ঘুম।
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। দেখতে দেখতে শীতের সময় চলে যায় কিন্তু দেখতে দেখতে গরমের সময় আর যাচ্ছে না। অপেক্ষায় আছি আবার শীতকাল আসবে, সারাটা দিন মাথা ঠান্ডা থাকবে, রিল্যাক্স মুডে সব কাম কাজ করা যাবে। গরম যেন শেষই হচ্ছে না। গরমকালে অস্থিরতা কাজ করে বেশি৷ আচ্ছা যাই হোক আমি গত পরশু দিনের আগের দিনের ছোট্ট একটা ঘটনা শেয়ার করি।
কিছু কিছু সময় মারাত্মক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে পার করতে হয়। ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট কমিউনিটির কাজ, সবকিছু মিলিয়ে ভালোই ব্যস্ততার মধ্যে যাচ্ছে গত কিছুদিন। গত পরশুদিনের আগের দিনে একটু ঝামেলা হয়ে গিয়েছিল। আগের রাত্রে ঘুম হয়েছিল খুবই কম। তারপর সারাদিন প্রচুর প্রেশার ছিল মাথায়। ঘুমোতে পারিনি, রেস্ট করতে পারিনি । বিকেল বেলার দিকে আমি খেয়াল করলাম আমার চোখ এবং মাথা ব্যথা করতে শুরু করেছে। আর আমি তেমন কোনো কিছু ভাবতে পারছিনা। মস্তিষ্কের মধ্যে যেন কিছুই ঢুকাতে পারছি না। মস্তিষ্ক কাজ করছে না, এ রকম একটা অনুভূতি হচ্ছিল। আমি যখন কোন বিষয়ে ডিপলি চিন্তা করতে চেষ্টা করছিলাম তখন সেই বিষয়ের গভীরে যেতে পারছিলাম না। কল্পনা করতে পারছিলাম না গভীর ভাবে। এই অদ্ভুত একটা অনুভুতি হচ্ছিল তখন ।
আমি একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। যে এরকম আমার আগে কখনো হয়নি। আমি তখন চিন্তা করলাম রুমে আর থাকা যাবে না কোনোভাবেই। বাহির থেকে একটু ঘুরে আসতে হবে। তাহলে হয়তো ভালো লাগতে পারে। আসলে ঐসময় আমি বুঝতে পারতেছিলাম না যে এরকম কেনো হচ্ছে। কারন আমি এরকম প্রেসারে মাঝেমধ্যেই থাকি কিন্তু আগে কখনো এতটা সমস্যা হয়নি। তো এরপর রুম থেকে বাইরে চলে গেলাম। চিন্তা করলাম একটু রিক্সায় ঘুরবো। আমার বাসা থেকে পিলখানা পর্যন্ত রিক্সায় যাব এবং আসবো। এটাই ছিল প্লান। রিল্যাক্সে রিকশায় বসে টেনশন মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে একটু বাতাস খেতে খেতে ঘুরাফেরা করলে ভালো লাগবে এটা চিন্তা করেই রিক্সা বিলাসের প্ল্যানটা মাথায় এসেছিলাম। এরপর রিক্সায় চড়ে গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগছিলো।
আমি সোজা পিলখানার সামনে গিয়েছিলাম। ওখানে বেশিক্ষণ দাড়ায়ে না থেকে আর একটা রিক্সা নিয়ে আবার চলেও এসেছিলাম। এর মাঝে ততটুকু সময় আমি রিক্সার উপরে ছিলাম ফোন বের করিনি। আমি ফোন থেকে সম্পূর্ণই দূরে ছিলাম। স্ক্রীনে চোখ রাখতেই ভয় লাগছিল। তো এরপর রিক্সাবিলাস শেষ করে আবার যখন বাসায় আসলাম তখন একটু পর আবারও আগের অনুভূতি হচ্ছিল, তবে আগের থেকে একটু কম। তো এরপর আমি চিন্তা করেছিলাম খুব ভালো একটা ঘুম দিতে হবে। আমার সমস্ত কাজ শেষ করে রিল্যাক্স মাইন্ডে ঘুমিয়ে পড়লাম। মোটামুটি ভালো একটা সময় নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। এর পরের দিন সকাল থেকে আমার তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। একেবারেই স্বাভাবিক ছিলাম। তখন আমি মোটামুটি বুঝতে পারলাম এটা সম্ভবত ঘুমের প্রবলেম এর জন্য হয়েছিল।
এ বিষয়টা আরো কনফার্ম হয়েছি আজকে। গতরাতে আমার ঘুমাতে ঘুমাতে তিনটা বেজে গিয়েছিলো। সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম সাতটার দিকে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখি চোখ আর মাথা ব্যথা করছে। আগের দিনের মত অনুভূতি অনেকটা। আমি স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই পারছিল না ভালোভাবে। এরপর সকালের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হাতে যা কাজ ছিল তা কমপ্লিট করে আমি দিলাম একটা ঘুম। ঘুম থেকে উঠে কি যে ভালো লাগছিল আজকে, কেমনে বুঝাই। আজকে দুপুরে আমি বুঝলাম আমার ঘুমের সমস্যা হলে আমার শরীর সেটা নিতে পারছে না। তাই ঘুমের সাথে আর কোনো রাজনীতি করা যাবেনা। যথাসময়ে ঘুমোতে হবে আর পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
আসলে আমাদের বাস্তব জীবনে নিজেদের কাজকর্ম সঠিকভাবে করার জন্য মানসিক প্রশান্তি টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মানসিক প্রশান্তি আনতে নিয়মমাফিক খাবার খাওয়া, টেনশন মুক্ত থাকা, পর্যাপ্ত ঘুম এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঘুম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। আমরা খাবার খাই শরীরে শক্তি যোগাতে। আর মস্তিষ্কে শক্তির জোগান দিতে প্রয়োজন রিল্যাক্সের। মস্তিষ্ক হচ্ছে আমাদের শরীরের কন্ট্রোল রুম। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা যত বাড়বে নিজের প্রডাক্টিভিটি ততই বৃদ্ধি পাবে।
আজ সকালে আমি মাথা ব্যথা চোখ ব্যথার কারণে ভার্সিটিতে যেতে পারিনি। নিজেকে রিল্যাক্স না দিতে পারলে আমার নিজেরই ক্ষতি হচ্ছে। সবকিছু ম্যানেজ করে চলতে হবে। যাইহোক এখন ঘুমোতে যাবো। আপনাদের সাথে দেখা হবে ইনশা আল্লাহ্ পরবর্তী কোন পোস্টে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
ছবিগুলোর লোকেশন:- ধানমন্ডি
চলতিপথে তোলা হয়েছে ছবিগুলো।
ডিভাইস :- Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনাকে আমি একটা সাজেশন দিচ্ছি সেটা হচ্ছে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন। যদিও আপনি বুঝতে পড়েছেন ,তবে সেইম সমস্যা আমার হয়েছিল আরো মাসখানিক আগে। তখন এভাবে নিজেকে একটু মোবাইল থেকে দূরে রেখে টেনশন মুক্ত ছিলাম। এখন আল্লাহ রহমতে সব ঠিকা আছে।
ভাইয়া আপনার অনেক ব্যস্তদিন যাচ্ছে সবকিছু মিলে। আমাদের দৈনন্দিক জীবনের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট। ঘুম থেকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। প্রত্যক জিনিস এর রেস্ট দরকার।মাথা সাথে সবকিছু কানেশন। আগে নিজের সুস্থ হওয়া জরুরি। নিজের সুস্থ থাকলে সব কিছু ভালো লাগে। আপনার সুস্থতা কামনা করি।
আমাদের ঘুম ঠিকমতো না হলে এই সমস্যা গুলো হবেই। আমারও প্রায়ই খুব কম ঘুমানো হয় ঠিক এইরকম সমস্যায় আমি গতকাল পড়েছিলাম। সত্যি এই সময়ে যেন মাথা কাজ করেনা কল্পনা চেতনা সব বিলীন হয়ে যায়। আপনার ব্যস্ততা টা ঠিক কতটা সেটা বুঝতেই পারছি ভাই। রুটিনের বাইরে গেলেই সব এলোমেলো হয়ে যায় আপনাদের।।
