Device : Realme 8 5G

💗💗💗

🔥আমার বাংলা ব্লগ 🔥

💗💗💗

আমার সুখে -দুঃখে সব সময় পাশে ছিল আমার বাংলা ব্লগ।আমার বাংলা ব্লগের কারণে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি।

_{আপনারা সকলে কেমন আছেন?আশা করি ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। চাকরিটা নেই চিন্তায় ছিলাম যে, সামনে ঈদ আসছে সবার জন্য কি বাজার করবো? আমার তো নিজের কেনার টাকা নেই। তাও মনে মনে একমাত্র আমার শেষ ভরসা ছিল আমার বাংলা ব্লগ। যেটার মাধ্যমে আমি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। মানুষের সামনে মন খুলে বলতে পারি আমি একজন ব্লগার। দিনশেষে হাজারো প্রশান্তির কারণ আমার বাংলা ব্লগ।বিশ টা রোজা পার হয়ে যাচ্ছে চোখে মুখে ঈদের কেনাকাটার ক্লান্তি।অনেক মন খারাপ করেছিলাম যে নিজের জন্য না হলেও পরিবারকে যদি কিছু দিতে পারে তাহলে ভীষণ ভালো লাগবে। বিশেষ করে আমার সহধর্মনী। আগে একা একা ছিলাম আমি যদি না নিতাম কোন সমস্যা ছিল না। এখন একটা পরিবারের সাথে যুক্ত হয়েছি এখন যদি আমি কিছু না দিতে পারি বেকার অবস্থায় বসে থাকি তাহলে নিজের কাছে কতটা খারাপ লাগবে।অবশেষে আমি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। গোটা পরিবারের মুখে যেন কি সুন্দর হাসি ফুটে উঠল। এর সব কৃতজ্ঞ আমার বাংলা ব্লগ।}

_{আজকের দিনটা ভীষণ গরম ছিল অতঃপর রোজা ছিলাম আমরা দুজন তাও সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে যাওয়ার জন্য। তো আমরা আমাদের এলাকার পাশে পোড়াদাহ নামে একটা জায়গা আছে। ওখানে অনেক ভাল জিনিসপত্র পাওয়া যায়। আমরা সেখানে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম।ট্রেনলাইনের জন্য আটকা পড়ে আছি। আমরা ওখানে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করলাম তারপর আমরা সেই জায়গায় গিয়ে পৌছালাম।আমি কখনোই ভাবতে পারি নাই আজকে এত বড় একটা সফলতা অর্জন করবো। আমার জীবনে সেরা মুহূর্ত আজকের এই দিনটা। এই মাসে কমপক্ষে আমি ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করেছিলাম ও আমি দশ হাজার টাকা আমার পরিবারের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে যে সুখটা পেয়েছি। আমি অযথা অন্য কাজে সেই সুখটা পাইনি। সিদ্ধান্ত নিলাম প্রতিটা মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। এই ছোট্ট জীবনে যদি একটু হাসি ফুটাতে পারি এটাই জীবনের সফলতা।}

Device: Relame 8 5G

_{সর্বদা একটা কথা বলতে চাই, আমি গর্বিত কারণ আমি একজন আমার বাংলা ব্লগের সদস্য। তারপর শুরুতেই শাশুড়ির জন্য এই শাড়িটি পছন্দ করেছিলাম এবং এই শাড়িটি কিনে নিলাম ও আমার আম্মুর জন্য একটা থ্রি পিস নিলাম। তারপর ঘুরতে ঘুরতে শাশুড়ির জন্য একটা ওড়না পছন্দ হলো ওটাও নিয়ে নিলাম।তারপর আমার ছোট ভাই মাদ্রাসাতে পড়ে তার জন্য দুটা গেঞ্জি নিয়ে নিলাম।তখন নিজের কাছ থেকে এতটাই ভালো লাগছিল। আজকে আমি যে সবার মুখে হাসি ফুটাতে পারবো আমি কখনোই কল্পনাই করি নাই। একটা সময় ভাবতাম যে আমি কবে মানুষের মুখে আমার হাসির কারণ হব। সত্যি পেরেছি আমার বাংলা ব্লগের আগের মাধ্যমে। তারপর কিছুটা কেনাকাটার পর আমার নানা-নানীর জন্য একটা ফতোয়া লুঙ্গি ও নানীর জন্য ম্যাক্সির সিট কিনলাম।তারপর আমার নানা শ্বশুরের জন্য একটা লুঙ্গি গেঞ্জি ও নানী শাশুড়ির জন্য ম্যাক্সির সিট কিনলাম৷তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমার শ্বশুরের জন্য দুইটা লুঙ্গি ও একটাই শার্ট কিনার জন্য। সে শার্ট খুবই পছন্দ করে।অবশেষে আমার স্ত্রীর জন্য একটা থ্রি পিস।}

