এই গরমে বিয়ে বাড়িতে!!
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। প্রচন্ড গরম পড়তেছে। আকাশে কোন মেঘ নেই। সূর্য আর ভূমি এর মাঝে কোন বাধা নেই। তীর্যকভাবে সূর্যিমামার রশ্মিগুলো পৃথিবীতে আছড়ে পড়ছে। আর আমরা প্রচন্ড তাপ অনুভব করছি। এই গরমে মেজাজ ঠিক রাখা সত্যি কষ্টকর। মেজাজ বারেবারে খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। একটু আগে আসলাম দাওয়াত খেয়ে। দাওয়াত খাওয়া নিয়েই কিছু কাহিনী শেয়ার করতে আসলাম আপনাদের সাথে।
ছোটবেলা থেকেই কেন জানি আমার বিভিন্ন বিয়েবাড়িতে বা সুন্নতে খাৎনার দাওয়াত গুলো খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না। খুব নিকট আত্মীয় হলে তবেই যাই। কোথাও দাওয়াত পেলে আমার বাবা যখন ব্যস্ত থাকে আমার ছোট ভাইকে আগে বলে। কারন জানে যে আমি যাব না। এজন্য আমাকে বলেই সাহস পায় না। আসলে অল্প পরিচিত বা আমার নিজের কাছে অপরিচিত এমন কোথাও গিয়ে দাওয়াত খাওয়া আমার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। প্রচন্ড আনইজি লাগে। এজন্য আমি অল্প পরিচিত বা একেবারে অচেনা কোথাও গিয়ে দাওয়াত খাইনা। আমি প্রথমেই ভাবি আমার বন্ধু টাইপের কেউ এখানে আছে কিনা। যার সাথে আমি কথা বলতে পারব, একটু ইজি ফিল করতে পারব ৷ সেখানেই শুধুমাত্র আমি যাই, তাছাড়া না।
যাই হোক, এবার আসি বর্তমানের ঘটনায়। বহু বছর আগে থেকেই আমার খালাতো ভাই এবং খালাতো বোন দুইজন প্রেম করছিল। তাদের রিয়েল রিলেশন সবাই মেনে নিয়েছিল। শেষমেশ কোরবানি ঈদের একদিন পরে ওদের বিয়ের ডেটটা ফাইনাল করা হয়েছিল। দুই বাড়িতেই তো সবাই পরিচিত। নিজের খালাতো ভাই ব্রাদার আছে, আমার বয়সী মামা আছে। সবাই অনেক মজা করব এমনটাই প্ল্যান ছিল। গতকাল ছিল ক্ষীর খাওয়ানো। কিন্তু আমি বিভিন্ন বাহানায় যাওয়াটা ক্যান্সেল করে দিয়েছিলাম। আমার ওয়াইফ, আম্মু, ছোট ভাই সাবাই গেছিলো। আসলে ঈদে একটু ঘুরাঘুরি না করে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যেয়ে কি বসে থাকতে ইচ্ছে করে?? কাল একটু ঘোরাঘুরি করেছি। আজকে ছিলো ওদের বিয়ে। আজকে সকাল সকালে গিয়েছিলাম। প্রথমে গিয়েছিলাম ছেলের বাড়িতে। ওদের বাড়ি থেকে আমরা দুপুর একটার দিকে বেরিয়েছিলাম মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে। দুটোই তো খালাদের বাড়ি, শুধু একটা খালার বাড়ি থেকে অন্য একটা খালার বাড়িতে যাওয়া।
সকাল থেকে তেমন কিছু না খাওয়ায় আমার প্রচন্ড খিদা লেগে গেছিল। আমরা সবাই একটা টেবিলে বসে খাওয়ার জন্য রেডি। পেটে ক্ষুধা ছিল। ভেবেছিলাম আজ প্রচুর খাব । কিন্তু অল্প একটু খাওয়ার পর আমার কাজ শেষ। গরমের যে অবস্থা ছিল, শরীর একেবারে অস্থির লাগছিল। আমার মনে হয় আমি যা খেয়েছি তার থেকে বেশি খেয়েছি পানি। এত গরমের মধ্যে আসলে গোস পোলাও বেশি খাওয়া পসিবল না। প্রচন্ড অস্থিরতা কাজ করছিল। সবারই আসলে একই রকম অবস্থা ছিল। বেশি কেউই আর খেতে পারেনি। খাওয়া শেষ করে আমার শুধু মন চাইছিল বাড়ি যেতে। বাড়ি গিয়ে বিছানায় শুয়ে রেস্ট করতে। আমি সেটাই করলাম। আমার ওয়াইফকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আমি সোজা বাড়ির দিকে চলে আসলাম।
