৫ জেনারেশন ওয়ারলেস ।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি আজকে আমাদের বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবার ব্যাপারে কিছু কথা বলতে আসলাম। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ কখনো না কখনো ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশে প্রথম ইন্টারনেট সেবা চালু হয় ২০০০ সালের দিকে । তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। এর অনেকগুলো কারণ ছিল। যেমন ওই সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল খুবই অল্প। এরপর আবার নির্দিষ্ট কিছু এরিয়া ব্যতীত অন্য কোথাও ভালো ইন্টারনেট কানেকশন পাওয়া যেত না। গ্রাম অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা তো দূরের কথা ভালোভাবে কথাই বলা যেত না নেটওয়ার্ক প্রবলেমের কারণে। গ্রামাঞ্চলে হাতে গোনা কয়েকজনের কাছে মোবাইল ফোন থাকতো। কথা বলার সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে নেটওয়ার্ক খুঁজে তারপর কথা বলতে হতো। তারপর আবার খরচ ও ছিল অনেক বেশি। যে সকল কারণে গ্রাম অঞ্চল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলই না বলতে গেলে।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
দীর্ঘ ১২ বছর অর্থাৎ ২০১২ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটের এই দুরবস্থা ছিল বাংলাদেশে। আমার মনে আছে আমি ঐসময় 2G ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকের বেসিক ভার্সন টা ইউজ করতাম। এরপর ২০১২ সালে যখন থ্রি জি চালু হলো তখন বেশ ভালই লাগত ফেসবুক ইউটিউব ব্রাউজ করতে। বিষয়টি এমন ছিল যে নাই মামার থেকে কানা মামা ভাল। আমরা বাঙালিরা 3G পেয়েই অনেক খুশি হয়েছিলাম। কারণ ওই সময়ে আমাদের কাছে 3G ইন্টারনেট বিশাল ব্যাপার ছিল। কিন্তু সমস্যা ছিল আরও একটি জায়গায়। সেটা হচ্ছে সব জায়গায় 3G নেটওয়ার্ক কানেক্ট হতো না। 3G নেটওয়ার্ক পায় এমন কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় যেয়ে দাঁড়িয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে হতো। আমার বাড়িতে সব রুমে থ্রিজি নেটওয়ার্ক পেত না। একটা মাত্র রুম ছিল সেই রুমের একটা কোনায় গিয়ে দাঁড়ালে তবেই 3G নেটওয়ার্ক কানেক্ট হতো। আর গতির দিক দিয়ে কচ্ছপের সাথে তুলনা করা যায়।
২০১৫-২০১৬ সালের দিকে বিভিন্ন দেশে 4G ইন্টারনেট সেবা চালু হতে শুরু করেছিল। ওই সময় আমরা ভাবতাম আমাদের দেশ থ্রি জি থেকে ফোরজিতে পদার্পণ করার আগে ৬৪ জেলাতে হয়তো থ্রিজির ৮০% কভারেজ নিশ্চিত করবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। ২০১৮ সালে ঘোষণা করা হল যে বাংলাদেশে ফোরজি ইন্টারনেট সেবা চালু হবে। এত কিছু না ভেবেই খুশি হয়ে গেলাম। যেহেতু 4G আসতেছে এখন হয়তো সবখানেই নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। 4G না পাওয়া গেলেও যেসব জায়গায় 2G পাওয়া যেত এখন হয়তো থ্রিজি পাওয়া যাবে। কিন্তু সর্বশেষে বিষয়টি আমি কিছুই বুঝলাম না। ফোরজি নেটওয়ার্ক সারাদেশে লঞ্চ করার পরেও আমার রুমে 2G নেটওয়ার্ক পেত। আমার রুম থেকে বাইরে গেলে পেত 3G। আর রাস্তায় গেলে পেত 4G। কিন্তু 3G অর 4G কোনোটাতেই তেমন ভালো স্পিড ছিল না। আমার কথা হচ্ছে উন্নত মানের থ্রিজি সেবা নিশ্চিত না করে 4G আনার কি দরকার ছিল। 2018 সাল থেকে এখন 2022 সাল চলতেছে। 2022 সালে এসেও আমার ঘরের কিছু কিছু জায়গায় এখনো ঠিকঠাক থ্রিজি নেটওয়ার্ক পায়না।
কিছুদিন আগে আমি একটা নিউজ দেখলাম যে বিটিআরসি ২০১৮ সাল থেকেই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছে। নিউজটি দেখে একটু অবাকই হলাম। যদিও ইতিমধ্যেই ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের সফট লঞ্চ হয়ে গেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর সফট লঞ্চ করা হয়। বাংলাদেশ ও ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো। যত বেশি দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারব আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ততো উন্নতি হবে। কমিউনিকেশন এর কোয়ালিটি তত বৃদ্ধি পাবে। আমরা অবশ্যই এটাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে থ্রিজি ফোরজি নেটওয়ার্কে ইমপ্রুভমেন্ট না আনার কারণ কি।।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
যাইহোক, এখন সময়ের দাবি। দেখা যাক ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক আমাদের কেমন সেবা দিতে পারে। যদিও এখন গ্রাম পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট লাইন পৌঁছে গেছে। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন ভালো স্পিডের ইন্টারনেট ব্রাউজ করে। কিন্তু আবার এমন অনেক গ্রাম আছে যেসব জায়গায় ব্রডব্যান্ড লাইন পৌঁছানোর কোন সম্ভাবনাই নেই। সেখানকার মানুষ সম্পূর্ণভাবে সিম নেটওয়ার্ক এর উপর নির্ভরশীল। এজন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রত্যন্ত এলাকাতেও সঠিক এবং ভালো গতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই দুঃখের কথা কাকে বলি কিছুদিন আগে গ্রামে গেছিলাম। আমি ধাকাতো ওয়াইফাই চালাই কিন্তু গ্রামে গেলে মোবাইল ডাটা ব্যবহার করতে হয়। গ্রামীণে ডাটা কিনছিলাম ১০ জিবি কিন্তু ১ জিবি শেষ করে আবার অন্য সীমে এমবি কিনতে বাধ্য হয়েছিলাম এতো নেট প্রোবলেম।
আমি মনে করি সব জায়গায় যদি ফুল স্পীডের 3G নেট পাওয়া যায় আমাদের 5G এর কোনো প্রয়োজন হতো না। হয়তো আমরা যারা ঢাকা আছি তারা কাঙ্ক্ষিত স্পীড পাচ্ছি কিন্ত কিছু জায়গায় বাটন ফোনে কথা বলাতেও সমস্যা। 🙃
আর তখন আমি ক্লাস 4 এ পড়ি,মানে ২০১২ তে।😅
ভাইয়া থ্রিজি,ফোরজি বাদ ই দিলাম।গ্রামে টেলিটকের কানেকশন ই পাওয়া যায়না!এ নাকি আবার সরকারি।এই হলো অবস্থা।
ভাই আপনার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়লাম। নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে আমাদেরকে লিখেছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন 2000 সালে নেটওয়ার্কের ছড়াছড়ি শুরু হয়েছিল যদিও দূর-দূরান্তে গিয়ে মানুষ কথা বলতো। নেটওয়ার্ক কোথায় পাওয়া যায় সেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতো। তবে দুঃখ আমায় একটাই 5g নেটওয়ার্ক চালু হয়ে গেছে কিন্তু আমার বাড়িতে আমার রুমে গেলে আমার মোবাইলে কোন নেটওয়ার্ক কানেক্ট পাওয়া যায় না। এখন আপনার কথাগুলো শুনে দুঃখটা যদিও বেশি ছিল কিছুটা হলেও কমেছে। আর গ্রামীন নেটওয়ার্কে আমার বাড়িতে এই অবস্থা আর অন্যান্য নেটওয়ার্কের কথা বলা বাদ দিলাম। যাইহোক বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক যতটা আপডেট হবে আমাদের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ততোই ভালো হবে। একসময় আমরা খুব ভোগান্তির শিকার ছিলাম অপেক্ষার প্রহর গুনতে হতো। আস্তে আস্তে এগুলো সমাধান হচ্ছে কিছু কিছু করে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি নেটওয়ার্ক এর বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য এবং আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার কথাগুলোর সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি। বিষয়গুলো বাস্তবিক হলেও কিছুটা হাস্যকর মনে হয় আমার কাছে। দেখা যাক নতুন বছরে নতুন ইন্টারনেট এর বিস্তার আমাদের কতটুকু প্রাপ্তি এনে দেয়। আশা করি বিশ্বের প্রতিটা জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা হলেও সহজতর হোক।
