এসিআই মটরস থেকে আমাদের পিকনিকঃ পর্ব-0২
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। কি খবর আপনাদের সবার? আমি আছি ভালোই। তা সবার রোজা কেমন কাটলো। আমি তো এই কয়দিন অনেক অনেক চাপের মাঝে ছিলাম। তাই পোস্ট ও করতে পারিনি। একটিভিটি তো দুরেই থাক। অনেক দিন হলো সুপার একটিভ লিস্ট থেকে দূরে চলে গিয়েছি। তবে চেষ্টা করবো আগামী সপ্তাহে আবারো টায়ার এ ফিরে আসতে। তো আজকে আমার পিকনিক এর ২য় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। যারা প্রথম পর্ব পড়েছেন তারা তো জানেনই সব। যারা পড়েন নি এখানে ক্লিক করে পড়ে আসুন। তাহলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে অনেক।
তো সেদিন এর পর থেকেই শুরু করছি। তো সেদিন বাসে আমরা অনেক আনন্দ করতে করতে এক সময় রিসোর্ট এ পৌছে যাই। রিসোর্ট এর নাম ছিলো শ্যামল বাংলা রিসোর্ট। যাওয়ার পরই আমাদের স্বাগতম জানায় সেখানের ম্যানেজার। এরপর আমরা সবাই ধিরে ধিরে বাস থেকে নেমে সারি হয়ে দাড়াই। এরপর ওখানে আমাদের গ্রুপ ফটো তুলা হয়। অনেক গুলো ছবি তোলা হয়। এরপর আমরা এক এক করে ভিতরে ঢুকি। যদিও তখনো আমাদের ডিলার স্যার রা আসেনি। আবার তাদের মধ্যে অনেককেই আমি এখনো দেখিনি। খুব ভালো লাগছিলো যে সব স্যার দের সাথে আজ দেখা হবে। তো আমিও ভিতরে যেয়ে কিছু ছবি তুললাম। ভালো লাগছিলো সবুজ এর মাঝে। যদিও তখন খুবই খুদা লেগে গিয়েছিলো। আর লাগবেই না কেনো? সকালে যে কিছু খাইনি তেমন। শুনলাম স্যার রা আসলেই আমাদের সাথে এক সাথে সকালের নাস্তা করবেন। কি আর করা আমরা তখন অপেক্ষা করছিলাম আর ছবি তুলছিলাম। ব্যাগ রেখেছিলাম সামনের দিকে এক টেবিল এ। তারপর স্যার রা আসার পর সবাই বসে পরলাম। এরপর আমাদের একাউন্টস এর সৈকত ভাই সবাইকে সকালের খাবার এর টোকেন দিলো। দুইটি টোকেন পেয়েছিলাম। একটি কফি বা চা এর জন্য। অন্যটি পরটা ডিম আর সবজির। পরটা থাকবে দুই পিছ। সবজি আনলিমিটেদ। যদিও আমি একবারই নিয়েছিলাম। কিছুক্ষন পর আমাদের খাবার প্রস্তুত হয়ে গেলে চলে যাই লাইনে। এরপর আমরা সবাই সকালের নাস্তা শেষ করি। সবজি ভালো লেগেছিলো বেশি ডিম এর থেকে।
খাবার খাওয়া শেষে আমাদের জন্য বানানো টি শার্ট দেওয়া হয়। Yamaha লেখা টি শার্ট ছিলো। আর পেছনে ছিলো আমাদের ডিলার এর নাম Bike Shop । টি শার্ট গুলো আমাদের এক ডিলার স্যার এর ফ্যাক্টরি থেকে করা হয়েছিলো। কাপড় টা খুবই দারুণ ছিলো। পরেও আরাম পাচ্ছিলাম। সেখানেই পরে ফেলেছিলাম। আমি এক্সট্রা লার্জ সাইজ দিতে বললেও সেটি ছিলোনা। ফলে লার্জ সাইজের টি শার্ট নিয়ে দেখি এটিই পার্ফেক্ট। এক্সট্রা লার্জ একটু বেশি বড় হয়ে যেতো আমার হিসেবে। যাক পার্ফেক্ট সাইজের হওয়াতে আমিও খুবই খুশি ছিলাম। এরপর আমরা চলে গেলাম রুমে। যেহেতু খেলা ধুলা আছে তাই কাপড় পাল্টাতে গেলাম। আমি আগেই ট্রাউজার কিনে রেখেছিলাম। তাই সেটি পরে নিলাম আমি। টি শার্ট আর পাল্টালাম না। যেহেতু অফিস থেকে যেটা দিয়েছে সেটাই পরেছিলাম। আমরা মাঠে চলে গেলাম। আমাদের দুই রকম খেলা হবে। ক্রিকেট আর ফুটবল। দল আগের থেকেই ভাগ করা ছিলো। আমাদের সার্ভিস টিম থেকে দুইটি দল এবং সেলস টিম থেকে একটি দল। ক্রিকেট এ আমিও ছিলাম। যথারিতি খেলা শুরু হলো। ভাগ্য ক্রমে আমাদের টিম ফাইনালে চলে যায়। ফাইনাল ম্যাচেও আমরা বিজয়ী হয়। আমি বল করিনি। তবে ব্যাট করেছিলাম। যদিও বল মোকাবেলা না করেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ি। স্যার রা আমাদের হাতে কাপ তুলে দেয়। সেই কাপ নিয়ে কতই না ছবি তুলেছি আমরা।
এরপর শুরু হয় আমাদের ফুটবল খেলা। ফুটবলেও আমাদের সার্ভিস থেকে দুইটা টিম আর সেলস থেকে একটা। এখানেও সার্ভিস টিম এর জয়জয়কার। তবে বেশি ভালো লেগেছিলো দুইজন ডিলার স্যার দুই দল এ খেলেছিলেন। ওনারা গোলকির ভুমিকা পালন করেছিলেন। এক স্যার তো আমার কাছে তার সান গ্লাস রেখেছিলেন। আমি সানগ্লাস গলায় ঝুলিয়ে খেলা উপভোগ করছিলাম। মাঝে কিছু ছবিও তুলেছিলাম। তো নির্ধারিত সময় এর মাঝে কেউ গোল দিতে না পারায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকার এ। প্রথম টাইব্রেকার এ আবার ও দুই দল সমান পর্যায়ে ছিলো। ৫ জন করে গোল করার চেষ্টা করে। দুই দল থেকেই ১ জন করে গোল করতে পারে। শেষে খেলা গড়ায় দ্বিতীয় টাইব্রেকারে। সেখানে ১ জন করেই গোল দিবে। যে দল দিতে পারবে সে দল বিজয়ী। আমাদের সার্ভিস টিম ছিলো দুইটাই। তো আমাদে চিন্তা ছিলোনা। যে দলই জিতুক ট্রফি আমাদের সার্ভিসেই আসবে। শেষে আমার ক্রিকেট টিমই জিতে গেলো। দুই ট্রফি আমাদের কাছে চলে এলো। আজ আর না। আবার দেখা হবে ৩য় পর্বে। ততদিনে ভালো থাকবেন সবাই। দোয়া করবেন যেনো আগের মতন একটিভ হতে পারি আবার।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.