কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

1681100793565-01.jpeg


Kolkata Victoria Memorial Hall

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? দেখতে দেখতে আমরা রমজান মাসের অর্ধেক শেষ করে ফেলেছি। মন চাচ্ছে বাড়িতে চলে যাই কিন্তু পরীক্ষার কারণে ঢাকাতে থাকতে হচ্ছে। এটা আমার জন্য বিরক্তিকর কারণ রমজান মাস আমার বাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও ভালো লাগে না। যাইহোক আজকে কলকাতা ভ্রমণের আলাদা একটি পর্ব নিয়ে আমি আপনাদের সামনে হাজির হলাম। গত পূর্বে লিখেছিলাম ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়েছি ২৬ তারিখ সকালে। সেখানে দেখা হয়েছিল কিংপ্রোস ভাইয়ের সাথে। টিকিট কাটার শেষ করে যখন আমরা বাইরে বের হলাম তখন দুপুর হয়ে গিয়েছিল।

আমাদের প্ল্যান ছিল আমরা কয়েকটা ফেমাস প্লেস ভিজিট করব। কোথায় যাব সেটা নির্মাল্য ভাই অর্থাৎ কিংপ্রোস ভাই নির্ধারণ করবে। কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি আর বাসে ওঠার শখ ছিল আমার আগে থেকেই। আমাদের প্রথম প্ল্যান ছিল আমরা যাব কলকাতা ভিক্টোরিয়াতে। আমরা সেখানে বাসে করেই গিয়েছি। কলকাতার বাসে প্রথম চড়েছি । অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালই ছিল। যাইহোক কলকাতা ভিক্টোরিয়া বহু দেখেছি টিভির পর্দায়। আজ সামনাসামনি দেখব, বেশ এক্সাইটেড ছিলাম। আমরা যখন গাড়ি থেকে নেমে আরেকটু সামনে এগিয়ে গেলাম তখন চোখে পড়ল ভিক্টোরিয়ার বিশাল গেট। সেদিন প্রচন্ড রোদ ছিল, খুব গরম পরছিল। আমরা প্রথমে হালকা কিছু নাস্তা করে নিলাম।

1681100609087-01.jpeg

1681100631276-01.jpeg

সেখানে আরও দেখলাম বিভিন্ন প্রকার ফল মিক্সড করে একসাথে কেটে কেটে বিক্রি করে। আমরা দু প্লেট খেয়েছিলাম। গরমের মধ্যে কিছু ফ্রুটস বিশেষ করে তরমুজ আর ঠান্ডা পানি খেয়ে ভালোই লাগছিল।

1681100661054-01.jpeg

1681100687453-01.jpeg

1681100709523-01.jpeg

এরপর ভিতরে ঢোকার আগেই আমরা কিছু ফটোশুট করে নিলাম। ক্যামেরায় তোলা ফটোগুলো অন্যদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যাইহোক এরপর টিকিট কেটে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। সামনেই চোখ জুড়ানো সেই স্যার উইলিয়াম এমারসনের হাতেগড়া নকশার কারুকার্য। সম্পূর্ণটাই শ্বেত পাথরের তৈরি। প্রকাণ্ড রোধ হওয়ার কারণে তাপমাত্রাটা ভিক্টোরিয়ার আশেপাশে একটু বেশিই ছিল। একটু এগিয়ে গিয়েই হাতে মুখে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি নিয়ে ছায়ায় একটু বসলাম। লক্ষ্য করলাম পাশেই বড় একটা জলাধার। এটি সৌন্দর্য যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

1681100740721-01.jpeg

1681100771772-01.jpeg

1681100793565-01.jpeg

1681100873582-01.jpeg

1681100893964-01.jpeg

1681100950877-01.jpeg

এদিক সেদিক একটু ঘোরাঘুরি করে এরপর আমরা ভিতরে ঢুকে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে বিশাল কোন প্রাসাদে ঢুকে গেলাম। বাহিরে প্রচন্ড গরম হলেও ভিতরের পরিবেশটা ঠান্ডা ছিল।

