শরীর ও মন ভালো রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই ।
হ্যালো বন্ধুরা,, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি খেলাধুলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের কমিউনিটির ম্যাক্সিমাম ইউজার এখনো ছাত্র বা ছাত্রী। লেখাপড়ার কারণে অনেক সময় নিজ এলাকা ছাড়তে হয় । যাদের বাসা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনেক দূরে অবস্থিত তাদের বেশিরভাগই ম্যাচে থেকে লেখাপড়া করে। যারা ম্যাচে থেকে লেখাপড়া করে তারা তেমন একটা খেলাধুলার সুযোগ পায় না। নিজের এলাকায় যেখানে সেখানে সুযোগ পেলেই খেলাধুলা শুরু করে দেওয়া যায়। কিন্তু একটি বাইরের এলাকায় গিয়ে খেলাধুলার তেমন একটা সুযোগ থাকে না। তাছাড়া শহরাঞ্চলে খেলার জায়গাও অনেক কম।
বর্তমান এই জেনারেশনটা ভিডিও গেমের প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে গিয়েছে যা কল্পনার বাইরে। আমিও গেমের প্রতি অনেকটাই আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। খুব কষ্টে অভ্যাসটা ত্যাগ করেছি। এমন একটা সময় ছিল যখন বিকেল হলেই গ্রামের সব ছেলেদের মাঠে খেলতে দেখা যেত। সেই মাঠগুলো এখন ফাঁকা পড়ে থাকে। সবার হাতেই স্মার্টফোন। সবাই যার যার বাড়িতে বসে গেম খেলায় ব্যস্ত। কিন্তু শারীরিক কসরত আছে এমন খেলাধুলা যে শরীরের জন্য কতটা উপকার সেটা আমরা প্রায় ভুলে গিয়েছি। যারা খেলাধুলা করে অভ্যস্ত কিন্তু হঠাত ম্যাচে থাকতে শুরু করার কারনে খেলাধুলার তেমন সুযোগ পায়না। তারা তাদের শরীরের পরিবর্তনটা খুব দ্রুতই বুঝতে পারে। খেলাধুলা করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। আর ঘরে শুয়ে বসে দিন কাটালে নিজ শরীরটা কেমন ভার ভার লাগে। আর খেলাধুলা করলে যেহেতু শারীরিক কসরত হয়, তাই শরীর ফিট থাকে।
আমি ছোটবেলা থেকে খুব খেলাধুলা করে বেড়াতাম। প্রায় সবরকম খেলাই কমবেশি খেলতাম। একদিন মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বিশাল একটা এক্সিডেন্ট ঘটে যায় আমার সাথে। এক্সিডেন্ট টা খুবই ভয়াবহ ছিল। এক্সিডেন্টে কি হয়েছিল সেটা এখানে বর্ণনা করলে অনেকেই অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। শুধু এতোটুকুই বলি, আমার পায়ে দুইটা অপারেশন করা হয়েছিল। ওই তারপর থেকে ক্রিকেট খেলা আমি একেবারেই ছেড়ে দিয়েছি। এরপর যখন আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম তখন বন্ধুদের সাথে মাঠে গেলেও ক্রিকেট খেলতাম না। শুধু দাঁড়িয়ে দেখতাম। অনেকদিন পর একটা বিষয় খেয়াল করলাম, ক্রিকেট খেলার প্রতি আমার তেমন একটা আগ্রহ নেই আর আগের মত। বিষয়টি অদ্ভুত ছিল। ওই এক্সিডেন্টের পর আমি শারীরিক কসরত হয় এমন খেলা খেলতামই না বলতে গেলে। খেলার মধ্যে কার্ড খেলাটাই সবচেয়ে বেশি খেলতাম । আর মোবাইলে কিছু ভিডিও গেমের প্রতি ভালোই আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ভিডিও গেম আর যেই গেম ই বলুন, কোনটাই আমার তেমন একটা ভালো লাগে না। বর্তমানে খেলার মধ্যে আমি ব্যাডমিন্টন টাই সবচেয়ে বেশি খেলি৷ আর এটাই আমার সবচেয়ে ফেভারিট খেলা।
