গল্পে গল্পে আলোকচিত্র দর্শন।
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম । কেমন আছেন সবাই?? আমি তিন দিন হল বাড়িতে এসেছি। প্রত্যেকটা দিন আলাদা আলাদা ব্যস্ততার মধ্যে পার করছি। আগামী শুক্রবারে আমি আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিব। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আবার প্রত্যেকটা দিনই আমার কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতে লাগবে। আজকে আর কিছু সময় পর আমি রওনা দিব যশোরের উদ্দেশ্যে। আগামীকালকেই আবার ফিরে আসবো। তো যাই হোক আজকে আমি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো যেগুলো আমি গত পরশুদিন বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে তুলেছিলাম। আসলে প্রকৃতি দর্শনে বেরিয়েছিলাম সেদিন। আপনাদেরকেউ দেখাতে চাই তার কিছু অংশ।
গত পরশুদিন বিকাল চারটার দিকে বেরিয়ে ছিলাম আমরা সাতজন। একসাথে রওনা দিয়েছিলাম একটি অচেনা জায়গার উদ্দেশ্যে। তবে সাত জনের কাছেই জায়গাটি অচেনা নয়। আমি কখনো যায়নি তবে আমার একটি বন্ধু গিয়েছে ওইখানে। ওই জায়গাটির কথা বলেছিল, আর পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদেরকে। জায়গাটি আমাদের এলাকা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। এই জায়গাটি ঢাকা বিভাগের মধ্যে পড়ে। জায়গাটির নাম হল সাদার চর। আজ আমি বেশি কথা বলব না তবে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আমরা চারটার দিকে রওনা দিয়েছিলাম আর পৌঁছেছিলাম সাড়ে পাঁচটার দিকে। অনেক সময় লেগেছিল যেতে। আমরা যখন পৌছালাম তখন প্রথমেই চোখে পড়ল বিশাল এক মাঠ। আর মাঝে মাঝে ছোট ছোট বিলের মত, যেখানে জেলেরা মাছ ধরছে।
সম্পূর্ণটাই মেঠোপথ। আঁকাবাঁকা মেঠো পথ ধরে আমরা এগিয়ে চলেছি আরও সামনের দিকে। এই জায়গাটিতে গেলে গ্রামীণ সৌন্দর্যের যত প্রকার বিষয়বস্তু আছে সবগুলোই চোখে পড়বে। তবে আফসোস করেছি, কারণ আমার ক্যামেরাটি ঢাকায় রেখে এসেছি। বাড়িতে থাকলে নিয়ে আসতাম। আপনাদের জন্য সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি উপহার দিতে পারতাম। পড়ন্ত বিকেলে ফোনের ফটোগ্রাফি গুলো ততটাও ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারিনি, কারণ ম্যাক্সিমাম অবজেক্ট গুলো ছিল সূর্যের দিকে। সূর্যের অপজিট অবজেক্ট গুলো সুন্দরভাবে ক্যাপচার করা যায়, বিশেষ করে মোবাইল ফোনে।
নানা রকম পেশার মানুষদের দেখতে দেখতে মেঠোপথ ধরে আমরা সামনে এগিয়ে চলেছি। তবে মাঝখানে একটা গ্রাম দেখতে পেলাম। যেখানে অনেকগুলো বাড়ি ছিল। বাড়িগুলো ছিলো সবই টিনের অথবা খরের। এই ছোট্ট গ্রামের ছেলেপেলে ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়নি। তারা স্কুলে যায় লেখাপড়া করতে। গ্রামের এসব সুবিধাবঞ্চিত ছেলেপেলেদের জন্য সরকার স্কুল করে দিয়েছে এটা সত্যি ভালো লাগার বিষয় ছিল। আমরা যখন পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম এক দল ছেলেমেয়ে স্কুল শেষে খুব হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ-ফুর্তি করতে করতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে । তাদের মধ্যে আনন্দের যেই বহিরপ্রকাশ আমি দেখেছি সেটা দেখে সত্যিই ছোটবেলায় হারিয়ে যেতে আর সময় লাগে না।
