রুটি দিয়ে দেশি মোরগের তেল ঝোল রেসিপি।
দেশি মোরগের তেল ঝোল। উফফ নামটা শুনলেই জিভে জল চলে আসে। এই খাবার টা দেখতে যেমন লোভনীয় তেমন খেতেও অনেক সুস্বাদু। প্রতিটি বাঙালির প্রায় এই খাবারটা অনেক প্রিয়। আর যদি এটার সাথে থাকে চালের গুড়ার রুটি তাহলে তো কথাই নেই। তাহলে চলেন আজ আমি আপনাদের সাথে লোভনীয় এবং সুস্বাদু খাবার দেশি মোরগের তেল ঝোল রান্নার রেসিপি শেয়ার করি। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
উপকরণ সমূহ :
১.দেশি মোরগের মাংস।
২.তেজপাতা।
৩.এলাচ।
৪.দারুচিনি।
৫.লবঙ্গ।
৬.জিরা।
৭.আদা।
৮.রসুন।
৯.পেঁয়াজ।
১০.শুকনা মরিচ।
(আমি উপরোক্ত মশলা গুলো একসাথে ব্লেন্ড করে নিয়েছি)
১১.কাঁচা মরিচ ফালি।
১২.সরিষার তেল।
১৩.লবণ।
১৪.হলুদ।
১৫.ধনিয়ার গুড়া।
প্রস্তুতপ্রণালী :
সবার প্রথমে শুকনো কড়াই গরম করে ৪/৫ টা এলাচ,৩/৪ লবঙ্গ,এবং ১চামচ জিরা হালকা ভেজে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে পুড়ে না যায়।তারপর একটা বাটিতে উঠিয়ে রাখতে হবে ঠান্ডা হওয়ার জন্য।
ঠান্ডা হওয়ার পর মশলা গুলো গুড়ো করে নিতে হবে। এই মশলাটা রান্নার একদম শেষ পর্যায়ে দিতে হবে যার ফলে রান্নার টেস্ট এবং ঘ্রাণ ২ টাই বৃদ্ধি পাবে।
এখন একটি কড়াইতে পর্যাপ্ত সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নিয়ে তেজপাতা, দারুচিনি এবং কয়েকটি লবঙ্গ দিয়ে হালকা ভেজে তার মধ্যে একসাথে ব্লেন্ড করা সকল মশলা দিয়ে দিতে হবে।এবং তার মধ্যে দিতে হবে লবণ, হলুদ,ধনিয়ার গুড়া।মশলাগুলোর মধ্যে হালকা পানি দিতে হবে। যাতে পুড়ে না যায়।
তারপর মশলা গুলো ভালো করে কষিয়ে নেওয়ার পর ধুয়ে রাখা মাংস গুলো দিয়ে দিতে হবে।
![]() | ![]() |
---|
সাধারণত মোরগের মাংস একটু শক্ত হও তাই মাংস গুলা সুন্দরমতো কষানোর জন্য দরকার পরিমান মতো পানি। পানি দেওয়ার পর মাংসগুলো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবং কিছুক্ষন পরপর নেড়ে দিতে হবে। এভাবে ঢাকনা দিয়ে মাংস সিদ্ধ করলে টেস্ট অনেকগুনে বেড়ে যায়।কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে যাতে মাংসগুলো নিচ থেকে পুড়ে না যায়। মাংসের পানি শুকিয়ে আসলে নাড়তে নাড়তে যখন তেল উপরে ভেসে আসবে তখন বুঝতে হবে মাংস খুব ভালোভাবে কষানো হয়েছে।
তারপর ঝোলের পানি দিতে হবে।ঝোলের পানির জন্য এখানে গরম পানি এড করতে হবে।তারপর কিছুক্ষণ জাল ওঠার পর সর্বপ্রথম ভাজি করা জিরা গুড়া এবং এলাচ গুড়া দিয়ে নামিয়ে নিলেই রেডি হয়ে যাবে মজাদার দেশি মোরগের তেল ঝোল।এই দেশি মোরগের তে ঝোল দিয়ে রুটি খেতে অনেক মজা লাগে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

দেশি মোরগের তেল ঝোল রেসিপি ও সাথে রুটি দেখে জিভে জল চলে আসলো ভাইয়া। ছোটবেলা থেকে রুটি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আমি যখন গ্রামের বাসায় যাই তখন মাঝে মাঝে আমার মা রুটি তৈরি করেন। দেশি মোরগের রেসিপি ও রুটি দেখে পুরনো অনেক কথা মনে পড়ে গেল। মনে হচ্ছে যেন এখনই এর রেসিপি তৈরি করে খেয়ে ফেলি। আসলে এই খাবারের স্বাদ এতটাই বেশি যে বলে বুঝানোর মতো নয়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে দেশি মোরগের তেল ঝোল আর রুটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখতে দারুন লোভনীয় লাগছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ভাইয়া এটা কি রেসিপি দিলেন , এই ধরণের রেসিপি দেখে কি লোভ সামলানো যাই, ইচ্ছে করছে এক্ষনি বসে খেয়ে নি। আর দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতোটা স্বাদের হয়েছে। তবে ভাইয়া নাম টা আমার জন্যে ইউনিক লাগলো।
এই খাবারটা আমার খুবই প্রিয়। আমি মাঝেমধ্যেই বাড়িতে রান্না করতে বলি।
