১ মাস পর।
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। গত এক মাস আগে আমি একটা পোস্টে লিখেছিলাম আমার আব্বু আর আম্মুকে নিয়ে। দুজনকেই হসপিটালে নিয়ে এসেছিলাম আর সেখানকার অনুভূতি, এক্সপেরিয়েন্স আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। ওই সময় আমার আব্বুর হার্টে রিং পরানো হয়েছিল। রিং পরানোর তিন দিন পর বাড়িতে চলে যেতে পেরেছিলাম। সেটা ছিল একটা স্বস্তির মুহূর্ত।
ডক্টর বলেছিল এক মাস পরে আবার ফলোআপে আসতে। আম্মুকে অবশ্য ৬ মাস পর আসতে বলেছেন। আব্বুর সেই ১ মাসের ডেট ছিলো গতকাল। গত পরশুদিন এসেছিলেন আমার কাছে। এবার খালার বাসায় যেতে দিইনি আব্বুকে। আমার বাসার পরিবেশ ভালো আর নিরিবিলি অনেক। যাহোক আব্বু গত পরশুদিন এসেছিল আর কালকে সকালে আব্বুকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সকাল সাড়ে আটটার দিকে আমরা বেরিয়েছিলাম। নয়টার সময় ইউনাইটেড হসপিটালে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
হসপিটালে ঢুকতেই মনে পড়ে গেল সে এক মাস আগের অনুভূতিগুলো। পেইন ফুল একটা মুহূর্ত কাটিয়ে গিয়েছি এখান থেকে। আমরা সকাল সকাল গিয়েছিলাম আর আমরাই একদম প্রথমে দেখানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। আব্বুকে মোট ৭টির টেস্ট দিয়েছিলেন , এগুলো রিপোর্ট নিয়ে ডক্টর কে দেখানোর পর ডক্টর বলল সব কিছু নরমাল আছে। এটা শুনে বেশ ভালোই লাগলো। আব্বুও বেশ খুশি হল। ডক্টর কিছু পরামর্শ দিয়ে দিলেন আর প্রেসক্রিপশনে কিছু ওষুধ লিখে দিলেন। আব্বুকে নিয়ে আবারও তিন মাস পর আসতে বললেন। গুড নিউজ শুনে ডক্টর এর চেম্বার থেকে আমরা বেরোলাম। আমাদের সাথে আমার এক খালু ছিল। উনি গতবার আমাদের হিউজ পরিমাণ হেল্প করেছে প্রত্যেকটা কাজে। আমরা সবাই একসাথে হসপিটালের ক্যান্টিনে গিয়ে কফি খেলাম। এরপর খালুকে বিদায় জানিয়ে আমি আর আব্বু চলে আসলাম।
যেহেতু আব্বুর মন ভালো ছিল তাই আব্বু বলল একটু কেনাকাটা করবে। উনার শখ হয়েছে একটা ভালো কম্বল কেনার । তাই সরাসরি আব্বুকে নিয়ে চলে গেলাম নিউ মার্কেটে। নিউ মার্কেটে গিয়ে বেশি দোকান ঘুরিনি। একটা মাত্র কম্বলের দোকানে ঢুকেছিলাম সেখান থেকেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিল। দাম যা চায় বাপরে বাপ। বারো হাজার টাকা দাম চাচ্ছিল কম্বলের। পরে দামাদামি করে সাড়ে ছয় হাজার টাকায় নিয়ে এসেছি। মনে হলো লস হয় নাই । কম্বল কিনে নিউমার্কেট থেকে মোহাম্মদপুর পর্যন্ত রিক্সায় এসেছিলাম। বাসায় এসে আব্বু কালকে রাত আমার বাসাতেই ছিল। আজ সকালে আব্বুকে বাসে উঠিয়ে দিয়ে আসলাম।