1681101014428-01.jpeg

1681100978467-01.jpeg

1681101033775-01.jpeg

1681101057957-01.jpeg

এটি মূলত একটি স্মৃতি সৌধ। ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিতে তৈরি এ উদ্যান। যাইহোক ভিতরে যেয়ে আমি কিছুটা হতাশ ও হয়েছিলাম অবশ্য। ভেবেছিলাম অনেক পুরনো কোন স্মৃতি বিজড়িত জিনিসপত্র রাখা থাকবে। কিন্তু দেখলাম সেটা ছিল না, শুধু অনেক অনেক ছবি টানানো ছিল। বিভিন্ন ইতিহাস সম্পর্কে লেখা ছিল, বিভিন্ন ছবি ছিল।

1681100995624-01.jpeg

1681101130208-01.jpeg

যাই হোক সেগুলোই দর্শন করে উপর তলায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ভিক্টোরিয়ার ফ্রন্ট সাইডের দৃশ্যটি খুব ভালোভাবে অবলোকন করা যায়। এই জায়গাটাতে গিয়ে খুবই ভালো লেগেছিল আমার।

1681101141268-01.jpeg

এরপর আমরা নিচে চলে আসি আর অন্য একটা সাইড দিয়ে বের হয়ে যাই। বের হয়ে যাওয়ার সময় খেয়াল করলাম একটি জায়গায় ঠান্ডা পানির অবস্থা রেখেছে। এটি সত্যিই প্রশংসনীয়, এরকম গরমের মধ্যে এসে এরকম ঠান্ডা পানি পেয়ে মন একদম খুশি হয়ে গেল। আমি হাফিজ ভাই, আরিফ ভাই আর কিংপ্রোস ভাই পানি পান করে বেরিয়ে আসলাম। অবশেষে দেখার সাধ মিটলো কলকাতার বিখ্যাত সেই ভিক্টর মেমোরিয়াল হল। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পর্বে নতুন কোন গল্প নতুন কোন স্থান নিয়ে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।


লোকেশন:- কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
ডিভাইস:- xiaomi redmi note 9 Pro Max



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

ফটোগুলো দেখছিলাম আর নিজের মাঝে ভিন্ন রকম অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছিল। এটা সত্য যে সঙ্গে যেতে পারিনি, তবে এখন মুহূর্তগুলো দেখে বেশ ভালই উপভোগ করছি।

 last year 

আমারও আপনার মতো রমজান মাসে নিজের বাসা ছাড়া অন্য কোথাও ভালো লাগে না। যাইহোক কলকাতার হলুদ ট্যাক্সিতে চড়ার শখ আমারও ছিল একসময়। আমি অনেক বার চড়ে ছিলাম। কিন্তু বাসে একবারও উঠিনি। অনেক দিন পর কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখে বেশ ভালো লাগলো। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে আপনার পোস্টটি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ভাইয়া আমারতো আপনাদের ঘুরাফেরা দেখে আপনাদের সাথে ঘুরতে বেশ মন চাচ্ছে। আহারে কত যে দেখেছি কলকাতার ভিক্টরিয়া পার্ক টিভিতে। কিন্তু আপনার পোস্ট না দেখলে তো বুঝার উপায় নাই যে ভিক্টরিয়া পার্কটি এত বিশাল বড়। বেশ ভালই ঘরেছেন হলুদ ট্যাক্সি আর কলকাতার বাসে। মনে বড় কষ্ট কেন আপনাদের সাথে ঘুরতে যেতে পারলুম না। হি হি হি

 last year 

এটা ঠিক ভাইয়া এই রমজান মাসে পরিবারের সাথে থাকলে খুব ভাল লাগে।এক্সাম কি আর করার।খুব শীঘ্রই এক্সাম শেষ করে চলে যাবেন আপন ঠিকানায় এমনটাই প্রত্যাশা।আপনি কলকাতা গিয়ে সবাইকে নিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গিয়েছিলেন দেখে খুব ভাল লাগলো। আমি যখন কলকাতায় গিয়েছিলাম তখন আমিও গিয়েছিলাম।এত গরম ছিল বলার মত নয়।আপনার লেখা পড়ে আমি সেই স্মৃতি রোমন্থন করলাম।আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ভাই শুনে খারাপ লাগলো যে আপনি এই রমজান মাসে বাড়ির বাইরে আছেন ৷ যা হোক পরীক্ষা ভালো ভাবে দিন এমনটাই প্রতার্শা করি ৷ সর্বোপরি কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ঘুরাঘুরির মূহুর্ত গুলো দারুন ছিল ৷ সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷

 last year 

এটা কিন্তু সত্য আমরা ভিতরে গিয়ে ইতিহাসের কিছুই পেলাম না, সাধারণত যেসব জিনিষ স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষিত থাকার কথা ছিলো। তবে একটা ভালো দিক ছিলো, বাহিরে প্রচন্ড গরম হলেও ভিতরের পরিবেশ বেশ শীতল ছিলো। আর ঠান্ডা পানির কথা কি বললো, চারপাশের দৃশ্য দেখার চেয়ে বেশী তৃপ্তিদায়ক ছিলো, হি হি হি।

এটা কিন্তু সত্য আমরা ভিতরে গিয়ে ইতিহাসের কিছুই পেলাম না

আগে ছিল হাফিজ ভাই, ইদানিং দেখছি সবকিছু সরিয়ে ফেলেছে। তার বদলে সুভাস চন্দ্র বোসের যাবতীয় সবকিছু সেখানে রাখা আছে।

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া সারা বছর যেখানেই থাকেন না কেন বিশেষ করে রমজান মাসটা পরিবারের সাথে থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু আপনি পরীক্ষার কারণে বাড়ি আসতে পারছেন না সেটা জেনে কষ্ট লাগলো। আমিও শুধু টিভির পর্দায় এই দৃশ্যগুলো দেখেছি তবে আজকে খুব কাছ থেকে আপনার ফটোগ্রাফিগুলোর মাধ্যমে দেখতে পেলাম।
অনেক সুন্দর লাগছে ভাইয়া।

 last year 

সত্যিই ভাইয়া, অতিরিক্ত গরমের মাঝে ঠান্ডা পানি পান করার মজাই আলাদা।কলকাতা ভিক্টোরিয়া জায়গাটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। জায়গাটি খুবই পরিষ্কার এবং মনোরম পরিবেশ মনে হচ্ছে। কলকাতার অত্যন্ত দর্শনীয় একটি স্থান ভ্রমণ করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

যাইহোক ভিতরে যেয়ে আমি কিছুটা হতাশ ও হয়েছিলাম অবশ্য। ভেবেছিলাম অনেক পুরনো কোন স্মৃতি বিজড়িত জিনিসপত্র রাখা থাকবে। কিন্তু দেখলাম সেটা ছিল না, শুধু অনেক অনেক ছবি টানানো ছিল। বিভিন্ন ইতিহাস সম্পর্কে লেখা ছিল, বিভিন্ন ছবি ছিল।

কিছু বছর আগেও কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনেক ঐতিহাসিক জিনিসপত্র ছিল। তবে করোনার পর থেকেই আমি যতবার গেছি তার কোন কিছুই সেখানে দেখতে পারিনি। হয়তো উপরের কোন একটা জায়গায় তালা বন্ধ করে রাখা আছে সব মূল্যবান জিনিসগুলো। এখন গেলে শুধুমাত্র এই বিল্ডিংটাই দেখা যায় আর টুকটাক কিছু জিনিস রয়েছে।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আসলে আমার খুব পছন্দের একটা জায়গা। মাঝেমধ্যে ইউনিভার্সিটি থেকে ফেরার পথে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দিয়ে ঘুরে আসতাম। অনেক সময় আমার পরীক্ষা শেষ হলে পুরো বিকেল জুড়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বসে থাকতাম। আমি তো এর আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নিয়ে অনেকগুলো পর্ব করেছি।

 last year 

ভাইয়া আমিও অনেক বার টিভিতে কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পার্ক দেখেছি। তবে বাস্তবে দেখতে পারবো কি না জানি না। ভিতরে পুরাতন কিছু স্মৃতি থাকলে ভাল হতো। ভিতরে বেশি অংশ সুভাস চন্দ্র বোসের ছবিই দেখলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 63527.41
ETH 3109.34
USDT 1.00
SBD 3.86