুলি অপ্রতিরোধ্য হতে পারে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে লোকেরা স্থিতিস্থাপক এবং সঠিক সমর্থন এবং সংস্থান দিয়ে কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারে। বিশ্বস্ত ব্যক্তি, মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদার এবং সম্প্রদায় সংস্থার সাহায্য চাওয়া এই চ্যালেঞ্জগুলি পরিচালনা করতে সহায়ক হতে পারে।
যে পয়েন্টগুলো নিয়ে কথা বললাম এগুলো তো প্রত্যেকেই কম বেশি ফেস করেছে। এর বাইরেও হাজার রকমের সমস্যা আছে যেগুলো আমাদের প্রতিনিয়তই ফেস করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম, ইন্টারনেট জগতে হ্যারাইজমেন্ট, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বৈষম্য, যৌন নিপীড়ন ইত্যাদি সমস্যা যে কোন মুহূর্তে সাজানো জীবনকে কঠিন করে তোলে। যেহেতু এসব নিয়েই আমাদের জীবন, তাই সারাটা জীবন ধরেই এগুলোর মোকাবেলা করেই জীবন পার করতে হবে। আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এখন তাই মনে হয়, বেচেঁ থাকটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ! সব থেকে অসহায় মধ্যবিত্তরা। সমাজের প্রতিটা স্টেজে তারা এখন হচ্ছে লাঞ্চিত, অপমানিত! তার একটাই কারণ! টাকা নেই। সমাজে যে ব্যক্তির টাকা আছে তার পদমর্যাদা এখন বেড়ে গিয়েছে, হোক সে অশিক্ষিত! বড় ছোটদের মাঝে যে সম্মানবোধ ছিল সেটাও চলে গেছে। একের পর এক সমস্যা যেন লেগেই আছে।।আর এতোসব সমস্যা নিয়েই চলতে হবে আমাদেরকে। জীবন মানেই তো বেচেঁ থাকার সংগ্রাম 🙂
আসলেই জীবনের এই চলার পথে জীবন সংগ্রামে প্রতিটি ধাপে ধাপে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। বর্তমান সময়ে তার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বাস্তব জীবনে টিকে থাকায় মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন কোন মানুষ নেই যে তিনি সব ধরনের সমস্যা প্রতিকূল পরিবেশ থেকে মুক্ত আছেন কোন না কোন সমস্যা ও অস্থুতা ঝামেলার মধ্যে পড়ে আছেন। যেটা জীবনের শেষ অব্দি পর্যন্ত চলতে থাকবে তবুও সকল সমস্যা অপেক্ষা করে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কথাটা কিন্তু খারাপ বলেননি বেঁচে থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। এটা ঠিক বলেছেন ছোটবেলায় আমরা আমাদের বড় ভাইদের কত সম্মান করতাম। কিন্তু এখন বড় ভাইদের সম্মান তো দূরে থাক তাদের এমন ব্যবহার করে যে তারা তাদের বন্ধু। আর সবার জীবনে একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। এতগুলো সমস্যা কে পিছনে ফেল বেঁচে থাকাটাই মুশকিল। কিছু করার নাই এভাবেই আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।
সত্যিই এখনকার সময়ে বেঁচে থাকা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি মানুষ কোন না কোন সমস্যায় জর্জরিত। কাকে কি বলবো আমি নিজেও বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি, একটার সমাধান করি তো আরো দশটা সমস্যা হাজির হয়। মাঝে মাঝে মন মেজাজ ভীষণ খারাপ হয়, পরক্ষনে পরিবারের কথা চিন্তা করে অনেক কিছু মেনে নিয়ে এগিয়ে চলি। আল্লাহ যে কবে আমাদের একটু স্বস্তি দেবেন তিনিই ভালো জানেন।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার লিখাটি উপস্থাপন করার জন্য।
আসলে ভাইয়া জীবনে পথ চলার ক্ষেত্রে এত বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় যেটা মোকাবেলা করা সত্যি কঠিন। আর এই সব কিছু মোকাবেলা করেই আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হয়। আসলে ঠিকই বলেছেন আপনি যতগুলো পয়েন্ট বলেছেন এই সবগুলোই আমাদেরকে ফেস করতে হয়েছে। আসলে বর্তমানে এত বেশি সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি সেটা বলার বাহিরে। কিন্তু আবার সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আর একটা সমস্যা কাটিয়ে উঠতেই অন্যগুলো এসে হাজির হয়।
মানুষের বেঁচে থাকা একটা চ্যালেঞ্জ। আর এই বর্তমান সময়ে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করাটা মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর। প্রত্যেকটা মানুষ কোন না কোন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে রয়েছে। কোন মানুষ এটা নিজের জায়গায় সুখী নয়। বর্তমানে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় এত বেড়ে গেছে যা মানুষের অর্থের চাহিদা যোগান দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। স্বল্প আয়ের দেশ হিসাবে বর্তমানে পণ্যদ্রব্য যে দাম তাতে এটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থাটা এতটাই খারাপের দিকে চলে গেছে আপনি ভালো থাকার চেষ্টা করলেও কোন না কোন দিক দিয়ে আপনাকে জড়িয়ে নেবে। সৃষ্টিকর্তার আইন বাদ রেখে যখন আমাদের নিজস্ব আইনে জীবন পরিচালনা করব তখন এভাবেই আমাদের সামনে বিপদ এগিয়ে আসবে। আমাদের শান্তি পেতে হলে অবশ্যই সৃষ্টিকর্তার দিকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে লিখেছেন ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইল।