কিচ্ছু বলার নেই।
মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। অনেকগুলো বৈশিষ্ট্যের কারণেই মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়। মানুষের মধ্যে স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি রয়েছে। এই স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়ে যেটা ইচ্ছা সেটাই করতে পারে। তবে অনেক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। মানুষ সামাজিক জীব হওয়ার কারণে, সমাজের নিয়মকানুন গুলোর মধ্যে থেকেই চলতে হয়। তাছাড়া ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। তবে সমাজের মধ্যে কিছু মারাত্মক ব্যাধি আছে। যেগুলো আপনার উত্থানে সাহায্য তো করবেইনা বরং আপনার পিছুটানের কারন হবে।
আপনি যখন আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখন আশেপাশের মানুষজন আপনার নেগেটিভিটি গুলোই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে। আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে এমনিতেই আপনাকে অনেক চড়াই-উতরাই পার দিতে হবে। কিন্তু আশেপাশে থেকে পাওয়া সব নেগেটিভ কথাবার্তা আপনার পথচলাকে আরো কঠিন করে দেবে। যারা সমালোচনা করে তাদের এই দুনিয়াতে আর কোন কাজ নেই। ওটাই তাদের প্রধান কাজ। তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন ওইসব ব্যক্তি কখনোই নিজে উপরে উঠতে পারে না। এ কারণেই অন্যজনের উত্থানকেও তারা সহ্য করতে পারে না। এসব কালপ্রিট ব্যক্তিবর্গ আপনার খারাপ সময়ে প্রচুর সমালোচনা করবে, আর আপনাকে আঘাত দিয়ে কথা বলবে। কিন্তু আপনি যদি সফলতা পেয়ে যান তাহলে দেখবেন ঐগুলাই আপনার আশে পাশে এসে ভিড় জমাচ্ছে। আর ওই সময়টাই হচ্ছে জীবনের ফিরে দেখার সময়। তবে আমি রিকমেন্ড করব অতীতকে ভুলে যাওয়াই ভালো। নিজের মত করে অন্য কারো দিকে খেয়াল না করে জীবনটাকে সাজিয়ে নিতে হবে।
তবে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক হওয়া খুবই জরুরী। এ পৃথিবীতে বহু মানুষ আছে। বহু মানুষের ভিড়ে আপনি হারিয়ে যাবেন। কিন্তু আপনার একটা মাত্রই পৃথিবী আছে। সে পৃথিবীতে আপনাকে টিকে থাকতেই হবে। আপনার যখন ব্যর্থতার সময়, ওই সময় লক্ষ্য করবেন আপনার বন্ধু নেই বললেই চলে। তারা আপনার সাথে তেমন একটা সঙ্গ দিতে চাচ্ছে না। আপনার মধ্যে ভালো লাগা খুঁজে পায়না। এটার প্রধান কারণ হলো আপনি জীবনে ব্যর্থ। আপনার কোন টাকা পয়সা নাই। কিন্তু আপনি যখনই সফলতার মুখ দেখবেন, অনেক টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারবেন, তখনই দেখবেন আপনার বন্ধুর অভাব হবে না। এটাই বাস্তবতা ভাই।
আমাদের সমাজের বুকে আমি সবচেয়ে বড় শত্রু যাদের মনেকরি তারা হল আত্মীয়-স্বজন। এদের আচরণ ও ঐ সেম ই। জীবনের ভালো ভালো সময় গুলোতে মনে হয়েছে আমার অনেক আত্মীয়স্বজন। প্রচুর শুভাকাঙ্ক্ষী আমার। কিন্তু যেই সময় ব্যর্থতার মধ্যে থাকা যায় ওই সময় আত্মীয় বলতে আমি দুনিয়াতে কিছুই খুঁজে পাইনা। এটা আমার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
