এসিআই মটরস থেকে আমাদের পিকনিকঃ পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



IMG_20230403_173616.jpg

ক্যানভা প্রো দিয়ে বানানো।

বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। কি খবর আপনাদের সবার? আমি আছি ভালোই। তা সবার রোজা কেমন কাটলো। এইবার প্রথম রোজায় আমার উপর ভালোই ধকল গিয়েছে। যেহেতু মাসের শেষ দিনের ডিউটি আমাদের সেহেতু অনেক কাজ ছিলো। স্পেশালি আমার হাতে। ওয়ারেন্টি পার্টস ক্লেইম রিপোর্ট তৈরি করা থেকে সেগুলো এসিআই তে বুঝিয়ে দিয়ে আসা সব মিলে অনেক কিছু। যাক আজ যে অনুভূতি শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে সেটি কিছুদিন আগের। এটি আমাদের পিকনিক এর। এতো দিন সময় এর অভাবে শেয়ার করতে পারিনি। তাই ভাবলাম আজ শেয়ার করেই ফেলি।



IMG_20230317_071842.jpg


পিকনিক হবে হবে এটা অনেকদিন ধরেই শুনে আসতেছি। বলতে গেলে আমি জয়েন দেওয়ার পর থেকেই শুনছি। তবে স্যাররা সব কিছু ম্যানেজ করে উঠতে পারছিলোনা। এ নিয়ে অনেক দুস্টামি স্যার দের ঝারি ও দেখেছি ফেসবুক গ্রুপে। যদিও আমি নিরপেক্ষ ছিলাম বরাবরই। তো শেষে আমাদের পিকনিক এর তারিখ ঠিক হলো ১৭ মার্চ। সেদিন সরকারি একটা ছুটি থাকায় সমস্যা ছিলোনা। আর আমিও বেচে গেছি। কারণ অন্যান্য শুক্রবার আমার ভার্সিটি থাকে। তবে সেদিন বন্ধ ছিলো। আমি মোটামুটি খুশিই ছিলাম। আর যাই হোক ক্লাস মিস যাবেনা । তাছাড়া সেদিন ক্লাস হলে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো। ভাগ্যিস অফ ছিলো। তো যাই হোক। আমি আর আমার পার্টস এর অফিসার মহিবুল ভাই মিলে ঠিক করলাম আমরা একই রঙ এর টি শার্ট কিনবো। যেই ভাবা সেই কাজ। আমরা করলামও তা। মহিবুল ভাই একটা অনলাইন শপ থেকে টি শার্ট দেখালো আর আমি পছন্দ করলাম। তারপর দুজন এর জন্য অর্ডার করে দিলাম। পেয়েগেছিলাম বুধবারেই। আর আমাদের পিকনিক ছিলো শুক্রবার। তো এরপর আমাদের অপেক্ষা। আমি খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। অফিস লাইফের প্রথম পিকনিক বলে কথা। আমি আরো কিছু শপিং করলাম। কারণ সেখানে যেয়ে আমাদের অনেক গুলো ইভেন্ট ছিলো। শর্ট প্যান্ট কিনলাম সাথে দুইটা ট্রাউজার। এগুলো ও লাগবে। এরপর আমাদের শুক্রবার এর জন্য অপেক্ষা। পিকনিক এর দিন সকাল ৬ টা বাজে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিলো সবাইকে।

IMG_20230317_052142.jpg

IMG_20230317_054238.jpg

এটা নিয়ে একটু ভয়ে ছিলাম। কারণ ৬ টায় এখানে থাকা মানে আমার অন্তত ৫ টায় বাসে উঠতে হবে। আর সেক্ষেত্রে আমার ঘুম থেকে উঠতে হবে ৪ টায়। কারণ গোসল করা কাপড় গুছিয়ে নেওয়া বাকি ছিলো যে। তাই আরকি। সব কিছুই হলো। ভাবলাম একদিন তো ব্যাপার না আমি উঠতে পারবোই। করলাম ও সেটা। পিকনিক এর দিন রাত ২ টায় ঘুমিয়ে আবার ৪ টায় উঠে গেলাম। এরপর গুছিয়ে নিলাম সব। এরপর গোসল করেই প্রস্তুত হয়ে বেড় হয়ে পরলাম। খুবই এক্সাইটেড ছিলাম সব মিলিয়ে। এই ভোর বেলায় ও রিকশা নিলাম। কারণ হেটে বাস স্ট্যান্ডে যেয়ে এনার্জি লস করতে চাইনি। সারাদিন অনেক এনার্জেটিক থাকতে হবে। এরপর এভাবে বাস স্ট্যান্ড এ পৌছে গেলাম। ভাগ্য অনেক ভালো গিয়েই বাস পেয়ে গেলাম। কিন্তু বাস ড্রাইভার মোটেও ভালো ছিলোনা। সে যায়গায় যায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতো। আমরা সবাই চিল্লাচ্ছিলাম ইচ্ছে মতন। তবুও সে কথা কানে তোলার নয়। তার উপর বাসে কোনো হেল্পার ছিলোনা। ড্রাইভারই ভাড়া নিচ্ছিলো। তারপর একটা সময় আমি নেমে গেলাম। গিয়েই দেখি আরো কয়েকজন টেকনিশিয়ান আগে থেকেই সেখানে। আমরা নেমে অপেক্ষা করছিলাম।