সত্যিই তাই, তার উপরে কয়েকদিন আপনার উপরে কাজের প্রেসার পরছে কয়েক হাজার গুণ বেশি।কারণ আমি নিজেই তা বুঝতে পারছি।তার উপর ক্লাস,এক্সাম এগুলো এক্সট্রা প্যারা।ঘুম নিয়ে একই সমস্যা আমার,কি যে করবো জানিনা।
ভাইয়া আমার ও সঠিক ভাবে ঘুম না হলে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়। আর পরের দিন ঠোটের মধ্যে ছোট করে একটি ব্রণ ফুটে যায়। আপনি রিক্সাবিলাস করে পিলখানায় না গিয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে গেলেই ভাল হতো। তবে শরীরটা একটু রিফ্রেশ করেছেন,সেটাও ভাল হয়েছে। আর ঘুম শরীরের জন্য খুবই জরুরী সঠিক ভাবে ঘুম না হলে আপনার মত আমারও এরকম সমস্যা হয় । ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি ভাইয়া আমাদের দেশে বেশির ভাগ সময় গরম পরে থাকে। অন্য বছরের তুলনায় এবার একটু বেশি গরম পড়ছে। সত্যি ভাইয়া অনেক সময় মারাত্মক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে পার করতে হয়। যেমন আপনার ক্লাস, এ্যাসাইনমেন্ট কমিউনিটির কাজ, সবকিছু মিলিয়ে ভালোই ব্যস্ততার মধ্যে যাচ্ছে কিছুদিন।টেনশন থাকলে এমনিতে প্রচুর প্রেশার থাকে, তার ওপর ঘুমোতে পারেননি, রেস্ট করতে পারেননি। মস্তিষ্ক কাজ করবে কি করে।রিল্যাক্সে রিকশায় বসে টেনশন মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে একটু বাতাস খেতে খেতে ঘুরাফেরা করলে ভালো লাগবে এই প্ল্যানটা মাথায় এসেছিল বলে, গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরতে বের হলেন।সত্যি ভাইয়া আমাদের সুস্থ থাকতে হলে, ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া, ঘুম ও রেস্টের প্রয়োজন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে ভাই আপনার সমস্যাটা বুঝতে পেরেছি। কাজের চাপ পড়েছে খুব যার কারণে ঘুম ঠিকভাবে হচ্ছে না। আর ঘুম ঠিকভাবে না হলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। যাইহোক মোবাইল থেকে একটু দূরে এবং ঘুম ঠিকমতো হলে আপনার সমস্যাটা সমাধান হয়ে যাবে আশা করছি।
শীতকাল আমারো খুব পছন্দের।বিশেষ করে শীতকালে ভোজন,ভ্রমন ও ঘুমিয়ে মজা এবং সঙ্গে মাথা ঠান্ডা ও থাকে।ঘুম না হলে,বিশ্রাম না নিলে শরীর বেশ ক্লান্তি অনুভব হয়।ঘুম শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আমার এইরকম অবস্থা হলে তো বাড়ি থেকে বের হতাম না দাদা।আর আপনি রিক্সা ঘুরে এসেছেন।আসলে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়লে মাথাব্যথা
ও শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
ঠিক বলেছেন দাদা,ঘুম ঠিকভাবে পড়তে হবে।ছবিগুলো ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনি একজন ব্যবস্থতম মানুষ ৷ আপনার পোষ্টটি পড়ে বেশ ভালো ভাবেই টের পাচ্ছি ৷ ক্লাস এনাউন্সমেন্ট মিটিং সব মিলে আপনাদের সকল মডারেটর ভাইদের প্রচুর পেসার যাচ্ছে ৷
যা হোক নিজেকে একটু ঠান্ডা রাখবেন ৷ কারন দিনশেষে ভালো থাকা টা গুরুত্বপূর্ণ ৷