ধরুন আপনি বেকার। এমন সময়ে কাছের মানুষদের সাপোর্ট টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাতে আপনার পরিবার ও আপনাকে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকে। কিন্তু এই টাইমে ঐ সুবিধাবাদী আত্মীয়-স্বজন কি করে? হয় আপনাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে যে আপনি ব্যর্থ। অথবা আপনার পরিবারকে আরো টেনশনের মধ্যে ফেলে দেবে উল্টাপাল্টা সব কথাবার্তা বলে। আরে ভাই, আপনি তো বসে নাই। আপনি তো আপনার মত চেষ্টা করছেন। এমন সিচুয়েশনে আত্মীয়স্বজনদের ছেলেপেলের কৃতিত্বের গল্প শুনতে অসহ্য লাগে। তবে একটা বিষয় মিলিয়ে নেবেন। সফলতার পরে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখবেন সেই আত্মীয়-স্বজনের ছেলেপেলে নাসা তে জব করছে, নাকি গুগোল এ জব করছে। আমি ছোট বেলা থেকেই একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি আমার পরিবারে। সেটা হচ্ছে আশেপাশের মানুষদের কথায় খুব প্রভাবিত হয়। আমি একটা বিষয়ে অনেকক্ষণ ধরে ভালো ভাবে বোঝানোর পরেও লক্ষ্য করেছি, ওই বিষয়টা নিয়ে থার্ড পারসন কারোর থেকে ভুলভাল দু-একটা কথা শুনে ম্যানুপুলেট হয়ে আমাকে আবার প্রশ্ন করে। কিচ্ছু বলার নেই।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আসলেই ভাই কিছু বলার নেই। সঠিক শত্রু বা এনিমিয়া নির্বাচন করেছেন এবং খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমাদের যারা আত্মীয়-স্বজন রয়েছে তারা আমাদের মাঝে মাঝে ভালো চায় কিন্তু এটা চায় না যে আমরা তাদেরকে যেন ছাড়িয়ে যাই। অর্থাৎ আপনার কোনো এক আঙ্কেল দেখবেন আপনার ভালো চাইবে কিন্তু সে চাইবে না আপনি তার ছেলের চেয়ে ভাল হন বা তার চেয়ে ভালো কিছু করেন বা বড় হোন। আর যে বিষয়গুলো আপনি বললেন সেগুলো তো আছেই।
কিচ্ছু বলার নেই।
আবার দেখা যায় অনেক সময় অনেক ভালো কিছু করলে আত্মীয়-স্বজন উপর উপর খুশি হয়। কিন্তু ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে যায়।
কিচ্ছু বলার নেই
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আপনি।
এই আত্বীয়-স্বজন এর প্যারায় বাঁচাটাই মুশকিল হয়ে গেছে আমার আজকাল।
এতো বিরক্তিকর কি আর বলবো।
তবে সামনে এগিয়ে যেতে এদের সহ্য করতেই হবে।
সঠিক।।। সফলতা পেতে হলে এদের কথায় মোটেও কান দেওয়া যাবে না।
তবে মাঝেমধ্যে খুব খারাপ লাগে।এটাই আরকি।
আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে।বরাবরই আপনার পোস্ট পড়তে ভালো লাগে। কিন্তু সময় করে পারি না।তবে সময় পেলেই আপনার পোস্ট পরি। আপনার লেখায় মাধ্যমে বাস্তব দিকটা ফুটে উঠেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার এই ভাইয়ের কথা মনে রেখেছেন এটা শুনেই অনেক খুশি হলাম বৌদি। 😊
আপনি প্রত্যেকটি কথা একদম বাস্তব সত্য বলেছেন দাদা।কারণ যারা অন্যের সমালোচনা করেন আমার মনে হয় তাদের এটি অভ্যাসে পরিণত হয় ইচ্ছে করলেই স্বভাব পরিবর্তন করতে পারেন না।এছাড়া আমি মনে করি আমাদের এই সব বাক্তিদের সমালোচনার কথা জীবনের একটি খন্ড ধরে সামনের দিকে এগিয়ে চলা উচিত কারণ সেই খন্ডটিই আমাদের মনের জেদ হয়ে ইচ্ছেশক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করবে।ফলে আমরা আমাদের কাজে সফলতা পাবো দ্রুতই।আসলে আপন মানুষেরাই বেশি আঘাত দেয়।ধন্যবাদ দাদা।
আসলে বেশ কিছু বাস্তবতা আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। কিছু মানুষ আছে এদের কাজ শুধুমাত্র অন্যের দোষ খুঁজে বের করা। সহযোগিতা করাতো দূরের কথা, কেউ একটু উপরে উঠতে চাইলে পা টেনে ধরে।
এই হলো আমাদের অবস্থা।
যাক খুব ভালো একটি পোস্ট।
শুভ কামনা অবিরাম 🥀
আমাদের সমাজের এই কঠিন ফালতু বাস্তবতার কারণে প্রতিনিয়ত বহু স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।
জীবনের একটা পরম সত্যকে আপনে আপনার পোষ্টের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে আমাদের সমাজটা আকাশের মতো। কখনও যে রৌদ আর কখন বৃষ্টি বোঝা যাবে না। তারা শুধু পারে মানুষকে নিয়ে সমলোচনা করতে। তবে যখন একজন মানুষ অসহায় থাকে তখন তার দিকে কেউই তাকাতে চাই না। কিন্তু যখন সে একটু অর্থের মালিক হন, তখন সবাই তার খোজ নিতে শুরু করে।
