ওয়ান্ডার মর্নিং
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আমাদের প্রত্যেকেরই কমবেশি একটা বদ অভ্যাস আছে সেটা হচ্ছে সকালবেলা ঘুম থেকে না ওঠা। অথচ সকালের পরিবেশটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সকালের ফ্রেশ বাতাস, সকালের পরিবেশ আমাদের স্বাস্থ্য ও মনকে ভালো রাখে। যারা প্রতিনিয়ত সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠে আর একটু হাটাহাটি করে তাদের দিনের শুরুটাই হয় স্বাস্থ্যকর ভাবে।
ঢাকায় থাকলে কোন সুযোগ থাকে না সকালবেলা স্বাস্থ্যকর পরিবেশ একটু হাঁটাহাঁটি করার। ওটা বিষাক্ত, ওর মধ্যে সকাল বেলা হাঁটার ইচ্ছাটাই জাগে না। তাইতো বাড়িতে থাকলে সকাল বেলা মন চায় একটু বাইরে যেয়ে ঘুরে আসি। বিশেষ করে শীতের সকালে বাইরে যেতে একটু বেশিই ভালো লাগে। গ্রামের রাস্তা দিয়ে যখন হাঁটি তখন চারিপাশের কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশটা দেখে মনটা এমনি ভালো হয়ে যায়। এজন্যই আজকে সকালে ভেবেছিলাম বাইরে বেরোবো।
ছয়টার দিকে রাহুকে বলে রেখেছিলাম বাইরে বের হতে। রাহুল আর এক ছোট ভাই জিহাদ মোটামুটি সকাল ছয়টা দশের দিকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম বাজারে বাইকটা রেখে আমরা এদিক ওদিক একটু হাঁটবো। কিন্তু বাজারে পৌঁছানোর আগেই গাড়ির তেল ফুরিয়ে যায়। এজন্য রাস্তাটা হেঁটেই আমাদের পার হতে হল। তবে এটা অনেক মজার ছিল কারণ রাস্তাটা ছিল মাঠের পাশ দিয়ে। মাঠের দুর্দান্ত পরিবেশ উপভোগ করতে পারতেছিলাম হাঁটতে হাঁটতে।
আরো কিছুক্ষণ হেঁটে বাজারে গিয়ে প্রথমে একটি চায়ের দোকান থেকে তিনজন তিন কাপ রং চা নিয়ে রাস্তার ধারে গিয়ে গরম রং চায়ে একটা উষ্ণ চুমুক দিয়ে শীতের পরশ ফিল করছিলাম। অনুভূতি টা অনেক সুন্দর ছিল, বেশ ফ্রেশনেস কাজ করছিল ভিতরে। যাই হোক চা খাওয়া শেষ করে আরেকটু সামনে দিকে এগিয়ে গেলাম। সকালবেলা চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ টা অনেক ভালো লাগে।
বাজারের রাস্তা দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে গেলাম। একটু পরেই সূর্যমামার দেখা মিলল। পুব আকাশে উঁকি দিচ্ছে সকালের নরম আলো ছড়ানো সূর্যমামা। এজন্য আমরা আর বেশিদূর এগোলাম না। তখন বাজারে আবার ফেরত আসলাম আর ভাবলাম একটা হোটেল থেকে কিছু নাস্তা করব। এত সকালে হোটেলে ডাল পরোটা আর খিচুড়ি ছাড়া কিছু পাওয়া যাবে না। কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম সকালবেলা বাজারে আসলে একদিন পরোটা খাব। বহুদিন খাওয়া হয় না।
তিনজন দুটি করে পরোটা আর সাথে নিয়েছিলাম ডাউল। হেব্বি লাগছিল খেতে। বহুদিন পর খেলাম ডাউল আর পরোটা। খাওয়া শেষ করতে করতে দেখলাম বাজারে লোকজন আসতে শুরু করেছে। এবার আমাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পালা। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আর বেশিক্ষণ না দাড়িয়ে চলে আসলাম বাড়িতে।
আগামীকাল সকালেও যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আগামীকাল সকালে যদি বাজারে যাই তাহলে ওই হোটেল থেকে গরম গরম খিচুড়ি আলু ভর্তা আর ডিম ভাজি খেতে হবে। সাথে থাকবে পেঁয়াজ আর মরিচ।
আগামী শুক্রবার ঢাকা ফিরে যাবো ইন শাহ আল্লাহ। এর মধ্যে আগামীকালকেই আর বাড়িতে আছি। এবার মোটামুটি ছুটি টা ভালোভাবেই কাটালাম। অনেকগুলো ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করা বাকি আছে। ঢাকা গিয়ে আস্তে আস্তে সবকিছু শেয়ার করব। কত পরশুদিন মেইন পদ্মা নদীতে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছি। ওগুলোও ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুতই শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সকালের এমন ফ্রেশ আবহাওয়ায় হাঁটতে আসলেই ভালো লাগে। বাইকে বাজারে পৌঁছানোর আগেই তেল শেষ হা হা। যাই হোক এখন যেহেতু একটু শীত শুরু হয়েছে এই ঠান্ডা আবহাওয়া চায়ের অনুভূতিটা আসলেই অসাধারণ লাগে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সকালে রাহুল ভাই এর পোস্টটি পড়লাম যে রাহুল ভাইয়া অত্যন্ত শীতের মধ্যে আপনাকে ডাকতে গিয়েছিল বাইকে করে। আপনারা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উদযাপন করেছেন। কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বেশ ভালো লাগলো এবং আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত সকালে উপভোগ করেছেন। একটা কথা কি এরকম মুহূর্ত সকলে কিন্তু নিতে পারে না। আপনারা তো ভ্রমণ প্রিয় মানুষ ।