দেরিতে হলেও সমাধানের খোঁজে। অবশেষে প্রশান্তি।
গত একমাস যাবৎ প্রচন্ড এলার্জি সমস্যায় ভুগতেছিলাম। আগে আমার সমস্যা ছিল কোন এলার্জি জাতীয় খাবার খেলে তবেই তার ইফেক্ট শরিলে বুঝতে পারতাম । কিন্তু সমস্যাটা এমন হয়ে গিয়েছিল যে এলার্জি জাতীয় কোন খাবার খেলেও সমস্যা হয় আবার না খেলেও সমস্যা হয়। এটা কোন বড় সমস্যা না, এমনটা ভেবে সমস্যা বাড়লে তখনই এলাট্রল ট্যাবলেট খেয়ে দিতাম। এতে তিন থেকে চারদিন মোটামুটি সুস্থই থাকতাম। কিন্তু গত পরশুদিন সকালে একটা এলাট্রল ট্যাবলেট খাওয়ার পর তিন থেকে চার ঘণ্টা ভালো ছিলাম। তারপরেই আবার সেই অসস্তিকর অনুভূতি। বিষয়টা আমাকে বেশ চিন্তায় ফেলে দিল। অনেকদিন ধরেই বাসার সবাই আমাকে বারবার ডাক্তারের কাছে যেতে বলতেছিল। কিন্তু কারো কথায় তেমন একটা কান দেইনি। কিন্তু এখন সমস্যার গভীরতাটা বুঝতে পারছি। তাই ডাক্তার দেখানো টা জরুরী মনে হচ্ছিল। এজন্য চিন্তা করলাম যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এরপর আর দেরি না করে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন দিয়ে একটা সিরিয়াল করে নিলাম। আমার সিরিয়াল টা ছিল ১০ নম্বরে। ডাক্তার রোগী দেখা শুরু করবেন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে। টাইম এর বিষয়টা মাথায় রেখে আমি আমার একটা বন্ধুর নিয়ে হাসপাতালের দিকে চলে গেলাম। হাসপাতালটি আমার বাসা থেকে বেশি একটা দূরে না। মাত্র ২৫ টাকা রিক্সা ভাড়া লাগে। হাসপাতালে যাওয়ার পর দেখলাম আমার সিরিয়াল আসতে আসতে এখনো ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগতে পারে। তাই চিন্তা করলাম হাসপাতালের পাশেই বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত সেখান থেকে ঘুরে আসা যেতে পারে । যেমনি ভাবা, অমনি কাজ। আমরা দুই বন্ধু চলে গেলাম সাথেসাথেই।
ভিতরে যেয়ে বেশ দারুন লাগছিল। নিরিবিলি একটা পরিবেশ। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। মাঝখান দিয়ে দুইটা লম্বা রাস্তা। দুইটা রাস্তার মাঝখান দিয়ে আবার সারি সারি গাছ লাগিয়ে রেখেছে। এমন সুন্দর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে ও ভালো লাগে। শহরের মধ্যে অবস্থিত হলেও কোলাহলমুক্ত একটা জায়গা। যাইহোক, এভাবে হাঁটতে হাঁটতে বেশ খানিকটা ভিতরে চলে গিয়েছিলাম। ভেতরে যেয়ে ভাবলাম এখানে যেহেতু চলে আসলাম এই সুযোগে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিই।
অল্প কিছু ছবি তোলার পরেই হঠাৎ আমার ফোনে একটি কল আসলো। কল রিসিভ করার পর, ওপাশ থেকে বলছিল হাসপাতালে চলে আসতে। আমার সময় প্রায় হয়ে এসেছে। কি আর করার। বেশি একটা ঘুরতে পারলাম না, মনের মত ফটোগ্রাফি ও করতে পারলাম না। তারপর আর বেশি একটা দেরি না করে সোজা হাসপাতালে চলে গেলাম। অল্প একটু সময় অপেক্ষা করার পরই ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করলাম। আমার সমস্যা গুলোর কথা শোনার পর প্রেসক্রিপশনে কিছু ওষুধ লিখে দিলেন আর কিছু টেস্ট করাতে বললেন। এরপর আবার চলে গেলাম ডাক্তারের দেওয়া ওই টেস্টগুলো করাতে। টেস্টগুলো শেষ করতে অনেক সময় লেগেছিল। এরপর একটু স্বস্তির নিশ্বাস।
এবার হাসপাতালের নিচে এসে ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ গুলো নিয়ে নিলাম। এরপর সোজা চলে এলাম রুমে। আজকের মতো ঝামেলা শেষ। কালকে আবার ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে টেস্ট গুলোর রিপোর্ট নিয়ে। আজ তাহলে বিদায় নিচ্ছি। ইন শাহ্ আল্লাহ্ কাল আবার দেখা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। বিদায়।
ডিভাইসঃ- Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
ছবিগুলোর লোকেশনঃ- https://w3w.co/bulletins.