IMG_20230317_060929.jpg

IMG_20230317_071900.jpg

IMG_20230317_072446.jpg

IMG_20230317_075444.jpg

সবাই আসতে শুরু করছিলো তখন। তবে কেউই সঠিক সময়ে আসেনি। তবে যেহেতু অনেকজন এক সাথে ছিলাম তাই আর ঝামেলা হয়নি। সব কিছু দারুণ ছিলো। গল্প করছিলাম আমরা। এরপর যেহেতু তখনো রোজা শুরু হয়নি নাস্তা করার জন্য গেলাম। একটা রুটি খেয়েছিলাম আমি। যেহেতু সকাল এর নাস্তা রিসোর্ট এ যেয়ে করবো তাই ভাবলাম কি দরকার এখানে ভারী কিছু খাওয়ার। একে একে যখন সবাই এসে গেলো তখন বাস ড্রাইভারকে কল দেওয়া হলো। উনি আসার পর আমরা সবাই বাসে উঠলাম। এর আগে কিছু ফটোগ্রাফি হলো সবাইকে নিয়ে। এরপর বাস ছেড়ে দিলো। যেতে যেতে আমরা অনেক মজাই করেছি। প্রথমেই সবাই গান গেলাম চিল্লায়ে চিল্লায়ে। পুরো বাস যেনো এক করে ফেলছিলাম সবাই মিলে। টেকনিশিয়ান রা তো মাঝে মধ্যে সেই ধাক্কাধাক্কি করছিলো। সবই মজার অংশ। এরপর তো আমাদের মধ্যে থেকেই কয়েকজন কেউ মলম বিক্রেতা তো কেউ ফেরিওয়ালা তো কেউ বাস ওয়ালা হয়ে যাচ্ছিলো। প্রচুর মজা করি পুরো রাস্তা জুড়ে। আজ এ পর্যন্তই রাখলাম। বেশি বড় হলে আবার অনেকেই পড়তে চাইবেন না। তাই পরের পর্বে আরো জানাবো। ততদিন ভালো থাকবেন সবাই।




░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

সবাই মিলে একসাথে পিকনিকে গিয়েছেন এই ব্যাপারটা সত্যিই আমার ভালো লেগেছে। খুব মিস করছি যখন আমি আমার ফ্রেন্ডরা মিলে আমাদের মেমসহ পিকনিকে গিয়েছিলাম। অনেকজন মিলে একসাথে কোথাও পিকনিক করতে গেলে সেখানে আনন্দ হয় অনেক বেশি। কারণ সবাই মিলে আনন্দ এবং নিজেদের মন মতো ঘোরাফেরা, সময় গুলো দারুণভাবে উপভোগ করা যায়। তবে আপনি ভোর ৪:০০টায় উঠে সবকিছু গুছিয়ে গোসল করে বের হয়ে গেলেন। হয়তো মনের মাঝে পিকনিক এ যাওয়ার আনন্দটা সবচেয়ে বেশি ছিল সেজন্যই সময় মতই উঠে যেতে পেরেছেন। যাইহোক ভাইয়া পরবর্তী পর্বটা অপেক্ষায় থাকলাম।

 last year 

হুম আপু সবাই মিলে । অনেক মজা হয়েছিলো।

 2 years ago 

বেশ ভালো সময় পার করেছেন। সে স্কুলে থাকতে এভাবে সবাই মিলে পিকনিকে গিয়েছি। আপনার পোষ্টটি দেখে আমার সেই দিনের কথা মনে পড়ে গেল। যাক শত ব্যস্ততার মাঝেও ১৭ ই মার্চ সরকারি বন্ধ থাকার কারণে আপনি যেতে পেরেছেন। কেউ ফেরিওয়ালা কেউ মলম ওয়ালা সেজে ছেন শুনে বেশ মজা পেলাম। ঠিক আছে ভাই আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রই লাম।

 last year 

হুম সে দিনটা অনেক ভালো কেটে ছিলো আমাদের।

 2 years ago 

পিকনিক যাওয়ার অনুভুতি টা তো আপনার বেশ ভালোই ছিলো ৷ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সব গুছিয়ে নিয়ে বাস স্ট্যান্ড চলে গেলেন ৷ বিষয়টা বেশ মজার ৷ তবে আমার পক্ষে রাত দুটায় ঘুমিয়ে চারটায় উঠা অনেক বেশি কষ্টের হতো ৷ যাই হোক পিকনিক যাওয়ার পথে বেশ ভালোই মজা করেছেন দেখছি ৷ অনেক ভালো লাগলো আমার আনন্দময় মুহূর্ত দেখে , এরপর কেমন কাটলো সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম .. ধন্যবাদ আপনাকে

 last year 

হুম অনেক ভোরে উঠছিলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60767.97
ETH 2352.24
USDT 1.00
SBD 2.51