দেখা হতে হতেও হলো না।
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। গতকাল ঢাকাতে এসেছি। সকাল নয়টায় ছিল আমার বাস। বাসা থেকে রওনা দিয়েছিলাম ৮ টার দিকে। বাসায় আম্মু আর আব্বু রয়েছে শুধু। ছেড়ে আসতে খারাপ লাগছিল। প্রয়োজনের তাগিদে তবুও চলে আসলাম।
আমার পোস্টের টাইটেল এবং তানিয়া আপুর এই পোস্টের টাইটেল সেম। কারণ কি জানেন? কারণ আমাদের দু'জনের গল্পের দৃশ্যপট ছিল একই। কাল বাসা থেকে বেরিয়ে নয়টার দিকে বাসে উঠেছিলাম। বাসে উঠে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যখন আসি তখন @tania69 আপুর সাথে টেলিগ্রামে চ্যাটিং হচ্ছিল। চ্যাটিং এর একপর্যায়ে জানতে পারলাম তানিয়া আপু বাসে বসে আছে। আমি এই কথার রিপ্লাই-এ লিখলাম আমিও বাসেয় বসে আছি। দুজনেই টেক্সট করলাম আমরা জ্যামে বসে আছি। এরপর তানিয়া আপু বলল উনি নাকি পাটুরিয়া ফেরিঘাটের আছে। তখন আমি বললাম আমিও তো পাটুরিয়া ফেরিঘাটেই জ্যামে বসে আছি। তখন আপু ভেবেছিল আমি হয়তো ফাজলামো করছি। কিন্তু এরপর আমি যখন কিছু ছবি শেয়ার করলাম তখন আপু বুঝতে পারল আমিও আশেপাশেই আছি।
আপু বলেছিল উনি নাকি গোল্ডেন লাইন এসি বাসে উঠেছে। আমি তখনই আমার সামনে দেখতে পারলাম একটা গোল্ডেন লাইন বাস। কিন্তু পরে লক্ষ্য করলাম ওটা ননএসি। তারমানে আপুদের বাস আরো পেছনের দিকে রয়েছে। আমাদের বাস কিছু সময় পরেই যখন ফেরিতে উঠেছিল তখন আপুকে মেসেজ দিলাম আমার অবস্থান জানিয়ে । তখন উনি একটা ছবি শেয়ার করলো সেটা দেখে বুঝলাম উনারা এখনো জ্যামে বসে আছে। কি আর করা। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের ফেরি ছেড়ে দিলো। ভেবেছিলাম দেখা হবে আপুর সাথে কিন্তু দেখা হলোনা। একটা টান টান উত্তেজনা কাজ করছিল। যারা চ্যাটিং-এ ছিলো তারাও বিষয়টা বুঝতে পেরেছিল। কিন্তু শেষমেশ আর দেখা হলো না।
কিছু সময় পর আমাদের ফেরি নদীর কিনারায় ভিরলো। তখন আমাদের বাস আবার চলতে শুরু করল গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। আমরা গাবতলীতে এসে পৌঁছেছিলাম প্রায় সাড়ে চারটার দিকে। গাবতলীতে বাস থেকে নেমে এরপর আবার সিএনজিতে করে আমাদের গন্তব্যে এসে পৌঁছলাম। রুমে এসে প্রথমেই গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এতদুর জার্নি করে এসেছি কিছু সময় রেস্ট নিলাম। যেহেতু আমাদের এই বাসাটি নতুন নেওয়া হয়েছে, তাই এখানে তেমন কিছুই ছিল না । সবকিছুই কেনাকাটা করতে হবে। এতদুর জার্নি করে এসে মন চাইছিল না বাইরে যেতে। কিন্তু কিছু করার নেই। আবার চলে গেলাম মার্কেটের দিকে। যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুই কিনে নিয়ে এরপর বাসায় আসলাম। বাসায় আসতে রাত হয়ে গিয়েছিল। রাতেই সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে একদম পরিপাটি করে নিয়েছিলাম।
যাই হোক এখন সবকিছু ঠিকঠাক। গতকালকেই সব ঠিকঠাক করেছি। আজকেও কিছু জিনিস কেনার বাকি আছে ওগুলো কিনে আনতে যাব আজকে বিকেলে অর্থাৎ একটু পরেই। আজ তাহলে আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভাল থাকবেন সবাই। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
তানিয়া আপুর পোস্ট সকালেই পড়েছি এখন পরলাম আপনার পোস্ট। সত্যি বলতে কি আমার বাংলাব্লগের প্রত্যেকটি সদস্যকেই মনে হয় যেন কতদিন থেকে চেনা। বাস্তবে যদিও কারো সাথে কখনো দেখা হয়নি। তাই মনে একটা আকাঙ্ক্ষা কাজ করে আপনজনদের সঙ্গে দেখা হবার। আশা করি কোন একদিন দেখা হয়ে যাবে।
আসলেই ভাইয়া টানটান উত্তেজনা কাজ করছিলো। আমি তো বার বার ভাবছিলাম যে একসাথে ফেরিতে উঠলে দেখাটা হয়ে যেত। আপনি ফেস ভেরিফিকেশন টা করে ফেলতে পারতেন। একটুর জন্য মিস হয়ে গেলো। সমস্যা নেই গন্তব্য যখন একই জায়গা দেখা নিশ্চয়ই হবে একদিন। ঐদিন সেলফি সহ পোস্ট দিব।
