ট্রেন জার্নির গল্প।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। একটা জরুরী কাজে ঢাকা যাওয়ার পর গতকাল আবার ব্যাক করেছি। গতকাল সকাল সকাল বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিব এমন একটা পরিকল্পনা ছিল। হঠাৎ বন্ধু বলল বাসে যেতে ভালো লাগছে না, ট্রেনের টিকিট করে ফেলি। আমিও রাজি হয়ে গেলাম।
ট্রেন জার্নি হলো সব থেকে আরামের জার্নি। চার পাঁচ ঘন্টা বাসে বসে থাকলে প্রচন্ড বিরক্ত লাগে, কিন্তু আট-দশ ঘন্টা ট্রেনে বসে থাকলেও তেমন বিরক্তি আসে না। শেষ পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট কেটে ফেললাম আমরা। বিকেল তিনটায় ট্রেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। আমরা মোহাম্মদপুর থেকে দুপুর দুইটার একটু আগেই বেড়িয়ে পরলাম। শনিবারে দুপুরবেলায় রাস্তায় তেমন জ্যাম থাকে না কারণ স্কুল বন্ধ থাকে। অন্যদিন হলে আরো আগে বের হতে হত।
খুব ভালোভাবে তিনটার আগেই আমরা স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। আমাদের ট্রেন লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল, আমরা গিয়ে সিট খুঁজে বসে পড়লাম। নির্ধারিত সময়ের সামান্য একটু পরে ট্রেন ছেড়ে দিল। দু'পাশের প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে সামনের দিকে এগিয়ে চললাম আমরা।
একটু খিদে লেগেছিল। বাদাম, সিঙ্গারা, আইসক্রিম এগুলো টুকটাক খেলাম। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা লেগে গেল। ফাঁকা মাঠের মধ্যে দিয়ে সামনে ইয়াব্বড় এক হেডলাইট জ্বালিয়ে ঝিকঝিক করে ছুটে চলেছে আমাদের ট্রেন। কত রকম মানুষ দেখা যায় ট্রেনের মধ্যে। সবাই গল্পে মশগুল। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন আইটেমের খাবারের ফেরিওয়ালা ট্রেনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেরোচ্ছে।
চলতি পথে এত সুন্দর সিঙ্গারা খাইনি কখনো। কি জানি একটি স্টেশনের নাম ভুলে গেলাম। পরেরবার আবার এই পাশ দিয়ে গেলে ওনাকে খুঁজতে হবে। প্রায় আমাদের এলাকায় চলে এসেছি। আর মাত্র দুই তিনটা স্টেশন বাকি। তখন খেয়াল করলাম বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। শীতল স্নিগ্ধ বাতাস ট্রেনের মধ্যকার পরিবেশটা একদম ঠান্ডা করে রেখেছে। বাইরে হাত বাড়িয়ে দিলাম বৃষ্টির ছোঁয়া পেতে৷
৭ টা ১০ মিনিটের দিকে আমাদের স্টেশনে এসে পৌছালাম। ট্রেন থেকে নেমে সবাই এক কাপ চা, এরপর ইজিবাইকে করে সোজা নিজ গ্রামে। ট্রেন জার্নিতে একটুও ক্লান্তি আসেনি। বাসে আসার থেকে অনেক বেশি ভালো এই ট্রেনের জার্নি। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ট্রেন জার্নি বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। কারণ ইচ্ছে করলে ট্রেনে একটু হাঁটাহাঁটি করা যায়, এতে করে জার্নি একেবারেই মনে হয় না। যাইহোক ঠিকঠাক মতো বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rex-sumon,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
আমার কাছেও ট্রেন জার্নিটা মোটামুটি বেশ আরামদায়ক মনে হয় তুলনামূলক বাসের চেয়ে অনেকটাই দুর্ভোগ কম। আপনার পোস্ট পরে যা বুঝতে পারলাম আসলেই সিঙ্গারাটা অনেক মজার ছিল যেহেতু সিঙ্গারার এতটা প্রশংসা করছেন।
আমি ভুল না কর থাকলে আপনি যে ট্রেনে ফিরেছেন সেটা মধুমতি এক্সপ্রেস। এই ট্রেনে আমিও অনেক বার যাতায়াত করেছি। চমৎকার লাগে যখন ঢাকা থেকে বের হয়। চারিদিকের পরিবেশ টা বেশ মুগ্ধ করে। বিশেষ করে ভাঙ্গার পরে ফরিদপুরের মধ্যে বেশ কিছু স্টেশন আছে খুবই সুন্দর।