আমি যখন ব্যাডমিন্টন খেলি তখন পায়ে তেমন কোনো সমস্যা ফিল করি না এখন আর। সব ঠিক হয়ে গেছে। ব্যাডমিন্টন খেলাটির প্রতি আমার প্রচন্ড রকমের ভালো লাগা কাজ করে। আমি এখন সারাদিন যদি কোনো শারীরিক পরিশ্রম নাও করি, সন্ধ্যা থেকে ২/৩ ঘন্টা ব্যাডমিন্টন খেললে শরীলটা অনেক হালকা লাগে। সবারই উচিত খেলাধুলার মধ্যে নিজেকে একটু ব্যস্ত রাখা। কারণ খেলাধুলা শুধুমাত্র শরীরকে ফিট রাখে না, মনকে ও ভালো রাখে। কিন্তু যারা নিজ বাসা থেকে বা নিজ এলাকা থেকে দূরে থাকেন তাদের জন্য পরামর্শ থাকবে প্রতিদিন ঘরে বসেই নিয়ম করে একটু ব্যায়াম করবেন। এটা হচ্ছে বিকল্প। কিন্তু আমি মনে করি খেলাধুলা ই সবচেয়ে পারফেক্ট। কারণ খেলাধুলায় শারীরিক পরিশ্রম হয় এবং সেটা আনন্দ সহকারে। যেটা শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখে।
যেকোনো কাজ খুব সুন্দর এবং দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে হলে প্রয়োজন একটি সুস্থ মন এবং সুস্থ শরীর। সুস্থ শরীর এবং সুস্থ মন পেতে হলে অবশ্যই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে আনন্দময় পরিশ্রমের মধ্যে। আর এটার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হলো খেলাধুলা করা। খেলাধুলা যদি প্রতিনিয়ত কেউ করে থাকে তাহলে তার পক্ষে মাদকাসক্ত হওয়া ও খুব কঠিন। আমি একটা বিষয় লক্ষ করেছি। আপনারাও সম্ভবত সবাই জানেন যে যারা জিম করে তাদের মধ্যে মাদকাসক্ত কোন ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। যারা জিম করে তারা তাদের শরীরকে অনেক ভালোবাসে। আর যারা নেশাগ্রস্ত তারা নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা বা নিজেদের ভালো করার কখনো চিন্তা করে না। খেলাধুলা বা অন্যান্য পরিশ্রমের ফলে বানানো সুন্দর শরীর নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। যাইহোক সর্বোপরি একটা কথাই বলতে পারি খেলাধুলা বা অন্যান্য শারীরিক কসরত এর কোন বিকল্প নেই শরীর মন দুটোকেই সুন্দর রাখতে।
Source
নতুন জেনারেশনকে নতুনভাবে শিক্ষা দিতে হবে। কারণ তারা যেভাবে খারাপ জিনিসের প্রতি এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছে তাতে তাদের শরীরের এবং ভবিষ্যতের অবস্থা খারাপের দিকেই যাবে। এজন্য পারিবারিক সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশি আলোচনা করা উচিত। আমাদের জেনারেশন যখন ছোট ছিল, তখনকার মাঠের দৃশ্য আবার যদি দেখতে পেতাম তাহলে খুব ভালো লাগতো।আমি আশা করি এই নতুন জেনারেশনে একদিন এসব বাজে অভ্যাসগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
স্বাস্থ্যই সুখের মুল ।তাই শরীর ভালো থাকলে মন ভলো থাকে মন ভালো থাকলে সব ভাল লাগে ।এজন্য শরীরকে ভালো রাখতে এমন কিছু করা যাতে শরীর মন সতেজ থাকে ।এজন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই ।প্রতিনিয়ত খেলাধুলা ব্যয়ম করে শরীরকে চাঙ্গা রাখলে সব কিছু ভালো লাগে ।কিন্তু আজকাল তো উল্টো হচ্ছে ।মোবাইলে গেম খেলে খেলে ।এতে সারাদিন মোবাইলের দিকে চেয়ে চেয়ে চোখ শেষ করতেছে ।অল্প বয়সেই চোখে দেখে না ।তাই সবার সচেতন হওয়া দরকার ।ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো ভাই ।
এটা একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিউ জেনারেশন এর সবাই সারাদিন গেমস নিয়েই পরে থাকে।
যেমন আমার ছোট ভাই দুইটা আজকে ডিসেম্বর এর অপেক্ষায় বসে থাকতো কারণ এক্সাম শেষ হলে ওই এক মাস ওরা বিকেলে বাইরে খেলতে পারবে।তবে এখন ওরা ডিসেম্বর এর জন্য বসে আছে মোবাইলে গেমস খেলার জন্য,ফ্রি ফায়ার আরো হাবিজাবি কি কি।
আপনার দুর্ঘটনার ব্যাপারটি আগেও একটু শুনেছিলাম তবে এটাই শুকরিয়া যে এখন সব ঠিকঠাক।
যথার্থই ভাবনায় এনেছেন।
লেখার সাথে বাল্যকালের স্বাধ নিয়ে তৃপ্ত হোন, এই কামনায় দোয়া প্রার্থী...