বাসায় পৌছাতে ছয় সাত ঘন্টা সময় লাগবে। আমারও অবশ্য বাসায় চলে যেতে মন চাচ্ছিল। অনেক দিনই হয়েছে ঢাকাতে এসেছি। গ্রাম আমার অসম্ভব সুন্দর লাগে। এই শীতে মনে হয় গ্রামের ফিল আর নেয়া হবে না। ভেবেছি একবারে রমজান মাসের মাঝামাঝিতে বাড়ি যাবো। তখন তো একেবারে গরম পড়ে যায়। কিন্তু কিছু করার নেই। ক্লাস কামাই দেওয়া যাবে না সামনের দিনগুলোতে আর। এমনিতেই মেলা ক্লাস মিস দিয়েছি। যাইহোক আগামী কাল থেকে আবার লেখাপড়ায় মন দিব।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন পরিবারের সকলের প্রতি যত্নশীল হবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এক মাস হয়ে গিয়েছে, আমার তো মনে হয় এই তো সেইদিন আপনার পোস্ট পড়লাম। যাই হোক আপনার বাবার সব রিপোর্ট ভালো এসেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো।শীত যা বেশি কম্বলের দাম বেশি নিবে এটাই স্বাভাবিক 😜😜।অবশেষে পড়ালেখায় মনযোগ দিচ্ছেন কাহিনী কি😜।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
যাক ভালই লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। অবশেষে ডাঃ স্বস্তির সংবাদ শুনালো আপনাদের কে। আমারও বেশ ভাল লাগলো ডাক্তারের কথা শুনে। তবে একটা কথা ভাইয়া এখন তো শীতে সারাদেশ তরতাজা। আর এ জন্যই আপনাদের কম্বলের দাম ও তরতাজা ছিল।
আশা করি আংকেল আগের থেকে অনেক বেটার ফিল করছে। তার উপর রিপোর্ট ত ভাল আসছে। ইউনাইটেড হাসপাতালে আমার আব্বার হার্টের রিং বসানো হয়েছে। ইউনাইটেড হাসপাতালের হার্টের চিকিৎসা খুব ভাল । নিউ মার্কেটে কম্বলের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। নেক্সট কম্বল কিনলে বঙ্গবাজার বা গুলিস্তান চলে আসবেন অনেক কমে পাবেন । সময় করে শীতেই ঘুরে আসেন বাড়ি থেকে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গেল। মনে হচ্ছিল যেন এইতো সেদিন আঙ্কেল এবং আন্টিকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করেছেন। যাইহোক আঙ্কেলের টেস্ট রিপোর্ট ভালো এসেছে এবং ডক্টর ভালো খবর দিয়েছেন জেনে সত্যি ভালো লাগলো। ডাক্তার দেখানো শেষে বেশ কেনাকাটাও হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো। আসলে বাবা মায়ের হাসিমাখা মুখ সন্তানের খুবই বড় প্রাপ্তি।
খুব ভালো লাগলো শুনে যে আঙ্কেলের সব রিপোর্ট ভালো এসেছে। আশাকরি নিয়ম মেনে চললে পরবর্তীতে আর কোন সমস্যা হবে না যেহেতু অল্প সময়ের জন্য আঙ্কেল এসেছে আপনার কাছে রেখেই ভালো করেছেন। দুজনে কিছুটা সময় কাটাতে পেরেছেন। তাছাড়া নিউমার্কেটে কেনাকাটা করা খুবই রিক্স। দামাদামি করতে না পারলে ঠকে যাওয়া সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ এরা এত বেশি দাম চায় যে দাম বলতেও লজ্জা লাগে। যাক অবশেষে আপনি দামাদামি করে ভালই কমাতে পেরেছেন দেখছি। আর আমার মনে হয় না যে আপনি রোজা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। হুট করে ঠিকই এর মধ্যে বাড়িতে চলে যাবেন।
জী ভাইয়া গত পোষ্টে আমি পড়েছিলাম আপনার আব্বুর হার্টে রিং পরানো হয়েছিল আবার আপনার মাকেও ডাক্তার দেখিয়েছিলেন ১ মাস পর এসে সব কিছু নরমাল শুনে অনেক ভাল লাগলো। আঙ্কেল মনে হয় কম্বল পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।