মোবাইল ফটোগ্রাফি।

---

ফটোগ্রাফি

---

---

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন ? আমি আশা করি প্রত্যেক সপ্তাহের এই দিনে একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারব। হোক সেটা মোবাইল ফটোগ্রাফি অথবা ডিজিটাল ক্যামেরার ফটোগ্রাফি। আবার কখনো কখনো ভিডিওগ্রাফি ও শেয়ার করতে পারি। তবে ভিডিওগ্রাফি অথবা ফটোগ্রাফি সবকিছুর জন্য এই মঙ্গলবার বরাদ্দ।

আজকে আমি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো প্রত্যেকটি আমার মোবাইল দিয়ে তোলা এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে ছবিগুলো তুলেছিলাম। তিন চার মাস আগের ছবি ও গ্যালারিতে যেগুলো পড়ে ছিল সেগুলো আমি এক জায়গায় জড়ো করেছি। ছবিগুলো শুধু শুধু পড়েছিল। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে নিয়ে এলাম।

আজকের ছবিগুলো ভালো লাগবে এমন কোন গ্যারান্টি কিন্তু দিতে পারছি না। কারণ সব ছবিগুলোই অবহেলায় পড়ে ছিল, যেগুলো ফটোগ্রাফি পোস্টে ব্যবহার করিনি সেগুলো একত্রিত করে আজকে পোস্ট করতেছি। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক আজকের ১১ টি ফটোগ্রাফি।

শীতের সকালের ছবি। শিশির ভেজা মাঠ আর সূর্যোদয়ের দৃশ্য। প্রত্যেকটা ঘাসের ডগায় বিন্দুবিন্দু শিশির জমে আছে। ভীষণ ভালো লাগার একটি দৃশ্য।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

এই দৃশ্যটি ও শীতের সকালের। এবার শীতে গমের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। সকালে মাঠে গেলে শিশিরভেজা গমের শীষ গুলো দেখতে দারুন লাগে। এই ছবিটি একটু জুম করলে শিশিরকণা গুলো দেখতে পারবেন।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

এই সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে জমি চাষ করতে দেখা যায় মাঠে মাঠে। মাঠে চাষ দেওয়ার পর পাওয়ার টিলার টি আখের জমির পাশেই রেখে গেছে কোন এক কৃষক। হয়তো বেলা বাড়ার সাথে সাথে এখান থেকে আবার চাষের জমিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

সকালের সূর্য আর আঁখের পাতার ডগায় জমে থাকা এক বিন্দু শিশির কণা কে সমান্তরালে রেখে ছবিটি তোলা। ছবিটি এমনভাবে তুলেছিলাম যেন মনে হয় শিশির বিন্দুটি আলো ছড়াচ্ছে।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

কুয়াশাচ্ছন্ন মাঠ, সূর্য উদয় হচ্ছে। সেই সাথে আঁখের সবুজ পাতার উপর জমে থাকা বিন্দু বিন্দু শিশির কণাগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

সেদিন সম্ভবত ফটোগ্রাফি করতেই বেরিয়েছিলাম। সবুজ মাঠের মধ্যে আমার ক্যামেরাটি রেখে সেই ক্যামেরাকেই আমার ফোন দ্বারা ক্যামেরাবন্দি করলাম।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

দিগন্তবিস্তৃত মাঠ। মাঠের মধ্যে আপন-মনে দাঁড়িয়ে আছে একটি তাল গাছ। আকাশ থেকে মেঘের ফাঁক গলে সূর্যের রশ্মি গুলো তীর্যকভাবে পতিত হচ্ছে ভূমিতে। এত বড় ফাঁকা মাঠে ক্লান্ত কৃষকদের শীতল ছায়া দেয় এই গাছ বন্ধুটি।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

আঁখের রস থেকে গুড় বানানোর কাজ গুলো সমাপ্তির পথে। গুড়ের কুলা গুলো বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বাহন নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

ইতিমধ্যে বেশিরভাগ জায়গাতেই আঁখের রস থেকে গুড় বানানোর কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। জমিগুলো তো আর ফাঁকা ফেলে রাখা যায় না । এজন্য খুলা ভেঙে জমিগুলো চাষ দিয়ে ফেলা হচ্ছে। একই ফ্রেমে অনেক দূরে দেখতে পারছেন এখনো একটি খুলা সচল আছে।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}



গিয়েছিলাম ইয়া বড় একটা চরে। সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম কোকোকোলা। কোকোকোলা খেয়ে বোতলটা ফেলে দেওয়ার পর বালির চরে পড়ে থাকা বোতলটি দেখতে সুন্দর লাগছিল। সেজন্য ক্যামেরাবন্দি করে নিয়েছিলাম।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

বিশেষ করে বালির চরে বাইকের উপর বসে পিছনের চাকা ঘোরাতে খুবই ভালো লাগে আমার। সেদিন বাইকের চাকা অনেকক্ষণ ঘুরানোর ফলে পিছনের চাকা প্রায় পুরোটাই গেঁড়ে গিয়েছিল। এতটাই গেঁড়ে গিয়েছিল যে বাইক স্টান্ড করা যাচ্ছিল না। ওই অবস্থাতেই বাইক দাঁড়িয়েছিল।

^{Device : Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
Divisional Location : Khulna, Dhaka, Bangladesh}

---

তো বন্ধুরা এটাই ছিল আজকের ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি গুলো কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন। তবে ফটোগ্রাফি গুলোতে টাইম উল্লেখ করিনি। বিভিন্ন সময়ে তোলা ছবিগুলো গ্যালারি থেকে সংগ্রহ করে আপলোড দিয়েছি। ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন । আবার দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।