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
স্বাগতম
ভাইয়া আপনি সত্যি বলেছেন সুস্বাস্থ্যের জন্য খেলার কোনো বিকল্প নেই। তবে আমার জীবনে আমি যতগুলো খেলা খেলেছি, তার চাইতে বেশি শুধু মার খেয়েছি। পড়ালেখা তেমন একটা করতাম না দুষ্টামি করতাম, খেলাধুলা নিয়ে মাঠে বেশি থাকতাম। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে লাথি মেরে মানুষের কলা গাছ ফেলে দিতাম হাহাহা। হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েরা ভিডিও গেমসের প্রতি আসক্ত। এবং কি এটা নিয়ে তারা সময় ব্যয় করে দে। খেলাধুলার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ জাগে না। আর খেলাধুলা করলে শরীর স্বাস্থ্য এমন কি মাদকাসক্ত বাজে আড্ডা এবং মোবাইল গেমস খেলা সেগুলো থেকে বিরত থাকা যায়। ভাইয়া আপনি তো অনেক সুন্দর করে অনেকগুলো যুক্তি দেখিয়ে রেখেছেন। এবং কি আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন আপনার জন্য ভালোবাসা অবিরাম।
আপনার গোছালো মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে ভাই আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে খেলাধুলার বিষয় উপস্থাপন করেছেন। আমাদের শরীর এবং মন সুস্থ রাখতে হলে আমাদের খেলাধুলা করতে হবে। এক ঘেয়েমি কাজ কখনই মনে শান্তি আনতে পারেনা। খেলাধুলার মাধ্যমে মনের পরিবর্তন হয় এবং মনের পরিবর্তনের সাথে সাথে শারীরিক সুস্থতা থাকা যায়। তাই খেলাধুলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনেক।
আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন দাদা।সকল অভিভাবকরাই জানেন খেলাধুলা একজন মানুষের শরীর ও দেহের গঠন নিয়ন্ত্রণের জন্য কতটা কার্যকরী।তা সত্ত্বেও এখন আধুনিক যুগে সবাই বাচ্চাদের হাতে ঘরে বসে গেম খেলার জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেন।ঘরের বাইরে বের হলে খেলতে গিয়ে বাচ্চাদের হাত পা ভাঙবে এই ভয়ে।কিন্তু তারা এটা বুঝতে চান না পূর্বে মানুষেরা কতটা বলবান ছিল খেলাধুলা করে,রোগও কম ছিল।কিন্তু গ্রামে ও এর প্রভাব লক্ষণীয় তবে এখনো কমবেশি খেলাধুলা হয়।
আপনার আক্সিডেন্ট সম্পর্কে আগেও একটু শুনেছিলাম,তবে এখন আপনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন এটা ঈশ্বরের অশেষ কৃপা।ধন্যবাদ দাদা।
প্রত্যেকটা অভিভাবককে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে এ বিষয়ে।
ভাইয়া কোন ব্যাপারে মিল না থাকলে অন্তত এই ব্যাপারটা আপনার সাথে আমার মিল আছে,আরেকটা কথা ভাইয়া খুবই খারাপ লাগলো যে ছোটবেলায় আপনি একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল এই জন্য আপনার দুপায়ে অপারেশন করা। এই কথা শুনে সত্যি ভাইয়া খারাপ লাগলো খুব। হ্যাঁ ভাইয়া এটা ঠিক যে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের অনেকেই ছাত্র-ছাত্রী আছে অনেকেই ম্যাচে বা হোস্টেলে থাকে যার ফলে খেলাধুলা হয়ে ওঠে না
আজকালকার ইয়ং জেনারেশন এখন খেলাধুলা তো খেলে না বললেই চলে সারাদিন গেম আর গেম।
খেলাদুলা আমাদের সবার স্বাস্থ্যের জন্যে অনেক ভালো সেটা আমরা সবাই জানি , এটা আমাদের শরীর ভালো রাখে , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ,তার তার সাথে মন ও ভালো রাখতে সাহায্য করে , তবে মূল কথা হচ্ছে এক সময় খেলাদুলা আমরা সবাই করেছি এখন আর যদিও পারিনা , তাই তার জন্যে হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম , কিন্তু সত্যি কথা এটা ও আমরা ঠিক ভাবে করতে পারিনা , দিন দিন আমরা শুধু পতনের দিকে যাচ্ছি , আর এখনকার জেনারেশন এর কথা তো কিছুই বলার নেই ,
তবে ভাইয়া আপনার কথা শুনে অনেক খারাপ লাগলো , কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠেছেন এটা হচ্ছে বড়ো কথা।
ব্যায়াম আমাদের মানসিক এবং আত্মাকে স্থিতিশীল করে তোলে এবং এটি জীবনের জন্য খুবই উপকারী
কয়েকবছর আগেও আমরা শীতের মৌসুম আসলে রেকেট এর কোর্ট কেটে সন্ধ্যা নামার পর পরই মাঠে নেমে যেতাম কিন্তু এখন আমাদের এলাকায় আর ফাঁকা জায়গায় নেই খেলার মত। ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক। আমি যদিও এখন নিয়মিত বিকাল বেলায় জিমে গিয়ে ব্যায়াম করি তারপরও আগের ওই ব্যাডমিন্টনের দিন গুলোকে খুব মিস করি। আমাদের ছোট ভাই যারা আছে তাদের দেখি এলাকার রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে টুকটাক রেকেট খেলার চেষ্টা করে আবার কেউ ছাদে বসে বসে গিটার নিয়ে গান গাচ্ছে। আগের মত খেলাধুলার মাঠ না থাকার কারণেই হয়তো হয়তো শহরাঞ্চলে ছেলেরা বেশি পরিমাণে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে।