অফুরন্ত অক্সিজেনের খোঁজে আমি মুসাফির।
অবশেষে আবারো ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরলাম। গ্রাম মানেই অনেক বেশি আনন্দ, অনেক বেশি উচ্ছ্বাস, কোন এক বিকেলে আনমনে চিরচেনা মেঠোপথে হাঁটতে হাঁটতে গোধূলির আলোমাখা আকাশপটের দৃশ্য দেখা । শহরে এসব অনেকটা স্বপ্নের মতোই। শহর ছেড়ে গ্রামে এসে স্বস্তির নিশ্বাস নিয়েছি। বাস থেকে নেমে যখন এলাকার মাটিতে পা দিলাম তখনি অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করতেছিল। গতকাল রাতেই পৌঁছেছি বাড়িতে। যাঁরা আমার ব্লগ নিয়মিত পড়েন তারা হয়তো জানেন আমি বাড়িতে থাকলে বন্ধু আর কিছু ছোট ভাইদের সাথে কি পরিমাণ ঘুরাঘুরি করি। এইতো যেমন আজকেও গিয়েছিলাম। দুপুরের পর গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে আমি যখন সবেমাত্র ল্যাপটপটা নিয়ে বসেছি কাজ করব বলে, সেই মুহূর্তে ছোট ভাই ফোন দিল কোথাও ঘুরতে যাবে বলে । ঠিক আছে,,,, আমিও যাবো। আমারতো না নাই।
৩ টা বেজে ৫০ মিনিটের দিকে আমি রেডি হয়ে ওদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম । তারপর দেখি ওরা চলে আসলো। ভালোই লাগছিল যে অনেকদিন পর আজ ঘুরতে যাব। প্রথমে চিন্তা করলাম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির ওইদিকে যাব। তারপর আবার ডিসিশন চেঞ্জ করে অন্য এক জায়গায় গেলাম। ভাবলাম আগে এদিকটা একটু ঘুরে আসি। যদিও পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ির ঐদিকে গিয়েছিলাম। আমি যেখানে গিয়েছিলাম বিশেষ কারণে জায়গাটার নাম বলছি না, কিন্তু জায়গাটি আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে। কৃত্রিম সৌন্দর্য আমার মোটেও ভালো লাগে না। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলে যে কারোরই মন ভালো হয়ে যাওয়ার কথা।
দু'ধারে নদী। মাঝখান দিয়ে রাস্তা। আর নদীর মাঝে ছোট ছোট চর জেগেছে। ওখানে কিছু বসার জায়গা'ও ছিল। ওইখানে তো আমরা বসে বিন্দাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতেছিলাম আর ফ্রি বাতাস খাচ্ছিলাম। সেকি বাতাস,,,,,,,, প্রাণ জুড়ানো বাতাস। তবে এর সাথে সাথে আমি আরো যেই জিনিসটা সবচেয়ে বেশি ইনজয় করেছি সেটা হচ্ছে মাছ ধরা, মহিষ গোসল করানো, ঘোড়া গাড়িতে ফসল নিয়ে কৃষকদের বাড়ি ফেরা ইত্যাদি। আবার মাঝে মাঝে দেখলাম কৃষকরা তাদের মাথায় করে তাদের জমির সবজি বাজারে নিয়ে যাচ্ছে বিক্রি করার জন্য। সব মিলিয়ে বেশ উপভোগ্য ছিল।
বিকেল পাঁচটার দিকে আবার রওনা দিলাম কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু যেয়ে আমরা তো হতাশ। কারণ আমাদের খেয়াল ছিল না আজকে রবিবার। রবিবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ির সব গেট বন্ধ থাকে। এখানে যারা কাজ করে তাদের সবাইকে ছুটি দেওয়া হয় এ রবিবারে। এজন্য আমরা আজ আর ভিতরে যেতে পারলাম না। কি আর করার। ওইভাবেই আমরা ওই পথেই আমাদের শহরের দিকে চলে গেলাম। শহরের দিকে যাওয়ার পথে বড় একটা ব্রিজ আছে। সে ব্রিজের অপর প্রান্তে একটা বড় পুকুর আছে। সেই পুকুরের উপর নতুন একটা রেস্টুরেন্ট দিয়েছে। অবশ্য ঐ রেস্টুরেন্টেকে নতুন বলা যাবেনা। প্রায় এক বছর মত দেখতেছি। কিন্তু পরিচিতি পেয়েছে খুব অল্প দিন।
তো সেখানে গেলাম আমরা সবাই। যেয়ে একটা সুন্দর জায়গা দেখে বসলাম। তারপর ৫ জনের জন্য পাঁচটি কোল্ড কফির অর্ডার করলাম। এখানকার কফির অনেক নামডাক শুনেছি। এজন্যই সরোজমিনে চলে আসলাম। তো কিছু সময় পরেই চলে আসলো আমাদের সেই কোল্ড কফি। যেহেতু পুকুরের উপরে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টটা, সেহেতু চারিপাশ শুধুই পানি। খোলা পরিবেশে পুকুরের উপরে বসে থাকতে ভালই লাগছিল।
এরপর খাওয়া শেষ করে কিছু সময় ওয়েট করলাম। একটু রেস্ট করে কিছু ছবি তুললাম। তারপর চলে আসার পালা। এরপর বাইকে করে সোজা বাড়ি। এরপর পথে আর কোথাও দাঁড়াইনি। বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারপর বসলাম কম্পিউটারে। আমাদের কমিউনিটিতে আজকে যেই স্পেশাল পার্টি ছিল, সে পার্টিতে জয়েন করলাম। আর পার্টিটা কেমন ছিল সেটা তো আপনারা সবাই জানেনই। তো আজ বিদায় নিচ্ছি আবার দেখা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। খোদা হাফেজ।
ডিভাইসঃ- Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
ছবিগুলোর লোকেশনঃ- ×
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
বাহ্ গ্রামের বাড়িতে এসে তো দেখছি এক দিনেই অনেক জায়গা ঘুরাঘুরি করেছেন। নদীর পাশে কাটানো মুহূর্ত আসলেই অনেক সুন্দর হয়। প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে দেখা যায়। নদীর কুলে বসে থাকা হিমেল হাওয়া আসলেই অনেক ভালো লাগে। মন-প্রাণ দুটোই ভালো হয়ে যায়। অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন এবং আপনার সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, খুবই ভালো লাগলো 🥰
এখনো মুহূর্তগুলো সম্পূর্ণ শেয়ার করা হয় নাই।আরো অনেক ফটোগ্রাফি আছে যেগুলো ক্যামেরা দিয়ে করেছিল। সেগুলো দিয়ে পরে আরও একটা পোস্ট বানায়ে সাবমিট করব।
অপেক্ষায় থাকলাম ভাই
আপনার মতো আমরাও কৃএিম সৌন্দর্য ভালো লাগে না। এবং প্রথম জায়গাটা আমি চিনি। যেহুতু আপনি নাম বলেন নাই আমিও বললাম না। আমি অনেকবার গিয়েছি এখানে।খুব সুন্দর একটি জায়গা।
এবং শেষের জায়গা টা পার্ক বলেন আর রেস্টুরেন্ট বলেন প্রায় প্রতিদিন দেখি কলেজে যাওয়ার সময়। কিন্তু সেভাবে পরিকল্পনা করে এখনো এখানে যাওয়া হয়নি। সবমিলিয়ে খুব সুন্দর অতিবাহিত করেছেন সময় টা ভাই।
ওখানে যেয়ে একদিন ফ্রাইড রাইস & চিকেন ফ্রাই টেস্ট করতে পারো। আমি একদিন খেয়েছিলাম। খুবই সুস্বাদু ছিল।
আচ্ছা ভাই আপনি যখন বললেন দেখি এই সপ্তাহেই যাব।😋😋😋
আজ একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট করবো। দেখিও।
অবশ্যই ভাই। অপেক্ষায় থাকলাম।।
ভাই আপনাকে কিন্তু ডাক্তার বাইরের খাবার কন্ট্রোল করতে বলেছে।
এতো অক্সিজেন একা নিয়েন না, আমাদের জন্যও কিছু ব্যাগ ভরে পাঠিয়ে দিন😁। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর জায়গায় পরিদর্শন করেছেন দেখছি, জায়গাগুলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর। জলের উপর দিয়ে সেতুর দৃশ্যটা অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। প্রত্যেকটা ফোটোগ্রাফি 👌
ঠিক আছে ভাই পাঠিয়ে দিলাম, গাছের মাথায় উঠে অপেক্ষা করেন, পেয়ে যাবেন। 🤭
অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি ওখানে যেয়ে। সেগুলো দিয়ে আরও একটা পোস্ট পাবলিস্ট করবো।
ওকে, তাকিয়ে বসে থাকলাম কিন্তু তাহলে 😁
আচ্ছা ....😂😂
দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে আপনার। আপনার প্রতিটি মুহূর্ত হোক আনন্দঘন এবং জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে আপনার মাঝে আনন্দ এবং হাসির উতসাহ নিয়ে আসব। আপনার জন্য দোয়া এবং শুভকামনা রইল। আল্লাহ তাআলা আপনাকে জাজাকাল্লাহ দান করুক।
সুন্দর উইশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকে সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখছি। কাটানো সুন্দর মুহূর্তের দৃশ্যপট শেয়ারও করেছেন। নদীর পাশে কাটানো মুহূর্তটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ছিল ভাই।
গ্রামের বাড়ি মানে অন্য রকম ভালোবাসা। আজকের দিনটা আপনি ঘুরাঘুরি করে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। পুকুরের উপরে রেস্টুরেন্টেটা ভিশন সুন্দর এমন একটি রেস্টুরেন্টে আমাদের এখানেও আজে। আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
এই যুগে যে ইউনিক কিছু করতে পারবে সেই মার্কেটে টিকে থাকতে পারবে। পানির উপর রেষ্টুরেন্ট খোলা নিঃসন্দেহে একটি ইউনিক আইডিয়া।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন
অমিও গ্রামে আছি এখন খুব উপভোগ করছি। তবে আপনার গ্রামের ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনার গ্রামটি একটু বেশি সুন্দর। গ্রামের নির্মল বাতাস এবং প্রকৃতি সত্যিই আমাদের কাছে খুব আকর্ষণীয় যদিও আমরা সবসময় এটা উপভোগ করতে পারিনা কর্ম ব্যস্ত জীবনের জন্য।
রাতে স্টেজ শো চমৎকার ছিল সত্যি সেটা কি আর বলব এক কথায় অসাধারণ ছিল।
আপনার গ্রামের দৃশ্য গুলো অতীব অসাধারণ। তবে গ্রামের এই শ্রীকুল মেঠোপথ রাস্তার ভিতর যে কফিশপ আছে সেটা সত্যিই অসাধারণ।
দেখেন ভাই কোলড্রিংস কে আবার ঠান্ডা না লাগে।
অনেক ইনজয় করেছেন আপনি আমার আপনার গ্রামের বাড়িতে।
প্রথমে খাওয়ার পর একটু কাশি হচ্ছিল। পরে অবশ্য আর কোন সমস্যা হয় নাই।
শুভ হোক আপনার আগামী দিনের পথ চলা। সব সময় অসুখ থেকে দূরে থাকুন সেই কামনা করি। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আপনার সুস্বাস্থ্যের মঙ্গল কামনা করি
বাস থেকে নেমে যখন এলাকার মাটিতে পা দিলাম তখনি অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করতেছিল।
আপনার এই ব্যাপারটি আমার সাথেও হয় ভাইয়া। যখন গাড়ি নেমে গ্রামের মাটিতে পা দি তখন সব টায়ার্ডনেস যেনো নিমিষেই উধাও হয়ে যায়।
আমারতো না নাই।
ভাইয়া আমিও সেইম আপনার মতো।আমার পুরো সার্কেলে কারোনা কারো সমস্যা থাকেই,শুধু আমার না নেই। 😬
মানতেই হবে রেস্টুরেন্টটি বেশি সুন্দর। পুকুরের উপর!ভাবা যায় এসব!
এই রেস্টুরেন্টে মানুষ যায় মূলত অবস্থানের কারণে। ভালো লাগার মত একটা জায়গা। এবার দিয়ে তৃতীয় বার গিয়েছিলাম।
ভাইয়া আপনার ঘুরাঘুরি দেখে অনেক ভালো লাগছে।আসলেই গ্রামিন পরিবেশের সাথে কোনো পরিবেশই পারবে না। বন্ধুদের সাথে ঘুরতে অনেক অনেক ভাল লাগে সবাইরই অনেক সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন।
ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্য করার জন্য।