আমি তাদের শেষ অবস্থা দেখার অপেক্ষায় আছি।
ভাই আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট করেছেন ৷আপনার পোষ্টটি পড়ে আমিও ভাবতেছি ৷ যে এখনো ভালোভাবে 4G ঠিক ভাবে পায় না সেখানে 5G ৷ এখনো আমার ঘর থেকে 3G আর ঘর থেকে বের হলে 4G ৷ এখনো অনেক গ্রামে ভালো ভাবে কথাই বলতে পারে না৷ যাই হোক যেহেতু 5G হওয়ার কথা চলছে ৷ তাই আমি মনে করি নেটওয়ার্কিং সিস্টেম এতো শক্তিশালী করা হোক যেন সব জায়গা থেকে মানুষ-জন এটি ভালো ভাবে এর সুযোগ সুবিধা ভোক করতে পারে ৷
একটি সময়উপযোগী বিষয়ে আলোচনা করেছেন ভাই। আমি যখন ইন্টারনেট সম্পর্কে বুঝতে শিখেছি তখন মোটামুটি ৩ জি চলছিল। কিন্তু বাংলাদেশে সব 2 জি 3 জি সবই যেন সমান। আমারও অনেকটা আপনার মতো অবস্থা। জানালার ধারে গেলে কোনোমতে 4-জি পাই। এর আগে দেখছিলাম প্রতি জিবি ইন্টারনেটের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের অনেক বেশি। এবং আমাদের ইন্টারনেট স্পিড উগান্ডারও পেছনে। সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই।।
সুমন ভাই বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ক্রমবিকাশ সম্পর্কে একটি খুবই তথ্যবহুল পোষ্ট লিখেছেন আপনি। একদম দিন, তারিখ ও সাল সহ। আপনার মত একই সমস্যা আমার বাড়িতেও বিদ্যমান। তথাকথিত এই ফোরজি নেটওয়ার্ক এর যুগেও আমার বাসাতে এখনো কথা বলার মত নেটওয়ার্কই পাওয়া যায় না। থ্রিজি, ফোরজি তো অনেক দূরের ব্যাপার। অবশ্য বাসার ছাদে গেলে 3g নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। যাইহোক আপনার মত আমারও প্রশ্ন থ্রিজি বা ফোরজি নেটওয়ার্ক এর মান উন্নয়ন না করে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর কি আদৌ কোন প্রয়োজনীয়তা ছিল?
ভাইয়া আমি আপনার কথায় একমত। আজকে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন যদিও আমার এর আগে এসব বিষয়ে সব কিছু জানতাম না তবে আপনার পোস্ট পরে সব কিছু বুঝতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন
ভাই আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ইন্টারনেট চালু হওয়ার সুন্দর সুন্দর তথ্য আমাদের দিলেন। আসলে বাংলাদেশে কবে ইন্টারনেট চালু হয়েছে, কবে 2g এবং থ্রিজি এবং ফোরজি এসেছে। ফাইভ-জি কবে আসবে খুবই সুন্দর ভাবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমার খুবই ভালো লেগেছে, যখন থেকে আমরা থ্রিজি পেলাম, তখন আমাদের খুবই ভাল লাগল। তখন আমরা মোটামুটি ইন্টারনেট সেবা খুবই ভাল পেলাম। তখন খুবই ভালো লাগলো।তখন খুব একটা ইন্টারনেট করার কোনো আগ্রহ ছিল না। যাইহোক যখন ফোরজি আসলো তখন তখন খুবই ভালভাবে ভালো। তখন আমরা খুবই আনন্দের সাথে ব্যবহার করতে লাগলাম। এরপর যখন ৫জির কথা শুনলাম। তখন খুবই ভালো লাগলো, সকল ইন্টারনেট এর কার্যক্রম গুলো খুবই ভালভাবে ব্যবহার করতে পারবো।অনেক সুবিধা পাবো। তাই এখন আমরা অপেক্ষায় রইলাম কবে ৫ জি চালু হবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের তথ্যগুলো দিয়েছেন।
ভাইয়া আপনি একদম মনের কথা গুলো বলেছেন। ঐ সময় টা আমরা গ্রামে ছিলাম।রুমে কথা বলার মতোও নেটওয়ার্ক পাওয়া যেত না।বন্ধু বান্ধব রা ফোন দিলে বাহিরে গিয়ে কথা বলতাম। অপেরা মিনি দিয়ে ফেসবুক চালাতাম ফ্রী🥴 তবে নেটওয়ার্ক উন্নতির দিকে ধাবিত হলেও আমার বাসার কোনো উন্নতি হতো না।এমনকি এখনো গ্রামের বাসায় গেলে রুমে ৩ জি পায়না। আবার বাহিরে গেলে ফোরজি পায়। যাইহোক আমাদের মনে ঘোরাফেরা করা একটি বিষয় নিয়ে আপনি লিখেছেন ।নেটওয়ার্ক এর দুরবস্থা উন্নতি হোক, দায়িত্বশীলদের সুনজর দিক এই দিকে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।