সবাই এখন খালামুনিদের বাড়িতেই রয়েছে। আমারও যেতে হবে কিন্তু আমি বিকেল বেলা একটু বেরোবো। এলাকার এদিকসেদিক ঘোরাঘুরি করে মন মাইন্ড ফ্রেশ করে আবার রাতে যাব। যেতে তো হবেই, না হলে আমার না খেয়ে থাকতে হবে। তাছাড়া বাড়ির সবাইও ওখানেই রয়েছে। আমি আজকে রাত্রে ওখানেই থাকবো। কালকে দুপুরে বউ ভাত খেয়ে একবারে বাড়িতে আসবো। কালকে বাড়িতে আসলে তবেই শান্তি। এই গরমের মধ্যে এসব অনুষ্ঠানে টনুষ্ঠান আমার ভালো লাগেনা। বিয়ে করতে হয় শীতের সময়। তা না করে গরমের সময় বিয়ে ঠিক করছে।
যাইহোক, এখন একটু ফ্রেশ হব। ফ্রেশ হয়ে তারপর বিকেলে একটু ঘোরাঘুরি করব দেন আবার যেতে হবে বিয়ে বাড়িতে। সবাই ভালো থাকবেন। আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি । দেখা হবে আবার পরবর্তী কোন পোস্টে। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বিয়ের দাওয়াত আমার একটা ক্যান্সেল হয়ে গেল। অনেকদিন বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয়না।অনেক উপভোগ করবেন আশা করি।
@tipu curate
;)
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 0/8) Get profit votes with @tipU :)
ভাইয়া অনেকটা মিলে গেল এই ধরনের অনুষ্ঠান দাওয়াত আমিও সবসময় এগিয়ে চলতাম। মাঝে মাঝে আত্মীয়-স্বজনের বিয়ে বাড়িতেও যেতাম না খুব একটা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না হলে। বিশেষ করে গরমের সময় বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান আমার কাছে একদমই বিরক্ত লাগে। আমার দৃষ্টিতে আপনি একদম সঠিক কাজ করেছেন দুপুর বেলা বাসায় ফিরে এসে। তবেই গরমে রাত্রে ওখানে থাকতে আপনার বেশ কষ্টই হবে মনে হচ্ছে। কিন্তু কি আর করা খালাতো ভাই বোনের বিয়ে বলে কথা। আশা করছি বিয়ে বাড়ির আনন্দ বেশ উপভোগ করবেন।
ভাই বিয়ে কি আর শীত গরম মানে। কি আর করা গরমের মধ্যেই বিয়ে খেতে হবে। খালাতো ভাইয়ের বিয়ে তো আর ও দাওয়াতে না গিয়ে পারা যায় না ।কিছু নিমন্ত্রণ আছে যা উপেক্ষা করা যায় না। খাওয়া-দাওয়া একটু কন্ট্রোল করে খেলে স্বাস্থ্য ও মন দুটোই ভালো থাকবে।
মানুষ যে কেন গরমে বিয়ে করে ভাই , নিজেদের আরাম আয়েশের কথাও কি একটু ভাবে না 😉। আপনার মত আমি নিজেও একই রকম। লোকজনের মাঝে খুব আন ইজি লাগে। তবু কিছু কিছু জায়গায় না গেলেই নয়। আত্মীয়তার খাতিরে যেতেই হয়।
হেহেহে। ঠিক বলেছেন 😛
গরমের মধ্যে এরকম দাওয়াত খাওয়া বেশ কষ্টকর। কারন ওখানে যে ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয় তা এই গরমের অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে দেয়।
যাক অল্প খেয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন এটাই বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে 👌
যাক আজ বলছিলেন আবার যাবেন 🤗
ভালোভাবে সবকিছু সেরে আসুন। এই গরমে কোথাও যেতে আমারও একদমই ইচ্ছে করেনা।
সুস্থ থাকুন দোয়া রইল 🥀
এই গরমে বিয়ের দাওয়াত আসলেই অনেক কষ্টকর। আমি এই গরমে বিয়ের দাওয়াত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি যেটা না গেলেই নয় শুধু সেইখানে যাই আর অল্প খেয়েই বাড়ির দিকে রওনা দেই।
আমিও দূরের বিয়েতে খুব একটা যাই না।তবে একেবারে কাছের হলে বেশ মজাই হয়।
হা, আপনার বিয়ে তাহলে বাড়ির কাছেই দিতে হবে 😆
এই গরমের বিয়ের দাওয়াত খাওয়া আসলেই খুব কষ্টের। একে তো গরম তার উপর আবার খাওয়া দাওয়া। কি করবেন এখন! না গেলেও তো রাতে না খেয়ে থাকতে হবে 🙂। বিয়ের দাওয়াত খেয়ে একেবারে বাড়িতে আসতে পারলেই রক্ষে।
যা গরম বিয়ে বাড়িতে গিয়ে খাবারের তুলনায় জল বেশি খাওয়াটা আমার মোটেই অস্বাভাবিক লাগলো না। এই গরমেও যে বিয়ে হচ্ছে তাতেই আমি অবাক!!
শীত কালে কেন যে বিয়ে করেনা 😉