_{আস্তে আস্তে যখন মাথার উপর দায়িত্ব চলে আসতেছে, তখন নিজের জন্য নিতে আর কিছু ইচ্ছা করে না। তাও আমার সহধর্মী আমার জন্য একটা পাঞ্জাবি পছন্দ করলো। ওপরে যে পাঞ্জাবিটা দেখতে পারতেছেন। ওটা কিনে নিলাম এবং আমার ছোট ভাইয়ের জন্য গেঞ্জি ও তার জন্য নামাজ পড়ার জন্য একটা হিজাব কিনে নিলাম।অতঃপর আমার জ্যেষ্ঠ ছেলের জন্য একটা পাঞ্জাবি সেট ও জ্যেষ্ঠ এর জন্য একটা থ্রি পিস কিনলাম।এত বাজার আমি যে করতে পারব আমি কখনো কল্পনাও করতে পারি নাই।আমার নিজের কাছে যে এতটাই ভাল লাগছিল সবথেকে সুখী ব্যক্তিটা মনে হচ্ছিল আমি। আসলে নেওয়ার থেকে মানুষকে দেয়ার মধ্যে প্রচন্ড আনন্দ আছে।তারপর টুকিটাকি কেনাটা করতেই আছি।তারপর আমার আব্বুর জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনলাম।আমার আব্বু খুব পছন্দ করলো। এর আগেও আমি আব্বুকে কিছু কিনে দিয়েছিলাম। আমার আব্বু গর্ব করে বলতো আমার ছেলে কিনে দিয়েছে। তখন নিজেকে অনেককে সুখি মনে হতো ও গর্ববোধ করতাম। যাক এই ছোট্ট বয়সে আমি আমার বাবার মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছি, এর সব কৃতজ্ঞ আমার বাংলা ব্লগ।তারপর টুকিটাকি কেনাকাটা শেষ হওয়ার পর আমরা বাসার দিকে রওনা দিলাম।}

_{তারপর বাসায় আসার পর আমার ছোট্ট কুটুম বলতে লাগলো তার নাকি লোফার পড়তে খুবই পছন্দ। আমিও ইচ্ছা করলাম যে তাকে যদি একটা লোফার কিনে দিতে পারি তাহলে নিজেকে বড় সৌভাগ্যবান মনে করব কারণ তার এই ছোট্ট জীবনে যদি খুশির কারণ হতে পারে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগবে। তারপর আমি তাকে নিয়ে দোকানে চলে গেলাম এবং লোফার দেখলাম। কিনে ফেললাম।তারও ভীষণ পছন্দ হয়েছে তারপর প্যান্ট কিনে দিলাম এবং প্যান্ট শার্ট জুতা পড়ে তাকে অসম্ভব সুন্দর লাগতেছে। সেও ভীষণ খুশি তার মুখে সুন্দর হাসি ফুটে উঠেছে।তারপর তাকে আরেকটি টি-শার্টে গিফট করছিলাম। আমি কখনোই এই সফলতা অর্জন করতে পারি নাই আমার জীবনে।প্রতিটা মানুষকে যে এইভাবে খুশি করতে পারব সত্যি আমি কখনো কল্পনাই করি নাই। আমার স্ত্রী ও ভীষণ খুশি। আসলে প্রত্যেকটি পুরুষ মানুষ চায় প্রতিটা পরিবারকে খুশি রাখতে।দিনশেষে বাস্তবতা ও টাকার কাছে হেরে যায় প্রতিটা পুরুষ কিন্তু আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি এখনো হেরে যায় নাই। আমার পাশে আছে আমার বাংলা ব্লগ। আমি এখানে কাজ করে আমি আমার পরিবারের সব আমি চাহিদা একটু একটু মেটাতে পারি।}

_{তার মুখের হাসিটা দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল এবং আমার জোরে বলতে ইচ্ছা করতেছে, আমার বাংলা ব্লগ। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তাদের এই ছোট ছোট স্বপ্ন নানা-নানী বাবা মা শ্বশুর-শাশুড়ি ভাই সবার জন্য যে আনন্দটা আমি দিতে পারলাম. সত্যিই আমি নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করতেছি আমি। আজকের দিনটা আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি বলতে গর্ববোধ করতেছি যে, আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আমি সবার জন্য ঈদের বাজার করেছি।অবশেষে বিল আসলো ৯ হাজার টাকা। এরকম টাকা আমি অনেক খরচ করেছি কিন্তু আজকে খরচের মধ্যে অনেক প্রশান্তি। আপনারা সকলে দোয়া করবেন আমি যেন আস্তে আস্তে আমার পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পারি। আরো অনেক স্বপ্ন পূরণ করতে পারি}

↙️সংক্ষিপ্ত আকারে আমার পরিচয়↘️

_{আমার নাম মোঃ রেজুওয়ান আহমেদ। আমি অনার্স ফার্স্ট ইয়ার এ পড়ি।আমার বাসা মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা বামুন্দীতে।আমি একজন বিবাহিত মানুষ।২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের স্টিমেট যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে কোন কিছুই পারতাম না আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে সবকিছু সম্ভব হয়েছে । আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি যে মানুষ পারে না এমন কোন কিছু নেই। আমি কিছুই পারতাম না আমার ভিতরে অনেক ধৈর্য।পড়াশোনা পাশাপাশি আমার ভ্রমণ করার খুব ইচ্ছা। ঘুরতে অনেক ভালো লাগে আমার এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে যেতে অনেক ভালো লাগে।আমি নিজেকে নিয়ে কিছু একটা করতে চাই। আমি এই প্লাটফর্ম থেকে ভালো কিছু করতে চাই । মানুষ বলে আমার দ্বারা কিচ্ছু হবেনা। আমি দেখিয়ে দিতে চাই আমিও একটা মানুষ। আপনারা সকলে দোয়া করবেন আমার জন্য।}