তাই আপনাদের মাধ্যমে অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে পারি আমরাও
ভোরের পরিবেশ অনেক বেশি ভালো আর সেটা যদি হয় একটু গ্রাম্য পরিবেশ তাহলে তো কথাই নেই।আমাদের নিজেদের সকাল বেলা উঠতে কষ্ট হলেও উঠতে হয়।তখন বাইরে একটু হাটাহাটি করলে ভালোই লাগে।আপনি তো বাড়িতে গিয়ে ভালোই আনন্দ করছেন।ভাবীকে নিয়ে ঘুরে এসেছিলেন,সেদিন ভাবীর পোস্ট পড়ে জানলাম।আর পদ্মা নদীতে যাওয়ার পরের ফটোগ্রাফিগুলো দেখতে চাই।আগামীকাল খিচুড়ি খেতে গেলে আমাদের জন্য পার্সেল করে দিয়েন আমরাও একটু টেস্ট নেবো,হিহিহি।
শহরের থেকে গ্রামে শীতের সকালের একটা ফিল পাওয়া যায়। তবে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারলে পরিবেশটা উপভোগ করা যায়। বাইকে তেল ফুরিয়ে না গেলে আরও অনেকদূর যেতে পারতেন হয়তো। সকাল সকাল পরোটা আর গরম গরম ডাউল খেতে সেই লাগে! শীতের সকালে এটাই মনে হয় পারফেক্ট নাস্তা!
আসলেই ভাই আজকের সকালটা সত্যি ওয়ান্ডারফুল মর্নিং ছিল। বেশ মজা করেছি বাইক নিয়ে আবার হাটাহাটি করলাম। শীতের মধ্যে সকালে বাইক ঠেলতে বেশ ভালই লাগছিল। সর্বশেষে গরম গরম পরোটা খেতে বেশ ভালোই লেগেছে।
সকাল বেলার বাতাস এবং আবহাওয়া সবার শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে সকালে ঘুম থেকে আমিও অনেক লেটে উঠি, এটা আমারও বদ অভ্যাস বটে। মজা লাগলো এই কথা শুনে যে বাজারে যাওয়ার আগেই বাইকের তেল শেষ হয়ে গেল। তবে হাঁটতে হাঁটতে প্রকৃতিকে অনেক ভালোভাবে উপলব্ধি করেছেন বোঝা যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে আমারও খুব ভালো লাগছে। আর তিনজন মিলে রং চা খেয়েছেন এটা আসলে পারফেক্ট ছিল। কারণ শীতের সকালে রং চা এর মজাই আলাদা। সবকিছুই ভালো লাগলো ভাই তবে লাস্ট পর্যায়ে যে কথাগুলো বললেন যে আবারো যাবেন আবারও খাবেন এটা কিন্তু ভালো লাগলো না। খিচুড়ি ডিম ভাজা পেঁয়াজ মরিচ এগুলো শুনে খুব লোভ লেগে গেল ভাই। আপনার আশে পাশে থাকলে আমিও জয়েন করতাম আপনাদের সাথে সেই একই হোটেলে। যাই হোক বাকি ফটোগ্রাফি গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার ফটোগ্রাফি বলে কথা দুর্দান্ত তো হবেই।
ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন,যে সকালে ঘুম থেকে না উঠা আমাদের একটা বড় অভ্যাস।তবে সকালে উঠতে পারলে সেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ফলপ্রসূ।এটা ঠিক যে গ্রামের পরিবেশ শহরের যান্ত্রিক পরিবেশ থেকে অনেকটা সুন্দর।কুয়াশাচ্ছন্ন সকলের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে।আপনাদের গ্রামের এই রাস্তায় মনে হচ্ছে আমার পরিচিত।ভালো লেগেছে পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বাইকের তেল ফুরিয়ে যাওয়াতে বেশ ভালোই হয়েছে, আপনাদের সাথে সাথে বাইকও একটু হাঁটাহাঁটি করতে পেরেছে 😂। যাইহোক গ্রামে শীতের সকালে হাঁটতে আসলেই খুব ভালো লাগে। একেবারে নির্ভেজাল পরিবেশে মন ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। সকাল সকাল হোটেলে গিয়ে নাস্তা করার মজাই আলাদা। বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন আপনারা। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে চমৎকার সময় কাটালেন সকাল সকাল। আশা করি শুক্রবার ঢাকায় নিরাপদে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।