আরো কিছু সময় ড্রাইভ করার পর আমরা নদীর ধারে গিয়ে পৌছালাম। নদীতে হালকা স্রোত আছে। নদীর পাশেই বিভিন্ন রকম ফসলের জমি। মাঠে গরু-ছাগল-ঘোড়া ইত্যাদি বেধে রাখা হয়েছে ঘাস খাওয়ার জন্য। শহরের তুলনায় গ্রামের এমন পরিবেশে সত্যি কতটা যে সজীব নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকা যায় সেটা শহর থেকে যে গ্রামে আসবে সে উপলব্ধি করতে পারবে। যাই হোক আরো কিছু ফটোগ্রাফি দেখে নিন।
লোকেশনঃ- QFMV+M8F Kalukhali [Google plus code]
ডিভাইসঃ- Redmi Note 9 Pro Max
সূর্য অস্ত যাওয়ার আয়োজন চলছে । সাড়ে ছয়টার দিকে আমরা প্রকৃতির মায়া থেকে বেরিয়ে এলাম। চলতে শুরু করলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু পথে এসে আমরা এমন একটা জিনিস দেখতে পেলাম যেটা দেখে না দাঁড়িয়ে পারলাম না। অনেকদিন আগে খাঁটি তালের রস খেয়েছিলাম। খাঁটি তালের রস পাওয়া একটু টাফ। গাছিরা বেশি মুনাফা অর্জনের লোভে পানি মিশিয়ে বিক্রি করে। আজকে আমাদের চোখে পড়ল গাছ থেকে সবেমাত্র রস পাড়া হচ্ছে। আমরা ওখানেই থেমে গেলাম। চিন্তা করলাম যা রস পাবে তার সবই আমরা খেয়ে যাব।
আমরা মোট সাতজন ছিলাম। প্রত্যেকের জন্যই দেড় গ্লাস করে রস হলো। একদম খাঁটি রস বোঝাই যাচ্ছিল। রস খেলে বুঝা যায় খাঁটি নাকি ভেজাল আছে। রসে এতটাই ফ্রেশ আর সুন্দর ছিল যে রস আরো থাকলে আমরা সবাই আরো এক গ্লাস করে খেয়ে আসতাম। এই সময়টায় গাছের রস এমনিতেই অল্প হয়। প্রথম দিকে রস অনেক বেশি হয় কিন্তু প্রথম দিকের তুলনায় এই সময়ের রস অনেক বেশি মিষ্টি হয়। রস খাওয়া শেষ করে আবার সবাই বাড়ির দিকে রওনা দিয়ে দিলাম।
আজ এই পর্যন্তই। আমার গ্রামীন সৌন্দর্য বিষয়ক পোস্টগুলো @nusuranur এবং @abidatasnimora আপু খুবই পছন্দ করেন। মাঝেমধ্যে ছুটিতে বাড়িতে এসে আশাকরি সুন্দর সুন্দর পোস্ট উপহার দিতে পারব। আজ তাহলে আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার নতুন কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনি একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার এতে কোন সন্দেহ নেই। আপনি ক্যামেরা দিয়ে ফটোগ্রাফি করেন বা মোবাইল ফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি করেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় অনেক সুন্দর হয়। আজকে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গ্রামীণ পরিবেশে কাটানো মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখে খুবই ভালো লেগেছে। তবে তালের রস এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আমার বাসায় তালের রস দিয়ে পিঠা তৈরি হয়। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️
ওই চরের জায়গাটা এতো সুন্দর!ওইখানে একটু শাড়ি পরে,সেঁজে গুজে গিয়ে ছবি তুলতে পারলে আর কিছুই লাগতোনা।আসলে গ্রামে তো যাওয়া হয়না তাই গ্রামীণ দৃশ্যের ছবিগুলো একটু অন্যরকম ই ভালো লাগে।পড়ন্ত বিকেলের অন্ধকারাচ্ছন্ন ছবিগুলো ভাইয়া মারাত্মক হয়েছে।আসলে আপনি মাশাল্লাহ ক্যাপচার করতে পারেন দারুণ।
ধন্যবাদ মনে করে এতো এতো ছবি দেওয়ার জন্য।😍😍😍
আমারও খুব ভালো লাগলো স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য দেখে। মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিক্ষা একটি। তাই আমি মনে সরকার এই কাজটা নিঃসন্দেহে ভালো করেছে।
যাইহোক ভাই, আপনি আসলেই অনেক গুলো ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি তো খারাপ হওয়ার কোনো চান্সই নাই কারণ আপনি ফটোগ্রাফিতে সেরা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আর হ্যা, আপনার যশোর জার্নি সফল হোক। 💓💓