এটা হলো চিরন্তন সত্যের মতো। আত্নীয় স্বজনরা একজন ছেলে বেকার থাকলে নানা কথা শোনায়। বলতে থাকে, এতো পড়াশুনা করে কি করলি, সেই তো বাপের ঘারে বসে আছিস। কিন্তু যখনই সে একটা কাজে যুক্ত হয়, তখনই তাদের কথাগুলোও পাল্টে যায়।
কিন্তু আমাদেরকে আশাে পাশের লোকদের কথা শুনে চললে জীবমে সফলতা আসবে না। তাই সকল কথাকে উপেক্ষা করে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আমি আমার জীবনের প্রতিচ্ছবি গুলো খুঁজে পেলাম।আপনার কথাগুলো আমাদের মত হাজারো মানুষের জীবনের সাথে মিশে রয়েছে। আপনি আমাদের মনের কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। সত্যি কথা বলতে এই পৃথিবীতে কেউ কারো ভালো সহ্য করতে পারবেনা। আর যদি কেউ সফলতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় তখন অন্যরা চোখে আঙ্গুল দিয়ে তাকে দেখিয়ে দেয় সে একজন ব্যর্থ মানুষ। উৎসাহ দেওয়ার বদলে তার কষ্টগুলো আরো দ্বিগুন বাড়িয়ে দেয়। আপনার লেখা প্রতিটি কথাই আমি মন থেকে উপলব্ধি করতে পারছি কারণ প্রতিটি কথাই আমাদের জীবনের একটি অংশ। সবার জীবনের আবেগ ও দুঃখ গুলো যেন একই সূত্রে বাধা। ধন্যবাদ ভাইয়া এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। আমার আত্বীয় স্বজনের থেকে এতো এতো কথা শুনেছি কি আর বলব। তাদের সন্তানেরা ভালো কোথায় পড়তে পারেনি দেখে আমি কেন পড়ছি, মেয়েদের এতো পড়িয়ে কি হবে। শেষে বিয়ে দিতে পারবেনা। বাহিরে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে। তোমাদের মানসম্মান নিয়ে টানাটানি শুরু হবে। তারথেকে এখনি বিয়ে দাও। কত কুৎসা রটনা করে। তবে প্রতিবার আমি তাদের এসব কাজের জবাব দিয়েছি আমার কাজের মাধ্যমে। তারা যত আমাকে টেনে ধরছে আমি তত সামনের দিকে ছুটছি। ছুটে চলব ইনশাআল্লাহ।
অনেক সুন্দর বাস্তব কথা তুলে ধরার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার ইন্ট্রোডাকশন পোষ্ট করেই বুঝেছিলাম আপনি পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে অনেক প্রেসারে আছেন।
ভাইয়া আপনি যেই বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন বা লিখেছেন এগুলো আমাদের সমাজে অহরহ ঘটছে। আমরা সবকিছু জানি সবকিছু বুঝি ব্যর্থতার সময় নিন্দুকের অভাব নেই। তবে নিন্দুক থাকা ভালো।আত্মীয়-স্বজনের কথা বললেন আত্মীয়-স্বজন বলতে হাজারো মানুষ আর আপনি যখন ব্যর্থ তখন একটাও নেই। সেটা হোক ফ্যামিলি ভাই বোন মা বাবা তখন সবারই আপনাকে আড়চোখে দেখে। মামা-খালু ফুপা চাচা যাই আছে সবাই কিন্তু একই রকম। সবচেয়ে বড় কষ্ট লাগে তখনই যখন বিপদে পড়ে কেউ। ওই সময় কাউকে পাশে পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। ওই সময়ের কষ্টটা কাউকে বোঝানো যায় না বলাও যায় না। আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন বিষয়গুলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া
সত্যি বলতে সমালোচনা মানুষ তাকে নিয়ে করে যে সমালোচনা করার মতন কাজ করে। আরেকটা বিষয় সমালোচনা না করলে কেউ কখনো বড় হতে পারে না এটা আমি মনে করি। এই ছোট পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষের নিজের জায়গা নিজে তৈরি করে নিতে হয় কেউ কোনদিন কারো জায়গা তৈরি করে দেয় না। ভাইয়া আপনার প্রতিটি কথা ছিল খুব সুন্দরভাবে গুছালো এবং মন মুগ্ধ করার মত কথা।