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
দাদা আমি আপনার তোলা ছবিগুলো যতই দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যায়।তাছাড়া জায়গাটির পরিবেশ খুবই সুন্দর ও নিরিবিলি।এইরকম রাস্তা দিয়ে হাটতে ও প্রশান্তি মেলে মনে।দাদা আমার ও একটু এলার্জির সমস্যা আছে।ফলে দুইদিন আগে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আমার জ্বর হয় নি কিন্তু এলার্জির সমস্যা দেখা দিয়েছিল।আপনার এলার্জির সমস্যা শুনে আমার সমস্যার কথা মনে পড়লো।ঔষধ খেলে ভালো হয়ে যাবে আশা করি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও তো এখন মনে হচ্ছে ভ্যাকসিন দেয়ার কারণেই আমার এলার্জি সমস্যা বেড়েছে।
এটি হতে পারে দাদা।তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেলে কমে যাবে দাদা।আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি ঈশ্বরের কাছে।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা।
আপনার জন্য সুস্থতা কামনা করি ভাই। মানুষ অসুস্থ হলেই বুঝতে পারে সুস্থতা কি নেয়ামত। হাসপাতালের পাশে কাটানো সময়ে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই।
আল্লাহ যেন আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে দেয়।
আপনি যেখানে যান সেখানেই অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন।একটা কথা আছে না ঢেকি সর্গে গেলেও ধান বানে।আপনি যেখানেই যান সেখানেই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপহার দেন।
আমার সুস্বাস্থ্য কামনা করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সুস্থতা কামনা করছি ভাইয়া। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে চার নম্বর ছবিটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
৪ নম্বর ছবিটা ভালভাবে সময় নিয়ে তুলেছিলাম। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এলার্জি একটি বিরাট সমস্যা, যা ঔষধে কন্ট্রোল হয়,কিন্তু ভালো হয় না।এটা চিরতরে ভালো করতে চাইলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে একগ্লাস দেশি নিম বা জাত নিমের পাতার রস ২ মাস নিয়মিত খেতে পারলে তবেই হবে।যাই হোক পোস্টটি ও ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটা পরামর্শ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।। চেষ্টা করব মেনে চলার জন্য।
দেরিতে হলেও বিষয় টা সমাধান হয়েছে খুবই ভালো হইছে।এলারজি অনেক বিব্রত কর একটা রোগ বলা চলে।
ধান গবেষনা ইন্সটিটিউট আসলেই অনেক শান্ত আর সুন্দর বটে।
হ্যাঁ, জায়গাটা আসলে অনেক নিরিবিলি।
ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
ভাইয়া এলার্জী নিয়ে একদম অবহেলা করবেনা না।
দেখতেছেন তো আমার অবস্থা কতটা খারাপ পর্যায়ে এখন।আর ঠিক ও করা যাচ্ছেনা এই অবস্থা।
সাবধানে থাকবেন।
এলার্জি এখন এমন আকার ধারণ করেছে যে বিষয়টা খুব খারাপের দিকে চলে গেছে।
আমার অবস্থা তো পুরা শেষ ই।
এলার্জির সমস্যা আমার সেরকম নেই। আশাকরি আপনি দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবেন। এবং ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল। দেখেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটা অনেক সুন্দর।
খুব বাঁচা বেঁচে গেছো যে সমস্যাটা তোমার নাই। এটা হচ্ছে একটা অসয্যকর অসুখ।
😢😢
সত্যি ভাইয়া আপনি খুবই কষ্টের মধ্যে আছেন। এটা জানতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ডাক্তার দেখিয়েছেন রিপোর্টও দেখেন ডাক্তার কি বলে। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনাই করি। সত্যি ভাইয়া ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিবেশ এত সুন্দর মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আপনার ফটোগ্রাফ গুলা এত সুন্দর হয়েছে মনে হচ্ছে যেন এটা কোন ক্যালেন্ডারে আঁকা ছবি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া
আমিও এলার্জি সমস্যা ভোগ করেছি। তবে এখন তেমন সমস্যা হয় না। ডাক্তার দেখানোর সময় সিরিয়ালের জন্য বসে থাকা সবার জন্য একটা বোরিং সময়৷ কিন্তুু এই সময়ে এত সুন্দর একটি স্হান ঘুরে আসলেন। যা পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার না করলে হয়তো মিস করতাম। ধন্যবাদ আপনাকে!