ভাইয়া কি এমন একটা রেসিপি দিলেন তাও কিনা আমার প্রিয় খাবারটি। জিভে জল ধরে রাখতে পারছিনা ভাইয়া এতো সুন্দর একটা খাবার দেখালেন কিন্তু খাওয়ালেন না কেমন দেখায় না। সত্যি বলতে কি ভাইয়া দেশি মুরগি আমি খুব পছন্দ করি। আমি ফার্মের কোন মুরগি খাই না। এমনকি সেই সাথে যদি চাউলের রুটি হয় তাহলে তো কথাই নেই অনায়াসে দশ-পনেরোটা রুটি খেয়ে ফেলতে পারি। আপনি এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সামনে হাজির করেছেন যার কালারটা দেখে অনর্গল জিভ থেকে পানি পড়তেছে। মন চাইছে আপনার দেশি মুরগির রেসিপি রান টা মোবাইলের ভিতর হাত দিয়ে নিয়ে আসি। কিছুতেই সামাল দিতে পারছিনা ভাইয়া এতো সুন্দর রেসিপি এবং কি কালার এবং কি সাথে চাউলের রুটি উপ। দেশি মুরগির ঝোল এর রেসিপি আপনি পর্যায়ক্রমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার প্রতি ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
আমি অত বেশি রুটি খেতে পারিনা। যদিও রেসিপি টা আমার অনেক প্রিয়, সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচটা খাওয়া হয়।
আহা ভাই! কি দেখাইলেন! আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। জাস্ট অসাধারণ হয়েছে।
আর এই মজার মোরগের তেল ঝোল এর সাথে রুটি মানেই একদম জাস্ট জমে যাবে।
আসলেই,, অসাধারণ একটা রেসিপি ।আমার খুবই ফেভারিট ।
ভাই আপনার দেশি মুরগির ঝোলের রেসিপির ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে।ছবিগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।মোরগের ঝোল রান্না করার পদ্ধতিও ধাপ আকারে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।চালের রুটি দিয়ে খেতে খুব সুস্বাদু হবে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি রান্না করার পদ্ধতি বর্ণনা করার জন্য।
উফ! চালের রুটি দিয়ে দেশি মুরগি আর কি লাগে ভাই। কিসের বার্গার কিসের পিজ্জা এটাই সবথেকে বেস্ট। আর রান্নাটা যা করেছেন না কি আর বলবো।
একদম ঠিক বলছেন ভাই। ওসব পিজ্জা, বার্গার খেয়ে মজা নেই। এক বেলা খেলে আরেক বেলা খেতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু এই রেসিপিটা ছোটবেলা থেকে আমার ফেভারিট। এখনো এটি আমার পছন্দের একটি খাবার।
দেশি মোরগের দারুন লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। বোঝাই যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু রয়েছে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। চালের আটার রুটি খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি ছোটবেলা থেকেই চালের আটার রুটি খেতে পছন্দ করি। রুটি দিয়ে দেশি মোরগের মাংস ভুনা খেতে খুবই ভালো লাগবে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খাবার অনেক বেশি মজাদার হয়েছে। পরিবেশন অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আহা! কি চমৎকার লাগছে দেখতে, দেশি মুরগির ঝোল এর রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। দেশি মুরগির তো খুবই মজার এবং অনেক উপকারী ও। আর এভাবে রান্না করে খেলে এর মজা মনে হয় আরো অনেকাংশেই বেড়ে যাবে।
খুব সুন্দর একটি রেসিপি এত গোছালো করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাবিকে বলেন একদিন রান্না করে খাওয়াতে। 😁
🤪🤪🤪🤪
দেশি মোরগের ঝোল রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। এটি খুবই লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন। দেশী মোরগ মানে সুস্বাদু খাবার। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন যদি রেসিপিটা খেতে পারতাম তাহলে খুবই ভালো লাগতো। আপনার উপস্থাপনা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ওয়াও ভাইয়া রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা হয়েছিল। কালার টা দারুণ হয়েছে। রুটি দিয়ে মুরগির ঝোল মনে হয় ভীষণ মজা হয়েছিল। আমার অনেক পছন্দের রেসিপি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
এটি আমার ও অনেক পছন্দের একটি রেসিপি।মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।