হুম,,, সেদিন আপু অনেকগুলো চকলেট কিনে দিবে আমাকে। 🥳
অবশ্যই শুধু চকলেট কেন আরো অনেক কিছু কিনে দিব। ছোট ভাই বলে কথা।
অল্পের জন্য মিসটেক হয়ে গেল 🤪।আর নতুন বাসায় উঠার এই এক ঝামেলা এটা কিন সেটা কিন,কিনতে কিনতে জীবন শেষ😆।যাইহোক ভালো কাটুক আপনার সময় এই প্রত্যাশা।
তানিয়া আপুর পোস্টটি কতকাল আমি পড়েছিলাম। আসলে তানিয়া প্রথমে ভেবেছিলো যে আপনি আমার সাথে মজা করছেন। যাই হোক তবু শেষমেশ দেখা হয় নাই আর। তবে পৃথিবী হচ্ছে অনেক গোল। একদিন না একদিন দেখা হয়ে যেতে পারে। ধন্যবাদ ভাই এরকম সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যা হ্যা হ্যা ভাইয়া তানিয়া আপু সেম পোস্ট করেছে । আপনাদের দুইজনের মনে অনুভূতি একইরকম দুজনই বলেছে দেখা হয়েও হলো না। তবে এবার দেখা না হোক অবশ্য পরবর্তীতে দেখা হবে। দেখা করার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই দেখা হবে ভাইয়া।জ্যাম না থাকলে অবশ্য দেখা হতো বা আরেকটু আগে আসলে দেখা হতো। তবে আপনাদের দুজনের মনে এক ধরনের আক্ষেপ সৃষ্টি করেছে যে অল্পের জন্য এত কাছে থেকেও দেখা হলো না।
হ্যাঁ আপু। দুজনের অনুভূতি আসলে একই রকম ছিল। এইজন্য।
টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছিলাম ভিতরে কি থাকতে পারে। কেননা আমি ও তানিয়া আপুর পোস্টটা পড়েছিলাম। আসলে এরকম একটা পরিস্থিতিতে একটা টান টান উত্তেজনা থাকে। তবে দেখা হলে ভালোই হতো।
ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোষ্টটি পড়ে কারণ এই গল্পের কিছু কিছু জায়গায় আমিও ছিলাম।দেখা হলে আমিও দেখতে পেতাম। কিন্তু আমি গাড়িতে উঠে কিছু করার মতো অবস্থায় ছিলাম না ।আপনি ঢাকায় এসেছেন শুনে ভালো লাগলো। আমরা একই শহরের বাসিন্দা হলাম। আমার বাসার এদিকে আসলে অবশ্যই যোগাযোগ কইরেন ভাইয়া খুশি হব।
অল্প একটুর জন্য মিস হয়ে গেল। কি আর করার। তবে পুরো সময়টা বেশ মজাই পেয়েছি। আর হ্যাঁ, ইনশাল্লাহ্ দেখা হবে একদিন।
ও ভাইয়া আপনার টেলিগ্রামের চ্যাটিং এর গল্প শুনে সত্যিই টানটান একটা উত্তেজনা হচ্ছিল। মনে
করেছিলাম দেখা হবে এবং কি আমাদের জন্য স্পেশাল কিছু রয়ে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাশা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। কারণ দেখা হবে আপনাদের দেখাটা আর হলো না। তবে চাইলে একজন আরেকজনের জন্য একটু অপেক্ষা করতে পারতেন। আপনার জন্য রইল ভালোবাসা অবিরাম। আমাদের সাথে আপনাদের টানটান উত্তেজনার টেলিগ্রামের সেটিং এর গল্পটি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
ভাইয়া এখানে চাইলেও একজন আরেকজনের জন্য অপেক্ষা করার সুযোগ ছিলনা। কারণ একজন অপেক্ষা করলে তার গাড়ি মিস হয়ে যেত। যাই হোক পরবর্তীতে কোন একদিন দেখা হয়ে যাবে।
দুপুরে তানিয়া আপুর পোস্ট পড়ে ছিলাম আর এখন আপনার পোষ্ট পড়লাম তবে দুজনের পোস্ট এর সারাংশ কিন্তু একই বিষয় নিয়ে।
আর আমাদের এই ছোট্ট পরিবারের সদস্য গুলির সাথে সাক্ষাৎ করার মনের ফিলিংসটা অন্যরকম থাকে।
বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া গল্পটি পড়ে ।আপনিতো টেলিগ্রামে মনে হয় পোস্টের হেডলাইন এটাই দিবেন বলছিলেন ।যাই হোক সারা দিন জার্নি করার পর তারপর আবার রাতে শপিং অনেক কষ্ট করেছেন আপনি ।আমি হলে তো চিৎ পটাং হয়ে শুয়ে পড়তাম ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে আপনার কিছু মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
আমি বিশাল আরাম প্রিয়। আমিও চিৎ পটাং হয়ে শুয়ে পড়তাম কিন্তু কিছু করার ছিল না। বাধ্য হয়েই সবকিছু সেরে তারপর চিৎ পটাং হতে হয়েছিল। হাহাহা।