আগে টেলিভিশনে অ্যাডভেঞ্চার বাংলাদেশ নামে একটা প্রোগ্রাম হত। আমার খুব ইচ্ছা ছিল ওই জাতীয় একটা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার। এখনো সেই ইচ্ছা একটুও কমেনি। কুষ্টিয়া আর ফরিদপুর এর এই দূরত্বের ব্যবধান না থাকলে হয়তো আপনাদের সঙ্গে ট্যাগ হয়ে যেতাম। সাধারণ কিন্তু অনেক ভালো লাগলো আজকের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ ভাই
ভাইয়া এতো সুন্দর দৃশ্য কি বলব আপনাকে! একটা কাজ করেন আপনার এলাকায় আমার বর খোঁজেন। আমি ঐদিকে বিয়ে করব। এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যি মনভোলানো সবুজ পরিবেশে ঘেরা ,নদনদী, বিস্তর খোলা মাঠ ,মেঠো পথ ,কি নেই আপনাদের ঐদিকে বলেন। তাছাড়া আপনাদের ওইদিকের ভাষাটাও বেশ মধুর শোনায়। আমার জানা মতে বাংলাদেশের সব থেকে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে আপনাদের এলাকার লোকজন। ইউটিউব ভিলেজ এর মত গ্রাম্য গড়ে উঠেছে আপনাদের এলাকায়। আপনি আমাকে মেনশন করে আপনার পোস্ট করেছেন আমি প্রকৃতিকে ভালবাসি বলে সত্যি আপনার এই প্রকৃতির ছবিগুলো আমার এতটাই ভাল লাগে ,এতটাই মুগ্ধ হই চোখ বন্ধ করে অনুভব করি কারণ আমি কখনোই এসব জায়গায় যায়। চার দেয়ালের মাঝে বন্দি ছিলাম সবসময় এখনো আছি। আমার দাদু বাড়ি সীমান্ত এলাকায় আমিতো সেখানে তেমন যাই না এই ছোট বেলায় গিয়েছিলাম দুই-একবার বেশি প্রয়োজন ছাড়া যাওয়া হয়না। শহরের দালানকোঠার মাঝে থাকতে থাকতে অনীহা চলে এসেছে। সূর্যাস্তের ছবি, ডিঙ্গি নৌকা ,ঘোড়া ।থেকে শুরু করে প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমাকে মুগ্ধ করে। তালের রস আমি কখনো খাইনি ।আর এই প্রথম আমি তাল এর রস সম্পর্কে জানতে পারলাম।তবে পাকা তালের রস খেয়েছি। কিন্তু তাল গাছের রস হয়েছে তা তো আজ শুনলাম ভাইয়া।
যাইহোক আমার পছন্দের এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া গত পরশুদিন 7 জন মিলে যে প্রকৃতি দর্শনে বেরিয়েছেন এবং প্রকৃতির ছবি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি যেন বাংলা মায়ের কথা বলে। আসলে প্রকৃতি এত সুন্দর আজ আবার আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে করিয়ে দিলো।অসাধারণ হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ধন্যবাদ♥♥
আপনার গ্রামের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর লাগছে ভাই। আসলে গ্রামে এরকম দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে। আমার কাছে গ্রামে থাকতেও ভাল লাগে কেননা এরকম পরিবেশ কখনোই শহরে থাকে না। আর আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করতে পারেন এটা তো আমরা সবাই জানি। আপনার ফটোগ্রাফি করার কারণে জায়গাগুলো দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে। জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি দিন পার করেছিলাম আর নেক্সট টাইম তুই ঢাকা থেকে বাড়ি আসলে অবশ্যই কিন্তু আমরা মিনি হাতিরঝিল দেখতে যাব।
আপনার কাছে মাঝে মাঝে গ্রাম বাংলার সহজ আলোকচিত্র গুলো পাই। প্রকৃতিকে যে আপনি ভালোবাসেন, তা ভালো ভাবে বোঝা যায়!
ভাইয়া আমিও পছন্দ করি।যাই ছবিগুলো কিন্তু অসাধারণ ছিলো।সব গুলো ছবি একেকটা একেক রকম সুন্দর। ভাইয়া যেখানে যান ঐখানে রস খেয়ে আসেন।আপনার রস খাওয়া গল্প পরে আমারও খেতে ইচ্ছে করে।আমি কখনো কোন রসই কাচা খাইনি।যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