গতকাল রাতের অনুভূতি।

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ?

আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। কালকের দিনটি সবার জন্যই অনেক স্পেশাল ছিল। বিশেষ করে বাংলা ব্লগ কমিউনিটির যারা নিয়মিত মেম্বার, তাদের জন্য একটু বেশিই স্পেশাল । বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হ্যাংআউট হয়েছে গতকাল। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার হ্যাংআউট ছিল এটি। কালকের হ্যাংআউটের জন্য আমরা অনেকদিন যাবত অপেক্ষা করেছি। অবশেষে গতকাল ছিল সেই শুভক্ষণ।

মানুষ হিসেবে আমরা প্রত্যেকটা জায়গাতেই তৃপ্তি খুঁজি। কোন কাজ যদি একটু বেশি পরিশ্রমের হয় কিন্তু সেখানে যদি তৃপ্তি থাকে তাহলে সেটা করতে প্রত্যেকেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এমন একটা জায়গা যেখানে সবাই তৃপ্তি সহকারে তাদের বিষয়বস্তুর শেয়ার করে এবং অর্থ উপার্জন করে। সময়ের সাথে সাথে শতশত ইউজারের কাছে অতীব প্রিয় হয়ে উঠেছে আমার বাংলা ব্লগ। সকলের কর্মকান্ড দেখে এটি খুব সহজেই অনুমেয়। দিন শেষে আমরা নিজেরাও তৃপ্ত, যখন ইউজারদের থেকে ভালো কোন কথা শুনি । কিন্তু অনাকাঙ্খিত কিছু কিছু মন্তব্য আমাদের খুবই হতাশ করে। গত সাত থেকে আট দিন আগে হতেই আমরা এই হ্যাংআউটের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলাম। প্রথম থেকেই আমাদের মনে প্রবল ইচ্ছা ছিল এই বিশেষ হ্যাংআউট কে অন্যান্যবারের হাংআউট থেকে একদম আলাদা করে সজ্জিত করা।

একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই সবাই বুঝতে পারবে এটা আসলে ইউনিক ছিল নাকি গতানুগতিক অন্যান্যবারের হাংআউট এর মতই ছিল। দুইটি কনটেস্ট রাখা হয়েছিল যে কনটেস্ট দুটি ছিল স্পেশাল হ্যাংআউট উপলক্ষে। আমরা বিশেষভাবে শুরুটা করতে চেয়েছিলাম এবং সেটাও সম্ভব হয়েছে। আমরা পাঁচজন এডমিন একসাথে কখনো একটা ফ্রেমে আসিনি। আমরা প্রথমেই চেয়েছিলাম আমাদের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে বাংলাব্লগের স্পেশাল হ্যাংআউট টি শুরু করতে। জানিনা ভিডিও কনসেপ্ট টি কেমন ছিল। তবে শুভ ভাইয়ের কেক কাটার বিষয়টি আমার কাছে দারুন লেগেছে। আর আমাদের হাফিজ ভাইয়ের কবিতাটি ছিল অনবদ্য। আমাদের আরিফ ভাই তো সমাজের বাস্তব কিছু চিত্র তুলে ধরেছিলেন একটি গল্পের মাধ্যমে। আর আমার কথা কি বলবো। জীবনের প্রথম এতো বড় একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে লাইভ সবার সামনে আমার জীবনের কিছু স্মৃতি শেয়ার করেছি। জানিনা কিভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি। এটাই আমার লাইফের ফার্স্ট টাইম ছিল।

আমাদের পালা শেষ হয়ে যখন মডারেটররা তাদের সুন্দর সুন্দর প্রতিভা দেখাতে শুরু করে, তখন সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। উনারা যে এতদিন কোথায় লুকিয়ে ছিল!! শুভ ভাইয়ের মিষ্টি মুখ দিয়ে শুরু হয়েছিল কালকের হ্যাংআউট, এরপর প্রত্যেকেই তাদের সুন্দর মিষ্টি গলায় যে পারফরম্যান্স গুলো দেখালেন সেগুলো ছিল দুর্দান্ত মিষ্টিময়। ওহ্,, মিষ্টির কথা বলতেই একটি মজার কথা মনে পড়ে গেল। কাল যখন শুভ ভাইয়ের কেক দেখলাম আমরা সবাই, তখন ইচ্ছা জেগেছিলো কেক খেয়ে মিষ্টিমুখ করার। এই মুহুর্তের একটু পরেই কেকের ব্যবস্থাও করে ফেলেছিলাম রুমে। অবশেষে খেয়ে তৃপ্তি। মিষ্টিমুখ করেই পুরো হ্যাংআউটে উপস্থিত ছিলাম।

এবার আসি রহস্যময় বাক্স বা মিস্ট্রি বক্সের কথায়। মূলত আমাদের প্ল্যান ছিল যারা স্পেশাল হ্যাংআউটে বিভিন্ন বিষয়ে পার্টিসিপেট করার জন্য যাঁরা নাম দেবে, তাদের নাম থেকে যাদেরকে সিলেক্ট করা হবে তাদের মধ্যে থেকেই আমি মিস্ট্রি বক্সের উইনার গুলোকে বেছে নিব। আর নিয়েছি ও তাই। ১৯ জন মেম্বারের নাম স্পিন করে ৫ জন লাকি মেম্বারকে তুলে নিয়েছি। এই ৫ জনের জন্য থাকবে ৫ টি মিস্ট্রি বক্স। আগামী সাপ্তাহিক হ্যাংআউটের আগে তাদের হাতে উপহার গুলো তুলে দিতে পারলেই আমার কাজ শেষ।

কালকের হ্যাংআউটে মিস্ট্রি বক্সের ঘোষনার মুহূর্তটা আমি আশা করি সবাই অনেক এনজয় করেছেন। অনেক এক্সাইটিং একটা মুহূর্ত ছিল। তবে বাকি যারা এই ৫ জনের মধ্যে আসতে পারেননি তারা মন খারাপ করবেন না। পর্যায়ক্রমিকভাবে বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি মেম্বার বিভিন্ন ধরনের উপহার বাংলা ব্লগ থেকে পেয়ে যাবে। শুধুমাত্র লেগে থাকতে হবে বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে। অংশ হয়ে থাকতে হবে এই পরিবারের। তবে গতকাল কোনো মেম্বারকে একেবারে হতাশ করা হয়নি। হ্যাংআউটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অল্প অল্প করে টিপস দেওয়া হয়েছে প্রত্যেককেই। অনেকগুলো কুইজ ও রাখা হয়েছিল আলাদা দুটি সেগমেন্টে। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিল। সবমিলিয়ে কালকে প্রচুর প্রচুর উপহার ছিল সকল স্তরের মেম্বারদের জন্য।

যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে কালকের হ্যাংআউট ছিলো অনেক সুন্দর। দিনটির কথা সকলের মনে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে। তবে আগামী কোন একটা হ্যাংআউট হয়তো আমরা ফিজিক্যালি কোন একটা প্লেসে গিয়ে করতে পারব। সে দিনটি কবে আসবে জানি না তবে আমাদের সকলেরই একটা স্বপ্ন। স্বপ্ন বুকে লালন করি.. সত্যি একদিন হবেই ইনশা আল্লাহ্। বর্তমান সময়ে সফলতার শীর্ষে বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। তবুও বাংলাব্লগের এখনো বহুদূর এগিয়ে যেতে বাকি। যারা কাল গভীর রাত পর্যন্ত হ্যাংআউটে উপস্থিত ছিলেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। কথা হবে আবার, দেখা হবে আবার। আল্লাহ্ হাফেজ।